ঋণের সুদ হার কমিয়েছে মাত্র দু’টি বেসরকারি ব্যাংক



আসিফ শওকত কল্লোল, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ঢাকা ব্যাংক লিমিটেড ও আইএফআইসি ব্যাংক লিমিটেড।

ঢাকা ব্যাংক লিমিটেড ও আইএফআইসি ব্যাংক লিমিটেড।

  • Font increase
  • Font Decrease

ঋণের সুদ হার ৯ শতাংশে নামিয়ে আনতে সরকারের নির্দেশনা থাকলেও তা মানছে বেসরকারি ব্যাংকগুলো। দেশে অনুমোদিত ৩৮টি বেসরকারি ব্যাংকের মধ্যে সুদ হার কমিয়েছে মাত্র দু’টি ব্যাংক। ব্যাংক দু’টি হলো- ঢাকা ব্যাংক লিমিটেড ও আইএফআইসি ব্যাংক লিমিটেড। এছাড়াও টার্ম লোনের ক্ষেত্রে বেসরকারি ব্যাংকগুলোতেও সুদ হারে তারতম্য লক্ষ্য করা গেছে। যার মধ্যে দি সিটি ব্যাংক ও প্রিমিয়ার ব্যাংক ৯-১৬ শতাংশ এবং এনসিসি ব্যাংক ৯-১৮ শতাংশ হারে সুদ নিচ্ছে।

বাংলাদেশ ব্যাংক পরিচালিত বিশেষ তদন্তে এ সব তথ্য উঠে এসেছে। চলতি মাসের শুরুতে সরকারি, বেসরকারি ও বিদেশি ব্যাংকগুলোর সুদ হার বিষয়ে তদন্ত করে বাংলাদেশ ব্যাংকের চারটি বিভাগ। যদিও বিদেশি ব্যাংকগুলোকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে এ বিষয়ে কোনো নির্দেশনা দেয়া হয়নি।

তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ছয় মাস মেয়াদী আমানতের সুদের হার ৬ শতাংশে কমিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি পূরণ করেনি ১৪টি ব্যাংক এবং তিন মাস মেয়াদীতে প্রতিশ্রুতি পূরণ করেনি দু’টি ব্যাংক।

এদিকে তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী যেসব ব্যাংক সরকারি নির্দেশনা পালন করছে না তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন ব্যাংক সংশ্লিষ্টরা। তা না হলে এ ধরনের তদন্ত কোনো কাজে আসবে না বলে মনে করেন তারা।

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি ব্যাংক ঋণের সুদ হার সিঙ্গেল ডিজিটে কমিয়ে আনার নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স (বিএবি) মেয়াদী (তিন ও ছয় মাস) আমানতের সুদের হার ৬ শতাংশ এবং ঋণ সুদ হার ৯ শতাংশে নামিয়ে আনার ঘোষণা দেয়। কিন্তু তারল্য সংকট প্রকট হওয়ার আশঙ্কায় শুধু তিন মাস মেয়াদী আমানতের সুদের হার ৬ শতাংশ করার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। যা ১ জুলাই থেকে কার্যকর করার কথা ছিল। কিন্তু তা বাস্তবায়ন করেনি অধিকাংশ ব্যাংক।

তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ৮টি সরকারি ব্যাংক ইতোমধ্যে ঋণের সুদ হার সিঙ্গেল ডিজিটে নামিয়ে এনেছে। ৭টি বেসরকারি ইসলামী ব্যাংক চলতি বছরের শেষদিকে নতুন করে মুনাফার হার নির্ধারণ করবে। কারণ তারা আগাম এই হার ঘোষণা করতে পারে না।

এদিকে সুদ হার কমানোর বিষয়ে অর্থমন্ত্রণালয়ে লিখিত অভিযোগ করেছেন রাষ্ট্রায়াত্ত জনতা ব্যাংক। ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. আব্দুছ ছালাম আজাদ এক চিঠিতে জানিয়েছেন, সরকারের নির্দেশনা পালক করতে গিয়ে ব্যাংকটি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। গত ২ মাসে ব্যাংকটির আমানত সংগ্রহ কমেছে প্রায় ২ হাজার ৬১২ কোটি টাকা।

