চড়ামূল্যে কাজ পেতে মিথ্যা তথ্য দিয়েছে গ্যাজপ্রম



সেরাজুল ইসলাম সিরাজ, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাশিয়ান কোম্পানি গ্যাজপ্রমকে সাশ্রয়ী মূল্যে তিনটি কূপ খননের কাজ দেওয়ার সারসংক্ষেপে অনুমোদন দেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু আগের বহুল বিতর্কিত দরের চেয়েও রেকর্ডমূল্যে ভোলায় ৩টি কূপ খননের কাজ দেওয়ার তোড়জোড় চলছে।

রাশিয়ান ওই কোম্পানিটিকে উচ্চমূল্যে কাজ দেওয়া নিয়ে বরাবরেই কঠোর সমালোচনা রয়েছে। রাষ্ট্রীয় কোম্পানি বাপেক্স যে কূপ ৩০ থেকে ৫৫ কোটি টাকায় খনন করতে পারে, একই কাজে তাদের দু’শ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। গ্যাজপ্রমকে এখন পর্যন্ত কয়েক ধাপে ১৭টি কূপ খননের কাজ দেওয়া হয়েছে। এগুলোর্ একেকটির বিপরীতে ১৪ থেকে ১৭.৫ মিলিয়ন ডলার পরিশোধ করা হয়।

আর ভোলায় প্রস্তাবিত নতুন তিনটি কূপ খননের জন্য গ্যাজপ্রম প্রস্তাব দিয়েছে ৬৩ দশমিক ৫৮ মিলিয়ন ডলার (প্রতিটি ২১.৫ মিলিয়ন ডলার)। দু’একজন কর্মকর্তা এতে আপত্তি তোলার চেষ্টা করলেও প্রভাবশালীদের চাপে নিবর হয়ে গেছেন। পেট্রোবাংলার একজন অতিউৎসাহী কর্মকর্তার চাপের কারণে সায় দিতে বাধ্য হন বলে জনশ্রুতি রয়েছে। তাদেরকে বলা হয়েছে এটি ওপর থেকে আদেশ এসেছে। ফাইলে সই না দিলে করুণ পরিণতি ভোগ করতে হবে। শেষ পর্যন্ত গ্যাজপ্রমের সেই প্রস্তাব অনুমোদন হয়েছে। যা শিগগিরই ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভায় উঠতে যাচ্ছে বলে সূত্র নিশ্চিত করেছে।

বাপেক্স সূত্র জানিয়েছে, আগের কূপগুলোর চেয়ে এবারের তিনটি কূপের গভীরতাও কম। স্বাভাবিকভাবেই এবার দর কমে যাওয়ার কথা। উল্টো বেশি হওয়াটা খুবই বিস্ময়কর। গ্যাজপ্রম শাহবাজপুর কূপ#৩ ও কূপ#৪ খনন করেছে। এগুলোর গভীরতা ছিল ৪ হাজার মিটার (এমডি)। আর প্রস্তাবিত তিনটি কূপের গভীরতা হবে প্লাস-মাইনাস ৩৪৫০মিটার। প্রায় ৫০০ মিটার গভীরতা কমলেও দর বেড়েছে অস্বাভাবিকভাবে। প্লাস-মাইনাস ৩৪৫০ মিটার গভীরতায় শাহবাজপুর ইস্ট ও ভোলা নর্থ কূপ খননে প্রতিটির জন্য পেমেন্ট দেওয়া হয়েছে ১৫.৮ মিলিয়ন ডলার। তখনকার সেই দরেই চরম সমালোচিত হয়েছে। বাপেক্স নিজে করলে এর অধের্কের কম খরচে এই কূপ খনন করতে পারে।

