ফিরোজ খানের খুটির জোর কোথায়!



সেরাজুল ইসলাম সিরাজ, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ফিরোজ খান

ফিরোজ খান

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম থেকে ফিরে: কে এই ফিরোজ খান, তার খুটির জোর কোথায়! কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানিকে (কেজিডিসিএল) ঘুষ, দুর্নীতি-অনিয়মের রামরাজত্ব কায়েম করেছেন। হাজারো অভিযোগ উঠলেও তিনি থেকে গেছেন বহাল তবিয়তে।

রাষ্ট্রীয় ওই কোম্পানিটিতে একইসঙ্গে জিএম (প্রশাসন) ও অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে কোম্পানির সচিব পদে ছড়ি ঘোরাচ্ছেন। যারাই তার দুর্নীতি অনিয়মের বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে তাদেরকেই শায়েস্তা করেছেন। তার অপছন্দের কর্মকর্তার পদোন্নতি ঠেকাতে দুদকের নামে ভুয়া চিঠি তৈরির অভিযোগ রয়েছে।

পেট্রোবাংলার দু’টি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি এবং দুদকের তদন্তে রিপোর্টে দুর্নীতির প্রমাণ উঠে এলেও রয়ে গেছেন ধরা ছোঁয়ার বাইরে। পেট্রোবাংলা শুধু দফায় দফায় তদন্ত করেই যাচ্ছেন। অন্যদিকে ফিরোজ খান তার দুর্নীতি সাম্রাজ্য প্রসারিত করে চলেছেন।

কেজিডিসিএল’র দুর্নীতির বিষয়ে সর্বশেষ কমিটি গঠন করা হয় পরিচালক (পরিকল্পনা) আলী ইকবাল মো. নুরুল্লাহ এর নেতৃত্বে। চার সদস্যের ওই কমিটি গঠন করা হয় পরিচালকের (অপারেশন এন্ড মাইন্স) নেতৃত্বে গঠিত কমিটির রিপোর্টের ‍ওপর ভিত্তি করে। আলী ইকবাল মো. নুরুল্লাহ কমিটিকে দায়িত্ব দেওয়া হয় আগের কমিটির রিপোর্টের অধিকতর তদন্ত করতে।

আলী ইকবাল মো. নুরুল্লাহ কমিটি তদন্তে অসংখ্য অনিয়মের পাশাপাশি কেজিডিসিএল’এ একটি সিন্ডিকেটের প্রমাণ পেয়েছেন। কমিটি তার ৩১ পৃষ্ঠার রিপোর্টে বলেছেন, ফিরোজ খান জিএম (প্রশাসন) হিসেবে দীর্ঘ ৭ বছর প্রেষণে কর্মরত থেকে নিয়মবর্হিভূত ও ইচ্ছামাফিক কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য একটি সিন্ডিকেট তৈরি করেছেন। ফিরোজ খান উক্ত সিন্ডিকেটের মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে নিম্নোক্ত কার্যাদি সম্পাদন করেছেন।

বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিনা অজুহাতে পছন্দ মতো তদন্ত কমিটি গঠন করে বিভাগীয় মামলা দায়েরসহ কর্মকর্তাদের বিভিন্নভাবে হয়রানি। কোম্পানিতে যোগ্যতাসম্পন্ন কারিগরি কর্মকর্তা থাকা সত্ত্বেও অসৎ উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য একই ব্যক্তিকে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পদে পদায়ন, বিভিন্ন বিভাগের দক্ষ কর্মকর্তা নিয়ে গঠিত মিটার পরীক্ষণ কমিটি বাতিল করে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে শুধুমাত্র মার্কেটিং বিভাগের চিহ্নিত অসাধু কর্মকর্তাদের নিয়ে কমিটি পুর্নগঠন।

পদোন্নতি কমিটির সুপারিশ থাকা সত্ত্বেও ইচ্ছাকৃতভাবে সাধারণ ক্যাডারের সহকারী ব্যবস্থাপকদের পদোন্নতি প্রদান না করা। কারিগরি কর্মকর্তাদের পদোন্নতি বঞ্চিতকরণের ‍উদ্দেশ্যে কোম্পানির নির্ধারিত পদোন্নতি কমিটিতে সঠিকভাবে তথ্য উত্থাপন না করা, বোর্ড মিটিংয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তদন্ত কমিটি গঠন না করে সুকৌশলে কার্যবিবরণী উপস্থাপন করে চেয়ারম্যানের অনুমোদনসহ অসংখ্য অভিযোগ।

