৪১তম বিসিএস : কোন ক্যাডারে কত পদ



ক্যারিয়ার ডেস্ক, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)

বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)

  • Font increase
  • Font Decrease

৪১তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী বিভিন্ন ক্যাডারে ২ হাজার ১৬৬ জনকে নিয়োগ দেয়া হবে। এর মধ্যে সাধারণ ক্যাডারে ৬৪২টি, কারিগরি ও পেশাগত ক্যাডারে ৬১৯টি এবং শিক্ষা ক্যাডারে ৯০৫টি পদ রয়েছে। ক্যাডার, পদের নাম ও পদসংখ্যা জেনে নিন একনজরে-

সাধারণ ক্যাডার

ক্যাডারের নাম: বিসিএস (প্ৰশাসন)
পদের নাম: সহকারী কমিশনার
পদসংখ্যা: ৩২৩টি

ক্যাডারের নাম: বিসিএস (আনসার)
পদের নাম: সহকারী পরিচালক/ সহকারী জেলা কমান্ড্যান্ট/ ব্যাটালিয়ন উপ-অধিনায়ক
পদসংখ্যা: ২৩টি

ক্যাডারের নাম: বিসিএস (নিরীক্ষা ও হিসাব)
পদের নাম: সহকারী মহা-হিসাব রক্ষক
পদসংখ্যা: ২৫টি

ক্যাডারের নাম: বিসিএস (সমবায়)
পদের নাম: সহকারী নিবন্ধক
পদসংখ্যা: ৮টি

ক্যাডারের নাম: বিসিএস (শুল্ক ও আবগারি)
পদের নাম: সহকারী কমিশনার
পদসংখ্যা: ২৩টি

ক্যাডারের নাম: বিসিএস (পরিবার পরিকল্পন)
পদের নাম: পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা
পদসংখ্যা: ৪টি

ক্যাডারের নাম: বিসিএস (খাদ্য)
পদের নাম: সহকারী খাদ্য নিয়ন্ত্রক বা সমমান
পদসংখ্যা: ৬টি

ক্যাডারের নাম: বিসিএস (পররাষ্ট্র)
পদের নাম: সহকারী সচিব
পদসংখ্যা: ২৫টি

ক্যাডারের নাম: বিসিএস (তথ্য)
পদের নাম: সহকারী পরিচালক/ তথ্য অফিসার/ গবেষণা কর্মকর্তা/ সমমান
পদসংখ্যা: ২২টি
পদের নাম: সহকারী পরিচালক (অনুষ্ঠান)
পদসংখ্যা: ১১টি
পদের নাম: সহকারী বার্তা নিয়ন্ত্রক
পদসংখ্যা: ৫টি

ক্যাডারের নাম: বিসিএস (পুলিশ)
পদের নাম: সহকারী পুলিশ সুপার
পদসংখ্যা: ১০০টি

ক্যাডারের নাম: বিসিএস (ডাক)
পদের নাম: সহকারী পোস্টমাস্টার জেনারেল/ সমমান
পদসংখ্যা: ২টি

ক্যাডারের নাম: বিসিএস (রেলওয়ে পরিবহন ও বাণিজ্যিক)
পদের নাম: সহকারী ট্রাফিক সুপারিনটেনডেন্ট
পদসংখ্যা: ১টি

ক্যাডারের নাম: বিসিএস (কর)
পদের নাম: সহকারী কর কমিশনার
পদসংখ্যা: ৬০টি

ক্যাডারের নাম: বিসিএস (বাণিজ্য)
পদের নাম: সহকারী নিয়ন্ত্রক
পদসংখ্যা: ৪টি

প্রফেশনাল/ টেকনিক্যাল ক্যাডার

ক্যাডারের নাম: বিসিএস (কৃষি)
পদের নাম: কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা
পদসংখ্যা: ১৮৩টি
পদের নাম: সহকারী পরিচালক/ কৃষি বিপণন কর্মকর্তা
পদসংখ্যা: ৪১টি
পদের নাম: বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা
পদসংখ্যা: ৬টি

