বাপেক্সের অর্গানোগ্রামে গোড়ায় গলদ



সেরাজুল ইসলাম সিরাজ, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গোড়ায় গলদ রেখে রাষ্ট্রীয় কোম্পানি বাপেক্সের অর্গানোগ্রাম পরিবর্তনের প্রস্তুতি। ব্রকেট থেকে বের হতে না পারলে আইওসি’র (আন্তর্জাতিক তেল কোম্পানি) হয়ে ওঠা সুদূর পরাহত মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

বিশেষ করে ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের জন্য পদ রিজার্ভ করতে গিয়ে প্রতিষ্ঠানকে ন্যূজ করে রাখা হয়েছে। প্রস্তাবিত (সংশোধিত) অর্গনোগ্রামেও একই ত্রুটি রেখে দেওয়া হয়েছে। খোদ ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের আধিক্য এর পেছনে ভূমিকা পালন করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

সংখ্যাধিক্য ডিপ্লোমা প্রকৌশলী অনুজদের পথ সুগম রাখতে কোম্পানিকে ঝুঁকিতে ফেলে দিচ্ছেন। রাষ্ট্রীয় এই কোম্পানিটির প্রধান চার বিভাগের শীর্ষ পদে আসীন ডিপ্লোমা প্রকৌশলীরা। অর্গানোগ্রামে এমন জটিল পদ্ধতি করে রাখা হয়েছে এসব পদে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারদের আসার পথ বেশ জটিল। ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদেও বেশিরভাগ সময় ডিপ্লোমা প্রকৌশলীরা নিয়োগ পেয়ে আসছেন।

রাষ্ট্রীয় এই কোম্পানিটিতে খনন বিভাগের এন্ট্রি পদ (গ্রেড-১০) ট্রেইনি ডিলার শুধুমাত্র ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের জন্য নির্ধারিত। উপরের গ্রেড-৯ এ মাত্র ৩৩ শতাংশ সরাসরি নিয়োগ দেওয়া হয় বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারদের। অবশিষ্ট ৬৭ শতাংশ রিজার্ভ রাখা হয়েছে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের প্রমোশন দেওয়ার জন্য। গ্রেড-১০ এ ৩ বছর চাকরির পর প্রমোশনের বিধান রয়েছে। অন্যদিকে গ্রেড-৯ থেকে প্রমোশনের জন্য ৪ বছর অভিজ্ঞতা বলা হয়েছে। ডিপ্লোমা প্রকৌশলীরা অনেক আগেই শিক্ষা জীবন শেষ করে চাকরিতে যোগদান করছেন। আর পরে নবম গ্রেডে যোগ দিলেও পিছিয়ে পড়ছে বিএসসি ইঞ্জিনিয়াররা। উপরের দিকে পদ সীমিত, অন্যদিকে সিনিয়রিটি পাওয়া ডিপ্লোমা প্রকৌশলীরা নানাবিধ সুবিধা ভোগ করে আসছে। এমডি ও জিএম পদের জন্য সিরিয়ালে আসার আগেই অবসরে যেতে বাধ্য হচ্ছেন বিএসসি ইঞ্জিনিয়াররা। একইভাবে প্রকৌশল বিভাগেও গ্রেড-১০ এ ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের জন্য রিজার্ভ রাখা হয়েছে। এখানে গ্রেড-৯ এ প্রমোশন থেকে ৩৩ এবং ৬৭ শতাংশ সরাসরি নিয়োগ করার কথা বলা হয়েছে।

বাপেক্সে খনন বিভাগের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিভাগে কর্মরত ৪৮ জনের মধ্যে ৪৭ জনই ডিপ্লোমা প্রকৌশলী। মাত্র ১ জন রয়েছেন বিএসসি ইঞ্জিনিয়ার। বাপেক্সের ইতিহাসে মাত্র ১ জন বিএসসি ইঞ্জিনিয়ার খনন বিভাগে সরাসরি নিয়োগ পেয়েছে। বিপিডিবিসহ অনেক প্রতিষ্ঠানে ১৫ থেকে ২০ বছর পর ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের প্রমোশন দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু বাপেক্সে বেশ উদার।

অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের স্বাভাবিক প্রক্রিয়ার ব্যতিক্রম বাপেক্সে অদ্ভূত বৈষম্য বিরাজমান। ট্রেইনি ড্রিলার পদ থেকে মাত্র ৩ বছরে পদোন্নতি পেয়ে সহকারী ব্যবস্থাপক(খনন) হয়ে পরবর্তীতে তারাই অন্যান্য বিভাগের নেতৃত্বে চলে যাচ্ছেন।।

প্রতিষ্ঠানটি ৩০ বৎসর অতিবাহিত হলেও আন্তর্জাতিক মানের এক্সপ্লোরেশন প্রতিষ্ঠানে পরিণত হতে পারেনি। কারণ  ওয়েল ইঞ্জিনিয়ারিং, ওয়েল প্ল্যানিং, কেসিং ডিজাইন, ওয়েল কন্ট্রোলের মতো গুরুত্বপূর্ণ সূক্ষ্ম কারিগরী কাজে দ্রুত ও বিজ্ঞানভিত্তিক সিদ্ধান্ত দেয়ার মতো দক্ষ লোকবলের ঘাটতির কারণে।

সম্প্রতি এক সেমিনারে বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী হতাশা ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, আগে তাদের লক্ষ্য ঠিক করতে হবে তারা কি হতে চায়। ২০১৫ সালে বলেছিলাম অর্গানোগ্রাম আপডেট করতে। ৬ বছর পেরিয়ে গেছে তারা করতে পারেনি।

খনন কার্যক্রম বিশেষ শ্রেণির জন্য রির্জাভ করে রাখার যোগ্যতাসম্পন্ন বিএসসি ডিগ্রীধারী পেট্রোলিয়াম প্রকৌশলীদের খনন কার্যক্রম পরিচালনায় বিরত রাখা হচ্ছে। বিভিন্ন বিভাগে দশ জন পেট্রোলিয়াম ইঞ্জিনিয়ারসহ (নরওয়ে, বুয়েট, শাহজালাল ইউনিভার্সিটি অব সাইন্স এন্ড টেকনোলজি, রাশিয়া থেকে ডিগ্রিধারী) অর্ধ শতাধিক বিভিন্ন ডিসিপ্লিনের স্নাতক প্রকৌশলী কর্মরত থাকলেও খনন বিভাগে তাদের কাজ দেওয়া হচ্ছে না।এসব বৈষম্যের কারণে অনেকে বাপেক্স ছেড়েছেন, এখন ছাড়ার মধ্যে আছেন। একটি প্রবাদ প্রচলিত রয়েছে বাপেক্স/পেট্রোবাংলায় কাজ কম করলে টাকা বেশি। কাজ কম হলে বিদেশি কোম্পানির কাজের ক্ষেত্র প্রশস্ত হয়। আর তারা কর্মকর্তাদের খুশি করার জন্য বিশেষ বরাদ্দ ছাড় করেন।

এক সময় খনন বিভাগের বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারের ঘাটতি ছিল। বদলে গেছে সেই দিন এখন চুয়েট, মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সাইন্স এন্ড টেকনোলজি, শাহ্জালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় পেট্রোলিয়াম ইঞ্জিনিয়ারিং (ড্রিলিং ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স মূখ্যভাবে পড়ানো হয়) স্নাতক ডিগ্রি প্রদান করছে। এখন উদার হওয়ার সময় এসেছে বলে মনে করছেন সংশিষ্টরা।

