গ্যাসের দাম বাড়ানোর বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীরা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
গ্যাসের দাম বাড়ানোর বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীরা

গ্যাসের দাম বাড়ানোর বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীরা

  • Font increase
  • Font Decrease

সম্প্রতি গ্যাসের দাম বাড়াতে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) কাছে প্রস্তাব জমা দেওয়া শুরু করেছে গ্যাস সঞ্চালন, উৎপাদন ও বিতরণ কোম্পানিগুলো। কিন্তু দাম বাড়ানোর উদ্যোগের বিরোধিতা করেছেন দেশের শিল্পোদ্যোক্তারা।

তারা বলছেন, গ্যাসের দাম বাড়লে উৎপাদন খরচও বাড়বে। যা শিল্পের প্রতিযোগিতা সক্ষমতা কমিয়ে দেবে। মহামারিকালীন অর্থনীতির ঘুরে দাঁড়ানো ব্যাহত হবে।

বুধবার (১৯ জানুয়ারি) এফবিসিসিআই কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত পাওয়ার, এনার্জি, ইউটিলিস বিষয়ক এফবিসিসিআই’র স্ট্যান্ডিং কমিটির প্রথম সভায় গ্যাসের দাম বাড়ানোর উদ্যোগে ব্যবসায়ীরা উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

বৈঠকে এফবিসিসিআইর সিনিয়র সহ-সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু জানান, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে চীন ও ভারত আরও ২০ বছর কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু রাখবে। বাংলাদেশেও শিল্পের বিকাশের স্বার্থে দেশে মজুদ থাকা কয়লার সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করার উদ্যোগ নেওয়া উচিত সরকারের। গ্যাস অনুসন্ধান কার্যক্রম ব্যাপকভাবে শুরু করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু।

তিনি বলেন, বাপেক্স একা না পারলে বেসরকারি খাতের সঙ্গে যৌথ অংশীদারিত্বে অনুসন্ধান কূপ খননে গতি আনা উচিত।

স্ট্যান্ডিং কমিটির ডিরেক্টর-ইন-চার্জ ও এফবিসিসিআইর পরিচালক আবুল কাশেম খান বলেন, দেশে জ্বালানি খাতে আমদানি নির্ভরতা বাড়ছে, যা ভবিষ্যতের জন্য নিরাপদ নয়। দীর্ঘমেয়াদি জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ও শিল্পায়ন অব্যাহত রাখতে দেশীয় সম্পদকে কাজে লাগানো জরুরি। কয়লা উত্তোলন করে বিদ্যুৎ উৎপাদনের পক্ষে মত দেন আবুল কাশেম খান।

এফবিসিসিআই’র পরিচালক মো. নাসের বলেন, বিতরণ ব্যবস্থায় চরম অব্যবস্থাপনার কারণে বিদ্যুৎ উৎপাদনের সুফল বঞ্চিত হচ্ছেন দেশের ব্যবসায়ীরা।

এখাতে শৃঙ্খলা আনতে বিতরণ কোম্পানিগুলোর ব্যবস্থাপনার ভার বেসরকারি খাতে ছেড়ে দেওয়ার পরামর্শ দেন স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য সাংবাদিক মোল্লা এম আমজাদ হোসেন। তিনি বলেন, তেল ও গ্যাস অনুসন্ধানের জন্য সরকারের অন্তত আরও ১’শটি কূপ খনন করা উচিত। এছাড়াও অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলো পুরোপুরি প্রস্তত না হওয়া পর্যন্ত বাইরের শিল্পকারখানাগুলোকে গ্যাস-বিদ্যুতের সংযোগ অব্যাহত রাখার পক্ষে মত দেন জ্বালানি বিষয়ক ম্যাগাজিন এনার্জি অ্যান্ড পাওয়ারের সম্পাদক মোল্লা এম আমজাদ হোসেন।

সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়াতে ওয়ান স্টপ সলিউশন, চরের অনাবাদী জমিতে সোলার প্যালেন স্থাপন, সরকারিভাবে গবেষণা ও উন্নয়ন কার্যক্রমের উদ্যোগ নেওয়া, বর্জ্য ও চালের কুড়া থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রকল্প হাতে নেওয়ার দাবি জানান কমিটির সদস্যরা।

বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান ও এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশন লিমিটেডের এমডি ও সিইও হুমায়ুন রশিদ। তিনি বলেন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে দেশীয় ও বিদেশি উৎসের মধ্যে সমন্বয় নিশ্চিত করা না গেলে দেশের জ্বালানি খাতের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হবে।

বৈঠকে অন্যান্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন কমিটির কো-চেয়ারম্যান মো. সালাউদ্দীন ইউসুফ, মোহাম্মদ আলী দ্বীন, নাজমুল হক ও এফবিসিসিআই’র মহাসচিব মোহাম্মদ মাহফুজল হক।

আরও পড়ুন: গ্যাসের দাম দ্বিগুণের প্রস্তাব, দুই চুলা ২১০০ করতে চায়

মুডি’স রেটিংয়ে ঋণমান কমল বাংলাদেশের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ছয় মাস আগে শুরু করা পর্যালোচনার তথ্যের ভিত্তিতে আন্তর্জাতিক ক্রেডিট রেটিং সংস্থা মুডি’স বাংলাদেশের ঋণমান কমিয়ে দিয়েছে। আগের বিএ৩ থেকে কমিয়ে বি১ করা হয়েছে এই মান।

মঙ্গলবার (৩০ মে) এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রতিষ্ঠানটি এ তথ্য জানিয়েছে। বাংলাদেশের স্বল্পমেয়াদি ইস্যুয়ার রেটিংয়ের ক্ষেত্রে আগের মত ‘নট প্রাইম’ মান বজায় রয়েছে।

রেটিং সংস্থাটির মূল্যায়ন অনুযায়ী, বৈদেশিক লেনদেন ও তারল্যের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের উচ্চমাত্রার ঝুঁকি রয়েছে। এর সঙ্গে চলমান সংকটকালে প্রাতিষ্ঠানিক দুর্বলতাও দেখা গেছে। যে কারণে সার্বভৌম ঋণমানের রেটিং কমিয়ে বি১ করা হয়েছে।

মুডি’সের মূল্যায়ন অনুসারে, বাংলাদেশের বাহ্যিক অবস্থান অতিমারীর আগের সময়ের তুলনায় কাঠামোগতভাবে দুর্বল থাকবে। তবে বিদেশি অর্থায়ন বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের পতন ঠেকাবে বলে প্রত্যাশা করছে সংস্থাটি।

২০২৪ সালের জুনের শেষ নাগাদ রিজার্ভ পরিস্থিতি স্থিতিশীল হতে পারে বলে মনে করছে মুডি’স। তবে সেক্ষেত্রেও রিজার্ভ কোভিডপূর্ব পর্যায়ে যেতে দু-তিন বছর লেগে যেতে পারে। বাংলাদেশের রিজার্ভ সর্বোচ্চ পর্যায়ে উঠেছিল ২০২১ সালের আগস্টে। তখন থেকে এ পর্যন্ত রিজার্ভ কমেছে ১৭ বিলিয়ন ডলার বা ৪০ শতাংশ। চলতি বছরের এপ্রিল শেষে রিজার্ভের পরিমাণ ২৭ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে, যা দিয়ে ৩ দশমিক ৭ মাসের পণ্য ও সেবা আমদানি করা যাবে। ২০২১ সালের আগস্টে এর পরিমাণ ছিল ৪৫ বিলিয়ন ডলার, যা দিয়ে সাত মাসের আমদানি চাহিদা মেটানো সম্ভব ছিল।

আমদানিতে বিধিনিষেধ ও জ্বালানিতে কৃচ্ছ্রসাধন সত্ত্বেও এ অবস্থা তৈরি হয়েছে। টাকার অবমূল্যায়ন ও আমদানিতে বিধিনিষেধের পাশাপাশি স্থিতিশীল রফতানির পাশাপাশি রেমিট্যান্স প্রবাহের কারণে চলতি হিসাব উদ্বৃত্ত হয়েছে। তবে জ্বালানি পণ্যের দামের কারণে চলতি হিসাবের ওপর চাপ অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে মুডিস।

