‘কয়লা বিদ্যুতের লক্ষ্যমাত্রা ১০ শতাংশ কমতে পারে’



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মাস্টার প্লানে ২০৩০ সালের মধ্যে ৩৫ শতাংশ কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুতের কথা বলা হয়েছে। রিভিউ করার সময় হয়তো ২৫ শতাংশে নামিয়ে আনবো। ঠিক কতটি কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র কমানো হবে নির্দিষ্ট করে বলতে রাজি হননি বিদ্যুৎ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) নুরুল আলম।

শনিবার (৯ জানুয়ারি) এনার্জি এন্ড পাওয়ার আয়োজিত “বাংলাদেশের এনার্জি খাতের লো কার্বন ইমিশন” শীর্ষক ভার্চুয়াল সেমিনারে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেছেন। সেমিনার সঞ্চালনা করেন এনার্জি এন্ড পাওয়ার এডিটর মোল্লাহ আমজাদ হোসেন।

সেমিনারে বিদ্যুৎ বিভাগের সাবেক সচিব সুলতান আহমেদ বলেন, আমরা কার্বন ইমিশন কতটা করতে পারতাম, তারচেয়ে কতটা কম করছি, কম করলে সিআর দাবি করা যায় কি না। কোন প্রকল্পে আমরা সহায়তা চাই সে বিষয়ে নির্দিষ্ট প্রস্তাব দেওয়া যায় কি না। বিষয়গুলো ভেবে দেখার সময় এসেছে। এনডিসি রিভিউয়ে মেথড প্রকাশের আগেই মেথলজিক্যাল ভ্যালিডেট করে নিলেই ভালো হবে। সরকারের একার পক্ষে কার্বন ইমিশন রোধ করা সম্ভব না, এতে বেসরকারি খাততে যুক্ত করতে হবে।

নুরুল আলম বলেন,  ফসিল ফুয়েলে যেতেই হবে। বিশেষ করে কয়লায় যেতেই হবে। পলিসি সাপোর্ট দিয়ে যদি বৈদ্যুতিক গাড়ি হয় তাহলে ডাবল বার্নিং থেকে বেরিয়ে আসতে পারবো।

বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান প্রকৌশলী খালেদ মাহমুদ বলেন, একটি নিউজে দেখলাম বিদেশে কয়লা বিদ্যুতের একটি চিমনী ভেঙ্গে ফেলা হচ্ছে। বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি ছিল ১৯৪৯ সালের। কতোদিন পরে এসে বন্ধ করলো। ওইটার উপর ভিত্তি করে কয়লা বন্ধ করে দিবো। ওইটা আর আমরা যেটি করছি এটি  কি এক হলো।

এসিএমএল’র সিনিয়র উপদেষ্টা সিদ্দিক জুবায়ের বলেন, ২০৩০ সালে ১০ শতাংশ অর্থাৎ ৪ হাজার মেগাওয়াট নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে উৎপাদনের কথা। অনেক দূরে পিছিয়ে আছি। নবায়নযোগ্যর কথা বলি বটে। কিন্তু যতোখানি অ্যাড্রেস এবং প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বাড়ানো দরকার সেখানে ঘাটতি রয়ে গেছে।

সাবেক অতিরিক্ত সচিব এসএম মঞ্জুরুল হান্নান খান বলেন, ২০১১ সালের এনডিসিতে কিছু গ্যাপ ছিল। পরিবেশ সরকার একা রক্ষা করতে পারবে না। এখানে বড় ভূমিকা প্রাইভেট সেক্টরের। সরকারি দপ্তরগুলো তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করি। ন্যাশনাল পলিসি প্লান করি। প্রাইভেট সেক্টরকে এখান না আনতে পারলে এনডিসি অর্জন করা সম্ভব হবে না। এমন ভাবে প্রতিশ্রুতি দেই, পরে যেনো বলতে পারি আমরা এটি করেছি।

মাইনিং ইঞ্জিনিয়ার মশফিকুর রহমান বলেন, আমাদের নগরায়ন বাড়ছে, এতে দুষণ বাড়বে। আমাদের খাদ্য নিরাপত্তা ক্রয় ক্ষমতা বিবেচনা করে প্লান করতে হবে। এমন কিছু করতে পারবো না যাতে ব্যয়বহুল হয়ে যায়। সাশ্রয়ী এনার্জি প্রধান লক্ষ্য হওয়া উচিত। একই সঙ্গে সঞ্চালন ও বিতরণ লোকসান কমিয়েও হতে পারে।

পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক জিয়াউল হক বলেন, প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করছেন উন্নয়ন শীল দেশের পার ক্যাপিটা কার্বন ইমিশন ২ টনের লিমিট ক্রস করবো না। আমার মনে হচ্ছে ১.৩ হয়ে যেতে পারে ২০১৮ সালে।  নতুন যে পাওয়ার প্লান্টগুলো আসবে এসআরও জারি করা হয়েছে। ২২০ মিটার চিমনী করতে বলা হয়েছে। তাহলে গ্রাউন্ড লেভেল পলুশন কমে যাবে। ইপি ব্যবহারের কারণে ৯৮ শতাংশ ডাস্ট পলুশন কমে যাবে।

উৎপল ভট্টাচার‌্য মূল প্রবন্ধ  উপস্থাপন করেন। তিনি বলেন, এনডিসিতে কৃষি সেক্টরে মিটিগেশন অ্যাকশন নিলে ঝুঁকি তৈরি হয়।  আমরা বলেছি ১২ মিলিয়ন টন কার্বন ইমিশন কমাবো ২০৩০ সালে। সবমিলিয়ে ৩৬ মিলিয়ন টন কমাতে হবে। ৫ শতাংশ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, সম্ভব হলে আরও ৫ শতাংশ কমানোর প্রতিশ্রুতি দেওয়া আছে।

   

বাংলাদেশে ‘সিনাবন’ উদ্বোধন করলেন পিটার হাস



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বিশ্বের ৫০টির অধিক দেশের পর প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে যাত্রা শুরু করলো আমেরিকান ব্র্যান্ড 'সিনাবন’। ঢাকার প্রাণকেন্দ্র বনানীতে বুধবার (১৭ এপ্রিল) শুভ উদ্বোধন হলো ব্রান্ডটির প্রথম আউটলেট।

উদ্বোধনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস ও দেশের জনপ্রিয় অভিনেত্রী মুনতাহিনা চৌধুরী টয়া। বাংলাদেশে সিনাবন স্বাদের খুশি ছড়িয়ে সাফল্যের সাথে এগিয়ে যাবে, এই আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস।

উদ্বোধন উপলক্ষে সিনাবন-এর কান্ট্রি ডিরেক্টর ডেসিকান নারায়ণ বলেন, "মনোমুগ্ধকর অফার ও সেরা স্বাদের মাধ্যমে ফুড লাভারদের মাঝে খুশি ছড়িয়ে দেয়াই আমাদের লক্ষ্য।" কান্ট্রি ডিরেক্টর ডেসিকান নারায়ণ ও ব্র্যান্ড ম্যানেজার জানিবুল হাসান জনি সৃজনশীল চিন্তা ও নান্দনিক কার্যক্রমের মাধ্যমে উদ্বোধনের এই সুন্দর মুহুর্তটি জাদুকরী মুগ্ধতায় পরিপূর্ণ করে তুলতে সার্বক্ষণিক কাজ করে যাচ্ছেন। তারা জানিয়েছেন আগামী দিনগুলোতেও ভোক্তাদের সেরা স্বাদ ও সার্ভিস প্রদানের লক্ষ্যেই তারা কাজ করে যাবেন।

১৯৮৫ সাল থেকে আজ পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে সিনাবন তার রোল এবং অন্যান্য বেকড পণ্যগুলি দিয়ে বিশ্ববাসীর মন জয় করে যাচ্ছে। স্বাদের আনন্দে খুশি ছড়িয়ে যাচ্ছে সকলের প্রাণে।

;

কুমিল্লা ইপিজেডে ৬১ লাখ ডলার বিনিয়োগ করবে ডাচ-বাংলা যৌথ মালিকানাধীন কোম্পানি



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লা ইপিজেডে একটি ব্যাগ তৈরির কারখানা স্থাপন করতে যাচ্ছে নেদারল্যান্ড-বাংলাদেশ যৌথ মালিকানাধীন কোম্পানি বিএসকে বাংলাদেশ লিমিটেড। তারা ৬১ লাখ ৪০ হাজার মার্কিন ডলার বিনিয়োগে বাৎসরিক ৩০ লাখ পিস হ্যান্ডব্যাগ, ব্যাকপ্যাক, ট্রাভেল ব্যাগ, ওয়ালেট এবং ট্রলি ব্যাগ তৈরি করবে। প্রতিষ্ঠানটিতে ১০৩২ জন বাংলাদেশি নাগরিকের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।