জ্বালানি বিশেষজ্ঞ বাপেক্স বোর্ডের সাবেক সদস্য অধ্যাপক ড. নুরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, গরুর হাল দিয়ে আর কৃষি চলবে না, এখন কলের লাঙ্গল প্রয়োজন। আপনি যদি ডিপ্লোমা দিয়ে সব হবে তাহলেতো আর কিছু বলার নেই। বিদ্যাকে খাটো করে দেখলে তার পতন অবশ্যম্ভাবী। বাপেক্সকে আইওসি মানের করতে হলে উচ্চ শিক্ষার দিকে যেতে হবে। ব্যুরোক্রেট যারা আসে তারা অনেকে বুঝতে চায় না।

বাপেক্সের এমডি মোহাম্মদ আলীকে একাধিকবার ফোন দিলেও রিসিভ করেন নি।

জ্বালানি বিভাগের সিনিয়র সচিব আনিছুর রহমানকে বার্তা২৪.কমকে বলেন, অর্গানোগ্রাম আপডেট করা হচ্ছে। এটি আমার কাছে এসেছিল, আরও যাচাই-বাছাই করার জন্য বলা হয়েছে। তাড়াহুড়া করতে গিয়ে ভালোর চেয়ে যাতে খারাপ না হয় সেদিকে নজর রাখা হয়েছে।

ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের জন্য পদ রিজার্ভ করায় লক্ষ্য ব্যাহত হবে কি না। এমন প্রশ্নের জবাবে বলেন, বাপেক্সে এখন ডিপ্লোমা প্রকৌশলীর সংখ্যাই বেশি। অনেক বিষয় এসেছে আরও যাচাই বাছাই হবে।

   

ফের বাড়ল স্বর্ণের দাম



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ফের বাড়ল স্বর্ণের দাম

ফের বাড়ল স্বর্ণের দাম

  • Font increase
  • Font Decrease

ভরিতে ২ হাজার ৬৫ টাকা বাড়িয়ে একভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ১৯ হাজার ৬৩৮ টাকা। যা দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) এক বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) জানিয়েছে, শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) থেকে নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

;

শসা চাষিদের পাশে ‘স্বপ্ন’



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রমজানের মধ্যে শসার বাজার চড়া দাম থাকলেও বর্তমানে শসা চাষিরা শসার দাম নিয়ে বেশ বিপাকে পড়েছেন। তবে এমন দুঃসময়ে শসা চাষিদের পাশে দাঁড়িয়েছে দেশের সেরা রিটেইল চেইন সুপারশপ ‘স্বপ্ন’ ।

সম্প্রতি এক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ হয় যে, ন্যায্য দাম না পাওয়ায় হতাশ হয়ে পড়েছেন দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার শসা চাষিরা। পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি শসা বিক্রি হচ্ছে মাত্র ২ থেকে ৪ টাকায়। ন্যায্য দাম পাচ্ছেন না চাষিরা। এমন সময় সেই শসা চাষিদের সঙ্গে যোগাযোগ করে ন্যায্যমূল্যে শসা কিনেন ‘স্বপ্ন’ কর্তৃপক্ষ। সেই শসা এখন খোলা বাজারের চেয়ে কম দামে স্বপ্ন আউটলেটে পাওয়া যাচ্ছে ।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) খোলা বাজারে ৪০ টাকা কেজিতে শসা বিক্রি করতে দেখা গেলেও স্বপ্ন আউটলেটে তা ১২টাকা কেজিতে অর্থাৎ সাশ্রয়ী মূল্যে খোলা বাজারের চেয়ে কম দামে গ্রাহকরা কিনতে পারছেন ।

এরইমধ্যে দিনাজপুরের খানসামার ওই এলাকা থেকে ২ টন এবং ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট এলাকা থেকে ৬ টন শসা কিনেছে স্বপ্ন প্রতিনিধি।