তিন মাস মেয়াদের ক্ষেত্রে আমানতের সুদ হার ন্যাশনাল ব্যাংকে ৬-৭ শতাংশ এবং মিডল্যান্ড ব্যাংকে ৭ শতাংশ। বাকি ব্যাংকগুলো এ হার ৬ শতাংশে নামিয়ে এনেছে।

অন্যদিকে, ছয় মাস মেয়াদের ক্ষেত্রে আমানতের সুদ হার ব্র্যাক ব্যাংকে সাড়ে ৬ শতাংশ, মার্কেন্টাইলে ৬.৭৫, সাউথ বাংলা ব্যাংকে ৭.৫, আইএফআইসিতে ৫.২৫-১১, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকে ৬.৫, ন্যাশনাল ব্যাংকে ৬-৮.৫, বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংকে ৭, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকে ৬-৭.৭৫, এনসিসি ব্যাংকে ৭, প্রিমিয়ার ব্যাংকে ৭.৫, পূবালী ব্যাংকে ৫-১২, মিডল্যান্ড ব্যাংকে ৮, এবি ব্যাংকে ৭.৫-১০.৭৫, মধুমতি ব্যাংকে ৮-৯ এবং ট্রাস্ট ব্যাংকে ৭ শতাংশ।

এছাড়া এক বছর মেয়াদী আমানতে ৩.৫-১২.৫ শতাংশ এবং এক বছরের বেশি মেয়াদী আমানতে ৪-১৩.৫ শতাংশ সুদ দিচ্ছে বেরসারি ব্যাংকগুলো। তবে আমানতের বিপরীতে সবচেয়ে কম সুদ দিচ্ছে ডাচ্-বাংলা ব্যাংক এবং সবচেয়ে বেশি সুদ দিচ্ছে পূবালী ও আইএফআইসি ব্যাংক।

প্রতিবেদনের তথ্য মতে, বর্তমানে বেসরকারি ব্যাংকগুলোর চলমান ঋণের সুদ হার অনেক বেশি। যার মধ্যে ব্যাংক এশিয়া ১১-১২ শতাংশ, ব্র্যাক ৯-১২.৫, মার্কেন্টাইল ৯-১২, সাউথ বাংলা ব্যাংক ১৪, ডাচ্-বাংলা ১০.৫-১৩.৫, ইস্টার্ন ব্যাংক ১০.৫-১১, সাউথ-ইস্ট ৯-১২, সিটি ব্যাংক ৯-১৬, মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ৯-১২, ন্যাশনাল ব্যাংক ১২-১৪, যমুনা ব্যাংক ১২.৫, মেঘনা ব্যাংক ১৩.৫, বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক ৯-১৪, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক ৯-১২.৭৫, এনসিসি ব্যাংক ৯-১৮, প্রিমিয়ার ব্যাংক ১১-১৬, ওয়ান ব্যাংক ৯-১৪.৫, পূবালী ব্যাংক ৯-১৩.৫, সীমান্ত ব্যাংক ১১-১২, মিডল্যান্ড ব্যাংক ৯.৫-১৬.৫, এবি ব্যাংক ৯-১৩.৫, মধুমতি ব্যাংক ৯.৭৫-১৬, ট্রাস্ট ব্যাংক ৯-১৪.৫, উত্তরা ব্যাংক ১০-১১ শতাংশ এবং প্রাইম ব্যাংক ৯-১৬.৫ শতাংশ হার সুদে ঋণ দিচ্ছে।

