‘অসম্ভবকে সম্ভব করছে ওয়ালটন’



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
গাজীপুরে ওয়ালটন হেড কোয়ার্টার পরিদর্শন করছেন দেশের বিশিষ্টজনরা।

গাজীপুরে ওয়ালটন হেড কোয়ার্টার পরিদর্শন করছেন দেশের বিশিষ্টজনরা।

  • Font increase
  • Font Decrease

‘এক সময় ধারণা করা হতো যে বাংলাদেশে কোনো বড় ম্যানুফ্যাকচারিং প্ল্যান্ট গড়ে তোলা অসম্ভব। কিন্তু ওয়ালটন তা মিথ্যা প্রমাণ করে চলেছে। অসম্ভবকে সম্ভব করছে তারা। নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় গড়ে তুলেছে বিশাল একেকটা ইন্ডাস্ট্রি। ওয়ালটনে কাজ করছেন তরুণ এবং মেধাবী মানুষেরা। পণ্য উৎপাদনসহ সবকিছুতেই টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করছে। শিগগিরই ওয়ালটন বিশ্বের শীর্ষ ব্র্যান্ডে পরিণত হবে।’

শনিবার (১৮ জুন) গাজীপুরের চন্দ্রায় ওয়ালটন হেড কোয়ার্টারে পরিদর্শনকালে দেশের বিশিষ্টজনগণ এসব কথা বলেন। ৫০ জনের পেশাজীবী বিশিষ্টজনদের মধ্যে ছিলেন দেশের খ্যাতনামা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রকৌশলী, কনসালট্যান্ট ও স্বনামধন্য স্থপতিরা।

অতিথিদের মধ্যে ছিলেন ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (ডুয়েট) প্রফেসর ড. হাসান মাহমুদ, সিএফই বিভাগের প্রধান মোস্তফা আফরোজ, ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিকের ইইই বিভাগের অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর ড. জি.আর আহমেদ জামাল এবং অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর এএইচএম জাদিদুল করিম, ইন্টেগ্রেটেড ডিজাইন কনসাসল্যান্ট-এর সিইও প্রফেসর বেলাল আহমেদ, ইউটিলিটি প্রফেশনালস প্রকৌশলী মো. হাসমতুজ্জামান ও শাহানা ইয়াসমিন পলি, আমেরিকাভিত্তিক কনসালট্যান্সি ফার্ম অ্যাশরের রিসার্চ প্রোমোশনের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. মাহফুজুর রহমান, প্রকৌশলী তসলিম উদ্দীন, প্রকৌশলী কাজী আনিসুর রহমান, প্রকৌশলী শাহাদাৎ হোসেন, ডুয়েট প্রকৌশলী আশিকুর রহমান, বাংলাদেশ গ্রিন বিল্ডিং একাডেমির প্রেসিডেন্ট প্রকৌশলী আল-ইমরান হোসাইন, ইলেকট্রোমেকানিক্যাল কন্ট্রোল সার্ভিসের (ইএমসিএস) কনসালট্যান্ট মো. এরশাদ জামান খান, মার্ক আর্কিটেকস এন্ড ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেডের প্রকৌশলী সাজ্জাদ হোসাইন, ইনোভেশন কনসালট্যান্টের প্রকৌশলী নজরুল, অ্যাশরের জুয়েল দাস, রুশদানা জাহান, মো. কবিরুল হক, মো. ইকবাল মাহমুদ, ওমর ফারুক, মো. হুমায়ূন কবির ও প্রকৌশলী ফারুক আহমেদ, স্থপতি সংসদ লিমিটেডের সিনিয়র আর্কিটেক মফিজুল কবির খান, আর্কিটেক আমির হামজা ও সাদিয়া ফেরদৌস, ৩৬০ টোটাল সল্যুশন লিমিটেডের এমডি অনন্ত মাহমুদ, প্রফেসর রেজাউল হামিদ, অ্যাভিয়েশন ইঞ্জিনিয়ারিং কনসালট্যান্ট প্রকৌশলী নাজিম উদ্দীন, মার্ক আর্কিটেকস এন্ড ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেডের প্রকৌশলী চিন্ময় বিশ্বাস, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার মো. আলামিন সরকর, কে এন্ড ডি সল্যুশনের মো. মাহফিজুর রহমান, কনসার্ভ কনসালট্যান্টস প্রাইভেট লিমিটেডের প্রকৌশলী আসিফ হোসাইন, এসেল আর্কিটেকস এন্ড ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেডের এমডি আলমগীর বিপ্লব, মডিউল আর্কিটেক লিমিটেডের সামিউল হক, এ++এএ এর প্রকৌশলী এরশাদ, লিড আর্কিটেক্টস লিমিটেডের এমডি জাকিরুল ইসলাম, ইয়ুথ গ্রæপের প্রকৌশলী গোলাম সারোয়ার সজিব, এবিসি রিসার্চ ফার্মের প্রকৌশলী সায়্যেদুল হক ফকির, এআরপিএইচভিআইজেড আর্কিটেক ফার্মের আর্কিটেক মেহেরুন ফারজানা ও প্রকৌশলী শামসুল আরিফ, ডিজাইন সোর্সের শাহরিয়ার আলম লিমন প্রমুখ।

