ঘুষ দুর্নীতিতে জড়িত কেজিডিসিএল জিএম আমিনুর রহমান



সেরাজুল ইসলাম সিরাজ, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ঘুষ দুর্নীতিতে জড়িত কেজিডিসিএল জিএম আমিনুর রহমান

ঘুষ দুর্নীতিতে জড়িত কেজিডিসিএল জিএম আমিনুর রহমান

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম থেকে ফিরে: কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির (কেজিডিসিএল) মহাব্যবস্থাপক (বিপণন দক্ষিণ) আমিনুর রহমানের বিরুদ্ধে ঘুষ দুর্নীতির তথ্য প্রমাণ পাওয়া গেছে। গ্যাসের বিল বকেয়ার ফাইল কোম্পানি থেকে গায়েব করার সঙ্গে তার নাম উঠে এসেছে।

পেট্রোবাংলা গঠিত তদন্ত কমিটির রিপোর্টে এমন ভয়াবহ তথ্য প্রমাণ বের হয়ে এসেছে। কেজিডিসিএল’র দুর্নীতির বিষয়ে সর্বশেষ কমিটি গঠন (২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২) করা হয় পরিচালক (পরিকল্পনা) আলী ইকবাল মোঃ নুরুল্লাহ এর নেতৃত্বে। ৪ সদস্যের ওই কমিটি গঠনই করা হয় পরিচালকের (অপারেশন এন্ড মাইন্স) নেতৃত্বে গঠিত কমিটির রিপোর্টের ‍উপর ভিত্তি করে। আলী ইকবাল মোঃ নুরুল্লাহ কমিটিকে দায়িত্ব দেওয়া হয় আগের কমিটির রিপোর্টের অধিকতর তদন্তের জন্য।

আলী ইকবাল মোঃ নুরুল্লাহ কমিটি তদন্তে অসংখ্য অনিয়মের পাশাপাশি কেজিডিসিএল’এ একটি সিন্ডিকেটের প্রমাণ পেয়েছেন। কমিটি স্পষ্ট করেই উল্লেখ করেছে সিন্ডিকেট সংশ্লিষ্টদের নাম ও অপকর্মের ফিরিস্তি। এমন এমন সব অনিয়মের প্রমাণ বের হয়ে এসেছে যা দেখে গ্যাস সেক্টরের লোকজনের চোখ কপালে ওঠার মতো অবস্থা।

মহাব্যবস্থাপক (বিপণন দক্ষিণ) আমিনুর রহমান ওই সিন্ডিকেটের অন্যতম সদস্য। মেসার্স জিন্স এক্সপ্রেস লিমিটেড’র শিল্প ও ক্যাপটিভ সংযোগের ক্ষেত্রে বিশাল জালিয়াতির ঘটনায় নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি। বকেয়ার দায়ে কোম্পানিটির গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকা অবস্থায় গ্যাস ব্যবহারের সুযোগ করে দিতে মূখ্য ভূমিকা পালন করেছেন। তদন্ত কমিটি মনে করছে শর্টপিছ ব্যবহার করে চোরাইভাবে গ্যাস ব্যবহার করেছে কোম্পানিটি।

মেসার্স জিন্স এক্সপ্রেস লিমিটেড’র (গ্রাহক সংকেত-৬২৭৬) বকেয়ার দায়ে ২০১৭ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি শিল্প ও ক্যাপটিভ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। বকেয়া ও অন্যান্য দায়সহ ক্যাপটিভ খাতে ২৬ লাখ ৫৩ হাজার এবং শিল্পরানে ২ লাখ ৯৮ হাজার টাকার চাহিদাপত্র ইস্যু করা হয়। চাহিদাপত্র ইস্যুর একমাস পরে ১৭ এপ্রিল বকেয়া পরিশোধ করে জিন্স এক্সপ্রেস। তবে রহস্যজনক কারণে তারা পুনঃসংযোগের আবেদন করা থেকে বিরত থাকে।