আর মেয়াদী ঋণের ক্ষেত্রে ব্র্যাক ব্যাংক ১১-১২.৫, মার্কেন্টাইল ৯-১২, সাউথ বাংলা ব্যাংক ১৪, ডাচ্-বাংলা ৯-১৩, সাউথ-ইস্ট ৯-১২, সিটি ব্যাংক ৯-১৬, মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ৯-১৪.৫, ন্যাশনাল ব্যাংক ১২, যমুনা ব্যাংক ১২-১৩, মেঘনা ব্যাংক ১৪-১৫, কমার্স ব্যাংক ৯-১৪, স্ট্যান্ডার্ড ৯-১২, এনসিসি ৯.৫-১৮, প্রিমিয়ার ৯-১৬, ওয়ান ব্যাংক ১০-১৬, পূবালী ব্যাংক ৯-১৩.৫, সীমান্ত ব্যাংক ১১.৫-১২, মিডল্যান্ড ৯-১৮, এবি ব্যাংক ১৩.৫-১৬, মধুমতি ব্যাংক ৯.৫-১২.৫, ট্রাস্ট ব্যাঙক ৯.৫ ১৩, উত্তরা ব্যাংক ১০-১১ এবং প্রাইম ব্যাংক ৯-১৭ শতাংশ হার সুদে ঋণ দিচ্ছে।

এছাড়া, সরকারি খাতের বেসিক ব্যাংক ৯ আগস্ট থেকে এবং বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক ৬ সেপ্টেম্বর থেকে বেশির ভাগ ঋণের সুদ হার ৯ শতাংশে নামিয়ে এনেছে। অন্য সরকারি ব্যাংকগুলো জুলাই থেকেই ঋণের সুদ ৯ শতাংশে নামিয়ে এনেছে।

   

সিটি ব্যাংকের নতুন অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক আজিজুর রহমান



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সিটি ব্যাংক সম্প্রতি কাজী আজিজুর রহমানকে অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এএমডি) হিসেবে পদোন্নতি প্রদান করেছে। তিনি এর আগে একই ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) ও চিফ ইনফরমেশন অফিসার (সিআইও) হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

সোমবার (২০ মে) সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে ব্যাংকের জনসংযোগ প্রধান ইয়াহিয়া মির্জা এ তথ্য জানান।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০০৭ সালে কাজী আজিজুর রহমান এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে সিটি ব্যাংকে যোগদান করেন এবং ২০১৯ সাল পর্যন্ত ব্যাংকটির ডিএমডি ও সিআইও হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০২১ সালে তিনি কিছু সময় মেঘনা ব্যাংকে কাটিয়ে আবার সিটি ব্যাংকে ফিরে আসেন।

৩৪ বছরের কর্মজীবনে কাজী আজিজুর রহমান বহুজাতিক কর্পোরেশন, স্বাস্থ্যসেবা এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানসহ বিদেশে গ্রবোস্কি অ্যান্ড পুওরট বি.ভি. নেদারল্যান্ডস-এর মতো বৃহৎ কোম্পানিতে প্রযুক্তি উন্নয়ন বিভাগে কাজ করেছেন।

২০০৭ সালে একটি ‘প্রবলেম ব্যাংক’ থেকে সিটি ব্যাংকের যে রূপান্তর বা ট্রান্সফরমেশন প্রজেক্ট শুরু হয়, সেই ট্রান্সফরমেশন টিমের অন্যতম শীর্ষ সদস্য হিসেবে ব্যাংকটিতে যোগদান করে আজিজ রহমান এ ব্যাংকের বর্তমান উৎকর্ষে পৌঁছানোর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তিনি সিটি ব্যাংককে একটি পূর্ণাঙ্গ অনলাইন ব্যাংকে রূপান্তর করাসহ ২০১৩ সালে ‘সিটিটাচ’ ইন্টারনেট ব্যাংকিং চালু করার মাধ্যমে ব্যাংকটির ডিজিটাল মাধ্যমে যাত্রা শুরুর পেছনে প্রধান ভূমিকা রাখেন। সিটি ব্যাংকের ‘সিটিটাচ’ বর্তমানে দেশের সবচাইতে জনপ্রিয় ইন্টারনেট ও ডিজিটাল ব্যাংকিং অ্যাপ হিসেবে স্বীকৃত।

আজিজ রহমানের নেতৃত্বে সিটি ব্যাংকে এ মুহূর্তে একটি পূর্ণাঙ্গ ডিজিটাল ব্যাংক প্রতিষ্ঠার কাজ চলছে। তিনি ভারতের নিউপোর্ট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইলেকট্রনিকস ও কমিউনিকেশনসে মেজরসহ ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে স্নাতক এবং প্রযুক্তি বিষয়ে বিভিন্ন দেশ থেকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত।

