ওয়ালটন উদীয়মান বাংলাদেশের প্রতিচ্ছবি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ওয়ালটন স্টেট অব দ্য আর্ট সফিস্টিকেটেড শিল্প-প্রতিষ্ঠান। ওয়ালটন উদীয়মান নতুন বাংলাদেশের প্রতিচ্ছবি। ওয়ালটন কারখানার পরিবেশ ইউরোপ-আমেরিকার চেয়েও উন্নত।
শনিবার (২৭ নভেম্বর) গাজীপুরের চন্দ্রায় ওয়ালটন কারখানা পরিদর্শনকালে এসব কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
এদিন দুপুরে কারখানা কমপ্লেক্সে পৌঁছালে পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ভাইস-চেয়ারম্যান এস এম শামছুল আলম, ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা গোলাম মুর্শেদ এবং পরিচালক সাবিহা জারিন অরনা।
সে সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব ইমদাদুল হক, ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর হুমায়ূন কবীর ও আলমগীর আলম সরকার, ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর লিয়াকত আলী ভুঁইয়া, ওয়ালটনের জ্যেষ্ঠ নির্বাহী পরিচালক কর্নেল (অব.) শাহাদাত আলম, উদয় হাকিম, ইউসুফ আলী, ইয়াসির আল ইমরান, নির্বাহী পরিচালক আব্দুলাহ আল মামুন, শাহজাদা সেলিম প্রমুখ।
কারখানা পরিদর্শন শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমার বড় ভাই সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত আমাকে বলেছিলেন, তুমি ওয়ালটন দেখলে বাংলাদেশে কি হচ্ছে সেটা বুঝতে পারবে। এমার্জিং বাংলাদেশ, নিউ বাংলাদেশ যদি তুমি দেখতে চাও, তবে তোমাকে অবশ্যই ওয়ালটন ভিজিট করতে হবে। অনেকদিন ধরেই ওয়ালটন কারখানায় আসার ইচ্ছা ছিলো। আমি খুবই আনন্দিত যে আজ ওয়ালটনে আসতে পেরেছি।
তিনি আরও বলেন, ওয়ালটন দেখে গর্ব করে বলতে পারি আমরা শুধু অবকাঠামো গড়ে তুলেনি, বরং স্টেট-অব-দি আর্ট ও সফিস্টিকেটেড শিল্প-প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে পেরেছি। আমি আমেরিকা, জাপানসহ অনেক দেশের ফ্যাক্টরি দেখেছি। কিন্তু ওয়ালটনের মতো এ রকম উন্নত পরিবেশ খুব কম দেখেছি। ভবিষ্যত কেমন হতে পারে ওয়ালটনের উদ্যোক্তারা আগে-ভাগেই সেটা বুঝতে পেরেছিলেন। এটা অন্যান্য উদ্যোক্তাদের জন্য অনুকরণীয়।
কারখানা পরিদর্শন করায় পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের এমডি ও সিইও গোলাম মুর্শেদ। তিনি বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বাংলাদেশ গড়তে সরকারের যে স্বপ্ন, সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে সহযোগী হিসেবে থাকবে ওয়ালটন।
এর আগে কারখানা প্রাঙ্গণে পৌঁছে অতিথিরা প্রথমে ওয়ালটনের বিশাল কর্মযজ্ঞের ওপর নির্মিত ভিডিও ডকুমেন্টারি উপভোগ করেন। এরপর ওয়ালটনের সুসজ্জিত প্রোডাক্ট ডিসপ্লে সেন্টার ঘুরে দেখেন। পরে অতিথিরা ওয়ালটনের মেটাল কাস্টিং, কম্প্রেসর, রেফ্রিজটারেটর, এয়ার কন্ডিশনার, এলইডি টেলিভিশন, কম্পিউটার-ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন, হোম অ্যাপ্লায়েন্সসহ বিভিন্ন পণ্যের উৎপাদন প্রক্রিয়া সরেজমিনে পর্যবেক্ষণ করেন।