ক্যাডারের নাম: বিসিএস (মৎস্য)
পদের নাম: উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা
পদসংখ্যা: ৮টি
পদের নাম: একোয়াকালচারিস্ট
পদসংখ্যা: ১টি
পদের নাম: বায়োমেট্রিশিয়ান
পদসংখ্যা: ১টি
পদের নাম: বায়োলজিস্ট
পদসংখ্যা: ১টি
পদের নাম: ফিসারিজ টেকনোলজিস্ট
পদসংখ্যা: ২টি
পদের নাম: টেকনোলজিস্ট
পদসংখ্যা: ১টি
পদের নাম: মাইক্রোবায়োলজিস্ট
পদসংখ্যা: ১টি

ক্যাডারের নাম: বিসিএস (খাদ্য)
পদের নাম: সহকারী রক্ষণ প্রকৌশলী/সমমান
পদসংখ্যা: ২টি

ক্যাডারের নাম: বিসিএস (বন)
পদের নাম: সহকারী বন সংরক্ষক
পদসংখ্যা: ২০টি

ক্যাডারের নাম: বিসিএস (স্বাস্থ্য)
পদের নাম: সহকারী সার্জন
পদসংখ্যা: ১১০টি
পদের নাম: সহকারী ডেন্টাল সার্জন
পদসংখ্যা: ৩০টি

ক্যাডারের নাম: বিসিএস (তথ্য)
পদের নাম: সহকারী বেতার প্রকৌশলী
পদসংখ্যা: ৯টি

ক্যাডারের নাম: বিসিএস পশু সম্পদ
পদের নাম: ভেটেরিনারি সার্জন/ বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা/ থানা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা (মেট্রো)/ প্রভাষক
পদসংখ্যা: ৫৯টি
পদের নাম: হাঁস-মুরগি উন্নয়ন কর্মকর্তা/ প্রাণি উৎপাদন কর্মকর্তা/ সহকারী হাঁস-মুরগি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা/ জু-অফিসার
পদসংখ্যা: ১৭টি

ক্যাডারের নাম: বিসিএস (জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল)
পদের নাম: সহকারী প্রকৌশলী
পদসংখ্যা: ৩৬টি

ক্যাডারের নাম: বিসিএস (গণপূর্ত)
পদের নাম: সহকারী প্রকৌশলী (সিভিল)
পদসংখ্যা: ৩৬টি
পদের নাম: সহকারী প্রকৌশলী (ই/এম)
পদসংখ্যা: ১৫টি

ক্যাডারের নাম: বিসিএস (রেলওয়ে প্রকৌশল)
পদের নাম: সহকারী যন্ত্র প্রকৌশলী
পদসংখ্যা: ৪টি
পদের নাম: সহকারী সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রক
পদসংখ্যা: ১টি

ক্যাডারের নাম: বিসিএস (সড়ক ও জনপথ)
পদের নাম: সহকারী প্রকৌশলী (সিভিল)
পদসংখ্যা: ২০টি
পদের নাম: সহকারী প্রকৌশলী (যান্ত্রিক)
পদসংখ্যা: ৩টি

ক্যাডারের নাম: বিসিএস (পরিসংখ্যান)
পদের নাম: পরিসংখ্যান কর্মকর্তা
পদসংখ্যা: ১২টি

বিসিএস (সাধারণ শিক্ষা)

ক্যাডারের নাম: প্রভাষক (সরকারী সাধারণ কলেজসমূহের জন্য)
পদের নাম ও পদসংখ্যা: প্রভাষক (বাংলা) : ৫১টি
প্রভাষক (ইংরেজি) : ৬২টি
প্রভাষক (রাষ্ট্রবিজ্ঞান) : ৬০টি
প্রভাষক (দর্শন) : ৫৪টি
প্রভাষক (অর্থনীতি) : ৭৬টি
প্রভাষক (প্রাণিবিদ্যা) : ৫৭টি
প্রভাষক (ইতিহাস) : ৩৯টি
প্রভাষক (সমাজ কল্যাণ) : ২৬টি
প্রভাষক (রসায়ন) : ৫২টি
প্রভাষক (ইসলামী শিক্ষা) : ১টি
প্রভাষক (ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি) : ৪৯টি
প্রভাষক (পদার্থবিদ্যা) : ৫৩টি
প্রভাষক (উদ্ভিদবিদ্যা) : ৬০টি
প্রভাষক (সমাজবিজ্ঞান) : ২৮টি
প্রভাষক (গণিত) : ৪৪টি
প্রভাষক (ভূগোল) : ১৪টি
প্রভাষক (মৃত্তিকা বিজ্ঞান) : ৪টি
প্রভাষক (হিসাববিজ্ঞান) : ৭৪টি
প্রভাষক (মার্কেটিং) : ২টি
প্রভাষক (ব্যবস্থাপনা) : ৬১টি
প্রভাষক (মনোবিজ্ঞান) : ৩টি
প্রভাষক (কৃষি বিজ্ঞান) : ৩টি
প্রভাষক (পরিসংখ্যান) : ৭ টি
প্রভাষক (গার্হস্থ্য অর্থনীতি) : ৭টি
প্রভাষক (উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত) : ১টি
প্রভাষক (লোক সঙ্গীত) : ১টি
প্রভাষক (রবীন্দ্র সঙ্গীত) : ১টি
প্রভাষক (নজরুল সঙ্গীত) : ১টি
প্রভাষক (যন্ত্র সঙ্গীত) : ১টি