কোম্পানির গেস্ট হাউজে বিনা ভাড়ায় দীর্ঘদিন অবস্থানের প্রমাণ পায় তদন্ত কমিটি। প্রকৌশলী আমির হামজা ডিজিএম থেকে জিএম পদের প্রমোশনের জন্য চূড়ান্ত সুপারিশ পেলেও উল্টো তাকে চাকরিচ্যুত করার প্রমাণ পেয়েছে তদন্ত কমিটি। রিপোর্টে বলা হয়েছে, প্রকৌশলী আমির হামজাকে পদোন্নতি প্রক্রিয়ার জন্য ২০১৬ সালের ১২ জুলাই পেট্রোবাংলায় প্রেরিত ফাইলে কোন অভিযোগ ছিল না। উক্ত পত্রের প্রেক্ষিতে আগস্টের ২২ তারিখে আমির হামজাসহ ৪ কর্মকর্তাকে উত্তীর্ণ ঘোষণা করে। পদোন্নতি কার্যকরের জন্য কেজিডিসিএল’কে অবহিত করে চিঠি দেয় পেট্রোবাংলা। ওই চিঠি মোতাবেক ৪ কর্মকর্তার পদোন্নতির ইস্যুটি ৯৯তম বোর্ড সভায় উত্থাপন করা হলে অনুমোদিত হয়। কিন্তু স্বাক্ষরিত কর্যবিবরণীতে পরবর্তী বোর্ডসভায় উপস্থাপনের নির্দেশনা ছিল।

কমিটি আমির হামজার ব্যক্তিগত নথি পর্যলোচনা করে লিখেছে, ৯৯তম বোর্ড সভায় নির্দেশনা পালন না করে আমির হামজাকে কোন ধরণের নোটিশ না দিয়ে সাময়িক বরখাস্তের নথি উপস্থাপন করেন ফিরোজ খান। ব্যবস্থাপনা পরিচালক তখন হজ্বের উদ্দেশ্যে দেশের বাইরে ছিলেন (৪৭ দিন)। দেশে ফিরে প্রথম কর্মদিবসে ( সেপ্টেম্বর ২০, ২০১৬) কোন রকম নোটিশ প্রদান, জবাববন্দি কিংবা শুনানি গ্রহণ ব্যতিত আমির হামজাকে সাময়িক বরখাস্ত করেন। আমির হামজার বিরুদ্ধে কোন রকম অভিযোগ না থাকা সত্ত্বেও শুধুমাত্র অভিযোগ গুরুতর লিখে সাময়িক বরখাস্তের আদেশ দেওয়া হয়।

৯৯তম বোর্ড সভার নির্দেশনা পালন না করে প্রকৌশলী আমির হামজাকে সাময়িকভাবে বরখাস্তের আদেশটি ছিল উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং অনভিপ্রেত বলে উল্লেখ করেছে তদন্ত কমিটি।

পেট্রোবাংলার তদন্ত কমিটি বলেছে, সাময়িক বরখাস্তের আদেশে অভিযোগ গুরুতর লিখলেও আদেশের সঙ্গে কোন অভিযোগের অবতারণা করা হয়নি। যেহেতু প্রাপ্ত অভিযোগ গুরুতর উল্লেখ করা হয়েছিল, সেক্ষেত্রে সাময়িকভাবে বরখাস্তের আদেশের সঙ্গে অভিযোগ থাকা আবশ্যক ছিল বলে মনে করে তদন্ত কমিটি। কিন্তু তা না করে (সেপ্টেম্বর ২৬, ২০১৬) অভিযোগ দায়ের করা পদোন্নতি না দেওয়ার উদ্দেশ্যেই করা হয়েছে বলে কমিটি মনে করে।

কমিটি তার অবজারভেশনে লিখেছে, অর্থ আত্মসাৎ ও জনরোষ ব্যতিত কোন কারণ দর্শানোর নোটিশ/ অভিযোগ গঠন/শুনানি/জবানবন্দি গ্রহণ ছাড়া কাউকেই চাকরি থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করার প্রচলন/নজির নেই।

তদন্ত রিপোর্টে বলা হয়েছে, উপব্যবস্থাপক ও ব্যবস্থাপক পদের কর্মকর্তাদের মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে দুদকের অনাপত্তি পত্র থাকলেও সুপিরিয়র সিলেকশন কমিটির সভা আহ্বানের কয়েকদিন আগে (ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২১) স্থানীয় দুদক অফিস থেকে বক্তব্য গ্রহণ ও শ্রবণ করার নোটিশ প্রেরণ করা হয়েছিল। যার পত্রের অনুলিপি একমাত্র জিএম (প্রশাসন) ফিরোজ খানের নিকট সংরক্ষণ করছেন বলে প্রশাসন বিভাগের অন্যান্য কর্মকর্তারা কমিটিকে অবহিত করে।

