সাশ্রয়ী জ্বালানির ব্যবহার বাড়ানোর তাগিদ জ্বালানি উপদেষ্টার
বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে জ্বালানির মূল্য ক্রমবর্ধমান হওয়ায় ইউরোপ এখন কয়লা থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের দিকে যাচ্ছে। আমাদের কার্বন ইমিশন খুবই কম, আমাদের ফুয়েল মিক্সে সাশ্রয়ী মূল্যের জ্বালানির অংশ বাড়ানো যেতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ জ্বালানির খনিজসম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী।
রোববার (৩ জুলাই) ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে সমন্বিত জ্বালানি ও বিদ্যুৎ মহাপরিকল্পনার অন্তবর্তী প্রতিবেদনের উপর আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। মহাপরিকল্পনাটি জাইকার কারিগরি সহায়তায় প্রণয়ন করা হচ্ছে।
সাশ্রয়ী জ্বালানি বলতে গ্যাস ও কয়লাকে বিবেচনা করা হয় বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে। আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে কয়লাকে সাশ্রয়ী জ্বালানির উৎস বিবেচনা করা হয়। জ্বালানি উপদেষ্টা তবে কি কয়লার ব্যবহার বাড়ানোর ইঙ্গিত দিলেন। যা এতোদিন ধরেই অনাদরে পড়ে রয়েছে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আরও বলেন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সরবরাহ চেইন পুনঃপরীক্ষা করা উচিত। কৃষিতে সার ও জ্বালানির ব্যবহারে কৃচ্ছতা,পরিবহন খাতে, শিল্প বা আবাসিকে জ্বালানি তেলের সাশ্রয়ীব্যবহার আমাদের জন্য কল্যাণকর ।
তিনি বলেন, ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র উদ্ভাবনের দিকে মনোনিবেশ করতে হবে। এই উদ্ভাবনই সাফল্যের চাবিকাঠি। আমাদের থ্রী হুইলার এক সময় হয়তো জ্বালানি সংরক্ষণ ও নিরাপত্তার ল্যান্ডমার্ক হিসেবে আবির্ভূত হতে পারে।
টেকসই উন্নয়নকে লক্ষ্য রেখে পূর্বের মহাপরিকল্পনাপর্যালোচনা, ২০৫০ পর্যন্ত জ্বালানি ও বিদ্যুৎ চাহিদা, প্রাথমিক জ্বালানি ও বিদ্যুৎ সরবরাহ, জ্বালানি সংগ্রহ ও ব্যবস্থাপনা, ২০৫০ পর্যন্ত জ্বালানির চাহিদা ও সরবরাহের উপর ভিত্তি করে Nationally Determined Contribution (NDC) হালনাগাদ, সর্বপরি অংশীজনদের সাথে আলোচনা করে সমন্বিত জ্বালানি ও বিদ্যুৎ মহাপরিকল্পনা চূড়ান্ত করা হবে।। অর্থনীতি জ্বালানি এবং পরিবেশের সঙ্গে নিরাপত্তার বিষয়টি সংযুক্ত করে সুষম উন্নয়ন করতেই এই মহাপরিকল্পনা। ২০৫০ সালের মধ্যে কার্বন ইমিশন নেট জিরো করার নির্দশনাও এখানে থাকবে।
জ্বালানির চাহিদা নিরুপণে জিডিপি প্রবৃদ্ধি, জনসংখ্যা বৃদ্ধি, জ্বালানির মূল্য বিশ্লেষণ ও প্রযুক্তির উন্নয়ন নিয়ে পর্যালোচনা করা হয়েছে। প্রযুক্তির উন্নয়নের জন্য ২০৩০ সালের মধ্যে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে সহজ্বালানি হিসেবে এমোনিয়া, ২০৩৫ সালের মধ্যে গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে সহ জ্বালানি হিসেবে হাইড্রোজেন ব্যবহৃত হবে বা বিকল্প জ্বালানি হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে।
জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব মো: মাহবুব হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বিদ্যুৎ সচিব মো: হাবিবুর রহমান, বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাকি,
জাইকার বাংলাদেশ অফিসের প্রধান প্রতিনিধি হায়াকায়া ইউহ ও জাইকা ষ্টাডি টীমের প্রধান ইচিরোকুতানি বক্তব্য রাখেন।