ক্যাডারের নাম: প্রভাষক (সরকারী শিক্ষক প্রশিক্ষণ কলেজসমূহের জন্য)
পদের নাম ও পদসংখ্যা: প্রভাষক (ইংরেজি) : ১টি
প্রভাষক (রাষ্ট্রবিজ্ঞান) : ২টি
প্রভাষক (শিক্ষা) : ৮টি
প্রভাষক (রাষ্ট্রবিজ্ঞান) : ২টি
প্রভাষক (চারু ও কারুকলা) : ১টি
প্রভাষক (গাইডেন্স এন্ড কাউন্সিলিং) : ১টি

তবে নতুন পদসৃষ্টি, পদোন্নতি, কর্মকর্তার অবসর গ্রহণ, মৃত্যু, পদত্যাগ, অপসারণ বা অন্যান্য কারণে পদসংখ্যা বাড়তে বা কমতে পারে।

৪১তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ

   

নতুন চাকরিতে যোগদানের আগে



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
নতুন চাকরিতে যোগদানের আগে

নতুন চাকরিতে যোগদানের আগে

  • Font increase
  • Font Decrease

নতুন চাকরিতে জয়েন করবার আগে বা ওই প্রতিষ্ঠানে জয়েন করবেন কিনা সেই সিদ্ধান্ত নেবার আগে অনেকেই সিদ্ধান্তহীনতায় ভোগেন। আগের জায়গাতে থেকে যাবেন কিনা অথবা অফার পাওয়া প্রতিষ্ঠানটিতে জয়েন করা ঠিক হবে কিনা এসব নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভোগেন।

আপনার সিদ্ধান্তটি নিতে সাহায্য করবে কতগুলো কম্পারেটিভ এনালাইসিস। যা আপনার জন্য সহায়ক হতে পারে।

১. আপনি কি নিশ্চিৎ যে আপনার বর্তমান প্রতিষ্ঠানটিকে সত্যিই ছাড়তে আপনি স্থিরচিত্ত কিনা অর্থাৎ প্রতিষ্ঠানটি ছাড়বার মতো সত্যিই যথেষ্ট কারণ আপনার আছে কিনা। আবেগের বশে সিদ্ধান্ত নেবেন না। একটি জব তখনি ছাড়বেন যখন সেটা ছাড়বার পেছনে আপনার ক্যারিয়ারের স্বার্থ থাকবে। আপনি যদি কোনো গ্রিভেন্সের কারনে নতুন জবে যেতে চান, তবে একবার হলেও নিরপেক্ষভাবে ভেবে নিন, সত্যিই ওই গ্রিভেন্স ক্ষমার অযোগ্য কিনা।

২. নতুন প্রতিষ্ঠানটিতে গেলে আপনার বর্তমান জবটির তুলনায় কোন কোন ফ্যাসিলিটিতে কেমন পরিবর্তন হবে এবং তার কতগুলো আপনার জন্য পজেটিভ বা কত পার্সেন্ট পজিটিভ সেটা ভাবুন। প্রয়োজনে একটি চেকলিষ্ট করে নিন।

৩. নতুন চাকরির কি কি ফ্যাসিলিটি ক্রসম্যাচ করবেন দেখুন: বেতন, বোনাস (কতবার ও কত হারে), মোবাইল এলাউন্স, বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট পদ্ধতি ও হার, প্রমোশনের টাইমলাইন, কর্মঘন্টা, লাঞ্চ ফ্যাসিলিটি, ট্রান্সপোর্ট ফ্যাসিলিটি, লিখিত এপয়েন্টমেন্ট লেটার ও জব কন্ডিশন, টার্মিনেশন পলিসি, সার্ভিস বেনিফিট, ছুটির সংখ্যা ও দিন, সিপিএফ, মেডিক্যাল ইন্সুর‌্যান্স, জব ডেসক্রিপশন ইত্যাদি।

