উন্নয়ন নিশ্চিত করতে হলে জ্বালানির বহুমুখী ব্যবহার জরুরি

  • স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ভার্চুয়াল সেমিনার

ভার্চুয়াল সেমিনার

নিজস্ব গ্যাস ও কয়লা অনুসন্ধান উত্তোলন এবং আরও পরমাণু বিদ্যুৎ-কেন্দ্রের কথা বিবেচনা নিতে হবে। বাংলাদেশের উন্নয়ন নিশ্চিত করতে হলে জ্বালানি জোগানের সকল উৎসকে বিবেচনায় নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

রোববার (৭ আগস্ট) বাংলাদেশ এনার্জি সোসাইটি’র (বিইএস) আয়োজিত ‘বাংলাদেশে টেকসই জ্বালানি নিরাপত্তা, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভিশন’ শীর্ষক ভার্চুয়াল সেমিনারে এমন অভিমত উঠে আসে।

বিজ্ঞাপন

বক্তারা বলেন, নতুন নতুন প্রযুক্তি সামনে চলে আসছে। বিশেষ করে পরমাণু বিদ্যুতের ছোট মড্যুলার রিয়েক্টর (এসএমআর) সিস্টেম ব্যবহারের কথাও ভাবা যেতে পারে। প্রাথমিক জ্বালানি ও বিদ্যুৎ উৎপাদনের সকল বিকল্প উৎস নিয়ে কাজ করতে হবে। একক জ্বালানির ওপর নির্ভরশীলতা বুদ্ধিমানের কাজ হতে পারে না।

প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরী বলেন, বঙ্গবন্ধু তার দূরদৃষ্টি ও সাহসিকতা দিয়ে দেশের উন্নয়নে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন। তার সেই ভিশনের ধারাবাহিকতায় বর্তমান জ্বালানি চাহিদা পূরণে আমরা দেশব্যাপী সোলার এনার্জি বা সৌরশক্তিকে কাজে লাগাতে পারলে অন্যান্য জ্বালানির ওপর থেকে নির্ভরতা কমবে। একইসাথে দেশবাসীকে জ্বালানি ব্যবহারে সাশ্রয়ী ও সচেতন হতে হবে। আমাদের বর্তমান চাহিদা পূরণের পাশাপাশি ভবিষ্যতের কথা বিচেবনা করে নীতিমালা নির্ধারণ ও পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

বিজ্ঞাপন

সামিট গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আজিজ খান বলেন, বাংলাদেশ বিভিন্ন ক্ষেত্রে স্বনির্ভর হতে সক্ষম হলেও জ্বালানি খাতে আমরা এখনও পিছিয়ে আছি। তবে যুগোপযোগী পলিসি নির্ধারণ, স্থানীয় বিনিয়োগ এবং সরকারি খাত ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা জ্বালানি চাহিদা, সরবরাহ পূরণে সক্ষম হতে পারবো।

জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ড. ম.তামিম বলেন, বাংলাদেশ তেল ও গ্যাস আমদানিকারক একটি দেশ এবং আমাদের মোট জ্বালানির বড় একটি অংশ তেলভিত্তিক। পূর্ববর্তী সময়ে আমরা শুধু তেলের ক্ষেত্রে ভর্তুকি প্রদান করতাম, তবে গ্যাস ও বিদ্যুতের ক্ষেত্রে তা দিতে হতো না। কিন্তু এখন সেই পরিস্থিতি অনেকটা পাল্টে গেছে। তাই এখন যথাযথ নীতি নির্ধারণের মাধ্যমে সরকারের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

বিইএস’র সভাপতি ও সাবেক মুখ্য সচিব মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশও চাহিদা অনুযায়ী জ্বালানি আমদানিতে ব্যর্থ হচ্ছে। অন্যদিকে, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে আমাদের খনিজ সম্পদও ক্ষতির সম্মুখীন। তাই আমাদের যথাসম্ভব জ্বালানির ব্যবহারে সাশ্রয়ী হতে হবে এবং বিকল্প সমাধানগুলো কাজে লাগাতে হবে।

এনার্জি অ্যান্ড পাওয়ার ম্যাগাজিনের সম্পাদক মোল্লাহ আমজাদ হোসেনের সঞ্চালনায় প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইন্টারন্যাশনাল এনার্জি কনসাল্টেন্ট ইঞ্জি. খন্দকার আবদুস সালেক (সুফি)। আলোচনায় অংশ নেন একাত্তর টেলিভিশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোজাম্মেল বাবু , বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) সাবেক সদস্য এবং বাংলাদেশ এনার্জি সোসাইটি’র (বিইএস) সাধারণ সম্পাদক মো. মিজানুর রহমান প্রমুখ।