খরচ সাশ্রয়ী বিদ্যুৎ কেন্দ্র বসিয়ে রাখছে বিপিডিবি!



সেরাজুল ইসলাম সিরাজ, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড

বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকাঃ যেখানে গ্যাস সরবরাহ করলে তুলনামূলক বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদিত হতো, সেই কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো বসিয়ে রাখা হচ্ছে। তুলনামূলক কম বিদ্যুৎ উৎপাদিত হয় তেমন বিদ্যুৎ কেন্দ্রে গ্যাস সরবরাহ করার বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা।

সরকারের নীতিগত সিদ্ধান্তও এক্ষেত্রে অকার্যকর করে রাখা হয়েছে। নীতিগত সিদ্ধান্ত রয়েছে কম্বাইন্ড সাইকেল পাওয়ার প্লান্টে যেহেতু কম জ্বালানিতে বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদিত হয়, তাই এগুলো প্রথম চালু করা হবে। এরপর যদি ঘাটতি থাকে তাহলে ধাপে ধাপে ব্যায়বহুল বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো পরিচালনা করা হবে।

গত ৯ মে তারিখের এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে ২৫টি কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মধ্যে মাত্র ৮টি পুরোপুরি চালানো হয়েছে। আর ১০টিতে আংশিক বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়েছে গ্যাস ঘাটতির কারণে। অপর ৭টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র কোনটি যান্ত্রিক ত্রুটি অথবা নিয়মিত মেরামতের কারণে হয় আংশিক উৎপাদন করেছে নয়তো পুরোপুরি বন্ধ ছিল। ২৫টি কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মোট উৎপাদন ক্ষমতা হচ্ছে ৭ হাজার ২৪৯ মেগাওয়াট। ওই দিন ৫৭৮ এমএমসিএফডি গ্যাস সরবরাহ করে মাত্র ৪ হাজার ৪৭ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়।

সবগুলো বিদ্যুৎ কেন্দ্র ২৪ ঘণ্টা সচল রাখতে মোট গ্যাসের প্রয়োজন পড়ে ১ হাজার ৩৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস। বরাবরেই ১১শ’ এমএমসিএফডির বেশি গ্যাস সরবরাহ পেয়ে এসেছে। ২০২১ সালে জুন মাসে গড়ে ১ হাজার ১৫০ এমএমসিএফডি গ্যাস সরবারের তথ্য পাওয়া গেছে।

৯ মে তারিখে গ্যাস ঘাটতির কারণে আশুগঞ্জ ৪৫০ মেগাওয়াট কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎ কেন্দ্রে (পিক আওয়ার) উৎপাদন করেছে মাত্র ৩৫ মেগাওয়াট। একই ক্ষমতাসম্পন্ন আশুগঞ্জের আরেকটি ইউনিট পুরোপুরি বন্ধ রাখা হয়। হরিপুর ৩৬০ মেগাওয়াট কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ৩০২ মেগাওয়াট, ভেড়ারামা ৪১০ মেগাওয়াট কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎ কেন্দ্রে উৎপাদন করা হয়েছে ১৮০ মেগাওয়াট। কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎ কেন্দ্র না চালিয়ে সিম্পল সাইকেল বিদ্যুৎ কেন্দ্রে গ্যাস সরবরাহকে অপরিপক্ক সিদ্ধান্ত বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

সিম্পল সাইকেল বিদ্যুৎ কেন্দ্রে যে গ্যাস দিয়ে ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাওয়া যায়, একই পরিমাণ গ্যাস দিয়ে কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ১৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাওয়া সম্ভব। অর্থাৎ ৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ বেশি পাওয়া সম্ভব। এসব হিসেব জানার পরও কেনো বিপিডিবি সিম্পল সাইকেল বিদ্যুৎ কেন্দ্রে গ্যাস সরবরাহ করছে তার কারণ খুজে পাচ্ছেন না কেউই।