৪.যে বসের আন্ডারে কাজ করবেন তিনি কেমন বস, সেটা জানার চেষ্টা করুন। বেতনের অঙ্কে বিশাল রেইজ হলেও বাজে বসের সাথে কাজ করার বিড়ম্বনা ওটাকে জিরোতে পরিণত করতে পারে। কোম্পানির সার্বিক কর্মপরিবেশ ও অফিস কালচার কেমন সেটা বিবেচনায় রাখুন।

৫. কোম্পানির আর্থিক সক্ষমতা এবং গ্রোথ রেট পারলে খোঁজ নিন। নড়বড়ে আর্থিক অবস্থার কোম্পানিতে বেশি টাকার চেয়ে বড় কোম্পানিতে তুলনামূলক কম সেলারি বেশি ভালো।

৬. যদি একদম পারিবারিক ব্যবসায়ী কোম্পানি হয় তবে পারলে টপ ম্যানেজমেন্টের প্যাটার্ন সম্পর্কে জেনে নিন। হতে পারে আপনি তাদের সাথে একদমই ম্যাচ করতে না পেরে নতুন দারুন চাকরিও ছাড়তে বাধ্য হতে পারেন।

৭. নতুন জবে আপনার স্যালারী কত পার্সেন্ট বাড়বে সেটা ভেবে নেবেন। ৩০-৪০% হল এভারেজ রেইজ রেট। পাশাপাশি স্যালারীর সাথে আপনি আরো যেসব ফ্রিঞ্জ বেনেফিট পাচ্ছেন সেগুলোর আর্থিক মূল্যের বিপরীতে ওখানে যা যা পাবেন তার কম্পারেটিভ এনালাইসিস করুন।

৮. নিয়মিত স্যালারী পেমেন্ট হয় কিনা জেনে নিন।

৯. কোন পজিশনে বর্তমানে আছেন আর ওখানে কোন পজিশনে যাবেন সেটা ভাবুন। শুধু যে ইকুয়্যাল বা উপরের পজিশনে যাওয়াটাই হতে হবে তা নয়। প্রতিষ্ঠানের ব্র্যান্ড ভ্যালুর উপরে ভিত্তি করে পজিশনে বা র‌্যাংকে আপ-ডাউন নিয়ে ভাবতে পারেন।

১০. নতুন কর্মস্থলে গেলে সবগুলো প্রাপ্য বিষয়ের সাথে বর্তমানের পার্থক্যটা কতটা বেশি সেটা অবশ্যই বিবেচনায় আনবেন। মনে রাখবেন, একটি সেটেলড জবের স্ট্যাবিলিটি কস্ট নামে একটা বিষয় আছে যেটা টাকার অঙ্কে কনভার্ট করলে সেটার মূল্য কম না। নতুন জবে নতুন বসের সাথে নতুন পরিবেশে নতুন চ্যালেঞ্জে মানিয়ে নেবার বিপরীতে বর্তমান জবে ওগুলোতে দারুন কমফোর্টে থাকার বা হাতের তালুর মতো চেনা থাকার প্রাপ্তিটুকুরও মূল্য আছে। তার বিপরীতে আপনি কতটা বেশি পাবেন নতুন স্থানে সেটা ভেবে নেবেন। আর এই সবকিছুই নির্ভর করবে আপনার কম্পারেটিভ চয়েসের ওপর।

এনালিসিস করুন, নিরপেক্ষভাবে লজিক নির্ধারন করুন, আর তারপর যেটি সিদ্ধান্ত নেবেন সেটিতে স্থির হোন। এতটুকু করতে পারেন, আপনার এনালাইসিস নিয়ে একজন ক্যারিয়ার এক্সপার্ট বা সিনিয়র এইচআর প্রোফেশনালের পরামর্শ নিতে পারেন। তবে যাই করবেন, ভেবে করবেন। করে ভাববেন না।

এটিএম মোসলেহ উদ্দিন জাবেদ, উপ মহাব্যবস্থাপক (মানবসম্পদ ও প্রশাসন), একটি স্বনামধন্য গ্রুপ অফ কোম্পানি

