নিউজউইকের প্রতিবেদন: ওয়ালটন বাংলাদেশের গর্ব, হয়ে উঠছে গ্লোবাল ব্র্যান্ড



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
নিউজউইকের প্রতিবেদন

নিউজউইকের প্রতিবেদন

  • Font increase
  • Font Decrease

ওয়ালটন বাংলাদেশের করপোরেট খাতের গর্ব। ইলেকট্রনিক্স ও প্রযুক্তিপণ্য উৎপাদনে ওয়ালটন নতুন স্ট্যান্ডার্ড সৃষ্টি করেছে। বাংলাদেশের ইলেকট্রনিক্স বাজার সৃষ্টিতে ওয়ালটন বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছে। এবার প্রতিষ্ঠানটি অন্যতম সেরা গ্লোবাল ব্র্যান্ড হওয়ার লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বিশ্বখ্যাত সাময়িকী নিউজউইকের একটি বিশেষ প্রতিবেদনে এসব কথা বলা হয়েছে। প্রতিবেদনে গত এক যুগে (২০০৯ থেকে ২০২১ সাল) বাংলাদেশের অর্থনীতির সাফল্যের চিত্র, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্ব, স্থিতিশীল পুঁজিবাজার এবং শিল্প খাতে ওয়ালটনের অবদান তুলে ধরা হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, ২০০৯ সালে বাংলাদেশের জিডিপি (মোট দেশজ উৎপাদন) ছিল ১০২.৩৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০২১ সালে তা দাঁড়িয়েছে ৪১৬.২৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে। ২০১০ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ক্রমবর্ধমান জিডিপি প্রবৃদ্ধির হারে বাংলাদেশ বিশ্বে শীর্ষস্থান অর্জন করেছে। দেড় দশকে ২৫ মিলিয়নেরও বেশি মানুষ দারিদ্র্যমুক্ত হয়েছে। গত বছর জাতিসংঘ নিশ্চিত করেছে যে, ২০২৬ সালের মধ্যে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে বাংলাদেশের উত্তরণ ঘটবে, যা বিশ্বের খুব কম দেশই সম্ভব করতে পেরেছে। বর্তমান সরকারের লক্ষ্য— প্রবৃদ্ধির এ ধারা অব্যাহত রেখে ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত দেশে পরিণত করা।

নিউজউইকের প্রতিবেদন বলছে, ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার সময় বাংলাদেশ ছিল বিশ্বের দ্বিতীয় দরিদ্রতম দেশ। সেখান থেকে আজ বাংলাদেশ ‘দারিদ্র বিমোচনের মডেল’ হয়ে উঠেছে। স্থিতিশীল গণতন্ত্র, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণের সুযোগ সৃষ্টি, রপ্তানি আয় ইত্যাদির কারণে বাংলাদেশ করোনা অতিমারির মধ্যেও প্রবৃদ্ধি বজায় রেখেছে। বিশ্বব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালে বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৫০৩ মার্কিন ডলার, যেখানে একই সময়ে প্রতিবেশী ভারতের মাথাপিছু আয় ২ হাজার ২৭৭ মার্কিন ডলার। তৈরি পোশাকের পাশাপাশি, চামড়া, পাট, আইটি সেবা, ওষুধ, কৃষি এবং হাই-টেক পণ্যের রপ্তানি খাত ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এশিয়ান উন্নয়ন ব্যাংক আভাস দিয়েছে, ২০২২ সালে বাংলাদেশের জিডিপির প্রবৃদ্ধি হবে ৬.৯ শতাংশ এবং ২০২৩ সালে হবে ৭.১ শতাংশ।

নিউজউইকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার দেশ সব ধরনের প্রতিকূলতা জয় করেছে। শেখ হাসিনা তার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বাংলাদেশে স্থিতিশীল গণতন্ত্র নিশ্চিত এবং নাগরিকদের জীবনমান উন্নয়নে অভূতপূর্ব পরিবর্তন এনেছেন। বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার মাঝেও বাংলাদেশের পুঁজিবাজার স্থিতিশীল ও ইতিবাচক আছে। পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামেরও একটি বিশেষ সাক্ষাৎকার নিউজউইকে প্রকাশিত হয়েছে।

নিউজউইককে দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানিয়েছেন, তার উন্নয়ন লক্ষ্যের কেন্দ্রে রয়েছে উদ্ভাবন ও শিল্পোদ্যোগ।

