ইসলামী ব্যাংকের অর্ধ-বার্ষিক ব্যবসায় উন্নয়ন সম্মেলন



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের ঢাকা ইস্ট ও কুমিল্লা জোনের অর্ধ-বার্ষিক ব্যবসায় উন্নয়ন সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের ঢাকা ইস্ট ও কুমিল্লা জোনের অর্ধ-বার্ষিক ব্যবসায় উন্নয়ন সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের ঢাকা ইস্ট ও কুমিল্লা জোনের অর্ধ-বার্ষিক ব্যবসায় উন্নয়ন সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রোববার (২৪ জুলাই) ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ব্যাংকের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর ও সিইও মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন।

সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মো. ওমর ফারুক খান, ডেপুটি ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মো. মোস্তাফিজুর রহমান সিদ্দিকী ও মো. নাইয়ার আজম, সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. সিদ্দিকুর রহমান, ইঞ্জিনিয়ার আ ফ ম কামালউদ্দিন, মুহাম্মদ শাব্বির, মো. মাহবুব আলম, মিজানুর রহমান ও মো. মাকসুদুর রহমান, এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. আমিনুর রহমান ও আহমেদ জোবায়েরুল হক এবং কুমিল্লা জোনপ্রধান শহীদুল্লাহ মজুমদার। সম্মেলনে জোনের অধীন শাখাসমূহের প্রধান এবং বিনিয়োগ ও ফরেন এক্সচেঞ্জ ইনচার্জগণ অংশগ্রহণ করেন।

   

অর্থনীতির গতি বৃদ্ধিতে ব্যাংকগুলি ইতিবাচক ভূমিকা রাখছে: বাংলাদেশ ব্যাংক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত, বাংলাদেশ ব্যাংক, ঢাকা

ছবি: সংগৃহীত, বাংলাদেশ ব্যাংক, ঢাকা

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের অর্থনীতির গতি বৃদ্ধিতে ব্যাংকগুলি ইতিবাচক ভূমিকা রাখছে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা।

তারা বলছেন, দেশে এখন নগদ টাকার ব্যবহার কমিয়ে ক্যাশলেস লেনদেনের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। ব্যাংকিং সেবা শহর থেকে গ্রাম পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছে। এতে করে ছাত্রছাত্রী, কৃষক, শ্রমিক, মুক্তিযোদ্ধা, প্রতিবন্ধী সবাই ব্যাংকের সেবা পাচ্ছেন। লাখ লাখ মানুষকে সরকারি ভাতা দেওয়া হচ্ছে ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে।

বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যাংকগুলোকে দিয়ে কর্পোরেট সোশ্যাল রেসপন্সিবিলিটির (সিএসআর) আওতায় স্বাস্থ্যসেবা, বৃত্তি ও বৃক্ষরোপন, পরিবেশ সংরক্ষণের মতো কাজগুলো করানোর ব্যবস্থা নিয়েছে।

ঋণের কিস্তি পরিশোধের সুবিধা
বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, করোনার ভয়াবহ সময়ে শিল্পে দীর্ঘমেয়াদী ঋণের কিস্তি বিলম্বে পরিশোধের সুযোগ সৃষ্টি করে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। এ ছাড়া মাত্র ৪ শতাংশ সুদে কৃষিঋণ বিতরণ, ক্রেডিট কার্ড বিলে কিস্তি পরিশোধের ক্ষেত্রে বিলম্ব মাশুল আদায় না করার সুবিধা গ্রাহক পর্যায়ে দেওয়া হয়েছে।

ব্যাংক থেকে জানানো হয়, মহামারির সময়ে সরকার ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় স্বল্প সুদে ঋণ বিতরণের মাধ্যমে ক্ষুদ্র, অতি ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পকে ব্যবসা পুনরুদ্ধারসহ টিকে থাকতে সহযোগিতা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

এ জন্য আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও ব্যাংকের জন্য নগদ সংরক্ষণ সীমা বা সিআরআর ও বিধিবদ্ধ সঞ্চিতি সংরক্ষণের সীমা কমিয়ে তহবিল সৃষ্টি করে দেওয়া হয়েছে। অর্থনীতির গতি প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে ব্যাংকগুলোকে পুনঃঅর্থায়ন সুবিধা দিয়ে শিল্প ও কৃষিতে ঋণপ্রবাহ নিশ্চিত করা হয়।