;

‘পেশা নয়, শিক্ষকতা আমার স্বপ্ন’



কুবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

গত ৩ সেপ্টেম্বর বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে প্রভাষক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী তাইয়্যেবুন নাহার মিমি। ছোটবেলা থেকে লালিত স্বপ্ন আজ তার কাছে বাস্তব। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে তিনি পড়াশোনার পাশাপাশি বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন।

বার্তা২৪.কমের সঙ্গে আলাপকালে মিমি বলেন, শিক্ষকতা আমার স্বপ্ন, পেশা নয়। এটা আমার খুব আগ্রহের, খুব আকাঙ্ক্ষিত এক যাত্রা। এই যাত্রায় শামিল হয়ে নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করছি। জাতির সেবার প্রতি দায়িত্ববোধ আরও বেড়ে গেল।

তিনি বলেন, আমি যখন হাইস্কুলে পড়ি আমার আপু তখন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েন। বাসায় যখন উনি এসে ওনার শিক্ষকদের গল্প করতেন। আমি শুনে ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার হতে চাইনি। খুব ইচ্ছে হত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মত মহৎ কিছু হতে। আর পারিবারিকভাবে শিক্ষকতা পেশার সঙ্গে একটা সংযোগ আমাদের আছে। আমাদের গ্রামের বাড়িটা পরিচিত ‘সেকান্দার মাস্টারের বাড়ি’ নামে। তিনি আমার দাদা। আমার বাবাও শিক্ষকতা দিয়ে ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন। আমার বড় দুইবোন শিক্ষক। ছোটবেলা থেকে আজ পর্যন্ত আশ্চর্যজনকভাবে আমি অসংখ্য শিক্ষকদের বিশেষ সুদৃষ্টি ও মমতা পেয়েছি। একারণেই শিক্ষক হতে চেয়েছি সব সময়।

তাইয়্যেবুন নাহার মিমি বলেন, ছেলেবেলা থেকেই নাচ, গান, আবৃত্তি, নাটক, আঁকাআঁকি আমাকে মানসিক শান্তি দিত। পড়াশোনার সঙ্গে সমান তালে আমি এসবের সঙ্গে সংযুক্ত থেকেছি। বেশিরভাগ সময় পড়াশোনায় ভালো করলে সহশিক্ষা কার্যক্রমে আমরা পিছিয়ে পড়ি। আমি পিছিয়ে পড়তে চাইনি। থিয়েটার কুবি, অনুপ্রাস, শুভসংঘের সঙ্গে আমার সংযোগ ছিল বেশি। নাটকের স্ক্রিপ্ট লেখা, অভিনয় করার পাশাপাশি অনুষ্ঠান পরিচালনা ও সঞ্চালনা করার কাজগুলো এখানেই করেছি। এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে সাংস্কৃতিক চর্চা আমার ব্যক্তিত্ব ও আচরণকে আমূল বদলে দিয়েছে।

তিনি জানান, গবেষণাধর্মী পড়াশোনার চেয়ে আমি সৃজনশীল রচনার প্রতি আগ্রহী বেশি। তবে একাডেমিক পর্যায়ে গবেষণার বিকল্প নেই বলে নিজেকে সেভাবেই প্রস্তুত করেছি এবং করছি। বাংলাদেশের নামকরা কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে আর্টিকেল প্রকাশের চেষ্টা করছি। বর্তমানে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি প্রোগ্রামে ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছি।

মিমি আরও জানান, প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশোনার ওপর জোর দিতে হবে। নিজেকে প্রাতিষ্ঠানিক ও সাংস্কৃতিক উভয় পর্যায়েই দক্ষ করে তোলা উচিত। ব্যক্তিগত বা পেশাগত উন্নয়নের জন্য পড়াশোনা ও নিরলস পরিশ্রমের কোনো বিকল্প নেই। আমি ২০২২ সালে মাস্টার্স পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েই বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পরিচালিত একটি ইংরেজি মাধ্যম কলেজে শিক্ষকতায় যোগদান করি। এরপর সারাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা দিতে থাকি, পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে থাকি। বিসিএসের প্রস্তুতিও নিচ্ছিলাম।