দুদকের ওই পত্রটি সম্পর্কে তদন্ত কমিটি লিখেছে, পত্রটি স্মারক নম্বরবিহীন এবং কোম্পানি পর্যায়ে পত্রটি গ্রহণের কোন রেকর্ড নেই। এতে প্রতীয়মান হয় কর্মকর্তাদের পদোন্নতি বঞ্চিত করার জন্য এ ধরণের অনাকাঙ্ক্ষিত পত্র সংগ্রহ করা হয়েছে।

পেট্রোবাংলার কর্মকর্তা ফিরোজ খান ২০১৬ সালে প্রেষণে নিয়োগ পান কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানিতে। ৩১ পৃষ্ঠার তদন্ত রিপোর্টে পড়তে পড়তে দুর্নীতি অনিয়মের তথ্য উপাত্ত উঠে এসেছে। পূর্বের কমিটিও ৯টি বিষয়ে তথ্য প্রমাণ তুলে ধরে। কিন্তু এতোকিছুর পরও তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা তো দূরের কথা, বদলি কিংবা দায়িত্ব থেকে সরানো হয়নি। সে কারণে প্রশ্ন উঠেছে কে এই ফিরোজ খান, তার খুটির জোর কোথায়?

ফিরোজ খানকে একাধিক দফায় ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি। পর পর কয়েকদিন এসএমএস দিলেও রিপ্লাই দেননি। বক্তব্যের জন্য গত ১১ সেপ্টেম্বর বেলা ১২টায় তার কার্যালয়ে গেলেও সাক্ষাৎ দেননি। প্রথমে তার সহকারী বলেন, স্যার অফিসে রয়েছেন। সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে সাক্ষাৎ চাইলে বসতে বলেন। মিনিট দশেক পরে বলেন স্যার রুমে নেই।

পে্ট্রোবাংলার পরিচালক (প্রশাসন) মো. আলতাফ হোসেন বার্তা২৪.কম-কে বলেছেন, তদন্ত রিপোর্টের প্রেক্ষিতে প্রশাসনিক করণীয় গ্রহণ করা হয়েছে। আপাতত এর বেশি বলতে পারবো না। সময় হলেই সবকিছু জানানো হবে।

কি ধরনের প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে সে প্রশ্নের দিতে রাজি হননি পরিচালক (প্রশাসন)।

   

ইসলামী ব্যাংকের নোয়াখালী জোনের কর্মকর্তা সম্মেলন অনুষ্ঠিত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির নোয়াখালী জোনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নিয়ে কর্মকর্তা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার ( ২৬ এপ্রিল) ম্যাজিক প্যারাডাইস পার্ক এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

ব্যাংকের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। ব্যাংকের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. মাকসুদুর রহমান-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মুহাম্মদ কায়সার আলী, ডেপুটি ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মুহাম্মদ শাব্বির এবং সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট আবু ছাঈদ মো. ইদ্রিস।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন নোয়াখালী জোনপ্রধান এ. এফ. এম আনিছুর রহমান। সম্মেলনে ব্যাংকের কুমিল্লা জোনপ্রধান মো. মুনিরুল ইসলাম, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট খালেদ মাহমুদ রায়হান, এফসিসিএ সহ প্রধান কার্যালয়ের নির্বাহী, নোয়াখালী জোনের অধীন শাখাসমূহের প্রধান, উপ-শাখা ইনচার্জ, সর্বস্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ উপস্থিত ছিলেন।

;

বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা, নিন্দনীয় দৃষ্টান্ত: টিআইবি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
বাংলাদেশ ব্যাংক

বাংলাদেশ ব্যাংক

  • Font increase
  • Font Decrease

আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠান এবং জনগণের অর্থের শেষ অবলম্বন বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশে নিয়ন্ত্রণ আরোপের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।

এমন পদক্ষেপকে জনস্বার্থে ব্যাংকিং ও আর্থিক খাতের তথ্য প্রকাশে গণমাধ্যমের পেশাগত দায়িত্ব পালনের পথে অভূতপূর্ব প্রতিবন্ধকতা উল্লেখ করে অবিলম্বে তা প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।

গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ অনুযায়ী, ব্যাংকিং ও আর্থিক খাতের তথ্য সংগ্রহে গণমাধ্যম ও সংবাদকর্মীরা বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রবেশের ক্ষেত্রে প্রায় মাসাধিককাল ধরে বাধার সম্মুখীন হচ্ছিলেন। এক্ষেত্রে নিরুপায় হয়ে সমস্যা সমাধানে গভর্নরের সহায়তা চাইলেও ইতিবাচক কোনো ফল আসেনি।