ইউটিলিটি প্রফেশনালসের সিইও প্রকৌশলী মো. হাসমতুজ্জামান বলেন, ওয়ালটন তাদের কর্মযজ্ঞের মাধ্যমে বাংলাদেশকে বৈশ্বিক অঙ্গনে তুলে ধরছে। ওয়ালটনের প্রোডাকশন প্ল্যান্টে দারুণ স্বাস্থ্যকর পরিবেশ বিরাজ করছে। খুব সাজানো গোছানো আর পরিপাটি ম্যানুফ্যাকচারিং প্ল্যান্ট। এখানে সবকিছুই খুবই পরিকল্পিত উপায়ে তৈরি করা হচ্ছে। একটি আন্তর্জাতিক মানের ম্যানুফ্যাকচারিং প্ল্যান্ট এটি। এই উৎপাদন কারখানা দেখে আমরা মুগ্ধ।

কনসালট্যান্সি ফার্ম অ্যাশরে বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের সাবেক সভাপতি প্রকৌশলী কবিরুল হক বলেন, ওয়ালটন সবকিছুতেই আন্তর্জাতিক মান বজায় রাখতে চেষ্টা করছে। এটা বাংলাদেশের জন্য খুবই ইতিবাচক। ওয়ালটনের এই এগিয়ে যাওয়ায় সব ধরনের সহযোগিতার জন্য প্রস্তুত অ্যাশরে বাংলাদেশ।

এর আগে, সকালে অতিথিরা ওয়ালটন হেড কোয়ার্টারে পৌঁছালে তাদের স্বাগত জানান ওয়ালটনের রিসার্চ এন্ড ইনোভেশন (আরএন্ডআই) সেন্টারের প্রধান তাপস কুমার মজুমদার এবং ওয়ালটনের ডেপুটি এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ও এইচভিএসি অ্যান্ড লাইট কমার্সিয়াল সেকশনের ইনচার্জ খন্দকার শাহরিয়ার মুরশিদ।

সে সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটনের হেড অব সিএসডি আহমেদ তানভির, কমার্শিয়াল এসি আরএন্ডডি বিভাগের প্রধান শামীম আক্তার মুগ্ধ, ওয়ালটন লিফটের ডেপুটি সিবিও জাহিদুর রহমান প্রমুখ।

গাজীপুরের চন্দ্রায় ওয়ালটন হেড কোয়ার্টারে পৌঁছে কনফারেন্স রুমে অতিথিরা প্রথমে ওয়ালটনের বিশাল কর্মযজ্ঞের ওপর নির্মিত ভিডিও ডক্যুমেন্টারি উপভোগ করেন। এরপর তারা ওয়ালটনের সুসজ্জিত প্রোডাক্ট ডিসপ্লে সেন্টার ঘুরে দেখেন। পর্যায়ক্রমে অতিথিরা বিশ্বমানের কম্প্রেসর, এলিভেটর বা লিফট এবং ভিআরএফ এয়ার কন্ডিশনারসহ ইত্যাদি উৎপাদন কারখানা সরেজমিনে পরিদর্শন করেন।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশে ওয়ালটনই প্রথম সম্পূর্ণ নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় কম্প্রেসর, লিফট এবং ভিআরএফ প্ল্যান্ট স্থাপন করেছে। ওয়ালটনের ভিআরএফ ম্যানুফ্যাকচারিং প্ল্যান্ট বিশ্বে ১৫তম। আন্তর্জাতিকমানের বিদ্যুৎসাশ্রয়ী স্পিট, লাইট কমার্শিয়াল ও ভিআরএফ (ভেরিয়্যাবল রেফফ্রিজারেন্ট ফ্লো) এসি বাজারজাত করছে ওয়ালটন। শিল্প-কারখানা, করপোরেট প্রতিষ্ঠান, শপিং মল, হাসপাতাল, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, আবাসিক ভবনসহ মাঝারি ও বড় আকারের বেশিরভাগ স্থাপনাতেই বেড়েছে ওয়ালটন এসির চাহিদা।