বর্তমানে তাদের উৎপাদিত শসা পৌঁছে গেছে স্বপ্ন’র আউটলেটে, স্টক থাকা অবধি এই অফার গ্রাহকরা পাবেন। স্বপ্ন’র নির্বাহী পরিচালক সাব্বির হাসান নাসির জানান, আমরা শসা চাষিদের দুর্ভোগের কথা জানতে পেরেছি নিউজের মাধ্যমে। আমরা দিনাজপুর, ময়মনসিংহসহ বেশকিছু এলাকার কৃষকের দুর্ভোগের কথা জানার পর তাঁদের কাছ থেকে শসা কিনেছি ন্যায্যমূল্যে। অনান্য ব্যবসায়ীদেরও কৃষকদের জন্য এগিয়ে আসার আহ্বান থাকবে । মধ্যস্বত্বভোগীদের লাভবান না করে কৃষকদের সঙ্গে সরাসরি সেতুবন্ধনের চেষ্টা করে আসছে স্বপ্ন। এই চেষ্টা সবসময় অব্যাহত থাকবে।

এ প্রসঙ্গে স্বপ্ন’র হেড অফ পার্চেজ সাজ্জাদুল হক বলেন, বিভিন্ন গণমাধ্যমে শসা চাষিদের সংকটের খবর দেখার পর আমরা সিদ্ধান্ত নেই যে, এই কৃষকদের পাশে আমরা দাঁড়াবো। দিনাজপুর, ময়মনসিংহসহ বেশ কয়েকটি এলাকা থেকে এরইমধ্যে ৮ টন শসা আমরা কিনেছি। দুঃসময়ে কষ্টে থাকা অনেক কৃষকদের পাশে ‘স্বপ্ন’ এর আগেও দাঁড়িয়েছে। সামনেও পাশে থাকবে।

দিনাজপুরের খানসামা এলাকার কৃষক সাকিব হোসেন জানান, প্রায় এক বিঘা জমিতে শসা চাষ করেছিলাম এবার। শসার বীজ, সারসহ নানা কাজে লাখ টাকা খরচ হয় আমার। কিন্তু ১০ রমজান অবধি কিছু শসা বিক্রি করার পর বাজারে শসার দাম কমে যায় । প্রতি কেজি ১০ টাকা, এরপর পর ৫ টাকা এবং সবশেষে আরও কম দামে বিক্রি করতে বাধ্য হয়। অনেক শসা নষ্টও হয়ে যায়। অনেক লোকসান হচ্ছিল। আমার এলাকার এক সাংবাদিক নিউজ করার পর এসিআই কোম্পানীর ‘স্বপ্ন’ থেকে যোগাযোগ করে আমার অনেকগুলো শসা কিনে নিয়েছেন উনারা। এতে করে লোকসানের অনেক ঘাটতি পূরণ হয়েছে আমার । তাঁদেরকে অশেষ ধন্যবাদ ।

;

বিকাশ অ্যাপে ‘সেন্ড মানি’ এখন আরও সুরক্ষিত, নির্ভুল



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গ্রাহকের লেনদেন আরও নির্ভুল ও সুরক্ষিত করতে বিকাশ অ্যাপের ‘সেন্ড মানি’ সেবায় যুক্ত হলো আরও একটি সতর্কীকরণ ধাপ বা ‘ডিসক্লেইমার’। সেভ করা নাম্বারের বাইরে অন্য কোনো নাম্বারে তাড়াহুড়ো করে সেন্ড মানি করার সময় ভুল নাম্বারে টাকা পাঠানোর বিড়ম্বনা এড়াতেই বিকাশ অ্যাপে এই সুবিধা যুক্ত করা হয়েছে।

এখন থেকে বিকাশ অ্যাপে সেভ করা নাম্বার ছাড়া অন্য কোনো নাম্বারে ‘সেন্ড মানি’ করার সময় একটি ‘ডিসক্লেইমার প্রম্পট’ বা সতর্কীকরণ বার্তা দেখা যাবে, যেখানে বলা আছে “নাম্বারটি সঠিক কি না তা অনুগ্রহ করে আবার চেক করুন”। সে অনুযায়ী নাম্বারটি নিশ্চিত হয়ে পরবর্তী ধাপে টাকার পরিমাণ উল্লেখ করে সেন্ড মানি করলেই ভুল নাম্বারে টাকা পাঠনোর কোনো বিড়ম্বনা থাকেনা। ‘সেন্ড মানি অটো পে’ সেট করার সময় এবং ‘গ্রুপ সেন্ড মানি’ -তে সেভ করা নাম্বারের বাইরে অন্য কোনো নাম্বার যোগ করার সময়েও এই সুবিধা পাওয়া যাবে।