বিশ্বখ্যাত সাময়িকী নিউজউইকের একই সংখ্যায় বাংলাদেশের ইলেকট্রনিক্স ও প্রযুক্তিপণ্য শিল্প খাতের শীর্ষ প্রতিষ্ঠান ওয়ালটনকে নিয়ে প্রকাশিত বিশেষ প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, ওয়ালটনের ধারাবাহিক প্রবৃদ্ধি বাংলাদেশের ধারাবাহিক প্রবৃদ্ধির সঙ্গে সমান্তরাল। ২০০৮ সালে ওয়ালটন বাংলাদেশে রেফ্রিজারেটর উৎপাদন শুরু করার আগে প্রয়োজনীয় এসব পণ্য বিলাসদ্রব্য হিসেবে বিবেচিত হতো। কিন্তু বর্তমানে এসব পণ্য সাধারণ মানুষের ব্যবহার্য্য হয়ে উঠেছে এবং প্রায় প্রতিটি ঘরে রেফ্রিজারেটর আছে। গত এক দশকে বাংলাদেশে রেফ্রিজারেটরের বাজার ১০ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।

নিউজউইক বলছে, ওয়ালটন বাংলাদেশের প্রথম মোবাইল ফোন, কম্প্রেসর, এয়ার কন্ডিশনার, টেলিভিশন, ল্যাপটপ এবং এলিভেটর উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান। ৭০০ একর জায়গা জুড়ে ওয়ালটনের প্রোডাকশন প্ল্যান্ট গড়ে উঠেছে। যেখানে কর্মসংস্থান হয়েছে ৩০ হাজার মানুষের। ইলেকট্রনিক্স ও হোম অ্যাপ্লায়েন্স খাতে রপ্তানিনির্ভর দেশ থেকে বাংলাদেশকে ওয়ালটন শুধু স্বনির্ভরই করেনি বরং বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রপ্তানি সম্প্রসারণ করেছে। ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ ব্র্যান্ড হওয়ার লক্ষ্যে ওয়ালটন নতুন করে বিপুল পরিমাণ বিনিয়োগ করছে। যুক্তরাষ্ট্রের একটি ব্র্যান্ডকে মোবাইল ফোন সরবরাহে ২০২০ সালে ওয়ালটন চুক্তি করেছে। ২০২২ সালের এপ্রিলে তিনটি ইউরোপিয়ান ব্র্যান্ডের স্বত্ব কিনে নিয়েছে। চলতি বছর দক্ষিণ কোরিয়ায় গবেষণা ও উদ্ভাবন সেন্টার চালুর মাধ্যমে যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিয়েছে ওয়ালটন। সব মিলিয়ে বিশ্বের ৪০টি দেশের বাজারে ওয়ালটনের উপস্থিতি আছে। বিশেষ করে, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য এবং পশ্চিম আফ্রিকায় ওয়ালটন পণ্যের বড় বাজার আছে।

ওয়ালটন শুধু উচ্চমানের হাই-টেক পণ্য উৎপাদন ও ব্যবসা সম্প্রসারণ করছে, এমন নয়। এর পাশাপাশি হাই-টেক শিল্প খাতে বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ দেশ হিসেবে বাংলাদেশের অবস্থান সুদূঢ় করছে।

নিউজউইককে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও গোলাম মুর্শেদ বলেছেন, আমদানি বিকল্প পণ্য উৎপাদনের মাধ্যমে দেশের বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় করছে ওয়ালটন। একই সঙ্গে ব্যাপক কর্মসংস্থান সৃষ্টি, ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ ইন্ডাস্ট্রি এবং দেশের রপ্তানি আয় বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। তবে, সবচেয়ে বড় বিষয় হলো—কান্ট্রি ব্র্যান্ডিং। ইলেকট্রনিক্স ও হাই-টেক শিল্প খাতে বিশ্বজুড়ে বাংলাদেশের ব্র্যান্ডিং করছে ওয়ালটন।

সাক্ষাৎকারে তিনি আরও বলেন, ওয়ালটন পরিবেশের সুরক্ষার ব্যাপারে খুবই সচেতন। পরিবেশের ক্ষতি হয়, এমন কোনো দ্রব্য আমরা ব্যবহার করি না। ওয়ালটনই বিশ্বের প্রথম প্রতিষ্ঠান, যারা হাইড্রোফ্লুরোকার্বন (এইচএফসি) এবং হাইড্রোক্লোরোফ্লোরোকার্বন (এইচসিএফসি) ফেজ-আউট প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে। কম বিদ্যুৎ খরচ মানে কম পরিবেশদূষণ। বিদ্যুৎসাশ্রয়ী পণ্য উৎপাদন এবং পরিবেশবান্ধব রেফ্রিজারেন্ট ব্যবহার করে আসছে ওয়ালটন। একই সঙ্গে ওয়ালটন উৎপাদন খাতে নবায়নযোগ্য শক্তির ব্যবস্থা করছে।