বিপিডিবির জনসংযোগ পরিদপ্তরের পরিচালক সাইফুল হাসান চৌধুরী বার্তা২৪.কমকে বলেন, কম্বাইন্ড সাইকেল বসিয়ে রেখে সিম্পল সাইকেল বিদ্যুৎ কেন্দ্র চালানোর কোন সুযোগ নেই। মেরিট অর্ডার অনুযায়ী বিদ্যুৎ কেন্দ্র পরিচালনা করা হয়। যেখানে উৎপাদন খরচ কম সেখান থেকে শুরু করা হয়। ধাপে ধাপে উপরদিকে যাওয়া হয়। কোন কোন ক্ষেত্রে টেকনিক্যাল কারণে কিছু তারতম্য ঘটতে পারে। উত্তরবঙ্গ ও ময়মনসিংহ অঞ্চলে দূর থেকে বিদ্যুৎ না নিয়ে ওই অঞ্চলের বিদ্যুৎ কেন্দ্র বেশি চালাতে হয়।

ক্যাবের জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্ট অধ্যাপক ড. শামসুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, তারা যেসব কথা বলে, এসব কথাবার্তা বাস্তবতার সঙ্গে প্রমাণ পাওয়া যায় না। যেসব বিদ্যুৎ কেন্দ্র অপরেশনের বাইরে রয়েছে, সেগুলো কারণসহ উল্লেখ থাকতে হবে, তারা সেটি করে না। আমাদের যেহেতু গ্যাস কমে আসছে, তাই আনুসাঙ্গিক খরচ বেশি হলেও যেখানে গ্যাস কম লাগবে সেই বিদ্যুৎ কেন্দ্র চালানো উচিত। বিডিপিবি তা করে না, তারা সরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্র কম চালায় বেশি ব্যায় দেখাতে, আর আইপিপি (বেসরকারি) বেশি চালায় খরচ কম দেখাতে। সরকারি তেল ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র ১০ শতাংশ প্লান্ট ফ্যাক্টরে চালালে ইউনিট প্রতি খরচ পড়ে ২০ টাকা, আর আইপিপি ১৩ শতাংশ প্লান্ট ফ্যান্টরে চালালে খরচ পড়ে ৩১ টাকার মতো।

ড. শামসুল আলম বলেন, বিবিয়ানা দক্ষিণ কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎ কেন্দ্রে দশমিক ১৯ ঘনমিটার গ্যাসে ১ ইউনিট বিদ্যুৎ উৎপাদন করে। ভোলা আইপিপিসহ কোথাও দশমিক ২৪ ঘনমিটার ব্যবহার হচ্ছে।

বিদ্যুৎ বিভাগের সিনিয়র সচিব হাবিবুর রহমান বার্তা২৪.কমকে বলেন, একই পরিমাণ গ্যাস দিয়ে কম্পাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎ কেন্দ্রে বেশি বিদ্যুৎ পাওয়া যায়। তাই কম্পাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো আগে চালানো হয়।

৯ মে কেনো মাত্র অর্ধেক গ্যাস সরবরাহ করা হলো, এদিনতো অনেক বেশি সরবরাহ ছিল। এমন প্রশ্নের জবাবে বলেন, হয়তো কোনো টেকনিক্যাল কারণ রয়েছে। অনেক জায়গা রয়েছে যেখানে গ্যাস নেওয়া কঠিন, আবার গ্রিডের টেকনিক্যাল কারণের উপরও নির্ভরশীল কোন বিদ্যুৎ কেন্দ্র আগে চালানো হবে। হয়তো টেকনিক্যাল কোন কারণ থাকতে পারে। বিপিডিবির কাছে নিশ্চয় ব্যাখ্যা রয়েছে।

কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎ কেন্দ্রে দুটি সাইকেল থাকে, প্রথমত গ্যাস পুড়িয়ে টারবাইনের মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়। পাশাপাশি টারবাইন থেকে নির্গত তাপ ব্যবহার করে উত্তপ্ত পানির বাষ্প দিয়ে আরেকটি টারবাইন ঘুরিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়। সিম্পল সাইকেল বিদ্যুৎ কেন্দ্রে টারবাইন থেকে নির্গত তাপ কোনো কাজে আসে না। অর্থাৎ কম্বাইন্ড সাইকেলে একই পরিমাণ গ্যাস দিয়ে দেড়গুণ বিদ্যুৎ পাওয়া যায়।

