‘কয়লা বিদ্যুতের লক্ষ্যমাত্রা ১০ শতাংশ কমতে পারে’

  • স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

মাস্টার প্লানে ২০৩০ সালের মধ্যে ৩৫ শতাংশ কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুতের কথা বলা হয়েছে। রিভিউ করার সময় হয়তো ২৫ শতাংশে নামিয়ে আনবো। ঠিক কতটি কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র কমানো হবে নির্দিষ্ট করে বলতে রাজি হননি বিদ্যুৎ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) নুরুল আলম।

শনিবার (৯ জানুয়ারি) এনার্জি এন্ড পাওয়ার আয়োজিত “বাংলাদেশের এনার্জি খাতের লো কার্বন ইমিশন” শীর্ষক ভার্চুয়াল সেমিনারে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেছেন। সেমিনার সঞ্চালনা করেন এনার্জি এন্ড পাওয়ার এডিটর মোল্লাহ আমজাদ হোসেন।

বিজ্ঞাপন

সেমিনারে বিদ্যুৎ বিভাগের সাবেক সচিব সুলতান আহমেদ বলেন, আমরা কার্বন ইমিশন কতটা করতে পারতাম, তারচেয়ে কতটা কম করছি, কম করলে সিআর দাবি করা যায় কি না। কোন প্রকল্পে আমরা সহায়তা চাই সে বিষয়ে নির্দিষ্ট প্রস্তাব দেওয়া যায় কি না। বিষয়গুলো ভেবে দেখার সময় এসেছে। এনডিসি রিভিউয়ে মেথড প্রকাশের আগেই মেথলজিক্যাল ভ্যালিডেট করে নিলেই ভালো হবে। সরকারের একার পক্ষে কার্বন ইমিশন রোধ করা সম্ভব না, এতে বেসরকারি খাততে যুক্ত করতে হবে।

নুরুল আলম বলেন,  ফসিল ফুয়েলে যেতেই হবে। বিশেষ করে কয়লায় যেতেই হবে। পলিসি সাপোর্ট দিয়ে যদি বৈদ্যুতিক গাড়ি হয় তাহলে ডাবল বার্নিং থেকে বেরিয়ে আসতে পারবো।

বিজ্ঞাপন

বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান প্রকৌশলী খালেদ মাহমুদ বলেন, একটি নিউজে দেখলাম বিদেশে কয়লা বিদ্যুতের একটি চিমনী ভেঙ্গে ফেলা হচ্ছে। বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি ছিল ১৯৪৯ সালের। কতোদিন পরে এসে বন্ধ করলো। ওইটার উপর ভিত্তি করে কয়লা বন্ধ করে দিবো। ওইটা আর আমরা যেটি করছি এটি  কি এক হলো।

এসিএমএল’র সিনিয়র উপদেষ্টা সিদ্দিক জুবায়ের বলেন, ২০৩০ সালে ১০ শতাংশ অর্থাৎ ৪ হাজার মেগাওয়াট নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে উৎপাদনের কথা। অনেক দূরে পিছিয়ে আছি। নবায়নযোগ্যর কথা বলি বটে। কিন্তু যতোখানি অ্যাড্রেস এবং প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বাড়ানো দরকার সেখানে ঘাটতি রয়ে গেছে।

সাবেক অতিরিক্ত সচিব এসএম মঞ্জুরুল হান্নান খান বলেন, ২০১১ সালের এনডিসিতে কিছু গ্যাপ ছিল। পরিবেশ সরকার একা রক্ষা করতে পারবে না। এখানে বড় ভূমিকা প্রাইভেট সেক্টরের। সরকারি দপ্তরগুলো তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করি। ন্যাশনাল পলিসি প্লান করি। প্রাইভেট সেক্টরকে এখান না আনতে পারলে এনডিসি অর্জন করা সম্ভব হবে না। এমন ভাবে প্রতিশ্রুতি দেই, পরে যেনো বলতে পারি আমরা এটি করেছি।

মাইনিং ইঞ্জিনিয়ার মশফিকুর রহমান বলেন, আমাদের নগরায়ন বাড়ছে, এতে দুষণ বাড়বে। আমাদের খাদ্য নিরাপত্তা ক্রয় ক্ষমতা বিবেচনা করে প্লান করতে হবে। এমন কিছু করতে পারবো না যাতে ব্যয়বহুল হয়ে যায়। সাশ্রয়ী এনার্জি প্রধান লক্ষ্য হওয়া উচিত। একই সঙ্গে সঞ্চালন ও বিতরণ লোকসান কমিয়েও হতে পারে।

পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক জিয়াউল হক বলেন, প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করছেন উন্নয়ন শীল দেশের পার ক্যাপিটা কার্বন ইমিশন ২ টনের লিমিট ক্রস করবো না। আমার মনে হচ্ছে ১.৩ হয়ে যেতে পারে ২০১৮ সালে।  নতুন যে পাওয়ার প্লান্টগুলো আসবে এসআরও জারি করা হয়েছে। ২২০ মিটার চিমনী করতে বলা হয়েছে। তাহলে গ্রাউন্ড লেভেল পলুশন কমে যাবে। ইপি ব্যবহারের কারণে ৯৮ শতাংশ ডাস্ট পলুশন কমে যাবে।

উৎপল ভট্টাচার‌্য মূল প্রবন্ধ  উপস্থাপন করেন। তিনি বলেন, এনডিসিতে কৃষি সেক্টরে মিটিগেশন অ্যাকশন নিলে ঝুঁকি তৈরি হয়।  আমরা বলেছি ১২ মিলিয়ন টন কার্বন ইমিশন কমাবো ২০৩০ সালে। সবমিলিয়ে ৩৬ মিলিয়ন টন কমাতে হবে। ৫ শতাংশ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, সম্ভব হলে আরও ৫ শতাংশ কমানোর প্রতিশ্রুতি দেওয়া আছে।