;

ফের বাড়ল সোনার দাম, প্রতি ভরি ১১৯৫৪৪ টাকা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে দেশের বাজারে ফের বেড়েছে সোনার দাম। এবার এক হাজার ৮৪ টাকা বাড়িয়ে ভালো মানের, অর্থাৎ হল-মার্ক করা ২২ ক্যারেট সোনার দাম দাঁড়িয়েছে প্রতি ভরি ১ লাখ ১৯ হাজার ৫৪৪ টাকা।

রোববার (১৯ মে) বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানিয়েছে। এতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে খাঁটি সোনার দাম বাড়ায়, সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। নতুন দর সোমবার (২০ মে) থেকে কার্যকর হবে।

নতুন দাম অনুযায়ী, হল-মার্ক করা প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেট সোনার দাম ১ লাখ ১৯ হাজার ৫৪৪ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ১০৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯৭ হাজার ৮০৩ টাকা ও সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনার দাম ৮০ হাজার ৮৬৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এর আগে, গত শনিবার (১৮ মে) ২২ ক্যারেটের সোনার দাম ১ লাখ ১৮ হাজার ৪৬০ টাকা নির্ধারণ করে বাজুস। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৩ হাজার ৮২ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯৬ হাজার ৯১৬ টাকা ও সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনার দাম ৮০ হাজার ১৩১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল।

এনিয়ে এ বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ২৪ বার সোনার দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ১৩ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ১১ বার। আর ২০২৩ সালে দাম সমন্বয় করা হয়েছিল ২৯ বার।

;

বেড়েছে রেমিট্যান্স প্রবাহ, ১৭ দিনে এলো ১৩৬ কোটি ডলার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
দেশে বেড়েছে রেমিট্যান্স প্রবাহ

দেশে বেড়েছে রেমিট্যান্স প্রবাহ

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশে আবার রেমিট্যান্স প্রবাহে ‍সুবাতাস বইতে শুরু করেছে। চলতি মে মাসের প্রথম ১৭ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ১৩৫ কোটি ৮৭ লাখ মার্কিন ডলার। এই হিসাবে প্রতিদিন গড়ে দেশে এসেছে ৭ কোটি ৯৯ লাখ ডলার।

রোববার (১৯ মে) বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, মে মাসের প্রথম ১৭ দিনে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ১৩৫ কোটি ৮৭ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার। আর গত এপ্রিল, মার্চ, ফেব্রুয়ারি ও জানুয়ারির প্রথম ১৭ দিনে দেশে রেমিট্যান্স এসেছিল যথাক্রমে ১১৪ কোটি ৫৮ লাখ, ১০৯ কোটি ৩১ লাখ , ১২১ কোটি ৭২ লাখ ও ১২২ কোটি ৬ লাখ মার্কিন ডলার। সে হিসেবে চলতি মাসে বেড়েছে রেমিট্যান্স প্রবাহ।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, চলতি মাসে ২০০ কোটি ডলার ছুঁতে পারে দেশের প্রবাসী আয়। মূলত আসন্ন কোরবানিকে ঘিরে বাড়ছে রেমিট্যান্স পাঠানোর প্রবণতা।

এদিকে মে মাসের প্রথম ১৭ দিনে রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১৪ কোটি ৮৮ লাখ ১০ হাজার মার্কিন ডলার। এছাড়া বিশেষায়িত ব্যাংকের মাধ্যমে ৪২ লাখ ৮০ হাজার ডলার, বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে ১২০ কোটি ৮ লাখ ১০ হাজার ডলার ও বিদেশি খাতের ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৪৮ লাখ ২০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স।

এদিকে গত এপ্রিল মাসে দেশে এসেছে ২০৪ কোটি ৩০ লাখ ৬০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। আর গত মার্চে দেশে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৯৯ কোটি ৬৮ লাখ ৫০ হাজার ডলার। এছাড়া ফেব্রুয়ারিতে চলতি অর্থবছরে সর্বোচ্চ ২১৬ কোটি ৬০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা। আর গত জানুয়ারি মাসে দেশে রেমিট্যান্স এসেছিল ২১০ কোটি ৯ লাখ ৫০ হাজার ডলার।

