‘সুষম উন্নয়নে পরিষ্কার জ্বালানির প্রসার অপরিহার্য’
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, সুষম উন্নয়নের জন্য পরিষ্কার জ্বালানির প্রসার অপরিহার্য। পরিবেশকে সুসংহত রেখেই উন্নয়ন করা হবে।
সোমবার (৩১ জানুয়ারি) রিনিউয়েবল এনার্জি এফিশিয়েন্সি প্রোগ্রামের সমাপনী কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহার বাড়াতে আধুনিক প্রযুক্তির সুষম বন্টন প্রয়োজন। নবায়ণযোগ্য জ্বালানি নিয়ে জিআইজেড (GIZ) জ্বালানি সচেতন সমাজ গঠনে প্রশংসনীয় অবদান রেখেছে। সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য প্রযুক্তি, অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও পরিবেশের সাথে সমন্বয়ের সাথে সাথে পরিষ্কার এবং নবায়নযোগ্য জ্বালনির দক্ষতা ও সংরক্ষনের ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে বিদ্যমান প্রণোদনা অব্যাহত রাখা হবে।
জিআইজেডের কারিগরি সহযোগিতায় স্রেডা স্থাপন করেছে ন্যাশনাল সোলার হেল্প ডেস্ক–যা দেশে রুফটপ সোলার তথা নবায়নযোগ্য জ্বালানির বিস্তারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের ছাত্রছাত্রীদের জন্য আয়োজিত হয় দেশের প্রথম টেকসই জ্বালানি আইডিয়া চ্যালেঞ্জ। ২০১৯ সালে আয়োজিত হয় প্রথম ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অন এনার্জি এফিশিয়েন্সি এন্ড কনজারভেশান এওয়ারনেস। জ্বালানি সচেতন সমাজ গঠনের জন্য নাগরিকদের স্বতঃস্ফূর্ত যোগদান জরুরি। এই বিষয়টিতে যথাযথ গুরুত্ব দিয়ে স্রেডা অন্যান্য অংশীদারদের সাথে শুরু করেছে ‘সাশ্রয়ে জ্বালানি, সমৃদ্ধ আগামী’ নামক সচেতনতামূলক প্রচারাভিযান।
পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক প্রকৌশলী মোহাম্মদ হোসাইনের সঞ্চালনায় ‘স্রেডা: ২০২১ পরবর্তী যাত্রা’ শীর্ষক প্যানেল আলোচনায় স্রেডার সাবেক চেয়ারম্যান আনোয়ারুল ইসলাম শিকদার এনডিসি, বুয়েটের সাবেক প্রফেসর ড এম নুরুল ইসলাম, বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. আবদুর রউফ মিয়া, বিজিএমইএ-এর পরিচালক আবদুল্লাহ হিল রাকিব, বিএসআরইএ-এর সভাপতি দীপাল চন্দ্র বড়ুয়া এবং জিআইজেড বাংলাদেশ-এর কান্ট্রি ডিরেক্টর, ড. এঞ্জেলিকা ফ্লেডারম্যান (Dr. Angelika Fleddermann) তাদের মতামত তুলে ধরেন।
স্রেডা চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলাউদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন, বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব হাবিবুর রহমান এবং জার্মান রাষ্ট্রদূত আচিম ত্রোয়েস্তার (Achim Troster) সংযুক্ত থেকে বক্তব্য রাখেন।