এলডিসি পরবর্তী চ্যালেঞ্জ মোকবিলায় বাংলাদেশের পাশে থাকবে কমনওয়েলথ
স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে বের হবার পরেও যাতে অর্থনৈতিক অগ্রগতি অব্যাহত থাকে সেজন্য বাংলাদেশের পাশে থাকবে কমনওয়েলথ।
রোববার (২৩ জানুয়ারি) এফবিসিসিআই-এর সভাপতি মো. জসিম উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠকে এ কথা বলেন কমনওয়েলথভুক্ত ৫৪টি দেশের বাণিজ্যিক সংগঠন কমনওয়েলথ এন্টারপ্রাইজ অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট কাউন্সিলের (সিডব্লিউইআইসি) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মিজ সামান্থা কোহেন।
রাজধানীর একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত সভায় এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশের অর্থনীতি গতিশীল হয়েছে। কিন্তু এখনো বৈশ্বিক উদ্যোক্তারা বাংলাদেশে বিনিয়োগ ও ব্যবসা সম্প্রসারণের সুযোগ সুবিধা সম্পর্কে জানেন না। তাই এফবিসিসিআই সরকারের ‘ব্র্যান্ডিং বাংলাদেশ’ উদ্যোগের প্রচারের জন্য কমনওয়েলথ দেশগুলির বেসরকারি খাতের সাথে সংযোগ স্থাপনে আগ্রহী।
এ বছরের শেষদিকে কমনওয়েলথের একটি উচ্চ পর্যায়ের ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ সফর করবে বলে জানান সিডব্লিউইআইসি’র প্রধান নির্বাহী সামান্থা কোহেন। সফরে প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বাংলাদেশী ব্যবসায়ীদের একটি বি-টু-বি সভা ও কারখানা পরিদর্শনের ব্যবস্থা করার আহ্বান জানান সামান্থা কোহেন। এসব কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে কমনওয়েলথের ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশের শিল্পখাতের প্রতিযোগিতা সক্ষমতা ও কর্মপরিবেশ সম্পর্কে সম্যক ধারণা পাবে বলে আশা করেন তিনি।
কমনওয়েলথকে ব্যবহার করে বাংলাদেশ কীভাবে এলডিসি পরবর্তী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে পারে, বৈঠকে সে বিষয়ে আলোচনা করা হয়। কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোতে রফতানি বাড়ানো, বাজার অন্বেষণ, দক্ষ জনবল তৈরি এবং উদ্ভাবন সহযোগিতা, প্রযুক্তি হস্তান্তরসহ অবকাঠামোতে বিনিয়োগ, বাণিজ্য সহজীকরণ এবং দেশের সম্ভাব্য ক্ষেত্রগুলিকে শক্তিশালী করার জন্য প্রযুক্তিগত সহায়তা নিয়েও কথা বলেন এফবিসিসিআই সভাপতি।
এসময় সিডব্লিউইআইসি’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, যুক্তরাজ্য, কানাডা এবং অস্ট্রেলিয়াসহ অন্যান্য সম্ভাবনাময় দেশগুলোর মূলধারার বাজারে বাংলাদেশ পণ্যে প্রবেশের ব্যাপারে সহায়তা করবে তার সংগঠন।
বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআই’র মহাসচিব মোহাম্মদ মাহফুজুল হক।
উল্লেখ্য, কমনওয়েলথ এন্টারপ্রাইজ অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট কাউন্সিলের কৌশলগত অংশীদার এফবিসিসিআই। একই সঙ্গে এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন সিডব্লিউইআইসি’র উপদেষ্টা বোর্ডের অন্যতম একজন সদস্য।