ডলার যায় দুবাই!
বাংলাদেশের টাকা এখন ডলারে রূপান্তরিত হয়ে দুবাইমুখী। ডলার নিয়ে যাওয়ার এখন প্রধানতম গন্তব্য হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে দুবাই। ঝক্কি-ঝামেলা নাই। ডলার ব্যাংকেও রাখা যায়, সম্পদ কিনে বিনিয়োগ করা এখন একদম সহজ। আগে যে বিধিনিষেধ ছিল প্রায় দু’বছর আগে তা তুলে নিয়েছে দুবাই সরকার। সংযুক্ত আরব আমিরাতের সম্পদশালী আমির শাসিত এই দুবাই হচ্ছে একটি কসমোপলিটান এলাকা। বাংলাদেশি কিছু অসৎ ব্যবসায়ী এখন দেদারসে সম্পদ ক্রয়ে মনোযোগী হয়েছেন, টাকা নিয়ে যাচ্ছেন অবৈধ পন্থায়।
বিধিনিষেধগুলো উঠে যাওয়ার পর এদের দুবাইতে অর্থ নিয়ে যাওয়ার এই দৌড় শুরু হয়। এই শ্রেণিভুক্ত বাংলাদশিরা এরই মধ্যে দুবাইতে গড়ে তুলেছেন সম্পদের পাহাড়। এদের সপরিবারে দুবাইতে ঘনঘন যাওয়া-আসা রয়েছে। এত যাওয়া-আসা প্রশ্নবিদ্ধ যাতে না হয় সেজন্য অজুহাত হিসেবে বলা হয় চিকিৎসার কথাও।
আমেরিকা-কানাডা ও ইউরোপের কয়েকটি দেশে সম্পদ ক্রয়-বিক্রয়ে কড়াকড়ি আরোপের পর এর দুবাইমুখী হতে শুরু করে। পশ্চিমা দেশগুলো এখন অতীতে বিপুল অর্থ দিয়ে সম্পদ বা বাড়ি-গাড়ি কেনার জন্য অর্থের উৎসও জানতে চাইছে। এই অর্থের ট্যাক্ম, দেওয়া হয়েছে কিনা সে প্রশ্নও জানতে চেয়ে নীতিমালা তৈরি করা হয়েছে। এই সম্পদগুলোর বেশিরভাগ বাংলাদেশি এই অবৈধ অর্থবিত্তের অর্জনকারীরা নিকটজনের নামে কেনা। নতুন নীতিমালা অতীতে কেনা বিনিয়োগ সম্পর্কে জানাতে হবে কর্তৃপক্ষকে। এর ফলে সম্পদ বিক্রিও বেশ কঠিন ও কার্যতঃ বন্ধ হয়ে গেছে।
দুবাই ব্যাংকিং সুবিধা থেকে শুরু করে অন্য সব সুযোগ দেওয়ার ফলে দুবাইকেই বেছে নেওয়া হচ্ছে এখন।
দুবাইতে হুন্ডির মাধ্যমে টাকা পাঠানোও এখন ডাল-ভাত। যেকোন পরিমাণ অর্থ অতি সহজে পাঠানো যায় হুন্ডি করে। এছাড়া অতি প্রভাবশালীরা সঙ্গে করে বিপুল পরিমাণ ক্যাশ ডলার নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি নিয়মিত।
সুইস ব্যাংকখ্যাত সুইজারল্যান্ড এক সময় অবৈধ অর্থ পাচার বা গচ্ছিত রাখার স্বর্গরাজ্য হলেও এখন দুবাইকে বলা হচ্ছে মধ্য প্রাচ্যের সুইজারল্যান্ড।
সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) দুবাইছাড়া অন্য ৬টি আমিরাতের মধ্যে সবচাইতে সম্পদশালী হচ্ছে আবুধাবী। দুবাইয়ের মত আবুধাবী ও শারজাহ বিদেশী বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে একই ধরণের সুবিধা দেওয়ার দিকে ঝুঁকছে।
প্রধান সম্পাদক
বার্তা২৪.কম