গ্যাজপ্রম দর বাড়াতে গিয়ে পুরোপুরি জালিয়াতির আশ্রয় নিলেও পেট্রোবাংলার সেই কর্তারা চোখ বুজে বসে রয়েছেন। ঠিক যেনো কতো বেশি দরে তিনি কাজ দিতে পারেন সেই প্রতিযোগিতায় নেমেছেন। গ্যাজপ্রমের রিগ ভোলাতে থাকলেও তারা রিগ মোবিলাইজেশনের জন্য ৪ দশমিক ২৫ মিলিয়ন ডলার বিল প্রস্তাব করেছে। ২০১৭ সালে ভোলা নর্থ কূপ খনন করার পর বাপেক্সের ইয়ার্ডে রিগ রেখে দেয় গ্যাজপ্রম। রিগটি সরিয়ে না নেওয়া বাপেক্সের পক্ষ থেকে ইয়ার্ড ভাড়া দাবি করে চিঠি দেওয়া হয় রাশিয়ান ওই কোম্পানিকে। রিগটি আজ পর্যন্ত গ্যাজপ্রম সরিয়েও নেননি, আবার ভাড়াও দেননি। বিষয়টি বাপেক্স, পেট্রোবাংলা ও মন্ত্রণালয়ের সকলেই জানলেও রিগ মোবিলাইজেশনের জন্য প্রায় ৩৬ কোটি টাকা পরিশোধ করতে উসখুশ করছে। আর চড়া মূল্য পরিশোধ করতে গিয়ে ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়ছে রাষ্ট্রীয় কোম্পানি বাপেক্স।

আরও পড়ুন: ‘কাজ না করলে পয়সা বেশি’

আবার স্থান নির্বাচন নিয়েও রয়েছে ব্যাপক সমালোচনা। বলা হচ্ছে, যেগুলো এখন খনন করা অনেকটাই অনর্থক। অর্থাৎ গ্যাস পেলেও তা পাইপ লাইনে নেওয়া সুযোগ নেই। ভোলা গ্যাস ফিল্ডে ৪টি কূপ থেকে দৈনিক ৮০ এমএমসিএফ গ্যাস উত্তোলনের সুযোগ থাকলেও চাহিদা না থাকায় ৪০ থেকে ৫০ এমএমসিএফ গ্যাস উত্তোলন করা হচ্ছে। আরও ২টি কূপ (টাগবি ও ভোলা নর্থ) রেডি হয়ে বসে আছে। টাগবি ২০১৭ এবং ভোলা নর্থ ২০১৮ সাল খনন করা হয়। অর্থাৎ ৩ বছর আগেই আরও বেশি গ্যাস উত্তোলনের জন্য প্রস্তুত রয়েছে শাহবাজপুর (ভোলা) গ্যাস ফিল্ড। চাহিদা থাকলে এখনই ১২০ এমএমসিএফডি গ্যাস উত্তোলনে সক্ষম। চাহিদা না থাকায় গ্যাস তুলতে পারছে না বাপেক্স। একটি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নির্মাণ কাজ দ্রুত সময়ের মধ্যে শেষ হতে যাচ্ছে তাতে ৪০ এমএমসিএফডি গ্যাস চাহিদা তৈরি হবে। তারপরও ২০ এমএমসিএফডি গ্যাস থাকবে উদ্বৃত্ত। চড়ামূল্যে অগ্রিম বিনিয়োগ করে রিটার্ন না আসায় সংকটে পড়ছে বাপেক্স। তারা নিজেদের টাকা পরিশোধ করতে না পেরে গ্যাস উন্নয়ন তহবিল থেকে টাকা নিয়ে দায়গ্রস্ত হয়ে পড়ছে।

গ্যাজপ্রমের প্রস্তাবিত তিনটি কূপের মধ্যে দুটি অনুসন্ধান ও একটি মূল্যায়নসহ উন্নয়ন কুপ (এপ্রেইজাল কাম ডেভেলপমেন্ট)। বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইনের আওতায় গ্যাজপ্রমকে এ কাজ দেওয়া হচ্ছে। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় ২০১৮ সালের ৩০ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনের জন্য যে প্রস্তাব সারসংক্ষেপ পাঠায় তাতে স্পষ্ট উল্লেখ করা হয়, গ্যাজপ্রম ‘হ্রাসকৃত মূল্যে’ এই তিনটি কূপ খনন করবে। প্রধানমন্ত্রী সেই প্রস্তাব অনুমোদন করেন।