;

‘সমস্যা আমাদের মতো করেই সমাধান করতে হবে’



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ দেওয়ার সাথে সাথে বিদ্যুৎ উৎপাদনের বিকল্প ও সহজলভ্য উৎস আমাদের খুঁজে বের করতে হবে। আমাদের সমস্যা আমাদের মতো করেই সমাধান করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।

রোববার (১৯ মে) বিদ্যুৎ ভবনে ইনোভেশন শোকেসিং উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন। বিদ্যুৎ বিভাগের উদ্যোগে ইনোভেশন শোকেসিং-২০২৪ আয়োজন করা হয়। এতে বিদ্যুৎ বিভাগের অধীন দফতর, সংস্থা হতে ২৪টি ইনোভশন উদ্যোগ প্রদর্শন করা হয়।

ভার্চয়ালি যুক্ত হয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২০৪১ সালের উন্নত বাংলাদেশকে সামনে রেখে পরিকল্পনা ও কার্যক্রম গ্রহণ করা বাঞ্ছনীয়। নতুন নতুন উদ্ভাবনকে আমরা প্রণোদনা দিচ্ছি।

আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্ট (এআই) এখনই অনেক সমস্যার সমাধান করে দিচ্ছে। এআই-এর ব্যবহার বাড়িয়ে গ্রাহক সন্তুষ্টিতে ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, প্রযুক্তির ব্যবহার যত বাড়বে অর্থ ও সময়ের সাশ্রয় তত হবে। একই সাথে প্রাতিষ্ঠানিক সাফল্যও নিশ্চিত হবে।

বিদ্যুৎ বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. হাবিবুর রহমান বলেন, ২০৪১ সালের লক্ষ্য অর্জন করতে হলে নিজস্ব প্রযুক্তির উদ্ভাবন বা ব্যবহৃত প্রযুক্তির নিজস্ব ভার্সন সৃজন করতে হবে।

ইনোভেশন শোকেসিং ২০২৪-এ আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন কোম্পানি লিমিটেড (এপিএসসিএল) থ্রি-ডি প্রিন্টারের মাধ্যমে বিভিন্ন স্পেয়ার পার্টস তৈরিকরণ-এ প্রথম স্থান, ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (ডিপিডিসি) আর্টিফিসিয়াল ইন্টিলিজেন্স বেজড ‘স্মার্ট কাস্টমার এসিস্ট্যান্ট- চ্যাটবট” ২য় স্থান, নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানির (নেসকো) জিআইএস বেসড ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের মাধ্যমে বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থপনার আউটেজ ডিজিটালি মনিটরিং এবং লোড ম্যানেজমেন্ট-এ ২য়, ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড (ডেসকো) আন্ডারগ্রাউড ক্যাবল টেস্ট ভ্যান, ইলেক্ট্রিসিটি জেনারেশন কোম্পানি অব বাংলাদেশ লিমিটেড (ইজিসিবি) অটোমেটিক ইমার্জেন্সী রেসপন্স টেস্ট অব এসটি ইমার্জেন্সী লুব অয়েল পাম্প থ্রো ডিসিএস ইন্ট্রিগেশন এবং রুরাল পাওয়ার কোম্পানী লিমিটেড (আরপিসিএল) চার্জ এয়ারকুলার এন্ড চার্জ এয়ার রিসিভার ড্রেইন লাইন মডিফিকেশন ফর প্লান্ট আউটেজ রিডাকশন তৃতীয় স্থান অর্জন করে।

বিদ্যুৎ বিভাগের প্রধান ইনোভেশন কর্মকর্তা নিরোদ চন্দ্র মন্ডেলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. হুমায়ুন কবির। স্রেডার চেয়ারম্যান মুনীরা সুলতানা, পিডিবি’র চেয়ারম্যান মো. মাহবুবুর রহমান, বিআরইবি’র চেয়ারম্যান অজয় কুমার চক্রবর্ত্তী, পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসাইন সহ দফতর ও সংস্থার প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।

;