রিজার্ভ থেকে ঋণ পেতে ওরিয়ন গ্রুপের তদবির



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ওরিয়ন গ্রুপ লোগো

ওরিয়ন গ্রুপ লোগো

  • Font increase
  • Font Decrease

না আছে জ্বালানি (কয়লা) সরবরাহের নিশ্চয়তা, না আছে প্রতিবেশগত সমীক্ষা, আট বছরেও দৃশ্যমান অগ্রগতি না থাকায় প্রকল্পগুলো এখন বাতিলের খাতায়। সেই কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের বিপরীতে বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি) রিজার্ভ থেকে ঋণ নেওয়ার তদবির চালিয়ে যাচ্ছে ওরিয়ন গ্রুপ।

উন্নয়নশীল দেশে এমন ঋণ প্রদানকে খুবই ঝুঁকিপুর্ণ বিবেচনা করা হয় এবং এমন ঘটনা বিরল বলে জানিয়েছে অর্থনীতিবিদরা। শঙ্কার কথা হচ্ছে কিছু সুবিধাভোগী এবং ওরিয়ন গ্রুপের পেইড এজেন্ট বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে অর্থ প্রদানের তোড়জোড় চালিয়ে যাচ্ছেন।


ওরিয়ন গ্রুপ ২০১২ সালে প্রথম ধাপে তিনটি কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য সরকারের সঙ্গে চুক্তি করে। এগুলো হচ্ছে-মাওয়া ৫২২ মেগাওয়াট, খুলনা ২৮২ ও চট্টগ্রাম ২৮২ মেগাওয়াট কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র। খুলনা ও চট্টগ্রাম বিদ্যুৎ কেন্দ্র (দু’টি) ২০১৬ সালের মার্চে উৎপাদন শুরু করার কথা। মাওয়া ৫২২ মেগাওয়াট কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি ২০১৬ সালের জুলাই মাসে উৎপাদনে যাওয়ার কথা। কিন্তু উৎপাদনে যাওয়া দূরের কথা প্রায় ৭ বছর পেরিয়ে গেলেও দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি নেই। এরপর ২০১৩ আরও তিনটি (ঢাকা-২৮২ মেগাওয়াট, চট্টগ্রাম ২৮২ ও ঢাকা ৬৩৫ মেওগাওয়াট) কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের এলওআই (আগ্রহপত্র) ইস্যু করা হয়। এরপর  থমকে আছে সব কিছু। সাশ্রয়ী কেন্দ্রগুলো যথা সময়ে উৎপাদনে না আসায় তেলভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র চালাতে গিয়ে অনেক মাশুল গুণতে হচ্ছে এ খাতকে। হ-য-ব-র-ল অবস্থা বিদ্যুতের মাস্টারপ্লানে।


জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, মাওয়া বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি কোনোভাবেই কমার্শিয়ালি ভায়াবল না। এখানে নদীর যে নাব্যতা সেই ড্রাফটের জাহাজ এনে হিউজ কয়লা সরবরাহ করা সম্ভব না। যদিও ওরিয়ন এখন বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি সরিয়ে মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় নেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে। নানা কারণে বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর চুক্তি বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আর পিঠ বাঁচাতে নানা ফন্দি ফিকির করে যাচ্ছে।


বাতিল হতে যাওয়া এমন প্রকল্পের বিপরীতে ৯০৬ দশমিক ১৭ মিলিয়ন ডলার (প্রায় ৭ হাজার ৬৮৪ কোটি টাকা) ঋণের জন্য জোর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ওরিয়ন গ্রুপ। গত জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহে এই ঋণের জন্য আবেদন করেছে। সুনির্দিষ্টভাবে কোনো একটি ব্যাংক থেকে কোনো কোম্পানির এক সঙ্গে এতো টাকা ঋণ পাওয়ার নজির নেই।


কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়ার জন্য ২৬ জুলাই রূপালী ব্যাংকে আবেদন দেয়। পুনঅর্থায়নের মাধ্যমে এই ঋণ নেওয়ার চেষ্টা চলছে। ওরিয়ন যদি সময় মতো ওই টাকা ফেরত দিতে ব্যর্থ হয়, তাহলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক সরাসরি রূপালী ব্যাংক থেকে আদায় করবে।