তিনি জানান, আমি যে মূলমন্ত্রে বিশ্বাসী তা হলো ‘সফলতার শর্টকাট নেই, সততার ঊর্ধ্বে পন্থা নেই’। সুতরাং পড়াশোনা আর পরিশ্রমের পাশাপাশি সৎ থাকাটা জরুরি। তাহলে সময়ই পৌঁছে দেবে সফলতার বার্তা।

;

১৫৯ জন এটিইও নিয়োগ দেবে পিএসসি



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের সহকারী উপজেলা/থানা শিক্ষা অফিসার পদে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে সরকারি কর্মকমিশন (পিএসসি)।

বিজ্ঞপ্তিতে ১৫৯টি পদের জন্য আগ্রহীদের আগামী ৩১ জুলাই ২০২৩ পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন বলে বলা হয়েছে।

আরও বলা হয়েছে, সহকারী উপজেলা/থানা শিক্ষা অফিসার পদে আবেদনের জন্য কোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দ্বিতীয় শ্রেণির স্নাতক ডিগ্রিসহ দ্বিতীয় শ্রেণির মাস্টার্স ডিগ্রি থাকতে হবে।

বিভাগীয় প্রার্থীরা সহকারী উপজেলা/থানা শিক্ষা অফিসার পদে আবেদন করতে পারবেন। বিভাগীয় প্রার্থী বলতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের যেকোনো শিক্ষককে বোঝানো হয়েছে। বিভাগীয় প্রার্থীদের বয়স ৪৫ বছর হলেও আবেদন করতে পারবেন।

আবেদন ফি বাবদ ৫০০ টাকা টেলিটক প্রিপেইড নম্বরের মাধ্যমে আবেদন করার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে জমা দিতে হবে।

প্রার্থীদের টেলিটকের ওয়েবসাইট অথবা বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের ওয়েবসাইটে কমিশন কর্তৃক নির্ধারিত আবেদনপত্র অ্যাপ্লিকেন্টস কপি (বিপিএসসি ফরম-৫-এ) পূরণ করে অনলাইন রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম ও ফি জমাদান সম্পন্ন করতে হবে। সহকারী উপজেলা/থানা শিক্ষা অফিসার পদটি ১০ম গ্রেডের। এ পদে নিয়োগ পেলে বেতন স্কেল হবে ১৬,০০০-৩৮,৬৪০ টাকা।

নিয়োগসংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য এবং ফি জমাদান ও আবেদনপদ্ধতি এই লিংকে জানা যাবে।

;

১০০ জন সহকারী পরিচালক নিচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ ব্যাংকে সহকারী পরিচালক (এডি) পদে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে। আগ্রহী প্রার্থীকে ৬ জুলাইয়ের মধ্যে অনলাইনে ফরম পূরণের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে।

আবেদনের যোগ্যতা

যেকোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চার বছর মেয়াদি স্নাতক (সম্মান) অথবা স্নাতকোত্তর ডিগ্রি থাকলে সহকারী পরিচালক (জেনারেল) পদে আবেদন করা যাবে। এসএসসি ও তদূর্ধ্ব পর্যায়ের পরীক্ষাগুলোর কমপক্ষে দুটিতে প্রথম বিভাগ/শ্রেণি বা সমমানের সিজিপিএ থাকতে হবে। কোনো পর্যায়েই তৃতীয় বিভাগ গ্রহণযোগ্য হবে না। ৬ জুলাই বা এর আগে যাঁদের স্নাতকোত্তর বা চার বছর মেয়াদি স্নাতক পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে বা হবে, তারা আবেদন করতে পারবেন।

বয়স

আবেদনকারীদের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে হতে হবে। তবে বীর মুক্তিযোদ্ধা/ শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান এবং প্রতিবন্ধী প্রার্থীদের ক্ষেত্রে বয়সসীমা সর্বোচ্চ ৩২ বছর।

বেতন স্কেল

নিয়োগপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫ অনুযায়ী ২২,০০০-৫৩,০৬০ টাকা স্কেলে বেতন এবং ব্যাংকের নিয়ম অনুযায়ী অন্যান্য সুবিধা দেওয়া হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রার্থীদের প্রিলিমিনারি, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে। প্রিলিমিনারি পরীক্ষার পাস নম্বর বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক নির্ধারিত হবে। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত হবে। নিয়োগ সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাবে এই লিংকে

;