‘কাজ না করলে পয়সা বেশি’



সেরাজুল ইসলাম সিরাজ, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

খনিজ সম্পদ খাত সম্পর্কে একটি প্রবাদ প্রচলিত রয়েছে, ‘কাজ না করলে পয়সা বেশি’। কথাটি দু’একজনের মাথার উপর দিয়ে গেলেও বেশিরভাগই মাথা নেড়ে সায় দিলেন, কারণ তারা রসায়নটা জানেন।

একজন প্রশ্ন করলেন কিভাবে? এবার বক্তা বললেন এই যে, ভোলার তিনটি কূপ খনন করার কথা বাপেক্সের। তারা খনন করলে সর্বোচ্চ ১৮০ কোটি টাকা খরচ হতো। বাপেক্স কি এই ডিপিপি অনুমোদনের জন্য কাউকে (পেট্রোবাংলা কিংবা জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ) ঘুষ দিবে! সেই কাজ এখন গ্যাজপ্রমকে দেওয়া হচ্ছে এতে ব্যয় হবে ৬০০ কোটি টাকার উপরে। বাড়তি ৪৮০ কোটি টাকা কোথায় যাবে, অনেকের পকেটেই এর ভাগ চলে গেলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে! তাহলে সারমর্ম কি দাঁড়ালো, কাজ না করলে ব্যক্তিগতভাবে অনেকের লাভবান হওয়ার সুযোগ বেশি।

শ্রীকাইলে-৪ কূপ খনন করার জন্য বাপেক্স ৪৮কোটি টাকার ডিপিপি তৈরি করেছিল। সেই ডিপিপি বোর্ডে অনুমোদনও হয়। সেই ডিপিপি প্রেরণ করা হয় পেট্রোবাংলার অুনমোদনের জন্য। পেট্রোবাংলা অনুমোদন না করে প্রায় ২০০ কোটি টাকায় গ্যাজপ্রমের জন্য ডিপিপি করার নির্দেশ দেয়। কর্তার ইচ্ছায় কাজ, বাপেক্স ২০০ কোটি দিয়ে গ্যাজপ্রমের মাধ্যমে কূপ খনন করায়। কেনো এটি হলো বলতে পারেন। বাড়তি দেড়’শ কোটি টাকা কাদের পকেটে গেছে একবারও খোঁজ নিয়েছি আমরা।

আবার দেখেন, সিলেট অঞ্চলের পর গ্যাসের সবচেয়ে বড় রিজার্ভ ধারণা করা হচ্ছে ভোলা অঞ্চলে। এই অঞ্চলে যেখানেই কূপ খনন করা হচ্ছে সেখানেই গ্যাস পাওয়া যাচ্ছে। তেমন একটি ফিল্ড থেকে বাপেক্সকে সরিয়ে দেওয়ার চক্রান্ত চলছে। ফিল্ডটি রাশান কোম্পানি গ্যাজপ্রম ইজারা নিতে চায়। এখানে যদি বাপেক্স কাজ করে তাহলে ব্যাক্তি বিশেষে পকেট ভারি করার সুযোগ নেই। কিন্তু রাশানদের দিলে অনেকের পকেটে মোটা কমিশন চলে যাওয়ার যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে। তার অর্থ কি দাঁড়ায়, কাজ না করলেই টাকা বেশি। আর কাজ করলে শুধু তাদের বেতনটাই পাবেন। গ্যাজপ্রমের কাজ মান নিয়ে রয়েছে নানা প্রশ্ন। তিনগুণ দরে কূপ খনন করা হলেও প্রায় ক্ষেত্রেই ২৫ থেকে ৩০কোটি টাকা ব্যায়ে ওয়ার্কওভার করতে হচ্ছে। তারপরও কেনো তাদেরকে কাজ দেওয়া হয় বলতে পারেন? 

আবার আরেকটি মহাআত্মঘাতী কাজ চলছে। কাজ না করে হাত গুটিয়ে থাকলে সংকট তৈরি হবে, সেই সংকটকে পুঁজি করে অনেক কিছু হয়। এখন যেমন গ্যাস নেই বলে উচ্চমূল্যে এলএনজি আমদানি করা হচ্ছে। এতেতো কেউ না কেউ ব্যাবসা করছেই। দেখেন এক সময় বলা হলো বাংলাদেশ গ্যাসর উপর ভাসছে, সেটিও বিশেষ উদ্দেশ্যে প্রচারনা ছিল এখন এ কথা প্রমাণিত। ইউনোকল তখন দিল্লিতে গ্যাস রপ্তানি করতে চেয়েছিল, তারই ক্ষেত্র প্রস্তুত করতে এই প্রচারণা বাজারে ছেড়েছিল। এখন গ্যাস সংকটের ধুয়া তোলা হচ্ছে এর পেছনেও বিশেষ কারসাজি চলে। তাই খালি চোখে অনেক কিছু দেখি যার পেছনে চলে বড়দের খেলা।