এটিকে জনগণের তথ্য জানার আইনসিদ্ধ অধিকার নিশ্চিতের পথে অনৈতিক ও স্বেচ্ছাচারী পদক্ষেপ উল্লেখ করে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান প্রশ্ন রাখেন, ‘খেলাপি ঋণ, আর্থিক প্রতারণা ও জালিয়াতি এবং সার্বিক সুশাসনের অভাবসহ নানাবিধ সংকটে ব্যাংকিং খাত যখন জর্জরিত তখন তথ্যের অবাধ প্রবাহ বন্ধের সিদ্ধান্তের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের শীর্ষ নেতৃত্ব সবার কাছে কী বার্তা দিতে চান? কিংবা এর মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংক কী অর্জন করতে চায়? তবে কি খাদের কিনারায় উপনীত ব্যাংকিং খাতে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় নিজেদের ব্যর্থতার তথ্য গোপন করতেই এই উদ্যোগ? না-কি যারা ঋণখেলাপি ও জালিয়াতিসহ এ খাতের সংকটের জন্য দায়ী-তাদের স্বার্থ সুরক্ষার প্রয়াস এটি।’ 

বিগত কয়েক বছরে আর্থিক খাতের হাজার হাজার কোটি টাকা কেলেঙ্কারির যে সব তথ্য জনস্বার্থে প্রকাশিত হয়েছে তার বেশিরভাগই এসেছে গণমাধ্যমকর্মীদের বাংলাদেশ ব্যাংকে অবাধ প্রবেশাধিকারের সূত্র ধরে, এমন কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে ড. জামান বলেন, ‘তবে কি ধরে নিতে হবে, বাংলাদেশ ব্যাংক এ খাতের অনিয়মের সঙ্গে জড়িত ঋনখেলাপি, জালিয়াতি ও অর্থপাচারের মতো অপরাধী মহলের অব্যাহত সুরক্ষা নিশ্চিতে কাজ করছে এবং চক্রটির হাতে বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতি ও নেতৃত্ব যে জিম্মি হয়ে পড়েছে, তা গোপন করতেই এহেন নিন্দনীয় পদক্ষেপ নিয়েছে।’

ব্যাংকিং খাত নিয়ে জনমনে যখন আস্থার প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে, কিংবা ব্যাংকের গ্রাহকদের স্বার্থ সুরক্ষার নামে ব্যাংক একীভ‚তকরণ নিয়ে যখন কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিজেই দৃশ্যমান কিংকর্তব্যবিমূঢ়, তখন গোপনীয়তার ঘেরাটোপ আরো বড় বিপদ ডেকে আনতে পারে বলে মনে করে টিআইবি। গণমাধ্যমকর্মীরা নিরুপায় হয়ে সমস্যা সমাধানে গর্ভনরের সহায়তা চাইলে ব্যাংকিং খাতের তথ্যের স্পর্শকাতরতা বিষয়ে গনমাধ্যম ও সংবাদকর্মীদের প্রশিক্ষণের নামে আমলাতান্ত্রিক দীর্ঘসূত্রিতার মাধ্যমে মূলবিষয়কে এড়িয়ে বাস্তবে সাংবাদিকদের বাধাহীন তথ্য সংগ্রহের সুযোগ ফিরিয়ে দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করতে যে বাংলাদেশ ব্যাংক নারাজ, তা পরিষ্কার বলে উদ্বেগ প্রকাশ করছে টিআইবি। যা শুধু স্বেচ্ছাচারিতার বহিঃপ্রকাশই নয়, বরং ঔপনিবেশিক মানসিকতারও পরিচায়ক আখ্যা দিয়ে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলছেন, ‘সমস্যার সমাধান না করে গভর্নর যে পাসনির্ভর ব্যবস্থা চালু করার কথা বলছেন, প্রশিক্ষণের প্রস্তাব দিচ্ছেন, তা আর যা-ই হোক, গণমাধ্যমকর্মীদের পেশাগত দায়িত্ব, বিশেষ করে অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের তথ্য সংগ্রহের ক্ষেত্রে বাস্তবে অপ্রতিরোধ্য নিষেধাজ্ঞা আরোপই শুধু নয়, বরং এর ফলে বাংলাদেশ ব্যাংকের যে কোনো পর্যায়ের কর্মকর্তাই সাংবাদিকদের সাক্ষাত প্রদানে বিরত থাকতে চাইবেন। কেননা সাক্ষাতের পর সংশ্লিষ্ট সাংবাদিক প্রতিবেদন প্রকাশ করলে নির্দিষ্ট কর্মকর্তাকে যে প্রশাসনিক জবাবদিহির নামে হয়রানির মুখোমুখি হতে হবে, তা না বললেও চলে। অর্থাৎ তথ্য প্রাপ্তির সুযোগ কার্যত রুদ্ধ হবে, জনগণ ব্যাংকিং খাতে কী হচ্ছে, কেনো এবং কারা জনগণের অর্থ লোপাটের ফলে লাভবান হচ্ছেন, তা জানার অধিকার থেকে বঞ্চিত হবেন। যা কোনোভাবেই সুবিবেচকের কাজ হতে পারে না। বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃপক্ষের মনে রাখতে হবে, তাঁরা জনস্বার্থের সুরক্ষার ভূমিকা পালনের কথা, ঋণখেলাপি আর ব্যাংকিং খাতের সংকটের জন্য দায়ী মহলের নয়।

সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক নেতৃত্ব কেন্দ্রীয় ব্যাংকে সাংবাদিকদের বাধাহীন প্রবেশের পরিস্থিতি নিশ্চিতে অবিলম্বে উক্ত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করার ঘোষণার মাধ্যমে অবাধ তথ্য প্রকাশের পথকে সুগম করবেন-এমনটাই প্রত্যাশা করে টিআইবি।

;

ঢাকা-কুয়ালালামপুর যাত্রা শুরু করলো ইউএস-বাংলার এয়ারবাস ৩৩০-৩০০



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের বহরে যুক্ত হওয়া এয়ারবাস ৩৩০-৩০০ প্রথমবারের মতো ঢাকা থেকে কুয়ালালামপুরের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেছে।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকাল ১১টা ২৫ মিনিটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ৪২২ জন যাত্রী নিয়ে কুয়ালামপুরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায় এয়ারবাসটি।

আবার কুয়ালালামপুর থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ৪০৯ জন যাত্রী নিয়ে এয়ারবাসটি ছেড়ে আসে স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৮টা ১৫মিনিটে। ইউএস-বাংলার বহরে ২টি এয়ারবাস ৩৩০-৩০০ সহ মোট ২৪টি এয়ারক্রাফট রয়েছে, যা ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের এগিয়ে যাওয়ার সূচককে নির্দেশ করে।

এদিন এয়ারবাস দিয়ে ঢাকা থেকে মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম গন্তব্য দুবাই রুটেও ফ্লাইট পরিচালিত হবে। এখন থেকে প্রতিদিন সকাল ১০টা ৫০মিনিটে ঢাকা থেকে কুয়ালালামপুর ও রাত ৯টা ৫০ মিনিটে ঢাকা থেকে দুবাই রুটে এয়ারবাস ৩৩০-৩০০ দিয়ে ফ্লাইট পরিচালিত হবে।

বর্তমানে আন্তর্জাতিক রুট কুয়ালালামপুর, দুবাই ছাড়াও শারজাহ, আবুধাবী, দোহা, মাস্কাট, সিঙ্গাপুর, ব্যাংকক, মালে, গুয়াংজু, চেন্নাই, কলকাতা রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স।

;

ইসলামী ব্যাংকের ১০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি-এর পরিচালনা পর্ষদ ব্যাংকের শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ২০২৩ সালে ১০% ক্যাশ ডিভিডেন্ড সুপারিশ করেছে। ব্যাংকের ৪১তম বার্ষিক সাধারণ সভার অনুমোদন সাপেক্ষে এ ডিভিডেন্ড প্রদান করা হবে।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) ব্যাংকের চেয়ারম্যান আহসানুল আলম-এর সভাপতিত্বে পরিচালনা পর্ষদের সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সভায় ভাইস চেয়ারম্যান তানভীর আহমেদসহ অন্যান্য পরিচালকবৃন্দ, ম্যানেজিং ডাইরেক্টর ও সিইও মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা এবং অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডাইরেক্টর ও কোম্পানি সেক্রেটারি জে কিউ এম হাবিবুল্লাহ, এফসিএস উপস্থিত ছিলেন।

আগামী ২৫ জুন ২০২৪, মঙ্গলবার ব্যাংকের ৪১তম বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। লভ্যাংশ প্রাপ্তি এবং সাধারণ সভায় যোগদানের ক্ষেত্রে রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ১৬ মে ২০২৪। এ ছাড়া সভায় অন্যান্য আলোচ্যসূচির সাথে ৩১ মার্চ শেষ হওয়া ২০২৪ সালের প্রথম প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণী অনুমোদন করা হয়।

;