সূত্র জানিয়েছে, ওরিয়ন গ্রুপকে ঋণ দেওয়ার বিষয়কে কেন্দ্র করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও রূপালী ব্যাংকের উচ্চপর্যায়ের কমকর্তাদের মধ্যে মতদ্বন্দ্ব শুরু হয়। কর্মকর্তাদের একটি অংশ ওরিয়নকে ঋণ পেয়ে দেওয়ার জন্য তদবিরও শুরু করেছিলেন। ওরিয়ন সময়মতো ঋণ ফেরত দিতে ব্যর্থ হলে রূপালী ব্যাংক বড় রকমের সংকটে পড়তে পারে। বোর্ড মিটিং-এ একাধিক সদস্যের বিরোধিতার পরও ওরিয়নের ঋণে সম্মতি দেয় রূপালী ব্যাংক। ১৯ আগস্ট প্রস্তাবটি কেন্দ্রীয় ব্যাংকে পাঠানো হয়। ঋণ প্রস্তাবটিকে ইতিবাচক ধরে আরও বিস্তারিতভাবে বিবরণ চেয়ে পাঠিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে সেপ্টেম্বরের শেষ দিকে এসে মত পরিবর্তন করে রূপালী ব্যাংক।

প্রকল্পটির মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১ দশমিক ১৩ বিলিয়ন ডলার (প্রায় ৯ হাজার ৬৫৩ কোটি টাকা)। পুঁজি হিসেবে মোট ব্যয়ের মাত্র ২০ শতাংশ ওরিয়ন বিনিয়োগ করতে চায়। বাকি ৮০ শতাংশ কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ঋণ হিসেবে পাওয়ার জন্য তৎপরতা চালানো হচ্ছে এখন।


অর্থনীতিবিদরা মনে করছেন, এই ঋণ দেওয়া হলে খারাপ নজির হয়ে থাকবে। এই রেফারেন্স দিয়ে অন্যান্য কোম্পানি ঋণ নেওয়ার চেষ্টা করবে। আবার অসাধু কর্মকর্তারা এই সুযোগের অপব্যবহার করতে পারেন। এমনটি হলে বাংলাদেশ ঝুঁকির মধ্যে পড়বে। বাংলাদেশের অতীত রেকর্ড মোটেই সুবিধার নয়। ২০১৫ সালে খেলাপিসহ ৫ হাজার কোটি টাকা ঋণ পুনর্গঠনের জন্য বিতর্কিত প্রচলিত ব্যাংকিং রীতি অবজ্ঞা করা হয়। তার ধারাবাহিকতায় ১১টি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানকে ১৫ হাজার কোটি টাকার ঋণ পুনর্গঠন করতে বাধ্য হয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ওই টাকার বড় অংশ এখনও ফেরত আসেনি।


এবার অগ্রণী ব্যাংকের দ্বারস্থ হয় ওরিয়ন গ্রুপ। ওরিয়ন গ্রুপের চেয়ারম্যান ওবায়দুল করিম অগ্রণী ব্যাংকে পাঠানো চিঠিতে লিখেছেন, আমাদের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এখন উদ্বৃত্ত অবস্থায় রয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় সরকার এখন মেগা প্রকল্পে রিজার্ভ থেকে টাকা নিয়ে বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিদ্যুৎ প্ল্যান্ট তেমনই একটা বড় প্রকল্প। এই ধরনের উদ্যোগ দীর্ঘ মেয়াদে দেশের বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় করতে ভূমিকা রাখবে।’

