বিনিয়োগের সম্ভাবনাময় গন্তব্য বাংলাদেশ: জাপানী রাষ্ট্রদূত

  • নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

জাপানী কোম্পানীগুলো এশিয়ায় বাংলাদেশকে তাদের বিনিয়োগের নতুন ফ্রন্টিয়ার হিসেবে মনে করছে। গতকাল, ২৭ সেপ্টেম্বর ঢাকায় অনুষ্ঠিত এক ডিজিটাল সেমিনারে বাংলাদেশে জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি অনুরূপ মন্তব্য করেন। বাংলাদেশ-জাপান বানিজ্য ও ব্যবসায়িক সম্পর্ক উন্নতিতে ব্যাংকিং সহায়তা বিষয়ে সেমিনারটি সৌথভাবে আয়োজন করে ইস্টার্ণ ব্যাংক লিমিটেড (ইবিএল) এবং জাপান এক্সটারনাল ট্টেড অর্গানাইজেশন (জেটরো)।

জাপানী রাষ্ট্রদূত আমদানী লেনদেন নিস্পত্তিতে টেলিগ্রাফিক ট্রান্সফারের সীমিত ব্যবহারকে বাংলাদেশ ব্যবসার ক্ষেত্রে একটি প্রতিবন্ধকতা হিসেবে উল্লেখ করেন।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক বানিজ্য নিষ্পত্তিতে টেলিগ্রাফিক ট্রান্সফার আজকাল একটি অতি প্রচলিত পদ্ধতি। বৈশ্বিক সাপ্লাই চেইনে বাংলাদেশের সংযুক্তির জন্য পদ্ধতিটিকে স্ট্যান্ডার্ড হিসেবে গ্রহন করা প্রয়োজন।

বাংলাদেশে কার্যক্রম পরিচালনাকারী শীর্ষস্থানীয় জাপানী ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত সেমিনারটির লক্ষ্য ছিলো দেশে জাপানী বিনিয়োগের জন্য প্রয়োজনয়ি ব্যাংকিং প্রোডাক্ট ও সেবা সম্পর্কে আলোচনা করা।

বিজ্ঞাপন

ইবিএল ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী আলী রেজা ইফতেখার জাপানকে বাংলাদেশের বৃহত্তম উন্নয়ন অংশীদার হিসেবে অভিহিত করে বলেন যে দেশের শীর্ষস্থানীয় বেসরকারী বানিজ্যক ব্যাংক হিসেবে এদেশে ব্যবসা পরিচালনাকারী জাপানী প্রতিষ্ঠানগুলোর ক্রমবর্ধমান ব্যাংকিং চাহিদা মিটাতে প্রয়োজনীয় পন্য ও সেবা দিতে ইস্টার্ণ ব্যাংককে এগিয়ে আসতে হবে। এ প্রসংঙ্গে তিনি জানান যে ইবিএল জাপানী প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যাংকিং চাহিদা মিটাতে এবং ওয়ান-স্টপ সেবা প্রদানে শীঘ্রই জাপান ডেক্স চালু করতে যাচ্ছে।

জেটরোর কান্ট্রি প্রতিনিধি ইউজি এনদো বলেন যে, জাপান ও বাংলাদেশের মধ্যে একটি বিশেষ সম্পর্ক বিরাজমান যা সময়ের পরীক্ষায় উত্তীর্ন। কোভিড -১৯ অতিমারীকালে জাপানী প্রতিষ্ঠানগুরো সাপ্লাই চেইনে বিঘ্নজনিত জটিলতার শিকার হয়েছে। ঝুকি হ্রাসের জন্য তারা সাপ্লাই চেইনে বৈচিত্রতা আনার কথা ভাবছে। জাপানী প্রতিষ্ঠানগুলোর উৎপাদনে বৈচিত্র আনার জন্য বাংলাদেশকে অন্যতম একটি সম্ভাব্য দেশ হিসেবে তিনি মনে করেন।

ইবিএল উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং কর্পোরেট ব্যাংকিং প্রধান আহমেদ সাহিন জাপানী প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য উপযোগী বিভিন্ন ইবিএল সেবা ও অফারের ওপর একটি প্রেজেন্টেশন প্রদান করেন এবং অংশগ্রহনকারীদের প্রশ্নের জবাব দেন।

বাংলাদেশে জাপানী দূতাবাসের ফার্স্ট সেক্রেটারী এবং অর্থনৈতিক বিভাগ প্রধান হারুতা হিরোকি, ঢাকায় জাপান বানিজ্য ও শিল্প সংগঠনের প্রেসিডেন্ট হিকারি কাওয়াকি এবং জাপান-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রীজ-এর সহ সভাপতি এস এম শরীফুল আলম প্রমূখ সেমিনারে অংশগ্রহণ করেন।