`বিদ্যুতের দাম প্রশ্নে ব্যালান্সি ও সহনশীল সিদ্ধান্ত দেওয়া হবে'
গ্যাস-বিদ্যুতের দাম বাড়লে রপ্তানি ব্যায় বেড়ে যাবে, আবার না বাড়লে তারও প্রভাব রয়েছে। সবকিছু বিবেচনা করে ব্যালান্সিং ও সবার জন্য সহনশীল সিদ্ধান্ত দেওয়া হবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল।
বুধবার (১৮ মে) রাজধানীর বিয়াম অডিটরিয়ামে বিদ্যুতের পাইকারি মূল্যবৃদ্ধির গণশুনানি শেষে তিনি এ মন্তব্য করেন। বিইআরসি কমিশনের চেয়ারম্যান আব্দুল জলিলের নেতৃত্বে শুনানি গ্রহণে উপস্থিত ছিলেন সদস্য মকবুল ই ইলাহী চৌধুরী, বজলুর রহমান, মোহাম্মদ আবু ফারুক ও মোঃ কামরুজ্জামান।
তিনি বলেন, আমরা যুক্তিতর্ক লিপিবদ্ধ করেছি। সব বিচার বিশ্লেষণ করা হবে। আপনাদের আরও কোনো মতামত থাকলে পোস্ট শুনানি দাখিল করতে পারবেন। আগামী ৩১ মে পর্যন্ত দেওয়া যাবে লিখিতভাবে। আমার সেগুলো বিচার বিশ্লেষণ করেই সিদ্ধান্ত জানাব।
তিনি বলেন, ডিমান্ড চার্জের বিষয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বিভিন্ন দেশ সম্প কোয়ালিটি বিদ্যুৎ দিতে না পারলে তার জন্য ইউটিলিটিকে জরিমানা দিতে হবে। ডিমান্ড চার্জ নিবেন, ফেল করলে আপনাকে জরিমানা দিতে হবে। যদি তাই হয় তাহলে আমরা পাইকারিতে ডিমান্ড চার্জ দিতে আপত্তি নেই।
বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি হলে অর্থনৈতিক প্রভাব কি পড়বে, আপস্টিমে, ডাউনস্টিমে কি প্রভাব পড়বে, তার কোন বিশ্লেষণ প্রস্তাবে উঠে আসেনি। গ্যাস-বিদ্যুতের দাম বাড়লে রপ্তানি ব্যায় বেড়ে যাবে। সবকিছু বিবেচনা করে ব্যালান্সিং ও সবার জন্য সহনশীল সিন্ধান্ত দেওয়া হবে।
বিদ্যুতের পাইকারি দাম বৃদ্ধি প্রস্তাবের উপর গণশুনানি শুরু হয়েছে। বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি) বর্তমান দর ইউনিট প্রতি ৫.১৭ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৮.৫৮ টাকা করার প্রস্তাব করেছে।
বিপিডিবির এই প্রস্তাব গ্যাসের বর্তমান দর বিবেচনায়। বিদ্যুৎউৎপাদনের ক্ষেত্রে গ্যাসের দাম ১০০ শতাংশ বৃদ্ধি হলে ৯.১৪ টাকা এবং ১২৫ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পেলে ৯.২৭ টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে। অন্যদিকে বিইআর টেকনিক্যাল কমিটি ভর্তুকি ছাড়া ৮.১৬ টাকা করার মতামত দিয়েছে বলে সুত্র জানিয়েছে। প্রথমে বিপিডিবি তাদের প্রস্তাবের যৌক্তিকতা তুলে ধরবেন। এরপর বিইআরসি টেকনিক্যাল কমিটি বিদ্যুৎ খাতে গ্যাসের দাম ইউনিট প্রতি ১ টাকা বৃদ্ধি বিবেচনায় এই দর সুপারিশ করেছে।