অগ্রণী ব্যাংককে প্রলুব্ধ করার জন্য বেশকিছু ব্যবসার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছে ওরিয়ন। ব্যাংকটি সার্ভিস চার্জ হিসেবে ভালো কমিশন আয় করতে পারবে। ৮০০ মিলিয়ন ডলারের বেশি ঋণপত্র খোলা হবে অগ্রণী ব্যাংকের মাধ্যমে, সেখান থেকে কমিশন বাবদ আরও আয় করা যাবে। অগ্রণী ব্যাংক এখন ও কোনো সিদ্ধান্তে আসতে পারেনি বলে সূত্র জানিয়েছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে নিয়োগ পাওয়া রূপালী ব্যাংকের পর্যবক্ষেক এমডি সিরাজুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, রূপালী ব্যাংক বিষয়টি থেকে সরে এসেছে। আমি বোর্ড সভায় অপোজ করেছিলাম। এ বিষয়ে বেশি কথা বলতে চাচ্ছি না।

রিজার্ভ থেকে ঋণ প্রদান প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, এটি একক কোনো সিদ্ধান্তে হবে না। সরকার কি সিদ্ধান্ত নেয় সেটি বড় বিষয়। সরকার নিশ্চয় ভেবে চিন্তে রাষ্ট্রের ভালোটাই সিদ্ধান্ত নেবে। 

অগ্রণী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মোহাম্মদ শামস-উল ইসলামকে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেন নি।

   

ইসলামী ব্যাংকের নোয়াখালী জোনের কর্মকর্তা সম্মেলন অনুষ্ঠিত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির নোয়াখালী জোনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নিয়ে কর্মকর্তা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার ( ২৬ এপ্রিল) ম্যাজিক প্যারাডাইস পার্ক এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

ব্যাংকের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। ব্যাংকের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. মাকসুদুর রহমান-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মুহাম্মদ কায়সার আলী, ডেপুটি ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মুহাম্মদ শাব্বির এবং সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট আবু ছাঈদ মো. ইদ্রিস।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন নোয়াখালী জোনপ্রধান এ. এফ. এম আনিছুর রহমান। সম্মেলনে ব্যাংকের কুমিল্লা জোনপ্রধান মো. মুনিরুল ইসলাম, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট খালেদ মাহমুদ রায়হান, এফসিসিএ সহ প্রধান কার্যালয়ের নির্বাহী, নোয়াখালী জোনের অধীন শাখাসমূহের প্রধান, উপ-শাখা ইনচার্জ, সর্বস্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ উপস্থিত ছিলেন।

;

বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা, নিন্দনীয় দৃষ্টান্ত: টিআইবি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
বাংলাদেশ ব্যাংক

বাংলাদেশ ব্যাংক

  • Font increase
  • Font Decrease

আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠান এবং জনগণের অর্থের শেষ অবলম্বন বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশে নিয়ন্ত্রণ আরোপের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।

এমন পদক্ষেপকে জনস্বার্থে ব্যাংকিং ও আর্থিক খাতের তথ্য প্রকাশে গণমাধ্যমের পেশাগত দায়িত্ব পালনের পথে অভূতপূর্ব প্রতিবন্ধকতা উল্লেখ করে অবিলম্বে তা প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।

গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ অনুযায়ী, ব্যাংকিং ও আর্থিক খাতের তথ্য সংগ্রহে গণমাধ্যম ও সংবাদকর্মীরা বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রবেশের ক্ষেত্রে প্রায় মাসাধিককাল ধরে বাধার সম্মুখীন হচ্ছিলেন। এক্ষেত্রে নিরুপায় হয়ে সমস্যা সমাধানে গভর্নরের সহায়তা চাইলেও ইতিবাচক কোনো ফল আসেনি।

এটিকে জনগণের তথ্য জানার আইনসিদ্ধ অধিকার নিশ্চিতের পথে অনৈতিক ও স্বেচ্ছাচারী পদক্ষেপ উল্লেখ করে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান প্রশ্ন রাখেন, ‘খেলাপি ঋণ, আর্থিক প্রতারণা ও জালিয়াতি এবং সার্বিক সুশাসনের অভাবসহ নানাবিধ সংকটে ব্যাংকিং খাত যখন জর্জরিত তখন তথ্যের অবাধ প্রবাহ বন্ধের সিদ্ধান্তের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের শীর্ষ নেতৃত্ব সবার কাছে কী বার্তা দিতে চান? কিংবা এর মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংক কী অর্জন করতে চায়? তবে কি খাদের কিনারায় উপনীত ব্যাংকিং খাতে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় নিজেদের ব্যর্থতার তথ্য গোপন করতেই এই উদ্যোগ? না-কি যারা ঋণখেলাপি ও জালিয়াতিসহ এ খাতের সংকটের জন্য দায়ী-তাদের স্বার্থ সুরক্ষার প্রয়াস এটি।’ 

