কৈলাশটিলা ৭নং কূপে দৈনিক প্রায় ২ কোটি ঘনফুট গ্যাস আসবে
কৈলাশটিলার ৭নং কূপ থেকে দৈনিক ১ কোটি ৭০ লাখ ঘনফুট থেকে ১ কোটি ৯০ লাখ ঘনফুট গ্যাস উৎপাদন করে জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা সম্ভব হবে। আগামী ১০ মে’র মধ্যে বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন শুরু হবে বলে জানিয়েছে সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেড।
কৈলাশটিলা ৭নং কূপে ওয়ার্কওভার করে লোয়ার গ্যাস স্যান্ড জোনে লগিং, পারফোরেশন ও টেস্টিং করে দৈনিক কমপক্ষে ১ কোটি ৭০ থেকে ৯০ লাখ ঘনফুট গ্যাস এবং দৈনিক ১৮৭ ব্যারেল কনডেনসেট উত্তোলন নিশ্চিত করা হয়েছে। কূপের বর্তমান জোন বেশ কয়েক বছর গ্যাস উৎপাদন করা সম্ভব হবে আশা করছে এসজিএফসিএল।
উল্লেখ্য, কৈলাশটিলা ফিল্ডের লোয়ার গ্যাস স্যান্ড জোনের অবশিষ্ট উত্তোলনযোগ্য গ্যাস মজুদ ৭৫৮ বিলিয়ন ঘনফুট। পর্যায়ক্রমে অবশিষ্ট এ গ্যাস বিভিন্ন কূপের মাধ্যমে উৎপাদন করা হবে।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, গ্যাসের অনুসন্ধান কার্যক্রম বাড়ানো হয়েছে। সমান্তরাল ও উপরনিচ উভয়ভাবেই অনুসন্ধান করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ডিপ ড্রিলিং করতে পারলে আরও ভালো ফল পাওয়া যাবে।
তিনি আরও বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৫ সালের ৯ আগস্ট বিদেশি শেল অয়েল কোম্পানি’র কাছ থেকে মাত্র ৪.৫ মিলিয়ন পাউন্ড স্টার্লিং মূল্যে যে পাচঁটি গ্যাস ফিল্ড ক্রয় করেছিল তারই একটি কৈলাশটিলা গ্যাস ফিল্ড। বঙ্গবন্ধুর দূরদর্শিতা এভাবে আজও আমাদের জ্বালানি নিরাপত্তাকে সুসংহত করছে।
উল্লেখ্য, সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেডের (এসজিএফএল) কৈলাশটিলা গ্যাস ফিল্ডে এখন পর্যন্ত ৭টি কূপ খনন করা হয়েছে। এর মধ্যে চলমান দু’টি কূপ থেকে দৈনিক ২ কোটি ৯০ লাখ ঘনফুট গ্যাস উৎপাদন করে জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হচ্ছে। ৭ নম্বর কূপটির উপরের স্তরের গ্যাসের মজুদ শেষ হয়ে গেলে বন্ধ হয়ে যায়। দেশীয় কোম্পানি বাপেক্স ওয়াকওভারের মাধ্যমে নতুন স্তর আবিষ্কার করেছে।