১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ধর্মঘটের হুমকি পেট্রোল পাম্প মালিক সমিতির

  • স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

সংবাদ সম্মেলন

সংবাদ সম্মেলন

জ্বালানি তেলের বিক্রির কমিশন ৭ দশমিক ৫ শতাংশ বৃদ্ধিসহ ৬ দফা দাবিতে ধমঘটে যাওয়ার আল্টিমেটাম দিয়েছে পেট্রোল পাম্প মালিক সমিতি। দাবি আদায় না হলে আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ধর্মঘটের হুমকি দিয়েছে সংগঠনটি ৷

বুধবার (২ ফেব্রুয়ারি) ডিআরইউতে এক সংবাদ সম্মেলনে এই হুমকি দেন তারা।

বিজ্ঞাপন

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মহাসচিব মিজানুর রহমান রতন বলেন, আমরা দাবি বাস্তবায়নে হরতাল ধর্মঘটে কখনই যেতে চাইনি। আলাপ আলােচনা ও বৈঠকের মাধ্যমে সব সমস্যা সমাধান করতে চেয়েছি। গত ৩ বছর ধরে দাবি-দাওয়া নিয়ে বহু পত্র দিয়েছি ও আলােচনা করেছি, বৈঠক করেছি। অথচ বৈঠক হচ্ছে ঠিকই, কিন্তু দাবি বাস্তবায়ন করা হয়নি। পরবর্তীতে অ্যাসােসিয়েশনের মতামতকে উপেক্ষা করে একক সিদ্ধান্তে সরকার জ্বালানি তেল ডিজেলের ২০ পয়সা বিক্রয় কমিশন বৃদ্ধি করে। যা জ্বালানি তেল ব্যবসায়ীদের আশাহত করেছে। তাই আমাদের দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। আন্দোলন ছাড়া দাবি আদায় সম্ভব নয়। তাই সব জ্বালানি তেল ব্যবসায়ীদের সিদ্ধান্তক্রমে আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারির মধ্যে দাবি-দাওয়া বাস্তবায়ন করা না হলে আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে সারাদেশের সব ডিপাে থেকে জ্বালানি তেল উত্তোলনে বিরত থাকবে।

তিনি বলেন, ইদানিং ফিলিং স্টেশনের ওপর আরােপিত বিভিন্ন সংস্থার অমিমাংসিত লাইসেন্স গ্রহণের ব্যাপারে হয়রানি শুরু হয়েছে। সঙ্গে বিপুল অংকের টাকা (অফিস খরচ হিসেবে) তারা দাবি করছে, যা আমাদের কমিশনের সীমিত আয় দিয়ে প্রদান করা সম্ভব নয়।

তিনি বলেন, ২০১৯ সালের ২ ডিসেম্বর জ্বালানি উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সম্মুখে ঘােষণা করা হয়, দাবিগুলাের একটা সুরাহা হবে। কিন্তু পরিতাপের বিষয়, আজ পর্যন্ত এই ন্যায়সঙ্গত দাবিগুলাের কোনো বাস্তবায়ন আমরা পাইনি। বিষয়টি প্রায় অমিমাংসিত অবস্থায় থেকে যায়। এর সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে একটি লিখিত চিঠি দেওয়া হয়। সেই চিঠি প্রদানের পর তার কোনো সদুত্তর আমরা আজও পাইনি।

দাবিসমূহ হচ্ছে-

>> জ্বালানি তেল বিক্রয়ের প্রচলিত কমিশন কমপক্ষে ৭.৫% করতে হবে।

>> জ্বালানি তেল ব্যবসায়ীরা কমিশন এজেন্ট, যা গেজেট আকারে প্রকাশ করতে হবে।

>> সড়ক ও জনপথ বিভাগ কর্তৃক পেট্রোল পাম্পের প্রবেশ দ্বারের ভূমির জন্য ইজারা গ্রহণের প্রথা বাতিল করতে হবে। কারণ প্রবেশদ্বার ব্যবহারকারীরা অর্থ্যাৎ সকল যানবাহন সরকারের নিয়ম মাফিক কর প্রদান করেন।

>> ট্রেড লাইসেন্স ও বিস্ফোরক লাইসেন্স ব্যতিত অন্য দফতর বা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক লাইসেন্স গ্রহণের সিদ্ধান্ত বাতিল করতে হবে।

>> মালিক কর্তৃক প্রিমিয়াম পরিশোধ সাপেক্ষে ট্যাংকলরি শ্রমিকদের ৫ লাখ টাকা দুর্ঘটনা বিমা প্রথা চালু করার জন্য বিমা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ প্রদান করতে হবে।

>> প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি মােতাবেক সব জ্বালানি ডিপাে সংলগ্ন ট্যাংকলরি শ্রমিকদের জন্য পর্যাপ্ত শৌচাগার ও বিশ্রামাগার নিশ্চিত করতে হবে।