প্রায় ৩ বছর পরে ২০২০ সালের ২২ মার্চে পুনঃসংযোগের আবেদন করে। এরপর নথি উপস্থাপন করা হয়, এতে বলা হয় গ্যাস বিপণন নীতিমালা ২০১৪ অনুযায়ী সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার পর ১ বছরের মধ্যে পুনঃসংযোগের আবেদন না করলে সংযোগটি স্থায়ীভাবে বিচ্ছিন্ন বলে বিবেচিত হবে। নীতিমালার ৮.২.১ ধারায় রয়েছে বিচ্ছিন্নকৃত গ্রাহক বিলুপ্ত গ্রাহক হিসেবে গণ্য হবেন। তবে দায় দেনা পরিশোধ সাপেক্ষে নতুন গ্রাহক হিসেবে সংযোগ দেওয়ার সুযোগ রয়েছে। বর্তমানে শিল্পে নতুন সংযোগ প্রদান চালু রয়েছে। পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদন সাপেক্ষে নতুন সংযোগ প্রদান করা যেতে পারে।

ই-ফাইলে উপস্থাপিত নথিতে, মেসার্স জিন্স এক্সপ্রেস লিমিটেডের আউটলেট ভাল্বে স্থাপিত পেপারসিল ২টি ক্ষতিগ্রস্ত এবং সিএমএস এর ইনলেট ভাল্বে পেপারসিল না থাকার কথা উল্লেখ করা হয়।  জিএম আমিনুর রহমান ফাইলটি পাওয়ার পর ই -ফাইলের পরিবর্তে হার্ড ফাইলে উপস্থাপনের নির্দেশ দিয়ে ফেরত পাঠান।

মহাব্যবস্থাপক আমিনুর রহমানের নির্দেশে এবার ফাইলটি বদলে যায়। বিপুল পরিমাণ টাকার বিনিময়ে বোর্ডের উপস্থাপন না করে নিজেই সংযোগ প্রদান করেন আমিনুর রহমান। তদন্ত কমিটি তার মতামতে উল্লেখ করেছে, নিয়ম অনুযায়ী ২০১৮ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারিতেই স্থায়ীভাবে আরএমএস অপসারণ সম্পন্ন করা উচিত ছিল। ই-নথিতে দেখা গেছে গ্রাহক ৩ বছর পর পুনঃসংযোগের আবেদন করেছেন। অন্যদিকে আউটলেট ভাল্বে স্থাপিত পেপারসিল ২টি ক্ষতিগ্রস্ত এবং সিএমএস এর ইনলেট ভাল্বে পেপারসিল না থাকায় ধারণা করা যায় গ্রাহক চুরির সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে। মেসার্স জিন্স এক্সপ্রেস লিমিটেড আরএমএস মিটারের স্থানে শর্টপিছ লাগিয়ে অবৈধভাবে গ্যাস ব্যবহার করেছেন। পুনঃসংযোগের বিষয়ে বোর্ডে উপস্থাপন না করা, স্থায়ী বিচ্ছিন্ন না করে গ্রাহককে অবৈধভাবে গ্যাস ব্যবহারের সুযোগ সৃষ্টি করার জন্য আমিনুর রহমান দায়ী।

কেজিডিসিএল’র একাধিক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, মূলত ওই সংযোগটি শর্টপিছ লাগিয়ে ব্যবহার করে এসেছে। আমিনুর রহমান সিন্ডিকেট বিষয়টি আগে থেকেই অবগত, যে কারণে তারা আরএমএস অপসারণ করেন নি। তারা কোম্পানির কাছ থেকে মাসোহারা নিয়ে চুপ করে ছিলেন। এ রকম অনেক ঘটনা রয়েছে কেজিডিসিএল এলাকায়। কাগজে কলমে সংযোগ নেই, তবে ঠিকই গ্যাস ব্যবহার করে যাচ্ছে। কোম্পানি বকেয়া পরিশোধ করেছে এরপর সংযোগ চাইবে, এটাই স্বাভাবিক। তা না করে ৩ বছর পরে এসেছে পুনঃসংযোগের জন্য। তারা যদি কারখানা চালু নাই করবে তাহলে ১ মাসের মধ্যে বকেয়া পরিশোধ করার কোন যুক্তি থাকতে পারে না। অধিকতর তদন্ত করলে বিষয়টি অবশ্যই বেরিয়ে আসবে। কিন্তু রাঘোব বোয়ালরা জড়িত, তাই হয়তো তদন্ত কমিটিও বিষয়েটি ভাসা ভাসা লিখে গেছে।

