জৈন্তাপুর নতুন কূপে গ্যাসের সন্ধান
জৈন্তাপুরে উন্নয়ন কূপে (সিলেট#৯) নতুন গ্যাসের সন্ধান পেয়েছে রাষ্ট্রীয় কোম্পানি বাপেক্স। সিলেট গ্যাস ফিল্ড কোম্পানির (এসজিএফসিএল) এই কূপে সোমবার (৪ জানুয়ারি) বিকেল ৪ টায় ফ্লেয়ার লাইনে সৌভাগ্য শিখা জ্বালাতে সক্ষম হয়েছে বলে এসজিএফসিএল সূত্র নিশ্চিত করেছে।
তবে সূত্রটি নাম প্রকাশ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। গত বছরের ১ অক্টোবর এই কূপটির খনন কাজ শুরু করে রাষ্ট্রীয় তেল-গ্যাস অনুসন্ধান কোম্পানি বাপেক্স। সে হিসেবে ৯৪ দিনের মাথায় ডিএসটি (ড্রিল ইস্টিম টেষ্ট) করে দারুণ সফলতা দেখিয়েছে। ১৯৯৮ মিটার মাটির নিচে এই গ্যাসের সন্ধান পাওয়া গেছে। যা আগামী ৭২ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। এরপর বাণিজ্যিকভাবে উত্তোলন যোগ্য কিনা সে বিষয়ে সিদ্ধান্তে আসতে পারবে।
সূত্রটি আরও জানিয়েছে, তারা ভালো রিজার্ভের আশা করছেন। বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদনের জন্য সাধারণ ৫ থেকে ৬’শ পিএসআই (প্রেসার স্কয়ার ইঞ্চি) প্রয়োজন হয়। কিন্তু শুরুতেই এর চেয়ে অনেকে বেশি চাপ লক্ষ্যণীয়। যা উৎপাদনের জন্য খুবই শুভ লক্ষণ। দৈনিক কি পরিমাণ উৎপাদন দেওয়া সম্ভব হবে ডিএসটির পর নিশ্চিত করে বলা যাবে।
কূপটি সিলেট গ্যাস ফিল্ডের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হওয়ায় বাণিজ্যিক উৎপাদনের জন্য বিশেষ সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে। কূপটি থেকে মাত্র ৩ কিলোমিটার দূরে প্রসেস প্লান্ট বিদ্যমান। তাই এখান থেকে গ্যাস উত্তোলন করে পাইপ লাইনে নিতে বড় ধরণের কোনো বিনিয়োগের প্রয়োজন পড়বে না। বিষয়টি বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদনের ক্ষেত্রে বিশেষ সহায়ক ভূমিকা রাখবে।
রাষ্ট্রীয় কোম্পানি বাপেক্স নানা প্রতিবন্ধকতার মধ্যে সম্প্রতি অনেক সফলতা দেখাতে সক্ষম হয়েছে। এই স্তরটিতে সিলেট#১, সিলেট#৩ ও সিলেট#৪ নম্বর কূপে ইতোপুর্বে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছিল। সে দিকে থেকে কোনো রকম দুর্ঘটনা ছাড়া ডিএসটি শুরু বড় মাইল ফলক মনে করছে খনি বিশেষজ্ঞরা।
কোম্পানির বেতন কাঠামো, যথাসময়ে প্রমোশন না হওয়াসহ অনেক বৈষম্য সংশ্লিষ্টদের মধ্যে এক ধরণের হতাশা কাজ করছে। যদিও সম্প্রতি অর্গানোগ্রাম ও বেতন কাঠামো পরিবর্তনের উদ্যোগ নেওয়ার খবর পাওয়া গেছে।