বিপিডিবির পরিকল্পনায় এসব ঘাটতি নিয়ে অনেকদিন ধরেই সমালোচনা চলছে। বলা হচ্ছে বিপিডিপির পরিকল্পায় ভুলের কারণে দফায় দফায় বিদ্যুতের দাম বাড়ছে। আগামী ১৮ মে আবার বিদ্যুৎ পাইকারি দাম বৃদ্ধি গণশুনানির তারিখ নির্ধারণ করেছে বিইআরসি।

   

ওয়ালটনের আদর্শ ও নীতিমালার পরিপন্থী নাটক প্রচার করায় বিজ্ঞাপনী প্রতিষ্ঠানকে আইনি নোটিশ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিষয়বস্তু অবহিত না করে ওয়ালটনের আদর্শ ও নীতিমালার পরিপন্থীভাবে ‘রূপান্তর’ শিরোনামের একটি নাটক প্রচার করায় বিজ্ঞাপনী প্রতিষ্ঠান ‘লোকাল বাস এন্টারটেইনমেন্ট’কে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছে ওয়ালটন। পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে সব ধরনের বিজ্ঞাপনী চুক্তিও বাতিল করেছে ওয়ালটন। একইসঙ্গে বিষয়টির জন্য ওয়ালটন গ্রুপ সম্মানিত ক্রেতা ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের নিকট আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছে।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) বিজ্ঞাপনী প্রতিষ্ঠান ‘লোকাল বাস এন্টারটেইনমেন্ট’ এর স্বত্বাধিকারী মোহন আহমেদকে ওই আইনি নোটিশ পাঠানো হয়।

ওয়ালটনের পক্ষে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট মো. রাইসুল ইসলাম রিয়াদ স্বাক্ষরিত আইনি নোটিশে বলা হয়েছে, আপনি লোকাল বাস এন্টারটেইনমেন্ট বিজ্ঞাপনী প্রতিষ্ঠান এর স্বত্বাধিকারী। আপনার প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে আপনার নির্মিত ৬টি নাটকে ওয়ালটন ফ্রিজ ব্র্যান্ডিং করতে সম্মত হয়। শর্ত থাকে যে, উক্ত নাটকসমূহে দেশের আইন, নীতি, নৈতিকতা বা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হয় এরকম কোনো বিষয় অর্ন্তভুক্ত হবে না। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখজনক যে, উক্ত নাটকসমূহের মধ্যে ‘রূপান্তর’ নাটকটিতে এমন কিছু বিষয় অর্ন্তভুক্ত করা হয়েছে, যাতে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে ও মানুষের অনুভূতিতে আঘাত লেগেছে।

নোটিশে আরো বলা হয়েছে, ওয়ালটন কর্তৃপক্ষকে নাটকটির বিষয়বস্তু সম্পর্কে পূর্বে অবহিত না করে রূপান্তর নাটক প্রচার করায় আপনার সঙ্গে চুক্তি বাতিল করা হলো এবং সেই সাথে কেন আপনার বিরুদ্ধে ওয়ালটনের আদর্শ ও নীতিমালার পরিপন্থিভাবে নাটক প্রচারের জন্য আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তা নোটিশ প্রাপ্তির ৭ দিনের মধ্যে জানানোর জন্য বলা হলো।

এর আগে, ফেসবুক-ইউটিউবসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যম থেকে ‘রূপান্তর’ নাটকটি প্রত্যাহারের জন্য বিজ্ঞাপনী সংস্থাকে নির্দেশ দেয় ওয়ালটন। তাৎক্ষণিকভাবে ফেসবুক-ইউটিউবসহ সব মাধ্যম থেকে নাটকটি প্রত্যাহার করে নেয়া হয়।

এরপরই বিজ্ঞাপনী সংস্থার সঙ্গে চুক্তি বাতিল করে ওয়ালটন গ্রুপের আদর্শ ও নীতিমালার পরিপন্থি নাটকে বিজ্ঞাপন প্রচারের জন্য কেন আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না তা জানতে চেয়ে বিজ্ঞাপনী সংস্থা ‘লোকাল বাস এন্টারটেইনমেন্ট’কে লিগাল নোটিশ দেয় ওয়ালটন কর্তৃপক্ষ।