   

সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের ১০ শতাংশ লভ্যাংশ অনুমোদন



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের ২৯তম বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার (২৬ জুন) বার্ষিক সাধারণ সভায় ২০২৩ সালের জন্য ১০ শতাংশ লভ্যাংশ অনুমোদন করা হয়, এর মধ্যে ৫ শতাংশ নগদ এবং ৫ শতাংশ স্টক।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ কামাল উদ্দিন। ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ সাঈদুর রহমান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী জাফর আলম সহ পরিচালনা পর্ষদের সদস্যগণ, শরী’আহ সুপারভাইজরী কমিটির চেয়ারম্যান এবং উল্লেখযোগ্য শেয়ারহোল্ডার এতে অংশগ্রহণ করেন। এছাড়াও সভায় ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালকগণ উপস্থিত ছিলেন। ভার্চুয়াল সভায় শেয়ারহোল্ডারগণ ১০% লভ্যাংশের জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন এবং ব্যাংকের অগ্রগতির জন্য নানা পরামর্শ প্রদান করেন। ব্যাংকের কোম্পানী সচিব মোঃ নাজমুল আহসান, এফসিএস অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন ।

সভাপতির বক্তব্যে ব্যাংকের ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ কামাল উদ্দিন সম্মানিত শেয়ারহোল্ডার ও নিয়ন্ত্রক সংস্থাসমূহকে ধন্যবাদ প্রদান করেন এবং তাদের অকৃত্রিম সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞতা জানান। তাদের সহযোগিতা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী জাফর আলম সভায় শেয়ারহোল্ডারদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন এবং ব্যাংকের অগ্রগতির বিভিন্ন সূচক তুলে ধরেন। তিনি ব্যাংকের বিভিন্ন সেবাপণ্য সম্পর্কে শেয়ারহোল্ডারদের অবহিত করেন এবং ব্যাংকের উপর আস্থা রাখার জন্য তাঁদের ধন্যবাদ জানান। পরিচালনা পর্ষদের দিকনির্দেশনায় সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক কাক্সিক্ষত লক্ষ্য অর্জনে সক্ষম হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

;

ইসলামী ব্যাংকের বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে সভা, ছবি: সংগৃহীত

ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে সভা, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি-এর পরিচালনা পর্ষদের সভা ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৫ জুন) এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এতে সভাপতিত্ব করেন ব্যাংকের চেয়ারম্যান আহসানুল আলম। সভায় ভাইস চেয়ারম্যান ডা. তানভীর আহমেদ, অন্যান্য পরিচালকবৃন্দ, ম্যানেজিং ডিরেক্টর মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা এবং অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও কোম্পানি সেক্রেটারি জে.কিউ.এম. হাবিবুল্লাহ, এফসিএস উপস্থিত ছিলেন।

;

প্রবৃদ্ধি ও মূল্যস্ফীতির সংশোধিত লক্ষ্যও পূরণ হচ্ছে না: আইএমএফ



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চলতি ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশে মোট দেশজ উৎপাদনে মাত্র ৫.৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হবে বলে আশঙ্কা করেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। এই আশঙ্কা সত্যি হলে কোভিড-১৯ এর সংক্রমণে ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে বড় ধরনের পতনের পর চার বছরের মধ্যে এবারই সর্বনিম্ন প্রবৃদ্ধি হচ্ছে।

চলতি অর্থবছরের বাজেটে ৭.৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য নির্ধারণ করা হলেও প্রথম ছয় মাসের গতিপ্রকৃতি পর্যালোচনা করে পুরো বছরে ৫.৮২ শকাংশ প্রবৃদ্ধি হবে বলে প্রাথমিক হিসাবে জানিয়েছে সরকারি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)।

