‘টিকে থাকতে হলে জ্বালানি সাশ্রয়ী ব্যবহার জরুরি’
জ্বালানির দক্ষ ব্যবহার করতে না পারলে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকা কঠিন হবে। গার্মেন্টস এবং টেক্সটাইল শিল্পে আমাদের অবস্থান কোথায়, সেটির স্ট্যাডি হওয়া প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব মো. হাবিবুর রহমান।
শনিবার (২২মে) এনার্জি এন্ড পাওয়ার ও স্রেডার উদ্যোগে আয়োজিত ‘ওয়ার্কিং গ্রুপ কনসেপ্ট টু প্রমোট এনার্জি ইফিসিয়েন্সে ইন গার্মেন্ট এন্ড টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রি’ শীর্ষক ভার্চুয়াল সেমিনারে এমন মতামত উঠে আসে। সেমিনারটি সঞ্চালনা করেন এনার্জি এন্ড পাওয়ারের এডিটর মোল্লাহ আমজাদ হোসেন।
হাবিবুর রহমান আরও বলেন, দিনের শেষে আমাদেরকে প্রতিযোগিতা করতে হবে। জ্বালানির দক্ষ ব্যবহার ও ব্যয় কম রাখা খুবই জরুরি। বিদ্যুৎ বিভাগ এসব ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের বস্ত্র ও গার্মেন্ট খাত থেকে ৮৫ শতাংশ রফতানি আয় আসে। জ্বালানির সাশ্রয়ী ব্যবহার নিশ্চিত করতে অনেক শিল্প কাজ করছে, কিন্তু অনেকে এটির আওতায় আসা সম্ভব হয়নি। অন্তত সহজে যেসব বিষয় অর্জন করা সম্ভব, সেগুলো ব্যবহার করা সম্ভব। বিজিএমই এর অধীনস্থ কোম্পানিগুলোতে কিভাবে কাজ করা যায়, তার জন্য এমওইউ করা হয়েছে। এতে আরও বেশি কোম্পানি এগিয়ে আসতে পারবে।
বিজিএমইএ প্রেসিডেন্ট ফারুক হাসান বলেন, গার্মেন্ট সেক্টর সম্ভাব্য সকল ক্ষেত্রে কাজ করার চেষ্টা করে যাচ্ছে। তিন বিজিএমই মেম্বার কোম্পানি ওয়ার্কিং গ্রুপ কনসেপ্টে কাজ করছে। আমার বিশ্বাস যৌথভাবে আরও বেশি এগিয়ে যাওয়া সম্ভব।
জ্বালানি বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ইজাজ হোসেন বলেন, মূল প্রবন্ধে ২০১৬ সালের তথ্য দেওয়া হয়েছে। তার মানে হচ্ছে বর্তমানের অবস্থা জানি না। বাংলাদেশের এটি বড় সমস্যা আমরা ঠিকমতো ডাটা পাই না। অনেক সময় সঠিক তথ্য দেওয়া হয় না। আমার প্রত্যাশা ছিল অনেক বেশি ডেটা পাবো। গার্মেন্ট শিল্প একটি বড় সেক্টর, ওয়ার্কিং গ্রুপ কনসেপ্ট গুড কনসেপ্ট, কিন্তু কিভাবে বাস্তবায়ন হবে সেটি নিয়ে সংশয় রয়েছে আমার। একটাও কোয়ালিফাই প্রকৌশলী নেই। তাহলে কিভাবে বাস্তবায়ন হবে।
আন্তর্জাতিক জ্বালানি বিশেষজ্ঞ প্রকৌশলী খন্দকার সালেক সূফী বলেন, বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন এনার্জি সাশ্রয়ী বিষয়টি মনিটরিং করতে পারে, তাদের করা উচিত। সাশ্রয়ী এনার্জি নিশ্চিত করা ছাড়া বাংলাদেশের টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করা সম্ভব নয়।
জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ড. নুরুল ইসলাম বলেন, একটা ডিসিশন অবশ্যই নিতে হবে। এনার্জি ডাটা অবশ্যই প্রতিবছর ঘোষণা করতে হবে। এনার্জি সাশ্রয়ী পাবলিকেশনগুলো পাবলিক করা যায়। যারা কমিটিতে থাকে শুধু তারাই জানবে অন্যদের জানার সুযোগ থাকবে না।
জিআইজেড’র (ভিয়েতনাম) মার্কুস বিসেল বলেন, গার্মেন্ট শিল্পে ভিয়েতনাম এখন বিশ্বের পঞ্চম স্থানে রয়েছে। এই খাতে ৩.৫ মিলিয়ন শ্রমিক কাজ করছে। ৭.৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি এই খাতের। ১.৫ থেকে ১.৭ শতাংশ এনার্জি কস্ট বেশি চীন ও থাইল্যান্ডের তুলনায়। ভিয়েতনাম সাশ্রয়ী এনার্জি নিশ্চিত করার জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।
অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, স্রেডার (টেকসই ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলাউদ্দিন, জিআইজেড-এর অনুষ্ঠান সমন্বয়ক মোদব্বির বিন আনাম, তুসুকা গ্রুপের পরিচালক দেলোয়ার হোসেন, ডিবিএল গ্রুপের মোহাম্মদ জাহিদুল্লাহ, মোহাম্মদ গ্রুপের হেড অব অপারেশন মোহাম্মদ রেহান ইদ্রিস, মুল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জিআইজেড’র সিনিয়র অ্যাডভাইজার শফিকুল আলম।