ঝুঁকিপূর্ণ সংবাদ সংগ্রহে মোবাইল প্রযুক্তির ব্যবহার বেড়েছে

  • নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশের (ইউল্যাব) মিডিয়া স্টাডিজ ও সাংবাদিকতা বিভাগ এবং ফ্রেডরিখ নুইম্যান ফাউন্ডেশন ফর ফ্রিডমের (এফএনএফ বাংলাদেশ) যৌথ আয়োজনে ১৬ জুলাই অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো মহামারীর সময়ে ঝুঁকিপূর্ণ বিভিন্ন গোষ্ঠীর সংবাদ সংগ্রহে মোবাইল প্রযুক্তি ব্যবহারের ওপর ই-টক।

ই-টকের শুরুতেই সংকটকালীন সময়ে মোবাইল ফোন প্রযুক্তি ব্যবহারের গুরুত্ব আরোপ করে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন ইউল্যাবের মিডিয়া স্টাডিজ ও সাংবাদিকতা বিভাগের প্রধান প্রফেসর ড. জুড উইলিয়াম হেনিলো। এছাড়া চলমান করোনা পরিস্থিতিতে সম্মুখ যোদ্ধা হিসেবে সাংবাদিকদের সাহসী ভূমিকার কথা উল্লেখ করে আরও স্বাগত বক্তব্য রাখেন ফ্রেডরিখ নুইম্যান ফাউন্ডেশন ফর ফ্রিডমের (এফএনএফ বাংলাদেশ) বাংলাদেশ প্রতিনিধি ড. নাজমুল হোসেইন।

বিজ্ঞাপন

এ সময় উপস্থিত ছিলেন দৈনিক প্রথম আলোর সিনিয়র রিপোর্টার মানসুরা হোসাইন, ৭১টিভির প্রধান বার্তা সম্পাদক শাকিল আহমেদ, ইউএনডিপি বাংলাদেশের হেড অব কমিউনিকেশন আব্দুল কাইয়ুম এবং জিটিভির প্রধান সম্পাদক সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা।

ইউএনডিপি বাংলাদেশের হেড অব কমিউনিকেশন আব্দুল কাইয়ুম বলেন, মহামারীর সময় সঠিক তথ্য সঠিক সময়ে পাঠক ও দর্শকের কাছে তুলে ধরাটাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ, কোনো ভুল তথ্য যাতে পাঠক-দর্শকের কাছে এই সময় না পৌঁছায় সেদিকে খেয়াল রাখার কথা বলেন তিনি। মোবাইল ফোন প্রযুক্তি ব্যবহার করে করা প্রতিবেদন একদিকে যেমন উপকারী তেমনি অনেক সময় এটির কারণে বড় কোনো সংবাদ কাভার করতে গিয়ে প্রতিবন্ধকতার অভিজ্ঞতার কথা অংশগ্রহণকারীদের সাথে তুলে ধরেন মানসুরা হোসাইন।

বিজ্ঞাপন

তবে নিউজ কাভার করতে গিয়ে নিজের সুরক্ষা এবং নিরাপত্তা একজন সাধারণ নাগরিকের মতো সাংবাদিককেও মেনে চলার পরামর্শ দেন জিটিভির প্রধান সম্পাদক সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা।

৭১টিভির প্রধান বার্তা সম্পাদক শাকিল আহমেদ বলেন, মোবাইল প্রযুক্তি সম্প্রচার মাধ্যমের গতিপ্রকৃতি পাল্টে দিচ্ছে এবং প্রযুক্তির অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে টিভি মিডিয়াতেও পরিবর্তন ঘটছে।

ই-টকে নিবন্ধনের মাধ্যমে অন্তত ৭৩ জন শিক্ষার্থী, শিক্ষক, সাংবাদিক ও উন্নয়নকর্মীসহ অন্যান্যরা এতে অংশ নেন। অংশগ্রহণকারী সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে এর সমাপ্তি ঘোষণা করেন অনুষ্ঠানটির সঞ্চালক এবং ইউল্যাবের মিডিয়া স্টাডিজ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. কাবিল খান।