এদিকে, আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে ওয়ালটন জানিয়েছে দেশের মানুষের ধর্মীয় ও সামাজিক অনুভূতিতে আঘাত করে এমন কোনো কর্মকাণ্ড কখনও সমর্থন করে না এবং এসব কর্মকান্ডে সম্পৃক্ত থাকে না। অনাকাঙ্ক্ষিত এই বিষয়টির জন্য ওয়ালটন গ্রুপ মর্মাহত এবং সম্মানিত ক্রেতা ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের নিকট আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছে। এ ধরনের ঘটনা যাতে পুনরাবৃত্তি না ঘটে, সেজন্য তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে বলে বিবৃতিতে জানিয়েছে ওয়ালটন।

;

সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকে ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঈদ পরবর্তী প্রথম কর্মদিবসে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকে ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান উদযাপিত হয়েছে। সোমবার (১৫ এপ্রিল) সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে বর্ণাঢ্য এ ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান উদযাপিত হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী জাফর আলম। এ সময় ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহাম্মদ ফোরকানুল্লাহ, আব্দুল হান্নান খান ও মোহাম্মদ হাবীবুর রহমান, ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের বিভাগীয় প্রধানগণ, বিভিন্ন অঞ্চলের আঞ্চলিক প্রধান, ঢাকাস্থ কয়েকটি শাখার ব্যবস্থাপক সহ প্রধান কার্যালয়ের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে ঊর্ধ্বতন নির্বাহীদের বক্তব্যের পাশাপাশি অন্যান্য কর্মকর্তাদের ঈদ ও বাংলা নববর্ষ বরণের অনুভূতি ব্যক্তকরণ, স্মৃতিচারণ, কৌতুক, গান, স্বরচিত কবিতা ও কবিতা আবৃত্তি ইত্যাদি পরিবেশনা অনুষ্ঠানটিকে আরও প্রাণবন্ত ও বর্ণিল করে তোলে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি জাফর আলম নিজের ঈদ উদযাপনের অনুভূতি ব্যক্ত করেন এবং সকলের সাথে ঈদ ও নববর্ষের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। তিনি বলেন, কর্মক্ষেত্রে যাদের সাথে আমরা বেশিরভাগ সময় কাটাই তারা আমাদের আরেকটি বৃহৎ পরিবার। এই পরিবারের সকলের সাথে ঈদ ও নববর্ষের আনন্দ ভাগ করে নিতে পারছি এটা অনেক আনন্দের। আমরা সকলে মিলে এই ব্যাংককে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি, আমাদের ব্যাংক রেমিট্যান্স, আমানত ও গ্রাহক সংখ্যায় ভালো করছে। ব্যাংকের এই অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে সকলকে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।

;

সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকে ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকে ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত

সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকে ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঈদ পরবর্তী প্রথম কর্মদিবসে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক এক বর্ণাঢ্য ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।

সোমবার (১৫ এপ্রিল) প্রধান কার্যালয়ে এ পুনর্মিলনীর আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্তিত ছিলেন- ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী জাফর আলম।

এসময় ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহাম্মদ ফোরকানুল্লাহ, আব্দুল হান্নান খান ও মোহাম্মদ হাবীবুর রহমান, ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের বিভাগীয় প্রধানগণ, বিভিন্ন অঞ্চলের আঞ্চলিক প্রধান, ঢাকাস্থ কয়েকটি শাখার ব্যবস্থাপকসহ প্রধান কার্যালয়ের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে ঊর্ধ্বতন নির্বাহীদের বক্তব্যের পাশাপাশি অন্যান্য কর্মকর্তাদের ঈদ ও বাংলা নববর্ষ বরণের অনুভূতি ব্যক্তকরণ, স্মৃতিচারণ, কৌতুক, গান, স্বরচিত কবিতা ও কবিতা আবৃত্তি ইত্যাদি পরিবেশনা অনুষ্ঠানটিকে আরও প্রাণবন্ত ও বর্ণিল করে তোলে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি জাফর আলম নিজের ঈদ উদযাপনের অনুভূতি ব্যক্ত করেন এবং সকলের সাথে ঈদ ও নববর্ষের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