সমুদ্রসীমা জয়ের মাধ্যমে সাগরে বিশাল অঞ্চলে বাংলাদেশের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আমাদের পাশের ব্লকগুলো থেকে মায়ানমার বিপুল পরিমাণ গ্যাস উত্তোলন করছে। আর বাংলাদেশ অনেকটা হাত গুটিয়ে বসে রয়েছে। বলা হচ্ছে আমাদের হাতে পর‌্যাপ্ত ডাটা নেই কারণে বহুজাতিক কোম্পানি আগ্রহি হচ্ছে না। মাল্টিক্লেইন সার্ভে করার পর পর‌্যাপ্ত ডাটা সামনে এলে অনেকে আগ্রহী হবেন। মন্ত্রণালয় ও পেট্রোবাংলার এই বক্তব্য মানতে নারাজ জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা। তারা মনে করছে আমাদের কাছে যে ডাটা রয়েছে তাতেই অনেকে আগ্রহী হতেন। কিন্তু সেসব ডাটা পেট্রোবাংলা সিলড করে রেখেছে। বিদেশি কোম্পানির কেনার কিংবা দেখার কোনো সুযোগ নেই।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভূতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক বদরুল ইমাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, আমাদের কাছে প্রচুর সাইচমিক সার্ভের ডাটা রয়েছে। নব্বইয়ের দশকেও এগুলো উন্মুক্ত ছিল, বিদেশি কোম্পানি এসে নিয়ে গিয়ে বিশ্লেষণ করে তারপর অংশ নিতেন। কিন্তু এখন সেসব ডাটা সিলড করে রাখা হয়েছে।তাহলে বিদেশি কোম্পানি আসবে কিসের উপর ভিত্তি করে। এই ডাটা সিলড করে রাখার কোনো অর্থ দেখিনা।

তিনি বলেন, ১৯৯৬ সালে ভোলা আবিস্কার করলো বাপেক্স, ২০১৮ সালে আরেকটি ফিল্ড আবিস্কার করেছে, বাপেক্স মনে করছে সাউথে যাবে। আমরা বাপেক্সকে থামিয়ে দিয়ে গ্যাজপ্রমকে নিয়ে আসলাম। এরমতো আত্মঘাতি আর কোনো বিষয় হতে পারে না। দেশীয় কোম্পানি প্রথম ধাপে সফল, দ্বিতীয় ধাপেও সফল, তৃতীয়ধাপে কাজ করতে চাইল আমরা দিলাম না। ত্রিপুরা ১৬০টি কূপ খনন করে ১১টি গ্যাস ফিল্ড আবিস্কার করেছি। আর একই ভূ-কাঠামোতে পার্বত্য এলাকায় আমরা মাত্র ১৪টি কূপ খনন করেছি। ওরা কোথাও গেছে আর আমরা কোথায় পড়ে আছি।

পেট্রোবাংলার সাবেক চেয়ারম্যান মোক্তাদির আলী এক সেমিনারে বলেছেন, যে ডাটা আছে সেটি দিবেন। মাল্ট্রি ক্লেইন সার্ভে নেই বলে বসে থাকবেন! আমার যেটি মনে হয় দশ-বারো বছর আগে মাল্টিক্লেইন সার্ভে কাজ শুরু করি। আরও বহুদিন চলে যাবে, কারণ বিভিন্ন গোষ্ঠি স্বার্থ এখানে কাজ করে। যে পরিমান ডাটা অ্যাভলেবল রয়েছে এটাকে যক্ষের ধন মনে করছি। টোটাল রেস্ট্রিকশন করে রাখা হয়েছে। প্রথমেতো তারা দেখবে, সেই দেখার সুযোগটাও বন্ধ করে রাখা হয়েছে। অবশ্যই ওপেন করে দেওয়া উচিত।

আন্তর্জাতিক জ্বালানি বিশেষজ্ঞ খন্দকার সালেক সূফী বলেছেন, অফসোরে পিএসসি করতে গেলে পর‌্যাপ্ত ডাটা নেই। আমি এই কথা মানি না। ১৯৭৪ সালে যে কোম্পানিগুলো এসেছিল তারা এসে ডাটা রেখে গেছে। সেই ডাটাগুলো পেট্রোবাংলার হাতে রয়েছে এগুলো উন্মুক্ত করে দেওয়া উচিত।