করোনার প্রভাব এবং ইউক্রেন যুদ্ধের বিরূপ প্রভাবের অস্বাভাবিক প্রবণতা ঠেকাতে রিজার্ভের কার্যকর ব্যবহার নিশ্চিত করতে পরের বছর অর্থাৎ ২০২২-২৩ অর্থবছরে এসে আমদানির লাগাম টেনে ধরে বাংলাদেশ ব্যাংক।

ডলারের দরের বিপরীতে টাকার মানের সমন্বয় ঘটাতে টাকার অবমূল্যায়ন করা হয়। এতেও সমস্যা কেটে যাওয়ার ক্ষেত্রে অনিশ্চয়তা দেখতে পেয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক বৈদেশিক মুদ্রার ডিলারদের সঙ্গে নিয়ে ব্যাংকগুলোর প্রতি আহ্বান জানায় ডলারের একটি গ্রহণযোগ্য দর নির্ধারণ করে দিতে। এরই মধ্যে মূল্যস্ফীতির ক্রমবর্ধমান উচ্চহার ঠেকাতে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের শুরুতে সুদহারে স্মার্ট করিডর পদ্ধতির সূচনা করে বাংলাদেশ ব্যাংক।

মূল্যস্ফীতি সহনীয় করতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের উদ্যোগ
বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছর শেষ হওয়ার আর মাত্র কয়েক দিন বাকি। গত বছরের জুলাইয়ে এ অর্থবছর শুরুর দিকে ঘোষিত মুদ্রানীতিতে বাংলাদেশ ব্যাংক দুটি বড় সংস্কার আনে। তার একটি ছিল- সুদহারের ৯:৬ পদ্ধতির অবসান এবং অন্যটি হলো ট্রেজারি বিলের ছয় মাসের গড় সুদহার ভিত্তি ধরে নতুন স্মার্ট করিডোর পদ্ধতির সূচনা।

এতে ঋণের সুদহার বাড়ে। উদ্দেশ্য ছিল- মূল্যস্ফীতি কমিয়ে নিয়ে আসা। কিন্তু চলতি অর্থবছরের শেষদিকে এসেও ওই পদ্ধতির প্রত্যাশিত সুফল না আসায় স্মার্ট করিডোর অবসান করে মে মাসে সুদহার বাজারের ওপর বা ব্যাংক-গ্রাহক সম্পর্কের ওপর ছেড়ে দেওয়া হয়। এতে ঋণের সুদহার আরো বেড়ে বর্তমানে ১৩-১৪ শতাংশ হয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংক এখন আশা করছে, এর মাধ্যমে আগামী ডিসেম্বর নাগাদ মূল্যস্ফীতি কমে সহনীয় পর্যায়ে আসবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর ড. মো. হাবিবুর রহমান এ বিষয়ে জানিয়েছেন, সরকারের চলতি হিসাবের নেতিবাচক অবস্থা থেকে উত্তরণ ঘটেছে। এখন উদ্বৃত্ত হয়েছে। আর্থিক হিসাবে বড় ঘাটতি হয়েছিল। সেটা কমে এখন ৫ বিলিয়ন বা ৫শ কোটি ডলারে এসে ঠেকেছে। আর্থিক হিসাবের বড় চ্যালেঞ্জ চলে গেছে, যা আছে তাও জিরো হয়ে যাবে অচিরেই। তিনি বলেন, আশা করছি, ক্ষয় হয়ে যাওয়া রিজার্ভ আগামী তিন-চার মাসের মধ্যে রিবিল্ড (পুনর্গঠন) হওয়া শুরু হবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ড. এজাজুল ইসলাম বলেন, জানুয়ারিতে সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি দেওয়া হয়েছে। এ নীতির মূল উদ্দেশ্য হলো- অর্থনীতির জন্য মৌলিক কার্যক্রম ব্যাহত না হয়, এমন অর্থ সরবরাহ ঠিক রেখে উড়ন্ত বা ব্যাংকিং ব্যবস্থার বাইরে থাকা প্রয়োজনের বেশি অর্থ টেনে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হাতে নেওয়া।

এ লক্ষ্যেই নতুন মুদ্রানীতিতে নীতি সুদহার ২৫ শতাংশীয় পয়েন্ট বাড়িয়ে ৭ দশমিক ৭৫ শতাংশ থেকে ৮ শতাংশ করা হয়। এতে ঋণের সুদহার বাড়ার ইঙ্গিত ছিল। ফলে, বেসরকারি খাতে অর্থ কম যাবে। মূল্যস্ফীতি কমাতে হলে এ পরিস্থিতি মানতে হবে।