এতে পেট্রোবাংলা এবং জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের কিছু কর্মকর্তার অতিউৎসাহী ভূমিকা লক্ষ্যণীয়। বিশেষ করে পেট্রোবাংলার পরিকল্পনা বিভাগের এক কর্তার দৌড়ঝাপ বেশ দৃষ্টিকটুভাবেই দৃশ্যমান।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভূতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক বদরুল ইমাম বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ১৯৯৬ সালে ভোলা আবিষ্কার করলো বাপেক্স, ২০১৮ সালে সেখানে আরেকটি ফিল্ড আবিষ্কার করেছে, বাপেক্স মনে করছে সাউথে যাবে। আমরা বাপেক্সকে থামিয়ে দিয়ে গ্যাজপ্রমকে নিয়ে আসলাম। এর মতো আত্মঘাতী আর কোনো বিষয় হতে পারে না। দেশীয় কোম্পানি প্রথম ধাপে সফল, দ্বিতীয় ধাপেও সফল, তৃতীয়ধাপে কাজ করতে চাইল আমরা দিলাম না।

ক্যাবের জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক শামসুল আলম বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ভোলার কূপ খননের বিষয়টি বাংলাদেশের জ্বালানি চাহিদার সঙ্গে সম্পর্কিত নয়। নাইকোকে যেমন বিশেষ ব্যক্তিদের লাভ-লস হিসেবে করে কাজ দেওয়া হয়েছিল, এখানে তেমনি হয়েছে। এখানে বিশেষ ক্ষমতা আইনকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। ১০ টাকার কাজ একশ টাকায় দেওয়া হচ্ছে এমন অরাজকতার দৃষ্টান্ত বিশ্বের কোথাও খুঁজে পাওয়া যাবে না।

পেট্রোবাংলার পরিচালক (পরিকল্পনা) আইয়ুব খান চৌধুরী বার্তা২৪.কম-কে বলেন, আমি সমালোচনার কোনো কারণ দেখি না। গ্যাসের রিজার্ভ বাড়ানোর জন্য এই প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। বেশি দরে কাজ দেওয়া প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বলেন, এ বিষয়ে আমি কোনো মন্তব্য করতে পারবো না।

গ্যাজপ্রমের রিগ ফিল্ডে থাকার পরও মোবিলাইজেশন ফান্ড দেওয়া যৌক্তিকতা কি এমন প্রশ্নের উত্তরে বলেন, এ বিষয়ে আমি কোনো কথা বলতে পারবো না। আপনি বাপেক্সের এমডির সঙ্গে কথা বলেন।

বাপেক্স এমডি মোহাম্মদ আলীকে ফোন দিলেও রিসিভ করেন নি। পরে এসএমএস দিয়েও সাড়া মেলেনি।

বাপেক্সের সাবেক এমডি মুতর্জা আহমেদ ফারুক এক সেমিনারে বলেছেন, বাপেক্স নিজস্ব সিদ্ধান্তে কোনো কাজ করতে পারেন না। বরং জ্বালানি বিভাগ থেকে এবং পেট্রোবাংলা থেকে তাদের পুরোটা নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। সেখানে কিন্তু প্রোপার টেকনিক্যাল লোক নেই। প্রোপার লোককে প্রোপার জায়গায় বসানো উচিত। মূল বিষয় হচ্ছে সরকারকে চাইতে হবে। পরিকল্পনা প্রণয়ন ও কাজ করার ক্ষেত্রে তাদের আরও স্বাধীনতা দেওয়া জরুরি।

এখন পর্যন্ত সিলেট অঞ্চলে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ গ্যাসের রিজার্ভ পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে সিলেট অঞ্চলের পরে ভোলায় বড় গ্যাসের রিজার্ভ রয়েছে। যেখানে কূপ খনন করা হচ্ছে সেখানেই গ্যাসের সন্ধান মিলছে। ধারণা করা হচ্ছে এই গ্যাসের স্তর সাগর এবং বিচ্ছিন্ন দ্বীপ পর্যন্ত প্রায় ২ হাজার বর্গকিলোমিটার এলাকাজুড়ে বিস্তৃত। সম্ভাবনাময় এই অঞ্চলটিকে বিদেশিদের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য অনেক আগে থেকেই ষড়যন্ত্র চলছে, এখনও বিদ্যমান। বাংলাদেশের কর্মকর্তারা কেউ টাকার কাছে কেউ প্রমোশনের লোভে, আবার কেউ চোখ রাঙানির কাছে আত্মসমর্পণ করেন।

   