বেপজার নির্বাহী চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল আবুল কালাম মোহাম্মদ জিয়াউর রহমানের উপস্থিতিতে বাংলাদেশ রফতানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা কর্তৃপক্ষ (বেপজা) এবং বিএসকে বাংলাদেশ লিমিটেডের মধ্যে বুধবার (১৭ এপ্রিল) ঢাকাস্থ বেপজা কমপ্লেক্সে একটি চুক্তি স্বাক্ষর হয়।

বেপজার সদস্য (বিনিয়োগ উন্নয়ন) আলী রেজা মজিদ এবং বিএসকে বাংলাদেশ লিমিটেডের চেয়ারম্যান মি. জেরোন হার্মস নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।

বিএসকে বাংলাদেশ লিমিটেডকে স্বাগত জানিয়ে বেপজার নির্বাহী চেয়ারম্যান কুমিল্লা ইপিজেডকে তাদের বিনিয়োগ গন্তব্য হিসেবে নির্বাচনের জন্য ধন্যবাদ জানান। নির্বাহী চেয়ারম্যান বলেন, বেপজা বাংলাদেশের পথিকৃৎ বিনিয়োগ উন্নয়নমূলক সংস্থা এবং মাত্র ৯৩৪ হেক্টর জায়গায় সফলভাবে ৮টি ইপিজেড পরিচালনা করছে।

তিনি আরও বলেন, এই অল্প পরিমাণ জমি থেকে সংস্থাটি দেশের মোট রফতানির প্রায় ২০ শতাংশ অবদান রাখে। বেপজার নির্বাহী চেয়ারম্যান যত দ্রুত সম্ভব কারখানার নির্মাণ কাজ শুরু করতে ডাচ বিনিয়োগকারীর প্রতি আহবান জানান। এদেশে আরও ডাচ বিনিয়োগ আনয়নের জন্য তিনি বিএসকে বাংলাদেশ লিমিটেডের চেয়ারম্যান জেরোন হার্মসকে অনুরোধ জানান।

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বেপজার সদস্য (অর্থ) মো. আশরাফুল কবীর, নির্বাহী পরিচালক (প্রশাসন) আ ন ম ফয়জুল হক, নির্বাহী পরিচালক (বিনিয়োগ উন্নয়ন) মো. তানভীর হোসেন এবং নির্বাহী পরিচালক (জনসংযোগ) এ.এস.এম. আনোয়ার পারভেজসহ ডাচ দূতাবাসের ইকনোমিক অ্যাফেয়ার্সের (অর্থনীতি বিষয়ক) প্রথম সচিব মিস সারা ভান হুইভ এবং বিএসকে বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. বেলাল হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

কোম্পানিটির সহপ্রতিষ্ঠান বিএসকে ফ্যাশন ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি লিমিটেডের চেয়ারম্যান বি সাওকাই (সোফি) ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক জরিস গুইসাডোও এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

;

বছর শেষে উড়বে নতুন এয়ারলাইন্স ‘ফ্লাই ঢাকা’



ইশতিয়াক হুসাইন, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আকাশপথে ক্রমবর্ধমান যাত্রী সংখ্যা বৃদ্ধির সুযোগ নিয়ে চলতি বছরের শেষে আকাশে ডানা মেলতে চায় নতুন বেসরকারি বিমান সংস্থা ‘ফ্লাই ঢাকা’।

সেই সঙ্গে বিদেশি এয়ারলাইন্সের দখলে চলে যাওয়া ৮০ শতাংশ মার্কেট পুনরুদ্ধার করে দেশের টাকা বিদেশে যাওয়া থেকে রক্ষায়ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে চায় এয়ারলাইন্সটি।

‘কানেক্টিং ড্রিমস, ইউনাইটিং ডেস্টিনেশস’ এই স্বপ্নকে সামনে রেখে কাজ করছে এয়ারলাইন্সটি। এটিআর ৭২-৬০০ মডেলের উড়োজাহাজ দিয়ে ফ্লাইট পরিচালনার পরিকল্পনা নিয়ে প্রস্তুতি নিচ্ছে দেশের বেসরকারিখাতের ১২তম এয়ারলাইন্সটি। পরবর্তীতে আন্তর্জাতিক রুটের অনুমোদন পেলে বোয়িং ও এয়ারবাসের মতো অত্যাধুনিক উড়োজাহাজ দিয়ে বহর পরিকল্পনা করবে ‘ফ্লাই ঢাকা’।