এজাজুল ইসলাম আরো জানান, তারা ক্রলিং পেগ দিয়েছেন। এখন ডলারের বিনিময় হার বাজারমুখী হচ্ছে। আশা করছেন, শিগগিরই একটি সঠিক একক দর পেয়ে যাবেন। তাহলে রেমিট্যান্স বাড়বে এবং ডলারের সরবরাহ বৃদ্ধি পাবে।

;

সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের ১০ শতাংশ লভ্যাংশ অনুমোদন



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের ২৯তম বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার (২৬ জুন) বার্ষিক সাধারণ সভায় ২০২৩ সালের জন্য ১০ শতাংশ লভ্যাংশ অনুমোদন করা হয়, এর মধ্যে ৫ শতাংশ নগদ এবং ৫ শতাংশ স্টক।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ কামাল উদ্দিন। ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ সাঈদুর রহমান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী জাফর আলম সহ পরিচালনা পর্ষদের সদস্যগণ, শরী’আহ সুপারভাইজরী কমিটির চেয়ারম্যান এবং উল্লেখযোগ্য শেয়ারহোল্ডার এতে অংশগ্রহণ করেন। এছাড়াও সভায় ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালকগণ উপস্থিত ছিলেন। ভার্চুয়াল সভায় শেয়ারহোল্ডারগণ ১০% লভ্যাংশের জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন এবং ব্যাংকের অগ্রগতির জন্য নানা পরামর্শ প্রদান করেন। ব্যাংকের কোম্পানী সচিব মোঃ নাজমুল আহসান, এফসিএস অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন ।

সভাপতির বক্তব্যে ব্যাংকের ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ কামাল উদ্দিন সম্মানিত শেয়ারহোল্ডার ও নিয়ন্ত্রক সংস্থাসমূহকে ধন্যবাদ প্রদান করেন এবং তাদের অকৃত্রিম সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞতা জানান। তাদের সহযোগিতা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী জাফর আলম সভায় শেয়ারহোল্ডারদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন এবং ব্যাংকের অগ্রগতির বিভিন্ন সূচক তুলে ধরেন। তিনি ব্যাংকের বিভিন্ন সেবাপণ্য সম্পর্কে শেয়ারহোল্ডারদের অবহিত করেন এবং ব্যাংকের উপর আস্থা রাখার জন্য তাঁদের ধন্যবাদ জানান। পরিচালনা পর্ষদের দিকনির্দেশনায় সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক কাক্সিক্ষত লক্ষ্য অর্জনে সক্ষম হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

;

ইসলামী ব্যাংকের বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে সভা, ছবি: সংগৃহীত

ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে সভা, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি-এর পরিচালনা পর্ষদের সভা ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৫ জুন) এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এতে সভাপতিত্ব করেন ব্যাংকের চেয়ারম্যান আহসানুল আলম। সভায় ভাইস চেয়ারম্যান ডা. তানভীর আহমেদ, অন্যান্য পরিচালকবৃন্দ, ম্যানেজিং ডিরেক্টর মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা এবং অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও কোম্পানি সেক্রেটারি জে.কিউ.এম. হাবিবুল্লাহ, এফসিএস উপস্থিত ছিলেন।

;

প্রবৃদ্ধি ও মূল্যস্ফীতির সংশোধিত লক্ষ্যও পূরণ হচ্ছে না: আইএমএফ



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চলতি ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশে মোট দেশজ উৎপাদনে মাত্র ৫.৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হবে বলে আশঙ্কা করেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। এই আশঙ্কা সত্যি হলে কোভিড-১৯ এর সংক্রমণে ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে বড় ধরনের পতনের পর চার বছরের মধ্যে এবারই সর্বনিম্ন প্রবৃদ্ধি হচ্ছে।

চলতি অর্থবছরের বাজেটে ৭.৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য নির্ধারণ করা হলেও প্রথম ছয় মাসের গতিপ্রকৃতি পর্যালোচনা করে পুরো বছরে ৫.৮২ শকাংশ প্রবৃদ্ধি হবে বলে প্রাথমিক হিসাবে জানিয়েছে সরকারি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)।