সরবরাহ বাড়ায় কমেছে পেঁয়াজের দাম



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দামে যখন ঊর্ধ্বগতি তখন স্বস্তির বার্তা হয়ে এসেছে পেঁয়াজের দাম। গেলো কয়েক সপ্তাহে যেখানে পেঁয়াজের ঝাঁজে ক্রেতাদের নাজেহাল অবস্থা। সেই পেঁয়াজ এখন বাজারে পাওয়া যাচ্ছে সুলভ মূল্যে। মূলত দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়ায় এবং ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির ঘোষণার পর থেকে নেমে এসেছে পেঁয়াজের দাম।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) সকালে রাজধানীর হাতিরপুল বাজার ঘুরে দেখা গেছে গত সপ্তাহে যে পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছিল ৯০-১০০ টাকা তা মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধানে নেমে এসেছে অর্ধেকেরও কম দামে। বাজার ঘুরে দেখা যায় প্রকারভেদে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪০-৪৫ টাকা যা পাইকারি বাজারে ৩০-৩৫ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।

ক্রেতারা বলছেন গত কয়েক সপ্তাহে সবকিছুর দামে যে আগুন লেগেছিল তা মনে হয় কিছুটা কমতে শুরু করেছে। যদিও অসাধু ব্যবসায়ীরা যা ব্যবসা করার তা করে ফেলেছে। সবার বাসায় এখন পর্যাপ্ত পেঁয়াজ, আলু ও অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের পর্যাপ্ত মজুদ আছে। তাই ক্রেতাদের আনাগোনা বাজারে কমে যাওয়ায় কমেছে জিনিসপত্রের দাম।

শুক্রবার বাজারে প্রতি কেজি শশা বিক্রি হচ্ছে ৬০-৭০। ক্যাপসিকাম ২৫০-৩০০ টাকা। বেগুন প্রতি কেজি ৫০-৬০, লেবুর হালি প্রকারভেদে ২০-৫০ টাকা, কচুর লতি ৬০ টাকা, শিম ৪০ টাকা, মুলা ৩০ টাকা, লাউ ৮০ টাকা, চাল কুমড়া ৫০, করলা ৬০-৭০, টমেটো ৫০-৬০ কেজি, পটল ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া প্রতি পিছ ৪০টাকা, বাঁধাকপি ৪০, ফুলকপি ৫০ এবং কাঁচকলা বিক্রি হচ্ছে ৩০-৪০ টাকা দরে।

পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকায় আগের দামেই পাওয়া যাচ্ছে সকল মাছ

এছাড়া আলু ৪০ টাকা প্রতি কেজি, আদা ২২০, রসুন ২০০, কাঁচামরিচ ৪০ টাকা, পেয়াজ ৪০-৪৫ টাকা , ধনেপাতা ৬০ টাকা কেজি।

হাতিরপুল বাজারের বিক্রেতা নিরব জানান, গত সপ্তাহের চাইতে এই সপ্তাহে সবজির দাম কিছুটা কম। মূলত আমদানি বাড়ার কারণে দাম কমেছে পেঁয়াজ সহ সকল শাক সবজির দাম। আগে ৮০ টাকার নিচে সবজির গায়ে হাত দেয়া যেতো না। কিন্তু এখন তা ৩০ থেকে ৪০ টাকায় নেমে এসেছে।

আরেক ব্যবসায়ী আমান হোসেন জানান, বেগুন ব্যবসায়ীরা এবার ধরা খাইছে। রমজানের প্রথম দুই দিনে বেগুন নিয়ে যে সিন্ডিকেট হইছিলো তাতে পাবলিক ক্ষেপে গিয়ে বেগুন কেনা কমাইয়া দিছে তাই প্রথম দুই দিনে বেগুন ১২০ টাকা করে পাইকারি বিক্রি হলেও এখন তা প্রকারভেদে মাত্র ১০-৩০ টাকা পাইকারিতে পাওয়া যাচ্ছে। এছাড়া ঈদের আগে আর কোন জিনিসের দাম বাড়ার সম্ভাবনা নাই আশাকরি।

এদিকে মাছের বাজারেও দেখা গেছে একই চিত্র। বাজারে ক্রেতা কম থাকায় এবং মাছের পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকায় আগের দামেই পাওয়া যাচ্ছে সকল মাছ।

