ঢাকার বাইরে ১০, ঢাকায় ৮০
ঢাকার বাইরে ১০ টাকা কেজি দরে কাঁচা মরিচের বিক্রি হলেও ঢাকার পাইকারি বাজারে ২৫ থেকে ৩০ আর অন্যান্য বাজারে বিক্রি হচ্ছে সেটি ৬০ থেকে ৮০ টাকা কেজিতে। মাত্র দুই হাত ঘুরে দুই থেকে তিন গুণ দামে বিক্রি হচ্ছে কাঁচা মরিচ।
আজ শুক্রবার ও গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর মাটিকাটা বাজারে সবচেয়ে ভালো মানের কাঁচা মরিচ বিক্রি হয়েছে ৮০ টাকা কেজি। কারওয়ান বাজারে বিক্রি হয়েছে ৩০ টাকায় আর ঢাকার পাশের জেলা মানিকগঞ্জে সেই মরিচ বিক্রি হচ্ছে ১০ টাকা কেজিতে।
দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে সবজি কিনে ব্যাপারীরা কারওয়ান বাজারে নিয়ে আসেন। সেখান থেকে আড়তদারের মাধ্যমে পাইকারি ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করেন। খুচরা ব্যবসায়ীরা তাঁদের কাছ থেকে পাল্লা দরে কিনে নেন।
ক্রেতারা বলছেন, একসঙ্গে এক কেজি করে খুব কম ক্রেতাই কাঁচা মরিচ কেনেন। বেশির ভাগই আড়াই শ গ্রামের মধ্যে কিনে থাকেন। ফলে খুচরা বিক্রেতারা বাড়তি দামের বোঝাটা চাপিয়ে দিতে পারেন খুব সহজেই।
কারওয়ান বাজারের সবজির বিক্রেতা যমুনা ভাণ্ডার সূত্রে জানা যায়, দেশের কোথাও কোথাও সবজির ক্ষেত ডুবে গেছে, কোথাও অতিবৃষ্টির কারণে পানি জমে সবজি পচে গেছে। ফলে সবজির সরবরাহ কম। এতে প্রায় সব ধরনের সবজির দামই বাড়ছে। কিন্তু ব্যতিক্রম হলো কাঁচা মরিচ। মরিচের ক্ষেত ডুবে যাওয়ার আগেই কৃষক ক্ষেত থেকে তুলে ফেলছেন। অনেকে অন্য ফসল করবেন বলে তুলে ফেলেছেন। এতে মরিচের দাম কমে গেছে।
রাজধানীর খুচরা বাজারগুলোতে পটোল, কাঁকরোল, ঢেঁড়স, বেগুন, চিচিঙ্গাসহ বেশির ভাগ সবজি বিক্রি হয়েছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি। গত সপ্তাহে এসব সবজি ৫০ টাকার মধ্যে পাওয়া যেত। করলা বিক্রি হয়েছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি। টমেটো ও চায়না গাজর ৮০ থেকে ১০০ টাকা কেজি বিক্রি হয়েছে। আলু পাওয়া যাচ্ছে ২৫ টাকা কেজিতে। লাউ প্রতি পিস ৪০ থেকে ৬০ টাকা।