দাম বৃদ্ধি প্রস্তাবে যৌক্তিকতা প্রমাণের দায়িত্ব গ্যাস কোম্পানির

  • স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

দাম বৃদ্ধির যৌক্তিকতা ও ন্যায্যতা শুনানির মাধ্যমে নিশ্চিত হবে। ন্যায্যতা ও যৌক্তিকতা প্রমাণের দায়িত্ব লাইসেন্সির (গ্যাস কোম্পানি) বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল।

বৃহস্পতিবার (২৪ মার্চ) রাজধানীর বিয়াম মিলনায়তনে গ্যাসের দাম বৃদ্ধির প্রস্তাবের ওপর গণশুনানিতে তিনি এমন মন্তব্য করেন। এদিন দুপুর পর্যন্ত জালালাবাদ গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির প্রস্তাবের ওপর গণশুনানি। কোম্পানিটি গ্রাহক পর্যায়ে ১১৭ শতাংশ দাম বৃদ্ধি এবং প্রতি ঘনমিটারে বিতরণ চার্জ ২৫ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৫৫ পয়সা করার প্রস্তাব করেছে।

বিজ্ঞাপন

তবে বিইআরসি কারিগরি মূল্যায়ন গ্রাহক পর্যায়ে ২০ শতাংশ দাম বৃদ্ধি এবং প্রতি ঘনমিটারে বিদ্যমান বিতরণ চার্জ ২৫ পয়সা বাতিলের সুপারিশ দিয়েছেন।

বিইআরসির চেয়ারম্যান বলেন, বর্তমান বিশ্ব কোভিড পরবর্তী জটিল পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। কোভিড থেকে যখন মাত্র ধীরে ধীরে বের হওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়। তখনই ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলেছে।

কোম্পানিগুলোর পক্ষ থেকে গ্রাহক পর্যায়ে দাম ১১৭ শতাংশ বাড়ানোর আবেদন করেছে। ফোজদারি আইনে বলা হয়েছে, আসামিকে নির্দোষ ধরে বিচার শুরু করবে বিচারক, দোষ প্রমাণিত করার দায়িত্ব বাদী পক্ষের। এখানেও ন্যায্যতা ও যৌক্তিকতা প্রমাণের দায়িত্ব লাইসেন্সির (গ্যাস কোম্পানি)। এখানে আলোচনার ভিত্তিতে বিচার বিশ্লেষণ শেষে সিদ্ধান্ত দেওয়া হবে। বিইআরসি আইনি দায়িত্ব পালন করছে। অবশ্যই যৌক্তিকতা বিচার করেই সিদ্ধান্ত দেওয়া হবে।

শুনানিতে উপস্থিত রয়েছেন বিইআরসির সদস্য মকবুল ই ইলাহি চৌধুরী, মোহাম্মদ আবু ফারুক, মোহাম্মদ বজলুর রহমান, মো. কামরুজ্জামান।

শুনানি পরবর্তী লিখিত মতামত দেওয়ার জন্য সময় দেওয়া হয়েছে ৭ এপ্রিল পর্যন্ত। এরপর প্রস্তাব ও মতামত যাচাই করে আগামী ৯০ কার্যদিবসের মধ্যে চূড়ান্ত রায় দেওয়ার বিধান রযেছে। জালালাবাদ গ্যাস কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক শোয়েব আব্দুল মতিন প্রস্তাব উত্থাপন করেন।