কৃষি যন্ত্রপাতি বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী হওয়া প্রয়োজন: তৌফিক ই -ইলাহী
কৃষি আমাদের অর্থনীতির লাইফ লাইন। কৃষি যন্ত্রপাতি এনার্জি সেভিং করা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী।
বৃহস্পতিবার (১০ ডিসেম্বর) সেচ মৌসুমে জ্বালানি তেলের নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ নিশ্চিতকরণ সংক্রান্ত আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
ভার্চ্যুয়াল এ সভা সভাপতিত্ব করেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বলেন, বিদ্যুৎ কেন্দ্রসমুহে সেচ মৌসুম সামনে রেখে প্রয়োজনীয় তেল/গ্যাস সরবরাহ ও প্রাপ্তি সমন্বিতভাবে নিশ্চিত করতে হবে। সৃজনশীল চিন্তা করে যে কোন সমস্যা স্থানীয়ভাবেই সমাধান করা উচিত। যে সব স্থানে সমস্যা হতে পারে সেখানে মনিটরিং বাড়ানো প্রয়োজন।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, বৈশ্বিক মহামারিতে অর্থনীতির চাকা সচল রেখেছে আমাদের কৃষকরা। কৃষিতে সারাবছর জ্বালানি তেলের চাহিদা থাকলেও সেচ মৌসুমে (ডিসেম্বর-মে) এই চাহিদা কিছুটা বৃদ্ধি পায়। বিশেষ করে দেশের উত্তরাঞ্চলে ডিজেলের চাহিদা ব্যাপক পরিমাণে বৃদ্ধি পায়। যে কোন মূল্যে কৃষিক্ষেত্রে জ্বালানি তেল সময়মতো সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। পরিকল্পিতভাবে সেচ মৌসুমে সারাদেশে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ও ডিজেল সরবরাহ অব্যাহত রাখা হবে।
দেশের ব্যবহৃত মোট জ্বালানির প্রায় ৭৩.১১ ডিজেল। মোট ব্যবহৃত ডিজেলের ১৮ শতাংশ ব্যবহৃত হয় কৃষিখাতে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সূত্রমতে ২০২০-২০২১ সালের কৃষিসেচ মৌসুমে ডিজেল চালিত যন্ত্রের জন্য ডিজেল নভেম্বর ২০২০ থেকে মে ২০২১ পর্যন্ত) প্রাক্কলিত চাহিদা ১৯,৩৯,৩৭০ মেট্রিক টন ডিজেল ও ৫১,০৩৪ মেট্রিক টন লুবঅয়েল। ডিজেলসহ অন্যান্য জ্বালানি পর্যাপ্ত পরিমাণ মজুদ রয়েছে। বিপিসি ও বিপণন কোম্পানি পর্যায়ে প্রায় ৮৪ শতাংশ জ্বালানি তেল নৌপথে, ৯ শতাংশ রেলপথে এবং ৭ শতাংশ সড়ক পথে পরিবহণ হয়ে থাকে।
জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব মোঃ আনিছুর রহমান, বিপিসি’র চেয়ারম্যান আবু বকর সিদ্দিকী, পিডিবি’র চেয়ারম্যান প্রকৌশলী বেলায়েত হোসেন, আরইবি’র চেয়ারম্যান মে.জে. মঈন উদ্দিন (অব.), রেলপথ মন্ত্রণালয়, নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয়, কৃষি মন্ত্রণালয় ও বিজিবি’র প্রতিনিধিবৃন্দ সংযুক্ত থেকে বক্তব্য রাখেন।