পেট্রোবাংলার পরিচালক(পিএসসি)প্রকৌশলী শাহীনুর ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ডাটা দেওয়া হয় না এ কথাটা সত্য নয়। বিডিং রাউন্ডে যারা অংশ নেবে তাদের কাছে অর্থের বিনিময়ে এসব ডাটা বিক্রি করা হয়। কি পরিমাণ তথ্য রয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে বলেন, বেশ কিছু তথ্য রয়েছে বাপেক্স, পেট্রোবাংলার কাছে। এই মুহূর্তে বলা সম্ভব না।

বাপেক্সের সাবেক এমডি মুতর্জা আহমেদ ফারুক বলেছেন, বাপেক্স নিজস্ব সিদ্ধান্তে কোনো কাজ করতে পারেন না। বরং জ্বালানি বিভাগ থেকে এবং পেট্রোবাংলা থেকে তাদের পুরোটা নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। সেখানে কিন্তু প্রোপার টেকনিক্যাল লোক নেই। প্রোপার লোককে প্রোপার জায়গায় বসানো উচিত। মূল বিষয় হচ্ছে সরকারকে চাইতে হবে। পরিকল্পনা প্রণয়ন ও কাজ করার ক্ষেত্রে তাদের আরো স্বাধীনতা দেয়া জরুরি।

বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ একাধিক সভায় বলেছেন, আমাদের হাতে যথেষ্ট ডাটা নেই কারণে অনেকে আগ্রহি হচ্ছেন না। তাই মাল্টিক্লেইন সার্ভে করা হচ্ছে। এই শিগগিরই শেষ হলে আশাকরি অনেক কোম্পানি আগ্রহী হবেন। প্রতিমন্ত্রীর এই কথাতেও অনেকে সন্দেহের গন্ধ খোঁজেন।

   

নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহে সরকার বদ্ধপরিকর: বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, চাহিদা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পেলেও নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে সরকার বদ্ধপরিকর। সঞ্চালন ও বিতরণ ব্যবস্থার মধ্যে দ্রুত সমন্বয় করা হচ্ছে।

শনিবার (২১ এপ্রিল) আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন কোম্পানি লিঃ (এপিএসসিএল) পরিদর্শনকালে এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, অগ্রাধিকার ভিত্তিতে অভ্যন্তরীণ ত্রুটি মেরামত করা হচ্ছে। বিদ্যুৎ কেন্দ্রে প্রাথমিক জ্বালানি নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। এই গরমের বিদ্যুতের চাহিদা ১৭ হাজার ৫০০ মেগাওয়াট হতে পারে। এই চাহিদা পূরণ করে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে। একটিই চ্যালেঞ্জ – অর্থ।

বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোকে সমন্বিতভাবে কাজ করার নির্দেশ দিয়ে তিনি বলেন, কোথাও কোন সঞ্চালন বা বিতরণে সমস্যা থাকলে তা যেন দ্রুত কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়। আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন কোম্পানি লিঃ একটি সরকারি মালিকানাধীন পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি এবং বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ পাওয়ার হাব। এর ৬টি ইউনিটের বর্তমান মোট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা এক হাজার ৫৮৪ মেগাওয়াট। আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন কোম্পানি লিঃ এর লক্ষ্য আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা বর্তমান এক হাজার ৫৮৪ মেগাওয়াট থেকে তিন হাজার ৩০২ মেগাওয়াট-এ উন্নীত করা।

এপিএসসিএল সমাজের দায়বদ্ধতার স্থান থেকে নীতি গ্রহণ করে আসছে। ২০২২-২৩ সময়কালে, এপিএসসিএল সিএসআর কার্যক্রমের জন্য ৩৩ লাখ টাকা ব্যয় করেছে। শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্রেও এপিএসসিএল গতবছর বেশ কিছু বড় ভূমিকা পালন করেছে।

এসময় অন্যদের মধ্যে পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশএর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ.কে.এম গাউছ মহীউদ্দিন আহমেদ, আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাইদ একরাম উল্লা ও এটুআই (এসপায়ার টু ইনোভেট )কার্যক্রমের পলিসি এডভাইজার আনীর চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।

;