এছাড়া আরও কিছু বিষয়ে নজর রাখলে ভুল নাম্বারে টাকা পাঠানোর কোনো বিড়ম্বনাই থাকেনা –

• নতুন কোনো নাম্বারে সেন্ড মানি করার আগে প্রাপকের সাথে কথা বলে নাম্বারটি নিশ্চিত করে নেয়া যেতে পারে
• সেভ করা নাম্বার ছাড়া অন্য কোনো নাম্বারে সেন্ড মানি করার সময় নাম্বারটি কয়েকবার মিলিয়ে নেয়া ভালো
• টাকার পরিমাণ প্রবেশ করার পর টাকার অংক ঠিক আছে কি না তা দেখে নেয়া দরকার
• ভুল নাম্বারে টাকা পাঠিয়ে ফেললে দ্রুত বিকাশ হেল্পলাইন ১৬২৪৭, অফিশিয়াল ওয়েবসাইট/লাইভ চ্যাট অথবা ফেসবুক পেজে যোগাযোগ করতে হবে

সুরক্ষিত এই সেন্ড মানি সেবার পাশাপাশি এই মুহূর্তে বিকাশ গ্রাহকরা মোবাইল রিচার্জ, ক্যাশ ইন, ক্যাশ আউট, মার্চেন্ট পেমেন্ট, অ্যাড মানি, ইউটিলিটি বিল পেমেন্ট, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ফি পরিশোধ, ই-টিকেটিং, ডোনেশন, বিদেশ থেকে রেমিটেন্স গ্রহণ, ইন্স্যুরেন্স ও মাইক্রোফাইন্যান্স এর পেমেন্ট, ডিজিটাল ন্যানো লোন ও সেভিংস সহ নানান সেবা ব্যবহার করছেন। এভাবেই নতুন নতুন উদ্ভাবনী সেবা আনার মাধ্যমে একটি পূর্ণাঙ্গ ডিজিটাল লাইফস্টাইল অ্যাপে পরিণত হয়ে বিকাশ, গ্রাহকের প্রতিদিনকার লেনদেনে আরও স্বাধীনতা ও সক্ষমতা আনার প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে।

;

নারীর অধিকার আদায়ে ইসলামী ব্যাংকের মুদারাবা মোহর সঞ্চয়ী হিসাব



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মোহর ইসলামে নারীর প্রতি সম্মান আর অধিকার প্রদর্শনের একটি নিদর্শন। বিবাহের সময় কনের দাবিকৃত অর্থ মোহর, আর বরের পক্ষ থেকে কনেকে এই মোহর আদায় করা অত্যবশকীয় কর্তব্য।

পবিত্র কোরানের সুরা নিসায় আল্লাহ বলেন “আর তোমরা আনন্দের সাথে স্ত্রীদের মোহর আদায় করে দাও। তবে যদি তারা স্বেচ্ছায় মাফ করে দেয়, তাহলে তা সানন্দে ভোগ করতে পার”।

মোহর যে স্ত্রীর অপরিহার্য অধিকার এবং স্বামীকে যে অবশ্যই পালন করতে হবে এমন চিন্তা বেশিরভাগ মানুষের থাকে না। ফলে সমাজে মোহর আদায়ের সংস্কৃতি কিছুটা কম। বিয়েতে মোটা অংকের মোহর নির্ধারণ করা হয়, কিন্তু সংসারের খরচ চালাতে গিয়ে এই মোহর আদায় কারো কারো পক্ষে কঠিন হয়ে উঠে। ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি মোহর আদায়ের সংস্কৃতি চালু রাখতে ও আরো সহজ করতে মুদারাবা মোহর সেভিংস একাউন্ট চালু করেছে।

