জেদ্দা-রিয়াদ-মদিনা ফ্লাইট পরিচালনা করবে ইউএস বাংলা
ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স প্রতিষ্ঠার শুরু থেকে যাত্রীদের চাহিদা অনুযায়ী বিভিন্ন পরিকল্পনা বাস্তবায়নে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। ২০২২ সালে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স, বিশ্ব এভিয়েশন তথা বাংলাদেশ এভিয়েশন মার্কেটে করোনা পরবর্তী সময়ে নানাবিধ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে।
মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম দেশ সৌদি আরবের বিভিন্ন অঞ্চলে বাংলাদেশি প্রবাসীদের বৃহদাংশ বসবাস করে। ইউএস-বাংলার অগ্রযাত্রার সাথে সাথে সৌদি প্রবাসী বিশেষ করে জেদ্দা, রিয়াদ, মদিনা, দাম্মামে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের যাত্রীসেবা দেওয়ার জন্য আগামী বছরের জুনে ঢাকা থেকে জেদ্দা, রিয়াদ ও মদিনা রুটে ফ্লাইট পরিচালনা শুরু করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ঢাকা থেকে জেদ্দা, রিয়াদ ও মদিনায় ফ্লাইট চলাচলের জন্য বিশ্ববিখ্যাত এয়ারলাইন্স এমিরেটস, কাতার এয়ারওয়েজ, সৌদি এয়ারলাইন্স যে ধরনের এয়ারক্রাফট বিশেষ করে এয়ারবাস ৩৩০-২০০/৩০০ ব্যবহার করে থাকে, ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সও বাংলাদেশি প্রবাসীদের একই ধরনের এয়ারক্রাফট ব্যবহার করে যাত্রীসেবা দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছে।
২০১৪ সালের ১৭ জুলাই থেকে যাত্রা শুরু করা ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স গত প্রায় ৮ বছর যাবত স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ এভিয়েশন মার্কেটে যাত্রীদের মধ্যে আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। যাত্রা শুরুর পর ধারাবাহিকভাবে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স দেশের অভ্যন্তরীণ রুটে ফ্লাইট পরিচালনা শুরু করেছে, এমনকি ক্রস কান্ট্রি ফ্লাইট ধারনা থেকে যশোর থেকে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার কিংবা সৈয়দপুর থেকে চট্টগ্রামে ফ্লাইট পরিচালনা করছে।
পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স দু’বছর পূর্তি হওয়ার পূর্বেই ঢাকা থেকে কাঠমান্ডু রুটে ফ্লাইট পরিচালনার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রবেশ করে। ব্যবসায়ের অগ্রযাত্রার স্থিতিশীলতা বজায় রেখে এগিয়ে চলা ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের বিমান বহরে ৪টি বোয়িং ৭৩৭-৮০০, ৭টি ব্যান্ডনিউ এটিআর ৭২-৬০০ সহ মোট ১৪ টি এয়ারক্রাফট রয়েছে।
আগামী পাঁচ মাসের মধ্যে বিমান বহরে ৩টি বোয়িং ৭৩৭-৮০০ ও ৪টি ব্যান্ডনিউ এটিআর ৭২-৬০০ যোগ করতে যাচ্ছে ইউএস-বাংলা। মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম গন্তব্য জেদ্দা, রিয়াদ, মদিনা রুটসহ ইউরোপে বিশেষ করে লন্ডন, আমস্টারডাম, রোমসহ বিভিন্ন গন্তব্যে ফ্লাইট পরিচালনার জন্য ২০২২ ও ২০২৩ সালের মধ্যে আটটি এয়ারবাস ৩৩০-২০০/৩০০ এয়ারক্রাফট যুক্ত করার পরিকল্পনা নিয়েছে দেশের সর্ববৃহৎ বেসরকারি এয়ারলাইন্স ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স।
পরিকল্পনা অনুযায়ী স্বাধীনতার পর চীনের কোন গন্তব্যে বাংলাদেশি এয়ারলাইন্স হিসেবে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স ঢাকা থেকে গুয়াংজু রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করছে। সেই সঙ্গে বাংলাদেশ থেকে ভারতের চেন্নাই ও কলকাতায় বিপুল সংখ্যক রোগী চিকিৎসা সেবা নেওয়ার উদ্দেশ্যে ভ্রমণকারীদের সেবা দেওয়ার জন্য ঢাকা থেকে চেন্নাই ও কলকাতায় সরাসরি ফ্লাইট পরিচালনা করছে।
বাংলাদেশি শ্রমিকদের আধিক্য আছে তেমনি মাস্কাট, দোহা, দুবাই, কুয়ালালামপুর, সিঙ্গাপুর, মালে ফ্লাইট পরিচালনা করছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স। বাংলাদেশি পর্যটকদের জন্য সাময়িকভাবে ঢাকা-ব্যাংকক রুটে ফ্লাইট পরিচালনা বন্ধ আছে। খুব শিগগিরই ঢাকা থেকে কলম্বো রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করতে যাচ্ছে ইউএস-বাংলা।
পরিকল্পনা আর বাস্তবায়নের সাথে এগিয়ে চলেছে বাংলাদেশ এভিয়েশনের সর্বকনিষ্ঠ এয়ারলাইন্স ইউএস-বাংলা। সঠিক পরিকল্পনা আর বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আগামী বছরের জুন মাসে এয়ারবাস ৩০০-২০০/৩০০ এয়ারক্রাফট দিয়ে ঢাকা থেকে জেদ্দা, রিয়াদ ও মদিনাতে সরাসরি ফ্লাইট চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।