নিউজউইকের সাক্ষাৎকারে ওয়ালটন সিইও বলেন, উদ্ভাবন ও গবেষণা ছাড়া কোনো উদ্যোগ টেকসই হতে পারে না। ওয়ালটন এই দুই বিষয়ে শুরু থেকেই ব্যাপক গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে। এর ফলে আমরা বিশ্বের প্রথম অফলাইন ভয়েস কমান্ড এবং ব্লুটুথ, এয়ার প্লাজমা ও থ্রি-ইন-ওয়ান কনভার্টার প্রযুক্তির এয়ার কন্ডিশনার গ্রাহকদের দিতে পেরেছি। এছাড়া, দেশের প্রথম স্মার্ট রেফ্রিজারেটর, টেলিভিশন, এয়ার কন্ডিশনার, ভয়েস কমান্ড ও গুগল সার্টিফাইড টেলিভিশনও আমরা বাজারে ছেড়েছি।

   

সরবরাহ বাড়ায় কমেছে পেঁয়াজের দাম



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দামে যখন ঊর্ধ্বগতি তখন স্বস্তির বার্তা হয়ে এসেছে পেঁয়াজের দাম। গেলো কয়েক সপ্তাহে যেখানে পেঁয়াজের ঝাঁজে ক্রেতাদের নাজেহাল অবস্থা। সেই পেঁয়াজ এখন বাজারে পাওয়া যাচ্ছে সুলভ মূল্যে। মূলত দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়ায় এবং ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির ঘোষণার পর থেকে নেমে এসেছে পেঁয়াজের দাম।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) সকালে রাজধানীর হাতিরপুল বাজার ঘুরে দেখা গেছে গত সপ্তাহে যে পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছিল ৯০-১০০ টাকা তা মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধানে নেমে এসেছে অর্ধেকেরও কম দামে। বাজার ঘুরে দেখা যায় প্রকারভেদে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪০-৪৫ টাকা যা পাইকারি বাজারে ৩০-৩৫ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।

ক্রেতারা বলছেন গত কয়েক সপ্তাহে সবকিছুর দামে যে আগুন লেগেছিল তা মনে হয় কিছুটা কমতে শুরু করেছে। যদিও অসাধু ব্যবসায়ীরা যা ব্যবসা করার তা করে ফেলেছে। সবার বাসায় এখন পর্যাপ্ত পেঁয়াজ, আলু ও অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের পর্যাপ্ত মজুদ আছে। তাই ক্রেতাদের আনাগোনা বাজারে কমে যাওয়ায় কমেছে জিনিসপত্রের দাম।

শুক্রবার বাজারে প্রতি কেজি শশা বিক্রি হচ্ছে ৬০-৭০। ক্যাপসিকাম ২৫০-৩০০ টাকা। বেগুন প্রতি কেজি ৫০-৬০, লেবুর হালি প্রকারভেদে ২০-৫০ টাকা, কচুর লতি ৬০ টাকা, শিম ৪০ টাকা, মুলা ৩০ টাকা, লাউ ৮০ টাকা, চাল কুমড়া ৫০, করলা ৬০-৭০, টমেটো ৫০-৬০ কেজি, পটল ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া প্রতি পিছ ৪০টাকা, বাঁধাকপি ৪০, ফুলকপি ৫০ এবং কাঁচকলা বিক্রি হচ্ছে ৩০-৪০ টাকা দরে।

পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকায় আগের দামেই পাওয়া যাচ্ছে সকল মাছ

এছাড়া আলু ৪০ টাকা প্রতি কেজি, আদা ২২০, রসুন ২০০, কাঁচামরিচ ৪০ টাকা, পেয়াজ ৪০-৪৫ টাকা , ধনেপাতা ৬০ টাকা কেজি।

হাতিরপুল বাজারের বিক্রেতা নিরব জানান, গত সপ্তাহের চাইতে এই সপ্তাহে সবজির দাম কিছুটা কম। মূলত আমদানি বাড়ার কারণে দাম কমেছে পেঁয়াজ সহ সকল শাক সবজির দাম। আগে ৮০ টাকার নিচে সবজির গায়ে হাত দেয়া যেতো না। কিন্তু এখন তা ৩০ থেকে ৪০ টাকায় নেমে এসেছে।