;

ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে গাড়ি পেলেন যশোরের রতন লাল



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
যশোরের রতন লাল বাসফোড়ের হাতে ফ্রিজ কিনে পাওয়া গাড়ির চাবি তুলে দিচ্ছেন ওয়ালটন প্লাজার সিইও মো. রায়হান, ওয়ালটনের ডিএমটি মো. হুমায়ুন কবীর এবং সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর জনপ্রিয় চিত্রনায়ক আমিন খ

যশোরের রতন লাল বাসফোড়ের হাতে ফ্রিজ কিনে পাওয়া গাড়ির চাবি তুলে দিচ্ছেন ওয়ালটন প্লাজার সিইও মো. রায়হান, ওয়ালটনের ডিএমটি মো. হুমায়ুন কবীর এবং সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর জনপ্রিয় চিত্রনায়ক আমিন খ

  • Font increase
  • Font Decrease

ফ্রিজ কিনে গাড়ি! যেন এক রূপকথার গল্প। কিন্তু এটাই বাস্তবে ঘটেছে যশোরের আনসার সদস্য শ্রী রতন লাল বাসফোড়ের জীবনে। ‘ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-১৮’ এর আওতায় ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে গাড়ি পেয়েছেন শার্শা উপজেলার রতন লাল। মাত্র ৫ হাজার টাকা ডাউনপেমেন্টে ওয়ালটন প্লাজা নাভারন থেকে ফ্রিজ কিনে জাপানি গাড়ি পাওয়ায় রতন লালের ঘরে চলছে আনন্দের বন্যা। এই আনন্দের রেশ ছড়িয়ে পড়েছে রতনের পরিবারসহ পুরো এলাকায়।

উল্লেখ্য, অনলাইন অটোমেশনের মাধ্যমে গ্রাহকদের আরও দ্রুত ও সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবা দিতে সারাদেশে চলছে ওয়ালটনের ডিজিটাল ক্যাম্পেইন। ঈদুল আজহা উপলক্ষে সিজন-১৮য় ক্রেতাদের জন্য ঘোষণা করা হয়েছে ‘ওয়ালটন পণ্যে সাজবে বাড়ি, ঈদে এবার নিজের গাড়ি’ শীর্ষক বিশেষ ক্যাম্পেইন। এর আওতায় দেশের যেকোনো ওয়ালটন প্লাজা, পরিবেশক শোরুম ও অনলাইন সেলস প্লাটফর্ম ই-প্লাজা থেকে ফ্রিজ, টিভি, এয়ার কন্ডিশনার অথবা ওয়াশিং মেশিন কিনে ক্রেতারা পেতে পারেন গাড়িসহ লক্ষ লক্ষ উপহার। এ সুবিধা থাকছে ১৫ জুলাই, ২০২৩ পর্যন্ত।

সোমবার বিকেলে (২৯ মে, ২০২৩) রতন লাল বাসফোড়ের হাতে গাড়ির চাবি তুলে দেন ওয়ালটন প্লাজার চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার (সিইও) মো. রায়হান, ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি.’র ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. হুমায়ুন কবীর এবং সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর জনপ্রিয় চিত্রনায়ক আমিন খান।

সে সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শার্শা উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সোহরাব হোসেন, উপজেলা শ্রমিক লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আবুল হোসেন, ওয়ালটন প্লাজার ডেপুটি এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ওয়াহিদুজ্জামান তানভীর প্রমুখ।

জানা গেছে, যশোরের যাদবপুর নাভারণ রেলবাজার এলাকার মুকুল লাল বাসফোড়ের ছেলে রতন লাল। বান্দরবানের ৪ নং আনসার ব্যাটালিয়নের অধীনে চট্টগ্রামের ফয়েস লেক রেঞ্জে কর্মরত আছেন তিনি। ছুটিতে বাড়ি এসে চলতি মাসের ২৪ তারিখে কিস্তি সুবিধায় ওয়ালটন প্লাজা নাভারন থেকে ১৭৭ লিটারের ফ্রিজ কেনেন। এরপর পণ্যটির ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন করা হলে গাড়ি পাওয়ার মেসেজ যায় তার মোবাইলে। যা দেখে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন রতন।
তিনি বলেন, দেশীয় জনপ্রিয় ব্র্যান্ড ওয়ালটনের ফ্রিজ কিনে আমাদের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়েছে। স্বপ্নেও ভাবিনি যে এতো দামি গাড়ি উপহার পাবো। গাড়িটি আমরা নিজেরা ব্যবহার করবো। ক্রেতাদের দেয়া প্রতিশ্রুতি রাখায় ওয়ালটন কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ।

