‘কর হার কমালে বিদেশি বিনিয়োগ আরও বাড়বে’

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

করের হার না কমালে ব্যবসায়ীরা এলডিসি পরবর্তী চ‍্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে পারবে না বলে জানিয়েছেন ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি রিজওয়ান রহমান।

তিনি বলেন, পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতে করের হার আমাদের দেশের তুলনায় কম। দেশে অর্থনৈতিক জোন তৈরি হচ্ছে। তবে উচ্চ কর হারের কারণে বিদেশি বিনিয়োগ কম হচ্ছে। কর হার কমলে বিদেশি বিনিয়োগ আরও বাড়বে।

বিজ্ঞাপন

রোববার (৬ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর ডিসিসিআই মিলনায়তনে ‘মিট দ্য প্রেস ২০২২’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে এ কথা জানান তিনি।

ডিসিসিআই সভাপতি রিজওয়ান রহমান বলেন, ২০২৬ সালের মধ্যে এলডিসি গ্রাজুয়েশনের পর ব্যবসা করার ব্যয় ব্যয়বহুল হবে। তখন করের হার এখনকার মতো বেশি হলে ব‍্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এলডিসি গ্রাজুয়েশনের পর কোম্পানিগুলো ব্যবসায়িক প্রতিযোগিতায় টিকতে না পারলে স্থানীয় কোম্পানিগুলো প্রায় ৬-৭ বিলিয়ন ডলার হারাবে।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, বর্তমানে করপোরেট ট্যাক্স হার ভিয়েতনামে ২০, কম্বোডিয়ায় ২০, পাকিস্তানে ২৯ ,শ্রীলংঙ্কায় ২৪ ও থাইল্যান্ডে ২০ শতাংশ। সেখানে বাংলাদেশে গড়ে ৩০ শতাংশ করপোরেট ট্যাক্স হার। আমাদের এই হার আরও কমাতে হবে। শুধু যে ট্যাক্সের হার কমাতে হবে তা নয়। আমাদের আয় বাড়াতে হবে, উৎপাদন বাড়াতে হবে। জিডিপি বাড়াতে হবে।

ডিসিসিআই সভাপতি বলেন, একদিনে হার কমানোর কথা বলছি না। তাহলে দেশের উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হবে। প্রতিবছর অল্প অল্প করে কমাতে হবে। এখন ৩০ শতাংশ আছে আগামী বছর ২৭.৫ শতাংশ করা হোক, এরপর ২৫.৫ শতাংশে নামিয়ে আনা হোক।

সকল স্টেকহোল্ডারদের সম্পৃক্ত করে একটি রফতানি বহুমুখীকরণ কৌশল প্রণয়নের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে রিজওয়ান রহমান বলেন, আমরা আমাদের পণ্যের ১ শতাংশ আফ্রিকায় এবং ৩ শতাংশ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলিতে রফতানি করি। দূরের দেশ আমেরিকায় আমরা প্রায় ১৮ শতাংশ রফতানি করছি। কেন আমরা কাছের দেশগুলোতে পণ্য রফতানির পরিমাণ আরও বাড়াতে পারছি না। এটা নিয়ে গবেষণা করা দরকার।

তিনি বলেন, আমাদের দক্ষতা উন্নয়নে কাজ করা দরকার। গবেষণায় জোর দেওয়া হয়। সেটা ভালো কিন্তু শুধু বিজ্ঞান গবেষণায় জোর না দিয়ে অর্থনীতি নিয়ে গবেষণা বাড়াতে হবে তাহলে দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি আরও বেশি হবে।

সমুদ্র অর্থনীতিকে বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত সম্ভাবনাময় হিসেবে উল্লেখ করে তিনি জানান, আমাদের জিডিপিতে এখাতে অবদান রয়েছে ৩ দশমিক ১ শতাংশ। এ সম্ভাবনাকে সঠিকভাবে কাজে লাগানোর জন্য একটি কার্যকর রূপকল্প প্রণয়ন করতে হবে।

অনুষ্ঠানে ডিসিসিআই সহ-সভাপতি আরমান হক এবং সহ-সভাপতি মনোয়ার হোসেন উপস্থিত ছিলেন।