বিগত কয়েক বছরে আর্থিক খাতের হাজার হাজার কোটি টাকা কেলেঙ্কারির যে সব তথ্য জনস্বার্থে প্রকাশিত হয়েছে তার বেশিরভাগই এসেছে গণমাধ্যমকর্মীদের বাংলাদেশ ব্যাংকে অবাধ প্রবেশাধিকারের সূত্র ধরে, এমন কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে ড. জামান বলেন, ‘তবে কি ধরে নিতে হবে, বাংলাদেশ ব্যাংক এ খাতের অনিয়মের সঙ্গে জড়িত ঋনখেলাপি, জালিয়াতি ও অর্থপাচারের মতো অপরাধী মহলের অব্যাহত সুরক্ষা নিশ্চিতে কাজ করছে এবং চক্রটির হাতে বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতি ও নেতৃত্ব যে জিম্মি হয়ে পড়েছে, তা গোপন করতেই এহেন নিন্দনীয় পদক্ষেপ নিয়েছে।’

ব্যাংকিং খাত নিয়ে জনমনে যখন আস্থার প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে, কিংবা ব্যাংকের গ্রাহকদের স্বার্থ সুরক্ষার নামে ব্যাংক একীভ‚তকরণ নিয়ে যখন কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিজেই দৃশ্যমান কিংকর্তব্যবিমূঢ়, তখন গোপনীয়তার ঘেরাটোপ আরো বড় বিপদ ডেকে আনতে পারে বলে মনে করে টিআইবি। গণমাধ্যমকর্মীরা নিরুপায় হয়ে সমস্যা সমাধানে গর্ভনরের সহায়তা চাইলে ব্যাংকিং খাতের তথ্যের স্পর্শকাতরতা বিষয়ে গনমাধ্যম ও সংবাদকর্মীদের প্রশিক্ষণের নামে আমলাতান্ত্রিক দীর্ঘসূত্রিতার মাধ্যমে মূলবিষয়কে এড়িয়ে বাস্তবে সাংবাদিকদের বাধাহীন তথ্য সংগ্রহের সুযোগ ফিরিয়ে দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করতে যে বাংলাদেশ ব্যাংক নারাজ, তা পরিষ্কার বলে উদ্বেগ প্রকাশ করছে টিআইবি। যা শুধু স্বেচ্ছাচারিতার বহিঃপ্রকাশই নয়, বরং ঔপনিবেশিক মানসিকতারও পরিচায়ক আখ্যা দিয়ে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলছেন, ‘সমস্যার সমাধান না করে গভর্নর যে পাসনির্ভর ব্যবস্থা চালু করার কথা বলছেন, প্রশিক্ষণের প্রস্তাব দিচ্ছেন, তা আর যা-ই হোক, গণমাধ্যমকর্মীদের পেশাগত দায়িত্ব, বিশেষ করে অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের তথ্য সংগ্রহের ক্ষেত্রে বাস্তবে অপ্রতিরোধ্য নিষেধাজ্ঞা আরোপই শুধু নয়, বরং এর ফলে বাংলাদেশ ব্যাংকের যে কোনো পর্যায়ের কর্মকর্তাই সাংবাদিকদের সাক্ষাত প্রদানে বিরত থাকতে চাইবেন। কেননা সাক্ষাতের পর সংশ্লিষ্ট সাংবাদিক প্রতিবেদন প্রকাশ করলে নির্দিষ্ট কর্মকর্তাকে যে প্রশাসনিক জবাবদিহির নামে হয়রানির মুখোমুখি হতে হবে, তা না বললেও চলে। অর্থাৎ তথ্য প্রাপ্তির সুযোগ কার্যত রুদ্ধ হবে, জনগণ ব্যাংকিং খাতে কী হচ্ছে, কেনো এবং কারা জনগণের অর্থ লোপাটের ফলে লাভবান হচ্ছেন, তা জানার অধিকার থেকে বঞ্চিত হবেন। যা কোনোভাবেই সুবিবেচকের কাজ হতে পারে না। বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃপক্ষের মনে রাখতে হবে, তাঁরা জনস্বার্থের সুরক্ষার ভূমিকা পালনের কথা, ঋণখেলাপি আর ব্যাংকিং খাতের সংকটের জন্য দায়ী মহলের নয়।

সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক নেতৃত্ব কেন্দ্রীয় ব্যাংকে সাংবাদিকদের বাধাহীন প্রবেশের পরিস্থিতি নিশ্চিতে অবিলম্বে উক্ত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করার ঘোষণার মাধ্যমে অবাধ তথ্য প্রকাশের পথকে সুগম করবেন-এমনটাই প্রত্যাশা করে টিআইবি।

;

ঢাকা-কুয়ালালামপুর যাত্রা শুরু করলো ইউএস-বাংলার এয়ারবাস ৩৩০-৩০০



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের বহরে যুক্ত হওয়া এয়ারবাস ৩৩০-৩০০ প্রথমবারের মতো ঢাকা থেকে কুয়ালালামপুরের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেছে।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকাল ১১টা ২৫ মিনিটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ৪২২ জন যাত্রী নিয়ে কুয়ালামপুরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায় এয়ারবাসটি।

আবার কুয়ালালামপুর থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ৪০৯ জন যাত্রী নিয়ে এয়ারবাসটি ছেড়ে আসে স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৮টা ১৫মিনিটে। ইউএস-বাংলার বহরে ২টি এয়ারবাস ৩৩০-৩০০ সহ মোট ২৪টি এয়ারক্রাফট রয়েছে, যা ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের এগিয়ে যাওয়ার সূচককে নির্দেশ করে।

এদিন এয়ারবাস দিয়ে ঢাকা থেকে মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম গন্তব্য দুবাই রুটেও ফ্লাইট পরিচালিত হবে। এখন থেকে প্রতিদিন সকাল ১০টা ৫০মিনিটে ঢাকা থেকে কুয়ালালামপুর ও রাত ৯টা ৫০ মিনিটে ঢাকা থেকে দুবাই রুটে এয়ারবাস ৩৩০-৩০০ দিয়ে ফ্লাইট পরিচালিত হবে।

বর্তমানে আন্তর্জাতিক রুট কুয়ালালামপুর, দুবাই ছাড়াও শারজাহ, আবুধাবী, দোহা, মাস্কাট, সিঙ্গাপুর, ব্যাংকক, মালে, গুয়াংজু, চেন্নাই, কলকাতা রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স।

;

ইসলামী ব্যাংকের ১০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি-এর পরিচালনা পর্ষদ ব্যাংকের শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ২০২৩ সালে ১০% ক্যাশ ডিভিডেন্ড সুপারিশ করেছে। ব্যাংকের ৪১তম বার্ষিক সাধারণ সভার অনুমোদন সাপেক্ষে এ ডিভিডেন্ড প্রদান করা হবে।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) ব্যাংকের চেয়ারম্যান আহসানুল আলম-এর সভাপতিত্বে পরিচালনা পর্ষদের সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সভায় ভাইস চেয়ারম্যান তানভীর আহমেদসহ অন্যান্য পরিচালকবৃন্দ, ম্যানেজিং ডাইরেক্টর ও সিইও মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা এবং অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডাইরেক্টর ও কোম্পানি সেক্রেটারি জে কিউ এম হাবিবুল্লাহ, এফসিএস উপস্থিত ছিলেন।

আগামী ২৫ জুন ২০২৪, মঙ্গলবার ব্যাংকের ৪১তম বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। লভ্যাংশ প্রাপ্তি এবং সাধারণ সভায় যোগদানের ক্ষেত্রে রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ১৬ মে ২০২৪। এ ছাড়া সভায় অন্যান্য আলোচ্যসূচির সাথে ৩১ মার্চ শেষ হওয়া ২০২৪ সালের প্রথম প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণী অনুমোদন করা হয়।

;