এ বিষয়ে কথা বলার জন্য আমিনুর রহমানকে বার্তা২৪.কমকে বলেন, আমি কোন দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত না। কেউ প্রমাণ দিতে পারলে চাকরি ছেড়ে দিবো। বকেয়ার দায়ে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হলে আদায় সাপেক্ষে পুনঃসংযোগ প্রদান করা আমার দায়িত্ব।

তিনি বলেন, জিন্স এক্সপ্রেস লিমিটেড একটি রুগ্ন প্রতিষ্ঠান, ব্যাংকের দায় দেনার কারণে তালাবন্ধ ছিল। তারা এখনও চালু করতে পারেনি। গ্যাস ব্যবহার করার করার অভিযোগ সত্য হতে পারে না। কোম্পানি আগেই আবেদন করেছিল, ৩ বছর পরে আবেদন করার তথ্যও সঠিক নয়। কমিটি রিপোর্ট করেছে হাওয়ার উপরে। কমিটি ধারণা করবে কেনো, তারা তথ্য প্রমাণ দিয়ে কথা বলবে। কোম্পানিটি ভিজিট করলেই সব প্রমাণ পাওয়া যেতো। তদন্ত কমিটি সেখানে গেলেন না কেনো!

   

ইসলামী ব্যাংকের নোয়াখালী জোনের কর্মকর্তা সম্মেলন অনুষ্ঠিত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির নোয়াখালী জোনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নিয়ে কর্মকর্তা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার ( ২৬ এপ্রিল) ম্যাজিক প্যারাডাইস পার্ক এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

ব্যাংকের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। ব্যাংকের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. মাকসুদুর রহমান-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মুহাম্মদ কায়সার আলী, ডেপুটি ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মুহাম্মদ শাব্বির এবং সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট আবু ছাঈদ মো. ইদ্রিস।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন নোয়াখালী জোনপ্রধান এ. এফ. এম আনিছুর রহমান। সম্মেলনে ব্যাংকের কুমিল্লা জোনপ্রধান মো. মুনিরুল ইসলাম, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট খালেদ মাহমুদ রায়হান, এফসিসিএ সহ প্রধান কার্যালয়ের নির্বাহী, নোয়াখালী জোনের অধীন শাখাসমূহের প্রধান, উপ-শাখা ইনচার্জ, সর্বস্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ উপস্থিত ছিলেন।

;

বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা, নিন্দনীয় দৃষ্টান্ত: টিআইবি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
বাংলাদেশ ব্যাংক

বাংলাদেশ ব্যাংক

  • Font increase
  • Font Decrease

আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠান এবং জনগণের অর্থের শেষ অবলম্বন বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশে নিয়ন্ত্রণ আরোপের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।

এমন পদক্ষেপকে জনস্বার্থে ব্যাংকিং ও আর্থিক খাতের তথ্য প্রকাশে গণমাধ্যমের পেশাগত দায়িত্ব পালনের পথে অভূতপূর্ব প্রতিবন্ধকতা উল্লেখ করে অবিলম্বে তা প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।

গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ অনুযায়ী, ব্যাংকিং ও আর্থিক খাতের তথ্য সংগ্রহে গণমাধ্যম ও সংবাদকর্মীরা বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রবেশের ক্ষেত্রে প্রায় মাসাধিককাল ধরে বাধার সম্মুখীন হচ্ছিলেন। এক্ষেত্রে নিরুপায় হয়ে সমস্যা সমাধানে গভর্নরের সহায়তা চাইলেও ইতিবাচক কোনো ফল আসেনি।

এটিকে জনগণের তথ্য জানার আইনসিদ্ধ অধিকার নিশ্চিতের পথে অনৈতিক ও স্বেচ্ছাচারী পদক্ষেপ উল্লেখ করে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান প্রশ্ন রাখেন, ‘খেলাপি ঋণ, আর্থিক প্রতারণা ও জালিয়াতি এবং সার্বিক সুশাসনের অভাবসহ নানাবিধ সংকটে ব্যাংকিং খাত যখন জর্জরিত তখন তথ্যের অবাধ প্রবাহ বন্ধের সিদ্ধান্তের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের শীর্ষ নেতৃত্ব সবার কাছে কী বার্তা দিতে চান? কিংবা এর মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংক কী অর্জন করতে চায়? তবে কি খাদের কিনারায় উপনীত ব্যাংকিং খাতে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় নিজেদের ব্যর্থতার তথ্য গোপন করতেই এই উদ্যোগ? না-কি যারা ঋণখেলাপি ও জালিয়াতিসহ এ খাতের সংকটের জন্য দায়ী-তাদের স্বার্থ সুরক্ষার প্রয়াস এটি।’ 

