কমলো এলপি গ্যাসের দর, ১২ কেজি ১২২৮ টাকা

  • স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

ডিসেম্বর মাসে ভোক্তা পর্যায়ে এলপিজির (১২ কেজি) দাম কমিয়ে ১২২৮ টাকা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। যা নভেম্বর মাসে ছিল ১৩১৩ টাকা। অন্যদিক যানবাহনে ব্যবহৃত অটোগ্যাস লিটার প্রতি ৫৭.২৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) নতুন এই দর ঘোষণা দিয়েছে। ভার্চুয়াল এই দর ঘোষণা অনুষ্ঠানে অংশ নেন বিইআরসি চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল, কমিশনের সদস্য মকবুল ই-এলাহী চৌধুরী, মোহাম্মদ আবু ফারুক, মোহাম্মদ বজলুর রহমান ও মোঃ কামরুজ্জামান।

বিজ্ঞাপন

বিইআরসি চেয়ারম্যান বলেন, প্রতি কেজির মূল্য মুসক ব্যতিত ৯৫.৯১ টাকা এবং মুসকসহ সর্বোচ্চ ১০২.৩২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। নতুন এই দর ৩ ডিসেম্বর থেকে কার্যকর হবে। এক প্রশ্নের জবাবে চেয়ারম্যান বলেন, এখন বিইআরসি ঘোষিত দর অনুযায়ী বিক্রি হচ্ছে। কোথাও দর যথাযথভাবে পালন না হলে, সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

গত ১২ এপ্রিল প্রথমবারের মতো এলপি গ্যাসের দর ঘোষণা করে বিইআরসি। তখন বলা হয়েছিল আমদানি নির্ভর এই পণ্যটির সৌদি রাষ্ট্রীয় কোম্পানি আরামকো ঘোষিত দরকে প্রতি মাসের ভিত্তি মূল্য ধরা হয়েছে। সৌদির দর উঠা-নামা করলে এলপিজির মুল্য উঠা-নামা করবে। আমদানিকারকের অন্যান্য কমিশন ও খরচ অপরিবর্তিত থাকবে। নভেম্বর মাসে সৌদি সিপির দর ছিল প্রোপেন ৮৭০ ডলার ও বিউটেন ৮৩০ ডলার। যা চলতি মাসে কমে যথাক্রমে মেট্রিক টন ৭৯৫ ও ৭৫০ ডলারে বিক্রি হচ্ছে। ঘোষণার পর থেকে প্রতিমাসে এলপিজির দর ঘোষণা করে আসছে বিইআরসি। কিন্তু বাস্তবে সেই দরের কমই প্রতিফলন লক্ষ্যণীয়। কোথাও বেশি দরে আবার ক্ষেত্র বিশেষে কম দরে বিক্রি খবর মিলেছে। ১২ এপ্রিলের আগ পর্যন্ত এলপিজির দর ছিল কোম্পানিগুলোর ইচ্ছাধীন।

বিজ্ঞাপন

গত এপ্রিলে ঘোষিত দরে এলপিজির আমদানিকারক, ডিলার ও খুচরা বিক্রেতার জন্য ১২ কেজির সিলিন্ডারে মোট ৩৫৯ দশমিক ৪০ টাকা কমিশন নির্ধারণ করা হয়েছিল। সেই কমিশন বাড়িয়ে অক্টোবরে করা হয় ৪৪১ টাকা করা হয়েছে। ডিলার এবং খুচরা বিক্রেতার কমিশন বাড়িয়ে যথাক্রমে ৩৪ ও ৩৮ টাকা করা হয়।

ডিজেল, কেরোসিনের দাম নির্বাহী আদেশে হওয়া সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে বিইআরসি চেয়ারম্যান বলেন, বিইআরসি আইনের আলোকে বিধি প্রণয়ন করা জরুরি। আমরা বিধির খসড়া প্রণয়ন করে যথাযথ কর্তৃপক্ষের বরাবরে প্রেরণ করা হয়েছে ২০১২ সালে। সেই বিধি চূড়ান্ত না হওয়ায় নির্বাহী আদেশে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি করা হয়েছে।