সোনার দাম ২ হাজার টাকা বাড়িয়ে কমল ৮৪০ টাকা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দুই দফা বাড়ানোর পর এবার কমানো হলো সোনার দাম। স্থানীয় বাজারে ভরিতে ৮৪০ টাকা কমিয়ে ১ ভরি ২২ ক্যারেট স্বর্ণের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ১৮ হাজার ৭৯৮ টাকা। এর আগে গত ১৮ এপ্রিল সবচেয়ে ভালো মানের ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণ ২ হাজার ৬৫ টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ১৯ হাজার ৬৩৮ টাকা নির্ধারণ করেছিল বাজুস।

শ‌নিবার (২০ এপ্রিল) বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

আজ বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

নতুন দাম অনুযায়ী প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ১৮ হাজার ৭৯৮ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৩ হাজার ৩৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯৭ হাজার ১৯৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৭৮ হাজার ২৪২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এর আগে গত ১৮ এপ্রিল সবচেয়ে ভালো মানের ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণ ২ হাজার ৬৫ টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ১৯ হাজার ৬৩৮ টাকা নির্ধারণ করেছিল বাজুস। আর ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ২০২ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯৭ হাজার ৮৮৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। তবে সনাতন পদ্ধতির স্বর্ণের দাম প্রতি ভরিতে ১ হাজার ৩৮৯ টাকা কমিয়ে নির্ধারণ করা হয়েছিল ৭৮ হাজার ৮০১ টাকা। যা সেদিন সন্ধ্যা ৭ টা থেকে কার্যকর হয়েছিল।

চলতি বছর এ নিয়ে ৯ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করল বাজুস। আর ২০২৩ সালে দাম সমন্বয় করা হয়েছিল ২৯ বার।

;

ময়মনসিংহে ইসলামী ব্যাংকের কর্মকর্তা সম্মেলন



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ময়মনসিংহে ইসলামী ব্যাংকের কর্মকর্তা সম্মেলন

ময়মনসিংহে ইসলামী ব্যাংকের কর্মকর্তা সম্মেলন

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির ময়মনসিংহ জোনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নিয়ে কর্মকর্তা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীন অডিটোরিয়ামে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

ব্যাংকের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর ও সিইও মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মো. আলতাফ হুসাইন ও সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট জিএম মোহা. গিয়াস উদ্দিন কাদের।

ব্যাংকের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. মাকসুদুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন ময়মনসিংহ জোনপ্রধান মো. আনিসুল হক। সম্মেলনে ব্যাংকের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. খলিলুর রহমান ও মো. আব্দুল জলিল এবং সিনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট এ এম শহীদুল এমরানসহ প্রধান কার্যালয়ের নির্বাহী, ময়মনসিংহ জোনের অধীন শাখাসমূহের প্রধানগণ, উপ-শাখা ইনচার্জগণ, সর্বস্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ উপস্থিত ছিলেন।

;

বেঁধে দেয়া দামে বিক্রি হচ্ছে না সয়াবিন তেল



রাকিব হাসান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
বেঁধে দেয়া দামে বিক্রি হচ্ছে না সয়াবিন তেল

বেঁধে দেয়া দামে বিক্রি হচ্ছে না সয়াবিন তেল

  • Font increase
  • Font Decrease

 

ভোজ্য তেলের ওপর থেকে মূল্য সংযোজন কর (মূসক-ভ্যাট) প্রত্যাহারের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার কারণে সয়াবিন তেলের নতুন দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। কিন্তু, ভোজ্য তেলের ‘যৌক্তিক মূল্য’ নির্ধারণ করে দিলেও তা মানার ব্যাপারে আগ্রহ দেখা যাচ্ছে না ব্যবসায়ীদের মধ্যে।

বাজারে গিয়ে দেখা যায় নির্ধারিত মূল্যের চাইতেও বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে সয়াবিন তেল। দাম নেবার কারণ জানতে চাইলে দায়সারা উত্তর ব্যবসায়ীদের।

গতকাল (১৮ এপ্রিল) দুপুরে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ভোজ্য তেলের দাম নির্ধারণ নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে নতুন দাম ঘোষণা করে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।

সংবাদ সম্মেলনে বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম প্রতি লিটারে ৪ টাকা বাড়িয়ে ১৬৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। পাঁচ লিটারের সয়াবিন তেলের বোতলের দাম ১৮ টাকা বাড়িয়ে ৮১৮ টাকা করা হয়েছে। এছাড়া খোলা সয়াবিন তেলের দাম দুই টাকা কমিয়ে ১৪৭ টাকা করা হয়েছে।

তবে শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বাজারে গিয়ে দেখা গেছে সরকার নির্ধারিত মূল্যের কোন তোয়াক্কা করছে না দোকানীরা।

