`বাংলাদেশ গ্রীন এনার্জির প্রসারে নিবেদিত রয়েছে'
নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রসারে একটি সমন্বিত আন্তর্জাতিক প্লাটফর্ম প্রয়োজন। ভারত বা আফগানিস্তানে বিদ্যমান সুবিধা কাজে লাগালে সৌরবিদ্যুৎ প্রসারিত হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
বুধবার (০৩ মার্চ) সচিবালয় থেকে অনলাইনে টিম ইউরোপ গ্রীন এনার্জি ইনিসিয়েটিভ এর সাথে সভাকালে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আঞ্চলিক বা উপ-আঞ্চলিক সহযোগিতা বাড়াতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন নেপথ্যে অবদান রাখতে পারে। বাংলাদেশের মতো ঘনবসতি এলাকায় সৌরবিদ্যুৎ বাড়াতে এমন উন্নত প্রযুক্তি লাগবে যা অল্প জায়গায় স্থাপন করা যায়। টেকসই জ্বালানি ব্যবস্থা সৃজনের জন্য প্রয়োজন উন্নত দেশের অভিজ্ঞতা বিনিময়, পলিসি ডায়লগ ও প্রয়োজনীয় বিনিয়োগ।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে নবায়নযোগ্য জ্বালানি হতে ৭২২.১৩ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হচ্ছে। নেপাল ও ভূটান থেকে জল বিদ্যুৎ আমদানি করার বিষয়টি চলমান। অন্যদিকে শীতকালে নেপালে বিদ্যুৎ রপ্তানিও করা যেতে পারে। ২০৩০ সালের মধ্যে ২০ শতাংশ জ্বালানি সাশ্রয়ের লক্ষ্য নিয়ে সরকার কাজ করছে। ৫.৮ মিলিয়ন সোলার হোম সিস্টেম স্থাপন করা হয়েছে, যার অর্ধেক মূল্য সরকার পরিশোধ করেছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্লাইমেট ভারনারেবল ফোরামের (সিভিএফ) প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ায় বাংলাদেশ গ্রীন ও ক্লিন এনার্জির প্রসারে আরও নিবেদিত হয়ে কাজ করছে। এনার্জি ট্রানজিশনের এই পর্যায়ে ইউরোপীয়ান ইউনিয়ন বাংলাদেশের নবায়নযোগ্য খাতের প্রসারে কারিগরি ও আর্থিক বিনিয়োগ করে সহযোগিতা করতে পারে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
অন্যদের মধ্যে অংশ নেন বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব মো. হাবিবুর রহমান, ইউরোপীয়ান ইউনিয়নের প্রতিনিধি ডরিও ট্রমবিটা, কোয়েন ইভারিয়ার্ট, তানজিনা দিলসাদ, চিয়ারা ভিডুসী, রয়েল নরওয়ে এ্যাম্বাসির ক্রিসটিন টি. ওয়ারিংসাসেন, সুইডেন অ্যাম্বাসির মাহবুবুর রহমান, মারকোস জোহান্নেসন, ইউরোপীয়ান ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক নয়া দিল্লির ডোনাল ক্যানন, কেএফডাব্লিউ-এর অনির্বাণ কুন্ডু, জিআইজেড-এর এঞ্জেলিকা ফ্লিডারম্যান।