বাজারে প্রতি কেজি কাচকি পাওয়া যাচ্ছে ৪০০-৬০০ টাকা কেজি। এছাড়া বেলে মাছ ৫০০, ফলি ৫০০, কোরাল ৭০০, পাবদা ৪৫০, লইট্টা ৩০০, বোয়াল ৬০০, আইর ৮০০, রুই ৩৫০, চিতল ৮০০, পাঙ্গাশ ২০০ তেলাপিয়া ২২০, বড় চিংড়ি ১০০০, রুপচাঁদা ১৩৫০, এবং ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ১২০০ টাকা কেজি দরে।

;

রিজার্ভের পরিমাণ জানাল কেন্দ্রীয় ব্যাংক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
রিজার্ভের পরিমাণ জানাল কেন্দ্রীয় ব্যাংক

রিজার্ভের পরিমাণ জানাল কেন্দ্রীয় ব্যাংক

  • Font increase
  • Font Decrease

দীর্ঘদিন ধরে দেশে ডলার সংকটের প্রভাবে বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চয় বা রিজার্ভ ধারাবাহিকভাবে কমছে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সর্বেশষ গণনায় দেশের রিজার্ভ ১৯ দশমিক ৪৫ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। অন্যদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসেবে তা ২৪ দশমিক ৮১ বিলিয়ন ডলার।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সাপ্তাহিক হালনাগাদ প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। 

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত এক সপ্তাহে গ্রস রিজার্ভ কমেছে ৫৩ কোটি ডলার। বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে গত ২১ মার্চ সঞ্চিত বিদেশি অর্থের পরিমাণ ছিল ২৫ দশমিক ২৪ বিলিয়ন ডলার। আর আইএমএফের গণনা পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী তা ছিল ১৯ দশমিক ৯৮ বিলিয়ন ডলার।

এ ছাড়া কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিট রিজার্ভের আরেকটি হিসাব রয়েছে। যা শুধু প্রকাশ করা হয় না, শুধুমাত্র আইএমএফকে দেওয়া হয়। জানা গেছে, ওই হিসাবে বর্তমানে দেশের প্রকৃত রিজার্ভ এখন প্রায় সাড়ে ১৭ বিলিয়ন ডলার। যা দিয়ে ৩ মাসের আমদানি ব্যয় মিটবে।

অর্থাৎ, পণ্য কেনা বাবদ মাসিক প্রায় ৬ বিলিয়ন ডলার করে দায় পরিশোধ করা হয়। নিয়ম অনুযায়ী যেকোনো দেশের ন্যূনতম ৩ মাসের আমদানি খরচের সমান রিজার্ভ থাকতে হয়। বাংলাদেশেরও সেই পরিমাণ রিজার্ভ রয়েছে।

;

ইসলামী ব্যাংকে বঙ্গবন্ধুর জীবনাদর্শের উপর আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির উদ্যোগে এবং বঙ্গবন্ধু পরিষদ ইসলামী ব্যাংক ইউনিটের সহযোগিতায় “বঙ্গবন্ধুর জীবনাদর্শ ও বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবন” শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী এবং স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন। ব্যাংকের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর ও সিইও মুহাম্মদ মুনিরুল মওলার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আ.ব.ম ফারুক, ইসলামী ব্যাংকের পরিচালক, মুক্তিযোদ্ধা মো. জয়নাল আবেদীন, বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্টের সচিব অধ্যক্ষ মো. শাহজাহান আলম সাজু, বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক একেএম আফজালুর রহমান বাবু, বঙ্গবন্ধু পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডাঃ শেখ আব্দুল্লাহ আল মামুন। স্বাগত বক্তব্য দেন বঙ্গবন্ধু পরিষদ ইসলামী ব্যাংক ইউনিটের সভাপতি মো. মোজাহারুল ইসলাম মেহেদী। অনুষ্ঠানে প্রধান কার্যালয়ের নির্বাহী ও কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

;

চীনের সঙ্গে এফটিএ করতে সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রতিবেদন বিনিময়



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
চীনের সঙ্গে এফটিএ করতে সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রতিবেদন বিনিময়

চীনের সঙ্গে এফটিএ করতে সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রতিবেদন বিনিময়