প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল ১৪৭ টাকা নির্ধারণ করা হলেও লিটার প্রতি ১৮ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে ১৬৫ টাকা করে। আর বোতলজাত সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১৬৭ টাকা বিক্রি করার কথা থাকলেও তা বিক্রি হচ্ছে ১৭০ টাকা দরে। তবে ভিন্ন চিত্র ছিলো ৫ লিটারের বোতলজাত তেলের দামে। সরকারের বেঁধে দামের চাইতেও প্রতি ৫ লিটারের বোতলে ১৮ টাকা কম মূল্যে ৮০০ টাকা করে বিক্রি করছেন দোকানীরা।

সরকারের বেঁধে দামে তেল বিক্রি না করার কারণ জানতে চাইলে রাব্বি ফ্লাওয়ার মিলের স্বত্বাধিকারী লুতফুর রহমান বার্তা২৪.কম’কে বলেন, গতকাল কি ঘোষণা হইছে তেলের দাম কমছে নাকি বাড়ছে তা ভালো করে জানিনা। তবে শুনছি ফেছবুকে টিভিতে। আমাদের দোকানে যে তেল আছে তা আগের দামে কেনা। তাই আগের দামেই বিক্রি করতে হচ্ছে। নতুন তেল আসলে আবার নতুম দামে বিক্রি করবো। খোলা তেলে ১৮ টাকা বেশি নেয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঐ যে বললাম আগের দামে কেনা। আমি তো নতুন দামের চাইতে ৫ লিটারের বোতলে ১৮ টাকা কম নিচ্ছি এখনো। কিন্তু খোলা তেল আমার আগের দামে কেনা তাই ১৮ টাকা বেশি নিতেছি। দাম বৃদ্ধির ঘোষণা এলে যতো দ্রুত দাম বাড়ে কিন্তু দাম কমানোর ঘোষণা এলে কমেনা কেনো জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা বড় বড় পাইকারদের কাজ। তারা সিন্ডিকেট করে। কিন্তু আমাদের এমন সুযোগ নেই। আমরা এক দুই টন মাল সর্বোচ্চ কিনি। কখনো আরও কম কিনি।

আরেক ব্যবসায়ী খাদিজা এন্টারপ্রাইজের মালিক মোসলে উদ্দিন বলেন, ৫ লিটারের তেলের বোতলে যে দাম ৮০০ টাকা দেয়া সেই দামে বিক্রি করছি। এছাড়া এক লিটারের বোতলের দাম ১৬৩ টাকা দামে বিক্রি করছি। তবে খোলা তেল আমার কেনা ছিলো ১৬৩ টাকা করে তাই আমি ১৬৪/১৬৫ টাকা দামে বিক্রি করতেছি। খোলা তেল ১৪৭ টাকা সরকার নির্ধারণ করছে কিন্তু সেটা কি ভালো নাকি মন্দা জানিনা। যে দামে কিনি তার থেকে এক দুই টাকা বেশি দামে বিক্রি করি।

একটি সিকিউরিটি গার্ডের প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন আলতাফ হোসেন। তার কাছে খোলা তেল কতো নিলো জানতে চাইলে তিনি বলেন, ১৬৫ টাকা নিলো। খোলা তেলে দুই টাকা কমে ১৪৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে জানেন কিনা প্রশ্ন করলে আলতাফ হোসেন বলেন, ভাই এসব খবর দিয়ে তো কোন কাজ হয়না। দাম বাড়লে তখন ব্যবসায়ীরা পারলে আরও বাড়িয়ে নেয়। অথচ কমলে তিন মাসেও দাম কমার খবর থাকেনা। আপনার সামনেই তো বেশি নিলো কিছু করার আছে বলেন? আমি এক লিটার তেল নিতে আসছি। এখন এদের সাথে কি দাম নিয়ে ঝগড়া করবো।

আরেকজন ক্রেতা সজিব মোল্লা বলেন, বাজারে সব কিছুর দাম বাড়ে তবে খোলা তেলের দাম কমাইছে শুনে ভালো লাগলো। তবে দুই টাকা দাম কমায় তার প্রভাব আসলে বাজারে পরেনি। তাছাড়া লোক দেখানো বাজার মনিটরিং করে বাজারের দাম নিয়ন্ত্রণ করা কখনো সম্ভব না। একদিকে ব্যবসায়ীদের উপর ট্যাক্স বসাইবেন। জরিমানা করবেন আবার বলবেন দাম কমাইতে তারা কিভাবে দাম কমাবে। জীবনে শুনছেন কোনকিছুর দাম বাড়লে তা আবার কমে সহজে।

;