সমাজের সর্বস্তরের মুসলিম জনসাধারণ বিশেষত পেশাজীবী, চাকরিজীবী, ব্যবসায়ী, প্রবাসী তাদের সামর্থ অনুযায়ী মাসিক কিস্তিতে টাকা জমা দিয়ে এই প্রকল্পের আওতায় একাউন্ট খুলতে পারবেন। মাসিক কিস্তি ৫০০ টাকা থেকে ৫,০০০ টাকার কিস্তিতে ৫ বছর ও ১০ বছর মেয়াদী এ হিসাব পরিচালনাকারী হিসেবে ভূমিকা পালন করবে স্বামী বা বিবাহেচ্ছুক পুরুষ। কাবিননামায় উল্লেখিত মোট টাকার পরিমাণ, আদায়কৃত টাকা এবং আদায়যোগ্য টাকার পরিমাণ উল্লেখ করে আদায়যোগ্য টাকার উপর মাসিক হার নির্ধারণ করা হয়। উল্লেখ্য, ইতোমধ্যে প্রায় ৩৩ হাজার গ্রাহক ইসলামী ব্যাংকে মোহর একাউন্ট খুলেছেন।

বাংলাদেশের যে কোন বৈধ নাগরিক তার জাতীয় পরিচয় পত্র/পাসপোর্ট/ ড্রাইভিং লাইসেন্সের ফটোকপি, নিজের ২ কপি ছবি, স্ত্রীর ২ কপি ছবি (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) ও নমিনির এক কপি ছবি নিয়ে ইসলামী ব্যাংকের যে কোন শাখা, উপশাখা কিংবা এজেন্টে মোহর একাউন্ট খুলতে পারবে, এছাড়া ইসলামী ব্যাংকের ডিজিটাল অ্যাপস সেলফিনের মাধ্যমেও এই একাউন্ট খোলা যায়। অন্য শাখা, উপ-শাখা কিংবা এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট থেকে অনলাইনের মাধ্যমে কিস্তির টাকা জমা দেওয়া যায়। মোবাইল ভিক্তিক ব্যাংকিং আ্যাপস সেলফিনের মাধ্যমে মাসের যে কোন দিন যে কোন স্থান থেকে খুব সহজে মাসিক কিস্তি দেওয়া যায় অথবা শাখায় স্পেশাল ইনস্ট্রাকশন দিয়ে রাখলে প্রতি মাসে নির্দিষ্ট তারিখে স্বয়ংক্রিয়ভাবে অটোমেটিক সংশ্লিষ্ট সেভিংস হিসাব থেকে মোহর একাউন্টে ট্রান্সফার হয়ে যাবে। এছাড়া ইসলামী ব্যাংকের ইন্টারনেট ব্যাংকিং ও এমক্যাশের মাধ্যমেও মাসিক কিস্তি পরিশোধ করা যায়। গ্রাহক চাইলে কিস্তির টাকা অগ্রিম পরিশোধ করতে পারেন। উক্ত একাউন্টের মূল টাকা ও প্রদত্ত মুনাফা সবই স্ত্রীর প্রাপ্য। হিসাব খোলার সময় কিস্তির হার ও মেয়াদ নির্ধারণ করতে হবে। পরবর্তীতে তা পরিবর্তন করা যাবে না।

মুদারাবা মোহর হিসাবে সঞ্চিত অর্থ দিয়ে একজন স্বামী তার স্ত্রীর মোহরের ঋণ থেকে নিজেকে মুক্ত করতে পারেন। মোহর পরিশোধের মাধ্যমে নারীর জীবনে আর্থিক স্বচ্ছলতা আসে। এবং সম্মান প্রতিষ্ঠিত হয়। সর্বোপরি সমাজে নারীর অধিকার আদায়ের মাধ্যমে তাদের ক্ষমতায়ন হয়। মোহর আদায়ের সংস্কৃতি চালু করতে ইসলামী ব্যাংকের এ উদ্যোগ কৃতিত্বের দাবিদার।

;