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে বাণিজ্য এবং বিনিয়োগ বাড়ানোর লক্ষ্যে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) সই করার বিষয়ে যৌথভাবে খসড়া সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রতিবেদন বিনিময় করেছে দুই দেশ।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এ সমীক্ষা প্রতিবেদন বিনিময় করে বাংলাদেশ ও চীন।

এসময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ, বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

তপন কান্তি ঘোষ বলেন, বাংলাদেশের স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ বর্তমান সরকারের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রার উল্লেখযোগ্য অর্জন। এ অর্জন বিশ্বে বাংলাদেশের ইতিবাচক ভাবমূর্তি সৃষ্টি এবং বিনিয়োগ ও বাণিজ্যে নতুন সম্ভাবনা তৈরির পাশাপাশি বেশ কিছু চ্যালেঞ্জও তৈরি করবে।

তিনি আরও বলেন, যার মধ্যে স্বল্পোন্নত দেশ হিসাবে উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশে পণ্য রপ্তানির সময় শুল্কমুক্ত কোটামুক্ত প্রবেশাধিকার সুবিধা ২০২৬ সালের পরে হারানো এবং মূল্য সংযোজনের হার অন্যতম। এর ফলে বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যকে ওই সব দেশের বাজারে প্রবেশের সময় সাধারণভাবে আরোপিত শুল্কের সম্মুখীন হতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ফলে ওই সকল দেশে বাংলাদেশের রপ্তানি বাজার সংকোচনের সম্ভাবনা রয়েছে।

কবে নাগাদ এফটিএ সই হতে পারে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, এখনো চুক্তি হয়নি। এখন আলোচনা শুরু হবে। আগামী তিন বছরের মধ্যে চুক্তি সম্পন্ন করতে পারলে ভালো। যদি না হয় আমাদের আলোচনা চালিয়ে যেতে হবে। আলোচনা শেষ না হলে ততোদিন যেন আমাদের এলডিসি হিসাবে এই সুবিধাগুলো তাঁরা দেয় এর জন্য বলবো।

চুক্তির ফলে বাংলাদেশ কি ধরনের সুবিধা পাবে এ বিষয়ে তপন কান্তি ঘোষ বলেন, আমাদের প্রধান রপ্তানি পণ্য গার্মেন্টের বাইরে আরও কিছু পণ্য আছে। রাষ্ট্রদূততের সঙ্গে আলাপকালে তিনি জানিয়েছেন আম ও পাটজাত পণ্যের অনেক সম্ভাবনা আছে। তারপর হস্তশিল্পের বিষয় আছে।

তিনি বলেন, এছাড়া আরও পণ্য আছে। আমরা ইতোমধ্যে চামড়া রপ্তানি করছি। আমরা মানসম্মত চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি করতে পারি। চীনে ১৪০ কোটি মানুষ। সেখানে যদি আমরা বৈচিত্র্য পণ্য নিয়ে যেতে পারি, বড় বাজার। চুক্তি হয়ে গেলে বিনিয়োগ বাড়ারও সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান তিনি।

তপন কান্তি ঘোষ বলেন, আমরা প্রধানত তৈরি পোশাক রপ্তানি করি। ২০২২-২৩ অর্থবছরে আমরা চীনে ৬৭৭ মিলিয় মার্কিন ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছি। বিপরীতে চীন থেকে ২২ দশমিক ৯০ বিলিয়ন ডলার আমদানি করা হয়েছে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেন, বাংলাদেশে চীনের বড় বিনিয়োগ রয়েছে। এখন চীন বাংলাদেশে দ্বিতীয় বৃহৎ বিনিয়োগকারী দেশ। এফটিএ সই হওয়ার পর বিনিয়োগ আরও বাড়বে। বাংলাদেশ চীনে আম, কাঠাল, আলু, পাটপণ্য, চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি করতে পারে।

তিনি আরও বলেন, বর্তমান বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এবং টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য এফটিএ করা প্রয়োজন।

অনুষ্ঠানে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এলডিসি উত্তরণ পরবর্তী সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকারের অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা অনুসারে বাংলাদেশের রপ্তানি বাজার সংরক্ষণ এবং সম্প্রসারণে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে বাণিজ্যিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন দেশ ও ট্রেড ব্লকের সাথে আঞ্চলিক বাণিজ্য চুক্তি সম্পাদনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।

;