আরেক ব্যবসায়ী আমান হোসেন জানান, বেগুন ব্যবসায়ীরা এবার ধরা খাইছে। রমজানের প্রথম দুই দিনে বেগুন নিয়ে যে সিন্ডিকেট হইছিলো তাতে পাবলিক ক্ষেপে গিয়ে বেগুন কেনা কমাইয়া দিছে তাই প্রথম দুই দিনে বেগুন ১২০ টাকা করে পাইকারি বিক্রি হলেও এখন তা প্রকারভেদে মাত্র ১০-৩০ টাকা পাইকারিতে পাওয়া যাচ্ছে। এছাড়া ঈদের আগে আর কোন জিনিসের দাম বাড়ার সম্ভাবনা নাই আশাকরি।

এদিকে মাছের বাজারেও দেখা গেছে একই চিত্র। বাজারে ক্রেতা কম থাকায় এবং মাছের পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকায় আগের দামেই পাওয়া যাচ্ছে সকল মাছ।

বাজারে প্রতি কেজি কাচকি পাওয়া যাচ্ছে ৪০০-৬০০ টাকা কেজি। এছাড়া বেলে মাছ ৫০০, ফলি ৫০০, কোরাল ৭০০, পাবদা ৪৫০, লইট্টা ৩০০, বোয়াল ৬০০, আইর ৮০০, রুই ৩৫০, চিতল ৮০০, পাঙ্গাশ ২০০ তেলাপিয়া ২২০, বড় চিংড়ি ১০০০, রুপচাঁদা ১৩৫০, এবং ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ১২০০ টাকা কেজি দরে।

;

রিজার্ভের পরিমাণ জানাল কেন্দ্রীয় ব্যাংক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
রিজার্ভের পরিমাণ জানাল কেন্দ্রীয় ব্যাংক

রিজার্ভের পরিমাণ জানাল কেন্দ্রীয় ব্যাংক

  • Font increase
  • Font Decrease

দীর্ঘদিন ধরে দেশে ডলার সংকটের প্রভাবে বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চয় বা রিজার্ভ ধারাবাহিকভাবে কমছে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সর্বেশষ গণনায় দেশের রিজার্ভ ১৯ দশমিক ৪৫ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। অন্যদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসেবে তা ২৪ দশমিক ৮১ বিলিয়ন ডলার।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সাপ্তাহিক হালনাগাদ প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। 

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত এক সপ্তাহে গ্রস রিজার্ভ কমেছে ৫৩ কোটি ডলার। বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে গত ২১ মার্চ সঞ্চিত বিদেশি অর্থের পরিমাণ ছিল ২৫ দশমিক ২৪ বিলিয়ন ডলার। আর আইএমএফের গণনা পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী তা ছিল ১৯ দশমিক ৯৮ বিলিয়ন ডলার।

এ ছাড়া কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিট রিজার্ভের আরেকটি হিসাব রয়েছে। যা শুধু প্রকাশ করা হয় না, শুধুমাত্র আইএমএফকে দেওয়া হয়। জানা গেছে, ওই হিসাবে বর্তমানে দেশের প্রকৃত রিজার্ভ এখন প্রায় সাড়ে ১৭ বিলিয়ন ডলার। যা দিয়ে ৩ মাসের আমদানি ব্যয় মিটবে।

অর্থাৎ, পণ্য কেনা বাবদ মাসিক প্রায় ৬ বিলিয়ন ডলার করে দায় পরিশোধ করা হয়। নিয়ম অনুযায়ী যেকোনো দেশের ন্যূনতম ৩ মাসের আমদানি খরচের সমান রিজার্ভ থাকতে হয়। বাংলাদেশেরও সেই পরিমাণ রিজার্ভ রয়েছে।

;

ইসলামী ব্যাংকে বঙ্গবন্ধুর জীবনাদর্শের উপর আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির উদ্যোগে এবং বঙ্গবন্ধু পরিষদ ইসলামী ব্যাংক ইউনিটের সহযোগিতায় “বঙ্গবন্ধুর জীবনাদর্শ ও বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবন” শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী এবং স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন। ব্যাংকের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর ও সিইও মুহাম্মদ মুনিরুল মওলার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আ.ব.ম ফারুক, ইসলামী ব্যাংকের পরিচালক, মুক্তিযোদ্ধা মো. জয়নাল আবেদীন, বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্টের সচিব অধ্যক্ষ মো. শাহজাহান আলম সাজু, বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক একেএম আফজালুর রহমান বাবু, বঙ্গবন্ধু পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডাঃ শেখ আব্দুল্লাহ আল মামুন। স্বাগত বক্তব্য দেন বঙ্গবন্ধু পরিষদ ইসলামী ব্যাংক ইউনিটের সভাপতি মো. মোজাহারুল ইসলাম মেহেদী। অনুষ্ঠানে প্রধান কার্যালয়ের নির্বাহী ও কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