‘ফ্লাই ঢাকা’ চালু হলে এই খাতে দেশীয় এয়ারলাইন্সের সংখ্যা দাঁড়াবে চারটিতে। বর্তমানে নভোএয়ার, ইউএস-বাংলা ও এয়ার অ্যাস্ট্রা ফ্লাইট পরিচালনা করছে। এর মধ্যে নভোএয়ার ও ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স আন্তর্জাতিক রুটেও ফ্লাইট পরিচালনা করে নিয়মিতভাবে।

বেসরকারিখাতে বিগত ২৫ বছরে আটটি এয়ারলাইন্স তাদের কার্যক্রম বন্ধ করেছে। সর্বশেষ, ২০২২ সালে বেসরকারি এয়ারলাইন্স হিসেবে রিজেন্ট এয়ারওয়েজ বন্ধ হয়ে যায়।

‘ফ্লাই ঢাকা’ এয়ারলাইন্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মোল্লা ফজলে আকবর বার্তা২৪.কমকে বলেন, প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশকে বিশ্বের অন্যতম প্রধান হাব করার যে লক্ষ্য নির্ধারণ করেছেন, সেই লক্ষ্য অর্জন এবং দেশের বিমান চলাচলখাতকে সমৃদ্ধ করতে কাজ করছে ‘ফ্লাই ঢাকা’। এ বছরের মধ্যে ফ্লাইট চালু করতে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

তিনি জানান, বৈশ্বিক পরিমণ্ডলে সেবা প্রসারিত করাই ‘ফ্লাই ঢাকা’র লক্ষ্য। সেই সঙ্গে সাশ্রয়ী মূল্যে ও নিরাপদ ভ্রমণকে অগ্রাধিকার দিয়ে আকাশপথের যাত্রীদের সেবা দেওয়ার উদ্দেশ্যেই কাজ করছে ‘ফ্লাই ঢাকা’ এয়ারলাইন্স।

জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ‘ফ্লাই ঢাকা’র স্বত্বাধিকারী।

ফ্লাই ঢাকার কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স প্রধান ফারাবি বিন জহির বলেন, আকাশপথে যাত্রীর সংখ্যা বৃদ্ধির সুযোগ কাজে লাগাতে চাই আমরা।

তিনি বলেন, কোভিডের পর থেকে আমাদের দেশের বিমানবন্দরগুলোতে যাত্রী সংখ্যা বেড়েছে। প্রতিবছরই এই সংখ্যা বাড়ছে। অত্যন্ত দুঃখের বিষয়, অধিকাংশ যাত্রী পরিবহন করছে বিদেশি এয়ারলাইন্সগুলো। তাদের দখলেই দেশের প্রায় ৮০ শতাংশ মার্কেট। সেই সঙ্গে দেশের টাকা বিদেশে চলে যাচ্ছে। এই বিষয়টিকে মাথায় রেখে ও মার্কেটের এই গ্যাপ (শূন্যতা) দূর করতে কাজ করবে ‘ফ্লাই ঢাকা’।

ফ্লাই ঢাকা'র দুই কর্মকর্তাকে আলোচনা করতে দেখা যাচ্ছে, ছবি-বার্তা২৪.কম

বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) হিসাব বলছে, ২০২৩ সালে দেশের বিমানবন্দরগুলো ব্যবহার করেছেন, এক কোটি ৭৪ লাখ যাত্রী, যাদের বেশিরভাগই আন্তর্জাতিক ভ্রমণকারী। ২০২২ সালের চেয়ে ২০২৩ সালে ২৬ লাখ যাত্রী বেড়েছে। এই সংখ্যা আগের বছরের চেয়ে ২৩ শতাংশ বেশি। আর কোভিড মহামারির আগের সময়ের তুলনায় যাত্রী বেড়েছে প্রায় ৩৭ শতাংশ।

দেশের অধিকাংশ বেসরকারি এয়ারলাইন্সের টিকতে না পারার বিষয়ে ফারাবি বিন জহির অতীত ও বর্তমানের যাত্রী সংখ্যার তুলনা তুলে ধরে বলেন, একটা সময় ছিল যখন শুধু উচ্চবিত্তরা আকাশপথে ভ্রমণ করতেন। সে কারণে এয়ারলাইন্সগুলোর যাত্রী সংখ্যাও কম ছিল। কিন্তু এখন সময় পাল্টেছে। মানুষের কাছে সময় কম। রাস্তায় অনেক সময় লাগে। যানজটসহ নানান ঝামেলা পোহাতে হয়। ফলে, শুধু উচ্চবিত্তরাই নয়, মধ্যবিত্তসহ বিভিন্ন শ্রেণির মানুষেরা আকাশপথে নিয়মিত ভ্রমণ করছেন।