পরিসংখ্যান ব্যুরোর সাময়িক হিসাবের চেয়ে বছর শেষে প্রায় ০.৪২ শতাংশীয় পয়েন্ট কম প্রবৃদ্ধি হবে বলে ধারণা আইএমএফ’র।

বাংলাদেশের জন্য পূর্ব প্রতিশ্রুত ঋণ সহায়তার তৃতীয় কিস্তির ১১৪৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অনুমোদনের লক্ষ্যে তৈরি করা এক প্রকাশনায় এ সব তথ্য জানিয়েছে সংস্থাটি।

জিডিপির প্রবৃদ্ধি বাড়ানোর পাশাপাশি নিত্যপণ্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যও পূরণ হচ্ছে না জানিয়ে আইএমএফ বলেছে, চলতি অর্থবছরে গড় মূল্যস্ফীতি দাঁড়াবে ৯.৪ শতাংশে। অর্থবছরের শুরুতে মূল্যস্ফীতির হার ৬ শতাংশে নামিয়ে আনার লক্ষ্য থাকলেও বছর ব্যাপী নিত্যপণ্যের বাড়তি মূল্যের কারণে সংশোধিত বাজেটে লক্ষ্য বাড়িয়ে নির্ধারণ করা হয় ৮ শতাংশ।

জুন মাসের শুরুতে আগামী অর্থবছরের বাজেট বক্তৃতায় ঘোষণা করা এই সংশোধিত লক্ষ্যের চাইতে প্রকৃত মূল্যস্ফীতি ১.৪ শতাংশীয় পয়েন্ট বেশি হবে বলে আইএমএফ এর প্রাক্কলনে উঠে এসেছে।

মে মাস পর্যন্ত প্রকাশিত পরিসংখ্যান ব্যুরোর প্রতিবেদন বলছে, গত ১২ মাসে গড়ে ৯.৭৩ শতাংশ মূল্যস্ফীতি হয়েছে। এ হিসাবে পুরো বছরের মূল্যস্ফীতি আইএমএফ এর প্রাক্কলনের চাইতে বেশি থাকবে বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

আগামী অর্থবছরে মূল্যস্ফীতির হার ৬.৫ শতাংশে নামিয়ে আনার পাশাপাশি জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৬.৭৫ শতাংশে উন্নীত করতে জাতীয় বাজেটে যে লক্ষ্য ঘোষণা করা হয়েছে তা পূরণ হবে না বলেও মনে করে বৈশ্বিক ঋণদাতা সংস্থাটি।

প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, আগামী অর্থবছরে কিছুটা বেড়ে প্রবৃদ্ধি দাঁড়াতে পারে ৬.৬ শতাংশে। আর বার্ষিক গড় মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমে দাঁড়াতে পারে ৭.২ শতাংশে।

সরকারের লক্ষ্যের চাইতে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ০.১৫ শতাংশীয় পয়েন্ট কম ও গড় মূল্যস্ফীতি ০.৭ শতাংশীয় পয়েন্ট বেশি হবে বলে মনে করে সংস্থাটি।

গত এপ্রিলে চলতি অর্থবছরের জন্য প্রায় ছয় শতাংশ প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছিল আইএমএফ। প্রবৃদ্ধি ও মূল্যস্ফীতির লক্ষ্য পূরণ না হওয়ার বিষয়ে সংস্থাটি বলেছে, অর্থবছরের প্রথম অর্ধেক সময়ে জিডিপির প্রবৃদ্ধি ৪.৮ শতাংশে নেমেছে। এপ্রিলে মূল্যস্ফীতি উঠেছে এক দশকের সর্বোচ্চ ৯.৭ শতাংশে।

চলমান আমদানি সংকোচন এবং নীতি কঠোর করণের কারণে প্রকৃত জিডিপি প্রবৃদ্ধি চলতি বছর ৫.৪ শতাংশে দাঁড়াবে। আর আমদানি পুনরুদ্ধার ও বিদেশি মুদ্রার চাপ কিছুটা কমে আসলে তা আগামী অর্থবছরে ৬.৬ শতাংশে উঠবে৷

চলতি অর্থবছরে গড় মূল্যস্ফীতি ৯.৪ শতাংশে উন্নীত হলেও ক্রমাগত কঠোর নীতির পাশাপাশি বিশ্বব্যাপী খাদ্যসহ অন্যান্য পণ্যের দাম কমে আসলে মূল্যস্ফীতি ৭.২ শতাংশে নেমে আসতে পারে।

;