‘ন্যাশনাল গ্রিড বাণিজ্যিক ভিত্তিতে ব্যবহার করা যাবে’
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, বেসরকারি খাতের জন্য পলিসি গাইডের খসড়া তৈরি করা হয়েছে। যার মাধ্যমে ন্যাশনাল গ্রিড বাণিজ্যিক ভিত্তিতে ব্যবহার করা যাবে।
মঙ্গলবার (১৭ মে) ইকোনমিক অ্যান্ড সোস্যাল কমিশন ফর এশিয়া প্যাসিফিক কর্তৃক যৌথভাবে আয়োজিত ভার্চুয়াল সেমিনারে তিনি এ মন্তব্য করেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিনিয়োগে নিরাপত্তাসহ ১৫ বছরের ট্যাক্স ওয়েবার, আমদানি শুল্কে রেয়াতসহ নানা সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। স্রেডা নবায়নযোগ্য জ্বালানির প্রসারে লজিস্টিক ও কারিগরি সহযোগিতা করছে।
তিনি বলেন, বেসরকারি খাতকে উৎসাহিত করায় গত দশকে বিদ্যুৎ খাতে ১২ বিলিয়ন বিনিয়োগ হয়েছে এবং আগামী ১২ বছরে ৫০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ উৎপাদনে বেসরকারি খাত হতে ৪৪ শতাংশ আসছে। চলমান আটটি নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৫টিই বেসরকারি খাতের। নবায়নযোগ্য জ্বালানি নিয়ে বেসরকারি খাতের ১০টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের চুক্তি করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, জাতীয় সৌর বিদ্যুৎ রোডম্যাপ ২০২১-৪১ খসড়া প্রস্তুত করা হয়েছে। সমন্বিত বিদ্যুৎ জ্বালানি মাস্টারপ্ল্যানে ক্লিন এনার্জিকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি বিভিন্ন উৎসে নবায়নযোগ্য জ্বালানি হতে বিদ্যুৎ উৎপাদনে ২৯টি কোম্পানি আগ্রহ প্রকাশ করেছে। অফসোর উইন্ড, গ্রিন হাইড্রোজেন, ভাসমান সোলার, বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ, সোলার রূপটপ ইত্যাদি খাতে বিনিয়োগ নবায়নযোগ্য জ্বালানির প্রসারে নতুনমাত্রা যোগ করবে।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আয়োজক সংগঠনের (ইউএন) নির্বাহী সচিব আরমিদা সালসিয়াহ আসিজাবানা, ভারতের বিদ্যুৎ, নতুন ও নবায়নযোগ্য জ্বালানিমন্ত্রী রাজ কুমার সিং, ইন্দোনেশিয়ার বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক মন্ত্রী আরিফিন তাসরিফ, নেপালের পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য ড. সুরেন্দ্র লাব কর্ণ, ফিজির জ্বালানি বিষয়ক পরিচালক মিকেলি বেলেনা সংযুক্ত থেকে বক্তব্য রাখেন।