;

ওয়ালটনের আদর্শ ও নীতিমালার পরিপন্থী নাটক প্রচার করায় বিজ্ঞাপনী প্রতিষ্ঠানকে আইনি নোটিশ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিষয়বস্তু অবহিত না করে ওয়ালটনের আদর্শ ও নীতিমালার পরিপন্থীভাবে ‘রূপান্তর’ শিরোনামের একটি নাটক প্রচার করায় বিজ্ঞাপনী প্রতিষ্ঠান ‘লোকাল বাস এন্টারটেইনমেন্ট’কে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছে ওয়ালটন। পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে সব ধরনের বিজ্ঞাপনী চুক্তিও বাতিল করেছে ওয়ালটন। একইসঙ্গে বিষয়টির জন্য ওয়ালটন গ্রুপ সম্মানিত ক্রেতা ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের নিকট আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছে।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) বিজ্ঞাপনী প্রতিষ্ঠান ‘লোকাল বাস এন্টারটেইনমেন্ট’ এর স্বত্বাধিকারী মোহন আহমেদকে ওই আইনি নোটিশ পাঠানো হয়।

ওয়ালটনের পক্ষে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট মো. রাইসুল ইসলাম রিয়াদ স্বাক্ষরিত আইনি নোটিশে বলা হয়েছে, আপনি লোকাল বাস এন্টারটেইনমেন্ট বিজ্ঞাপনী প্রতিষ্ঠান এর স্বত্বাধিকারী। আপনার প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে আপনার নির্মিত ৬টি নাটকে ওয়ালটন ফ্রিজ ব্র্যান্ডিং করতে সম্মত হয়। শর্ত থাকে যে, উক্ত নাটকসমূহে দেশের আইন, নীতি, নৈতিকতা বা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হয় এরকম কোনো বিষয় অর্ন্তভুক্ত হবে না। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখজনক যে, উক্ত নাটকসমূহের মধ্যে ‘রূপান্তর’ নাটকটিতে এমন কিছু বিষয় অর্ন্তভুক্ত করা হয়েছে, যাতে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে ও মানুষের অনুভূতিতে আঘাত লেগেছে।

নোটিশে আরো বলা হয়েছে, ওয়ালটন কর্তৃপক্ষকে নাটকটির বিষয়বস্তু সম্পর্কে পূর্বে অবহিত না করে রূপান্তর নাটক প্রচার করায় আপনার সঙ্গে চুক্তি বাতিল করা হলো এবং সেই সাথে কেন আপনার বিরুদ্ধে ওয়ালটনের আদর্শ ও নীতিমালার পরিপন্থিভাবে নাটক প্রচারের জন্য আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তা নোটিশ প্রাপ্তির ৭ দিনের মধ্যে জানানোর জন্য বলা হলো।

এর আগে, ফেসবুক-ইউটিউবসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যম থেকে ‘রূপান্তর’ নাটকটি প্রত্যাহারের জন্য বিজ্ঞাপনী সংস্থাকে নির্দেশ দেয় ওয়ালটন। তাৎক্ষণিকভাবে ফেসবুক-ইউটিউবসহ সব মাধ্যম থেকে নাটকটি প্রত্যাহার করে নেয়া হয়।

এরপরই বিজ্ঞাপনী সংস্থার সঙ্গে চুক্তি বাতিল করে ওয়ালটন গ্রুপের আদর্শ ও নীতিমালার পরিপন্থি নাটকে বিজ্ঞাপন প্রচারের জন্য কেন আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না তা জানতে চেয়ে বিজ্ঞাপনী সংস্থা ‘লোকাল বাস এন্টারটেইনমেন্ট’কে লিগাল নোটিশ দেয় ওয়ালটন কর্তৃপক্ষ।

এদিকে, আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে ওয়ালটন জানিয়েছে দেশের মানুষের ধর্মীয় ও সামাজিক অনুভূতিতে আঘাত করে এমন কোনো কর্মকাণ্ড কখনও সমর্থন করে না এবং এসব কর্মকান্ডে সম্পৃক্ত থাকে না। অনাকাঙ্ক্ষিত এই বিষয়টির জন্য ওয়ালটন গ্রুপ মর্মাহত এবং সম্মানিত ক্রেতা ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের নিকট আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছে। এ ধরনের ঘটনা যাতে পুনরাবৃত্তি না ঘটে, সেজন্য তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে বলে বিবৃতিতে জানিয়েছে ওয়ালটন।

;