পরিসংখ্যান ব্যুরোর সাময়িক হিসাবের চেয়ে বছর শেষে প্রায় ০.৪২ শতাংশীয় পয়েন্ট কম প্রবৃদ্ধি হবে বলে ধারণা আইএমএফ’র।

বাংলাদেশের জন্য পূর্ব প্রতিশ্রুত ঋণ সহায়তার তৃতীয় কিস্তির ১১৪৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অনুমোদনের লক্ষ্যে তৈরি করা এক প্রকাশনায় এ সব তথ্য জানিয়েছে সংস্থাটি।

জিডিপির প্রবৃদ্ধি বাড়ানোর পাশাপাশি নিত্যপণ্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যও পূরণ হচ্ছে না জানিয়ে আইএমএফ বলেছে, চলতি অর্থবছরে গড় মূল্যস্ফীতি দাঁড়াবে ৯.৪ শতাংশে। অর্থবছরের শুরুতে মূল্যস্ফীতির হার ৬ শতাংশে নামিয়ে আনার লক্ষ্য থাকলেও বছর ব্যাপী নিত্যপণ্যের বাড়তি মূল্যের কারণে সংশোধিত বাজেটে লক্ষ্য বাড়িয়ে নির্ধারণ করা হয় ৮ শতাংশ।

জুন মাসের শুরুতে আগামী অর্থবছরের বাজেট বক্তৃতায় ঘোষণা করা এই সংশোধিত লক্ষ্যের চাইতে প্রকৃত মূল্যস্ফীতি ১.৪ শতাংশীয় পয়েন্ট বেশি হবে বলে আইএমএফ এর প্রাক্কলনে উঠে এসেছে।

মে মাস পর্যন্ত প্রকাশিত পরিসংখ্যান ব্যুরোর প্রতিবেদন বলছে, গত ১২ মাসে গড়ে ৯.৭৩ শতাংশ মূল্যস্ফীতি হয়েছে। এ হিসাবে পুরো বছরের মূল্যস্ফীতি আইএমএফ এর প্রাক্কলনের চাইতে বেশি থাকবে বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

আগামী অর্থবছরে মূল্যস্ফীতির হার ৬.৫ শতাংশে নামিয়ে আনার পাশাপাশি জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৬.৭৫ শতাংশে উন্নীত করতে জাতীয় বাজেটে যে লক্ষ্য ঘোষণা করা হয়েছে তা পূরণ হবে না বলেও মনে করে বৈশ্বিক ঋণদাতা সংস্থাটি।

প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, আগামী অর্থবছরে কিছুটা বেড়ে প্রবৃদ্ধি দাঁড়াতে পারে ৬.৬ শতাংশে। আর বার্ষিক গড় মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমে দাঁড়াতে পারে ৭.২ শতাংশে।

সরকারের লক্ষ্যের চাইতে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ০.১৫ শতাংশীয় পয়েন্ট কম ও গড় মূল্যস্ফীতি ০.৭ শতাংশীয় পয়েন্ট বেশি হবে বলে মনে করে সংস্থাটি।

গত এপ্রিলে চলতি অর্থবছরের জন্য প্রায় ছয় শতাংশ প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছিল আইএমএফ। প্রবৃদ্ধি ও মূল্যস্ফীতির লক্ষ্য পূরণ না হওয়ার বিষয়ে সংস্থাটি বলেছে, অর্থবছরের প্রথম অর্ধেক সময়ে জিডিপির প্রবৃদ্ধি ৪.৮ শতাংশে নেমেছে। এপ্রিলে মূল্যস্ফীতি উঠেছে এক দশকের সর্বোচ্চ ৯.৭ শতাংশে।

চলমান আমদানি সংকোচন এবং নীতি কঠোর করণের কারণে প্রকৃত জিডিপি প্রবৃদ্ধি চলতি বছর ৫.৪ শতাংশে দাঁড়াবে। আর আমদানি পুনরুদ্ধার ও বিদেশি মুদ্রার চাপ কিছুটা কমে আসলে তা আগামী অর্থবছরে ৬.৬ শতাংশে উঠবে৷