জানা গেছে, ওয়ালটন ফ্রিজ, টিভি, এসি ও ওয়াশিং মেশিন কেনার সময় পণ্যটির ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন করা হয়। এরপর সম্পূর্ণ কম্পিউটারাইজড সিস্টেমে ক্রেতাদের মোবাইলে ক্যাশভাউচার কিংবা উপহারের এসএমএস যাচ্ছে। সংশ্লিষ্ট ওয়ালটন প্লাজা বা শোরুম ক্রেতাদেরকে ওই উপহার বুঝিয়ে দিচ্ছে।

গাড়ি হস্তান্তর অনুষ্ঠানে ওয়ালটন প্লাজার সিইও মো. রায়হান বলেন, আমরা বছরজুড়ে গ্রাহকদের নানাবিধ সুবিধা দিয়ে থাকি। ডিজিটাল ক্যাম্পেইনের চলমান সিজনে মেগা উপহার হিসেবে রয়েছে গাড়ি। এর পাশাপাশি বিশে^ একমাত্র ওয়ালটন প্লাজাই কিস্তি ক্রেতাদের জন্য বিশেষ সুবিধা দিচ্ছে। কিস্তি চলমান থাকা অবস্থায় ক্রেতার মৃত্যু হলে পণ্যমূল্যের ভিত্তিতে ৫০ হাজার থেকে ৩ লাখ এবং তার পরিবারের কোনো সদস্য মৃত্যুবরণ করলে ২৫ হাজার থেকে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত সহায়তা দেয়া হচ্ছে।

ডিএমডি হুমায়ুন কবীর বলেন, ওয়ালটন ক্রেতাদের চাহিদা এবং রুচি ও পছন্দ প্রাধান্য দিয়ে বাংলাদেশেই উৎপাদন করছে আন্তর্জাতিকমানের পণ্য। দেশের চাহিদা মিটিয়ে যা রপ্তানি হচ্ছে বিশে^র বিভিন্ন দেশে। আমাদের লক্ষ্য শিল্প ও প্রযুক্তিখাতে সারা বিশে^ বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করা।

অনুষ্ঠানে দেশীয় পণ্য কিনে দেশের টাকা দেশেই রাখার আহ্বান জানান জনপ্রিয় চিত্রনায়ক আমিন খান। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিকমানের দেশীয় পণ্য রেখে বিদেশী পণ্য কেনার কোনো মানে হয় না। আমাদের অর্থনীতিকে সমৃদ্ধশালী করতে দেশে তৈরি পণ্য কিনতে হবে। এর মাধ্যমে দেশীয় শিল্পখাত আরো শক্তিশালী হবে। দেশ উন্নত হবে এবং বেশি বেশি কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে।

কর্তৃপক্ষ জানায়, ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন পদ্ধতিতে ক্রেতার নাম, মোবাইল নম্বর এবং বিক্রি করা পণ্যের মডেল নম্বরসহ বিস্তারিত তথ্য ওয়ালটন সার্ভারে সংরক্ষণ করা হচ্ছে। ফলে ওয়ারেন্টি কার্ড হারিয়ে গেলেও দেশের যেকোনো ওয়ালটন সার্ভিস সেন্টার থেকে দ্রুত সেবা পাচ্ছেন গ্রাহক। অন্যদিকে সার্ভিস সেন্টারের প্রতিনিধিরাও গ্রাহকের ফিডব্যাক জানতে পারছেন। এ কার্যক্রমে ক্রেতাদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে উদ্বুদ্ধ করতে ক্যাম্পেইনের আওতায় নানা সুবিধা দেওয়া হচ্ছে।

 

;