তিনি বলেন, কর্মক্ষেত্রে যাদের সাথে আমরা বেশিরভাগ সময় কাটাই তারা আমাদের আরেকটি বৃহৎ পরিবার। এই পরিবারের সকলের সাথে ঈদ ও নববর্ষের আনন্দ ভাগ করে নিতে পেরেছি, এটা অনেক আনন্দের। আমরা সকলে মিলে এই ব্যাংককে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি, আমাদের ব্যাংক রেমিট্যান্স, আমানত ও গ্রাহক সংখ্যায় ভালো করছে। ব্যাংকের এই অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে সকলকে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।

;

একীভূতকরণ নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত জানাল বাংলাদেশ ব্যাংক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (বিডিবিএল), রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক, বেসিক ব্যাংক, পদ্মা ব্যাংক ও ন্যাশনাল ব্যাংকের বাইরে আপাতত অন্য কোনো ব্যাংক একীভূতকরণ করা হবে না বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

সোমবার (১৫ এপ্রিল) এ তথ্য জানান বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মেজবাউল হক।

তিনি জানান, আপাতত রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক, বিডিবিএল, বেসিক, পদ্মা ও ন্যাশনাল ব্যাংকের একভূতীকরণ নিয়ে কাজ করবে বাংলাদেশ ব্যাংক। এই ব্যাংকগুলোর বাইরে নতুন কোনো ব্যাংককে আপাতত একীভূত করা হবে না। তবে পরবর্তী সময়ে অন্য কোনো ব্যাংক একীভূত করা হবে কি না, সে রকম কোনো সিদ্ধান্ত এখনই নেওয়া হচ্ছে না বলেও জানান তিনি।

উল্লেখ্য, পদ্মা ও এক্সিম ব্যাংকের একীভূতকরণের ঘোষণার পর তালিকায় এসেছে সরকারি-বেসরকারি আরও ডজনখানেকের নাম। বিশ্লেষকরা বলছেন, শুধু দুর্বল ব্যাংক একীভূতকরণ করেই সুশাসন ফেরানো যাবে না এই খাতে। ব্যবস্থা নিতে হবে দায়ী পরিচালকদের বিরুদ্ধেও।

এদিকে ব্যাংক একীভূতকরণ সংক্রান্ত নীতিমালা জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতিমালার আলোকে দুর্বল (খারাপ অবস্থা) থাকা ব্যাংকগুলো নিজ থেকে একীভূত না হলে বাধ্যতামূলকভাবে একীভূত করা হবে। তার আগে দুই ব্যাংকের মধ্যে সমঝোতা সই করতে হবে। এরপর আমানতকারী, পাওনাদার ও বিনিয়োগকারীর অর্থ ফেরতের পরিকল্পনা জমা দিতে হবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক বহিঃনিরীক্ষক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ব্যাংকের সার্বিক আর্থিক চিত্র বের করবে। সবশেষ আদালতের কাছে একীভূতকরণের আবেদন করতে হবে।

এতে কোনো ব্যাংক মূলধন ও তারল্য ঘাটতি, খেলাপি ঋণ, সুশাসনের ঘাটতি এবং আমানতকারীদের জন্য ক্ষতিকর কার্যকলাপের কারণে পিসিএ ফ্রেমওয়ার্কের আওতাভুক্ত হলে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক পুনরুদ্ধারে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিধিনিষেধ মানতে হবে। পুনরুদ্ধার পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ব্যর্থ হলে আমানতকারীর স্বার্থে ব্যাংক বাধ্যতামূলক একীভূতকরণ হবে। একীভূতকরণ প্রক্রিয়া সুশৃঙ্খল এবং সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হওয়ার লক্ষ্যে ব্যাংকের অনুসরণের এ নীতিমালা জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক।

;