চলতি অর্থবছরে গড় মূল্যস্ফীতি ৯.৪ শতাংশে উন্নীত হলেও ক্রমাগত কঠোর নীতির পাশাপাশি বিশ্বব্যাপী খাদ্যসহ অন্যান্য পণ্যের দাম কমে আসলে মূল্যস্ফীতি ৭.২ শতাংশে নেমে আসতে পারে।

;

ঈদ উপলক্ষে বিকাশে রেমিটেন্স আসার হার বেড়েছে ৬৬ শতাংশ



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রতিবারের মতো এবারও ঈদের সময় দেশে থাকা প্রিয়জনের বিকাশ অ্যাকাউন্টে রেমিটেন্স পাঠিয়েছেন সারা বিশ্বে অবস্থান করা প্রবাসী বাংলাদেশিরা। বিশ্বব্যাপী বিকাশ-এর পার্টনার মানি ট্রান্সফার অর্গানাইজেশন (এমটিও)-গুলোর মাধ্যমে নিজেদের সুবিধামতো সময়ে মোবাইল ওয়ালেট কিংবা সংশ্লিষ্ট এমটিও-এর এজেন্ট পয়েন্ট থেকে ব্যাংকিং চ্যানেল হয়ে বৈধপথে রেমিটেন্স পাঠাতে পারছেন প্রবাসীরা।

গত বছরের তুলনায় এ বছর ঈদ উপলক্ষে বিকাশে রেমিটেন্স আসার হার বেড়েছে প্রায় ৬৬ শতাংশ, যা সম্প্রতি বাড়তে থাকা দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভকে শক্তিশালী করতেও অবদান রাখছে।

এদিকে, প্রবাসীর পাঠানো রেমিটেন্সের উপর প্রতি হাজারে ২৫ টাকা সরকারি প্রণোদনাসহ পুরো অর্থ মুহূর্তেই বিকাশ অ্যাকাউন্টে পেয়ে যাচ্ছেন দেশে থাকা স্বজনেরা। পাশাপাশি, রেমিটেন্সের টাকা এখন আরো কম খরচে ক্যাশ আউটের সুযোগ নিতে পারছেন প্রবাসীর স্বজনেরা। দেশজুড়ে ১৯টি বাণিজ্যিক ব্যাংক-এর প্রায় ২,৭০০ এটিএম বুথ থেকে হাজারে মাত্র ৭ টাকা চার্জে *২৪৭# ডায়াল করে বা বিকাশ অ্যাপ ব্যবহার করে গ্রাহকরা রেমিটেন্সের টাকা ক্যাশ আউট করতে পারছেন। এছাড়া, বিকাশ-এর এজেন্ট পয়েন্ট থেকে ক্যাশআউটও এখন আরো সাশ্রয়ী, কারণ মাসে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত হাজারে ১৪.৯০ টাকা খরচে দুটি প্রিয় এজেন্ট থেকে ক্যাশ আউট করতে পারছেন। দেশজুড়ে ছড়িয়ে থাকা ৩ লক্ষ ৭৯ হাজার এজেন্ট পয়েন্টে এই সুবিধা গ্রহণ করতে পারছেন তাঁরা।

সহজ, তাৎক্ষণিক ও নিরাপদ হওয়ায় দিন দিন জনপ্রিয় হচ্ছে বিকাশ-এর মাধ্যমে রেমিটেন্স প্রেরণ। বর্তমানে বিশ্বের শতাধিক দেশ থেকে ১০০টিরও বেশি মানি ট্রান্সফার অর্গানাইজেশন (এমটিও)-এর হয়ে দেশের শীর্ষ বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোয় সেটেলমেন্টের মাধ্যমে বৈধপথে প্রিয়জনের বিকাশ অ্যাকাউন্টে সরাসরি রেমিটেন্স পাঠাতে পারছেন প্রবাসীরা। বিকাশ অ্যাকাউন্টে সরাসরি রেমিটেন্স আসায় প্রবাসীর প্রিয়জনরা বিকাশ-এর মাধ্যমেই বিভিন্ন ধরনের পেমেন্ট, গ্যাস-বিদ্যুৎ-পানির মতো ইউটিলিটি সেবার বিল পরিশোধ, টাকা পাঠানো, মোবাইল রিচার্জ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা সরকারি সেবার ফি পরিশোধ, যাকাত-ফিতরা, অনুদান প্রদানসহ অসংখ্য সেবা নিতে পারছেন ঘরে বসেই।

;