;

চীনের সঙ্গে এফটিএ করতে সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রতিবেদন বিনিময়



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
চীনের সঙ্গে এফটিএ করতে সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রতিবেদন বিনিময়

চীনের সঙ্গে এফটিএ করতে সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রতিবেদন বিনিময়

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে বাণিজ্য এবং বিনিয়োগ বাড়ানোর লক্ষ্যে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) সই করার বিষয়ে যৌথভাবে খসড়া সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রতিবেদন বিনিময় করেছে দুই দেশ।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এ সমীক্ষা প্রতিবেদন বিনিময় করে বাংলাদেশ ও চীন।

এসময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ, বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

তপন কান্তি ঘোষ বলেন, বাংলাদেশের স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ বর্তমান সরকারের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রার উল্লেখযোগ্য অর্জন। এ অর্জন বিশ্বে বাংলাদেশের ইতিবাচক ভাবমূর্তি সৃষ্টি এবং বিনিয়োগ ও বাণিজ্যে নতুন সম্ভাবনা তৈরির পাশাপাশি বেশ কিছু চ্যালেঞ্জও তৈরি করবে।

তিনি আরও বলেন, যার মধ্যে স্বল্পোন্নত দেশ হিসাবে উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশে পণ্য রপ্তানির সময় শুল্কমুক্ত কোটামুক্ত প্রবেশাধিকার সুবিধা ২০২৬ সালের পরে হারানো এবং মূল্য সংযোজনের হার অন্যতম। এর ফলে বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যকে ওই সব দেশের বাজারে প্রবেশের সময় সাধারণভাবে আরোপিত শুল্কের সম্মুখীন হতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ফলে ওই সকল দেশে বাংলাদেশের রপ্তানি বাজার সংকোচনের সম্ভাবনা রয়েছে।

কবে নাগাদ এফটিএ সই হতে পারে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, এখনো চুক্তি হয়নি। এখন আলোচনা শুরু হবে। আগামী তিন বছরের মধ্যে চুক্তি সম্পন্ন করতে পারলে ভালো। যদি না হয় আমাদের আলোচনা চালিয়ে যেতে হবে। আলোচনা শেষ না হলে ততোদিন যেন আমাদের এলডিসি হিসাবে এই সুবিধাগুলো তাঁরা দেয় এর জন্য বলবো।

চুক্তির ফলে বাংলাদেশ কি ধরনের সুবিধা পাবে এ বিষয়ে তপন কান্তি ঘোষ বলেন, আমাদের প্রধান রপ্তানি পণ্য গার্মেন্টের বাইরে আরও কিছু পণ্য আছে। রাষ্ট্রদূততের সঙ্গে আলাপকালে তিনি জানিয়েছেন আম ও পাটজাত পণ্যের অনেক সম্ভাবনা আছে। তারপর হস্তশিল্পের বিষয় আছে।

তিনি বলেন, এছাড়া আরও পণ্য আছে। আমরা ইতোমধ্যে চামড়া রপ্তানি করছি। আমরা মানসম্মত চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি করতে পারি। চীনে ১৪০ কোটি মানুষ। সেখানে যদি আমরা বৈচিত্র্য পণ্য নিয়ে যেতে পারি, বড় বাজার। চুক্তি হয়ে গেলে বিনিয়োগ বাড়ারও সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান তিনি।

তপন কান্তি ঘোষ বলেন, আমরা প্রধানত তৈরি পোশাক রপ্তানি করি। ২০২২-২৩ অর্থবছরে আমরা চীনে ৬৭৭ মিলিয় মার্কিন ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছি। বিপরীতে চীন থেকে ২২ দশমিক ৯০ বিলিয়ন ডলার আমদানি করা হয়েছে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেন, বাংলাদেশে চীনের বড় বিনিয়োগ রয়েছে। এখন চীন বাংলাদেশে দ্বিতীয় বৃহৎ বিনিয়োগকারী দেশ। এফটিএ সই হওয়ার পর বিনিয়োগ আরও বাড়বে। বাংলাদেশ চীনে আম, কাঠাল, আলু, পাটপণ্য, চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি করতে পারে।

তিনি আরও বলেন, বর্তমান বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এবং টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য এফটিএ করা প্রয়োজন।

অনুষ্ঠানে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এলডিসি উত্তরণ পরবর্তী সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকারের অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা অনুসারে বাংলাদেশের রপ্তানি বাজার সংরক্ষণ এবং সম্প্রসারণে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে বাণিজ্যিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন দেশ ও ট্রেড ব্লকের সাথে আঞ্চলিক বাণিজ্য চুক্তি সম্পাদনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।

;