বাজেটের পর জ্বালানির দাম সমন্বয়: নসরুল হামিদ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
বাজেটের পর জ্বালানির দাম সমন্বয়: নসরুল হামিদ

বাজেটের পর জ্বালানির দাম সমন্বয়: নসরুল হামিদ

  • Font increase
  • Font Decrease

আসছে বাজেটে জ্বালানির উপর ডিউটি কমানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। বাজেট পরবর্তী সেভাবে জ্বালানির দাম সমন্বয় করা চিন্তা ভাবনা রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।

সোমবার (২৯ মে) বিদ্যুৎ ভবনে ফোরাম ফর এনার্জি রিপোর্টার্স বাংলাদেশ আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, এখন বিভিন্ন ধরনের জ্বালানিতে ভিন্ন পরিমাণের ডিউটি রয়েছে। এই ডিউটি ইউনিক করার প্রস্তাবনা রয়েছে।

তিনি বলেন, কোভিডের কারনে বিশ্বজুড়ে জ্বালানির সংকট চলছে, আমরাও এই সংকটের বাইরে না। সবকিছু মিলিয়ে বাংলাদেশও চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে যে কয়লার দাম ৬০ ডলার ছিল সেগুলো এখন ৪০০ ডলার, তেলে দাম বেড়ে গেলে ৬০ থেকে ৭০ ডলার, স্পর্ট মার্কেটে গ্যাসের দাম বেড়ে গেলো। আমরা বড় ধরনের ভর্তুকি দিয়ে এসেছি, টার্গেড মূলক ভর্তুকি দিয়ে এসেছি, নিম্ন আয়ের লোকজন যেনো আক্রান্ত না হয়। সব মিলিয়ে একটি চ্যালেঞ্জ তৈরি হয়েছে। এই চ্যালেঞ্জ শুধু আমাদের একার না, অনেক ধনি দেশও রয়েছে। তারাও লোডশেডিং করেছে।

তিনি বলেন, ৫টি কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র দিয়েছিলাম, তারা আসতে পারেনি, বাধ্য হয়ে বেশি খরচের তেল ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র বেশি চালাতে হয়েছে।

তেল-গ্যাস অনুসন্ধানের ধীরগতির অভিযোগ প্রসঙ্গে বলেন, বছরে ১০ টি কূপ খনন করতে গেলে কমপক্ষে ২০০ মিলিয়ন ডলারের প্রয়োজন। আমাদের বাপেক্সের মাত্র ৩টি রিগ এগুলো দিয়ে কতদূর যাওয়া সম্ভব!

সৌর বিদ্যুৎ প্রসঙ্গে বলেন, ২ হাজার মেগাওয়াট উৎপাদন করতে হলে ৬ হাজার একর জমি প্রয়োজন। জমি পাওয়াটা বড় বিষয়, আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি।

তিনি বলেন আমরা দেখেছি স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে আগামী ২০৪১ সালের মধ্যে বিদ্যুৎ জ্বালানি খাতেই ১৮০ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ প্রয়োজন। ভোলায় বিরাট সম্ভাবনা রয়েছে, ভোলার গ্যাস খুলনা পর্যন্ত নিতে হবে। আমাদের সামনে বড় তিনটি চ্যালেঞ্জ হচ্ছে নিরবিচ্ছিন্ন, মানসম্মত ও সাশ্রয়ী মূল্যে জ্বালানি নিশ্চিত করা। নেপালের পাওয়ার আসবে, সাগরে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানের কাজ চলছে। তবে এই গ্যাস পেলে আনতে অনেক সময়ের প্রয়োজন। সে কারনে আমাদের আরও এফএসআরইউ লাগবে।

পাওয়ার সেল এর মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসাইন বলেন, আমরা কিন্তু সোলারের বিষয়ে এখন খুব সিরিয়াস, এখন দিনের বেলা সোলার থেকে ৫৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করছি। আগামী দুই বছরের মাথায় ২ হাজার মেগাওয়াট উৎপাদন করা হবে।

জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ড. ইজাজ হোসেন বলেন, আমি লোডশেডিং করছে এমন জায়গায়, যেখানে সৌরবিদ্যুৎ থাকার সুযোগ ছিল। বছরে কমপক্ষে ১০ অনুসন্ধান কূপ খনন করা দরকার। এটি করা গেলে কমপক্ষে ৫টি গ্যাস ফিল্ড আবিষ্কার করা সম্ভব। যদি ২০০ বিসিএফ করে গ্যাস পাওয়া যায় তাহলে ১ টিসিএফ, যা এক বছরের চাহিদার সমান।

বিইআরসির সাবেক সদস্য মকবুল ই-এলাহী চৌধুরী বলেন,  বিদ্যুতের যত সমস্যা এনার্জি কেন্দ্রীক। যতদিন জ্বালানিকে গুরুত্ব দেওয়া না যাবে ততদিন এই সংকট দূর করা কঠিন। আমরা আবিস্কৃত গ্যাস ফিল্ডে উচ্চ লেভেল থাকল দূরের কথা, সর্বনিম্ন লেভেলে উত্তোলন করা হচ্ছে না। আমাদের সিলেট গ্যাস ফিল্ডের তুলনায় অনেক কম রিজার্ভ বিবিয়ানাতে, তারা অনেক বেশি গ্যাস তুলতে পারলেও আমরা কেনো অনেক কম করছি। রশিদপুর-৯ নম্বর কূপ থেকে মাত্র সাড়ে ৩ কিলোমিটার লাইনের অভাবে পড়ে রয়েছে। সেখান থেকে ১৭-২০ মিলিয়ন গ্যাস উত্তোলন করা সম্ভব। বিভিন্ন জায়গায় শুধু ঘষামাজা করলে ১৫০ থেকে ২০০ মিলিয়ন গ্যাস উত্তোলন করা সম্ভব।

এফইআরবির চেয়ারম্যান শামীম জাহাঙ্গীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন, এফইআরবির ইডি রিসান নসরুল্লাহ। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিপপার প্রেসিডেন্ট ফয়সাল খান।

;

ইসলামী ব্যাংক-হ্যালো পয়সা রেমিট্যান্স উৎসব শুরু



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ইসলামী ব্যাংক-হ্যালো পয়সা রেমিট্যান্স উৎসব শুরু

ইসলামী ব্যাংক-হ্যালো পয়সা রেমিট্যান্স উৎসব শুরু

  • Font increase
  • Font Decrease

হ্যালো পয়সার মাধ্যমে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড-এ ক্যাশ রেমিট্যান্স গ্রাহকরা রেমিট্যান্স পাঠিয়ে ফ্রিজ জেতার সুযোগ রয়েছে। এ অফার চলবে ১ জুন থেকে ২৭ জুন ২০২৩ পর্যন্ত। 

সোমবার (২৯ মে) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে প্রধান অতিথি হিসেবে ইসলামী ব্যাংক-হ্যালো পয়সা রেমিট্যান্স উৎসবের উদ্বোধন করেন ব্যাংকের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর (চলতি দায়িত্ব) মুহাম্মদ কায়সার আলী। গেস্ট অব অনার হিসেবে বক্তব্য দেন হ্যালো পয়সার ম্যানেজিং ডাইরেক্টর সেইজিল ম্যাগান। অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডাইরেক্টর জে.কিউ.এম. হাবিবুল্লাহ, এফসিএস এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ডেপুটি ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মুহাম্মদ শাব্বির ও কাজী মোঃ রেজাউল করিম এবং হ্যালো পয়সার বাংলাদেশ কান্ট্রি হেড ফজলুর রহমান।

এ সময় ডেপুটি ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মোঃ নাইয়ার আজম, মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন মজুমদার ও আবুল ফায়েজ মুহাম্মাদ কামালউদ্দিন এবং ক্যামেলকো তাহের আহমেদ চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন। স্বাগত বক্তব্য দেন সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মিফতাহ উদ্দীন।

অনুষ্ঠানে ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের ঊর্ধ্বতন নির্বাহী, সকল জোনপ্রধান, শাখাপ্রধান এবং উপশাখা ইনচার্জগণ ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ ভার্চুয়াল প্লাটফর্মের মাধ্যমে সংযুক্ত ছিলেন।

;