বিগত কয়েক বছরে আর্থিক খাতের হাজার হাজার কোটি টাকা কেলেঙ্কারির যে সব তথ্য জনস্বার্থে প্রকাশিত হয়েছে তার বেশিরভাগই এসেছে গণমাধ্যমকর্মীদের বাংলাদেশ ব্যাংকে অবাধ প্রবেশাধিকারের সূত্র ধরে, এমন কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে ড. জামান বলেন, ‘তবে কি ধরে নিতে হবে, বাংলাদেশ ব্যাংক এ খাতের অনিয়মের সঙ্গে জড়িত ঋনখেলাপি, জালিয়াতি ও অর্থপাচারের মতো অপরাধী মহলের অব্যাহত সুরক্ষা নিশ্চিতে কাজ করছে এবং চক্রটির হাতে বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতি ও নেতৃত্ব যে জিম্মি হয়ে পড়েছে, তা গোপন করতেই এহেন নিন্দনীয় পদক্ষেপ নিয়েছে।’

ব্যাংকিং খাত নিয়ে জনমনে যখন আস্থার প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে, কিংবা ব্যাংকের গ্রাহকদের স্বার্থ সুরক্ষার নামে ব্যাংক একীভ‚তকরণ নিয়ে যখন কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিজেই দৃশ্যমান কিংকর্তব্যবিমূঢ়, তখন গোপনীয়তার ঘেরাটোপ আরো বড় বিপদ ডেকে আনতে পারে বলে মনে করে টিআইবি। গণমাধ্যমকর্মীরা নিরুপায় হয়ে সমস্যা সমাধানে গর্ভনরের সহায়তা চাইলে ব্যাংকিং খাতের তথ্যের স্পর্শকাতরতা বিষয়ে গনমাধ্যম ও সংবাদকর্মীদের প্রশিক্ষণের নামে আমলাতান্ত্রিক দীর্ঘসূত্রিতার মাধ্যমে মূলবিষয়কে এড়িয়ে বাস্তবে সাংবাদিকদের বাধাহীন তথ্য সংগ্রহের সুযোগ ফিরিয়ে দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করতে যে বাংলাদেশ ব্যাংক নারাজ, তা পরিষ্কার বলে উদ্বেগ প্রকাশ করছে টিআইবি। যা শুধু স্বেচ্ছাচারিতার বহিঃপ্রকাশই নয়, বরং ঔপনিবেশিক মানসিকতারও পরিচায়ক আখ্যা দিয়ে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলছেন, ‘সমস্যার সমাধান না করে গভর্নর যে পাসনির্ভর ব্যবস্থা চালু করার কথা বলছেন, প্রশিক্ষণের প্রস্তাব দিচ্ছেন, তা আর যা-ই হোক, গণমাধ্যমকর্মীদের পেশাগত দায়িত্ব, বিশেষ করে অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের তথ্য সংগ্রহের ক্ষেত্রে বাস্তবে অপ্রতিরোধ্য নিষেধাজ্ঞা আরোপই শুধু নয়, বরং এর ফলে বাংলাদেশ ব্যাংকের যে কোনো পর্যায়ের কর্মকর্তাই সাংবাদিকদের সাক্ষাত প্রদানে বিরত থাকতে চাইবেন। কেননা সাক্ষাতের পর সংশ্লিষ্ট সাংবাদিক প্রতিবেদন প্রকাশ করলে নির্দিষ্ট কর্মকর্তাকে যে প্রশাসনিক জবাবদিহির নামে হয়রানির মুখোমুখি হতে হবে, তা না বললেও চলে। অর্থাৎ তথ্য প্রাপ্তির সুযোগ কার্যত রুদ্ধ হবে, জনগণ ব্যাংকিং খাতে কী হচ্ছে, কেনো এবং কারা জনগণের অর্থ লোপাটের ফলে লাভবান হচ্ছেন, তা জানার অধিকার থেকে বঞ্চিত হবেন। যা কোনোভাবেই সুবিবেচকের কাজ হতে পারে না। বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃপক্ষের মনে রাখতে হবে, তাঁরা জনস্বার্থের সুরক্ষার ভূমিকা পালনের কথা, ঋণখেলাপি আর ব্যাংকিং খাতের সংকটের জন্য দায়ী মহলের নয়।

সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক নেতৃত্ব কেন্দ্রীয় ব্যাংকে সাংবাদিকদের বাধাহীন প্রবেশের পরিস্থিতি নিশ্চিতে অবিলম্বে উক্ত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করার ঘোষণার মাধ্যমে অবাধ তথ্য প্রকাশের পথকে সুগম করবেন-এমনটাই প্রত্যাশা করে টিআইবি।

;

ঢাকা-কুয়ালালামপুর যাত্রা শুরু করলো ইউএস-বাংলার এয়ারবাস ৩৩০-৩০০



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের বহরে যুক্ত হওয়া এয়ারবাস ৩৩০-৩০০ প্রথমবারের মতো ঢাকা থেকে কুয়ালালামপুরের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেছে।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকাল ১১টা ২৫ মিনিটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ৪২২ জন যাত্রী নিয়ে কুয়ালামপুরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায় এয়ারবাসটি।

আবার কুয়ালালামপুর থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ৪০৯ জন যাত্রী নিয়ে এয়ারবাসটি ছেড়ে আসে স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৮টা ১৫মিনিটে। ইউএস-বাংলার বহরে ২টি এয়ারবাস ৩৩০-৩০০ সহ মোট ২৪টি এয়ারক্রাফট রয়েছে, যা ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের এগিয়ে যাওয়ার সূচককে নির্দেশ করে।

এদিন এয়ারবাস দিয়ে ঢাকা থেকে মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম গন্তব্য দুবাই রুটেও ফ্লাইট পরিচালিত হবে। এখন থেকে প্রতিদিন সকাল ১০টা ৫০মিনিটে ঢাকা থেকে কুয়ালালামপুর ও রাত ৯টা ৫০ মিনিটে ঢাকা থেকে দুবাই রুটে এয়ারবাস ৩৩০-৩০০ দিয়ে ফ্লাইট পরিচালিত হবে।

বর্তমানে আন্তর্জাতিক রুট কুয়ালালামপুর, দুবাই ছাড়াও শারজাহ, আবুধাবী, দোহা, মাস্কাট, সিঙ্গাপুর, ব্যাংকক, মালে, গুয়াংজু, চেন্নাই, কলকাতা রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স।

;

ইসলামী ব্যাংকের ১০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি-এর পরিচালনা পর্ষদ ব্যাংকের শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ২০২৩ সালে ১০% ক্যাশ ডিভিডেন্ড সুপারিশ করেছে। ব্যাংকের ৪১তম বার্ষিক সাধারণ সভার অনুমোদন সাপেক্ষে এ ডিভিডেন্ড প্রদান করা হবে।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) ব্যাংকের চেয়ারম্যান আহসানুল আলম-এর সভাপতিত্বে পরিচালনা পর্ষদের সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সভায় ভাইস চেয়ারম্যান তানভীর আহমেদসহ অন্যান্য পরিচালকবৃন্দ, ম্যানেজিং ডাইরেক্টর ও সিইও মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা এবং অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডাইরেক্টর ও কোম্পানি সেক্রেটারি জে কিউ এম হাবিবুল্লাহ, এফসিএস উপস্থিত ছিলেন।

আগামী ২৫ জুন ২০২৪, মঙ্গলবার ব্যাংকের ৪১তম বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। লভ্যাংশ প্রাপ্তি এবং সাধারণ সভায় যোগদানের ক্ষেত্রে রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ১৬ মে ২০২৪। এ ছাড়া সভায় অন্যান্য আলোচ্যসূচির সাথে ৩১ মার্চ শেষ হওয়া ২০২৪ সালের প্রথম প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণী অনুমোদন করা হয়।

;