উচ্চমূল্যের পোশাক রফতানিতে নজর দেওয়ার আহ্বান

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন

এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন

বিশ্ববাজারে তৈরি পোশাকের ২য় শীর্ষ রফতানিকারক হলেও তুলনামূলক কম দামের পোশাক বিক্রি করে বাংলাদেশ। এ অবস্থার উন্নয়নে তৈরি পোশাক ও বস্ত্র শিল্পমালিকদের বিনিয়োগে বৈচিত্র আনার আহ্বান জানিয়েছেন ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই এর সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন।

শনিবার (৫ মার্চ) এফবিসিসিআই কার্যালয়ে আরএমজি, নিটওয়্যার, সোয়েটার বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির প্রথম সভায় এ আহ্বান জানান তিনি।

বিজ্ঞাপন

জসিম উদ্দিন বলেন, বেশিরভাগ উদ্যোক্তারা কটনবেজড পোশাকের কারখানা এবং স্পিনিংয়ে বিনিয়োগে আগ্রহী। কিন্তু এখন বিশ্ববাজারে কৃত্তিম ফাইবারের পোশাকের চাহিদা বাড়ছে, এবং দামও বেশি। তাই তৈরি পোশাক ও বস্ত্রখাতের উদ্যোক্তাদের ম্যান মেড ফাইবার খাতে বিনিয়োগে মনোযোগী হতে হবে।

তিনি বলেন, পোশাক উৎপাদনে দীর্ঘদিন ধরে কম দামে গ্যাস-বিদ্যুতের সুবিধা পেয়ে আসছিলো। কিন্তু এখন ধীরে ধীরে এ সুবিধা কমে যাচ্ছে। তুলনামূলক সস্তা শ্রমের সুবিধাও এখন আর নেই। অন্যদিকে এ শিল্পের কাঁচামালের দাম ক্রমাগত বাড়ছে। তাই এ শিল্পে অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে হলে এখন উচ্চমূল্যের পোশাক রফতানিতে মনোযোগ দিতে হবে।

বিজ্ঞাপন

বাংলাদেশকে নতুনভাবে ব্র্যান্ডিং করার জন্যও উদ্যোক্তাদের প্রতি আহ্বান জানান এফবিসিসিআই সভাপতি।

তিনি জানান, রফতানিমুখী শিল্পের বাইরে থাকা কারখানাগুলোকেও নিরাপদ করতে এফবিসিসিআইতে সেফটি কাউন্সিল গঠন করা হয়েছে। দেশের সব শিল্প কারখানাকে নিরাপদ করতে বিডার সঙ্গে একযোগে কাজ করছে সেফটি কাউন্সিল।

কমিটির চেয়ারম্যান ও বিজিএমইএ’র সভাপতি ফারুক হাসান জানান, বিশ্ববাজারে কোন কোন পণ্যের চাহিদা বাড়ছে এবং বাংলাদেশি উদ্যোক্তাদের কোন কোন খাতে বিনিয়োগ সম্প্রসারণের সুযোগ রয়েছে সেসব বিষয়ে একটি গবেষণা কার্যক্রম চলমান রয়েছে। রফতানিকারকরা নিজেরা প্রতিযোগিতা করে অনেক সময় পণ্যের দাম কমিয়ে দিচ্ছেন। এই প্রতিযোগিতা বন্ধের আহ্বান জানান বিজিএমইএ সভাপতি।

এসময় পোশাক শিল্পের নানা সমস্যা সমাধানে স্ট্যান্ডিং কমিটিতে ব্যাংক ও আর্থিক খাত, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, অর্থমন্ত্রণালয়, শ্রমমন্ত্রণালয় ভিত্তিক উপ-কমিটি করার প্রস্তাব দেন বিকেএমইএর নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম।

বৈঠকে উপস্থিত কমিটির সদস্যরা বলেন, তৈরি পোশাক খাতে কাস্টম ও বন্ড কমিশনারেটের হয়রানি এখন সবচেয়ে বড় সমস্যা। বিভিন্ন কাঁচামাল আমদানিতে এইচএস কোড জনিত জটিলতার কারণেও ব্যবসায়ীরা বাধার মুখে পড়ছেন। বর্জ্য পুনঃপ্রক্রিয়াজাত করে ব্যবহারের ক্ষেত্রেও আইনের সংশোধন দরকার বলে মনে করেন উদ্যোক্তারা।

সভায় এফবিসিসিআই’র পরিচালক ও স্থলবন্দর বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির ডিরেক্টর-ইন চার্জ বিজয় কুমার কেজরিওয়াল বলেন, পোশাক খাতের স্থলবন্দর কেন্দ্রীক যেকোন সমস্যা সমাধানে তার কমিটি সর্বোচ্চ সহায়তা করবে।

বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন- এফবিসিসিআই’র পরিচালক হারুন অর রশীদ, মহাসচিব মোহাম্মদ মাহফুজুল হক, স্ট্যান্ডিং কমিটির কো-চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ-আল-মাহমুদ মাহিন, ইন্তেখাবুল হামিদ অপু, শামস মাহমুদ, ফজলে শামীম এহসান, মোহাম্মেদ কামাল উদ্দীন, অঞ্জন শেখর দাস, হুমায়ুন কবির সেলিমসহ অন্যান্য সদস্যরা।