জালিয়াতির দায়ে দুবাই ও নবীনগর সিএনজির সংযোগ বিচ্ছিন্ন



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

জালিয়াতি করায় মেসার্স নবীনগর সিএনজি রিফুয়েলিং স্টেশন ও দুবাই সিএনজি রিফুয়েলিং স্টেশনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার কথা নিশ্চিত করেছেন সাভার জোনের ডিজিএম অজিত কুমার দেব। অন্যদিকে লাইসেন্স দেওয়ার আগেই পুনঃসংযোগ দেওয়ায় তিতাস গ্যাসের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)।

বিইআরসির লাইসেন্স না থাকায় সম্প্রতি বেশকিছু সিএনজি ফিলিং স্টেশনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। এরমধ্যে সাভার অঞ্চলেই নবীনগর ও দুবাইসহ ১৪টি। সংযোগ বিচ্ছিন্নের পর লাইসেন্স পেতে আবেদন জমা দেয় ৭০টির মতো প্রতিষ্ঠান। সেসব আবেদন বিষয়ে (২৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত) যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে বিইআরসি।

কিন্তু কালিয়াকৈরে অবস্থিত দুবাই সিএনজি ও নবীনগর সিএনজি তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির লোকজনকে ম্যানেজ করে ২৫ সেপ্টেম্বর সংযোগ নেন। এ নিয়ে বার্তা২৪.কমে একটি নিউজ প্রকাশ হলে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে।

তিতাস গ্যাস সাভার জোনের ডিজিএম অজিত কুমার দেব বার্তা২৪.কমকে বলেছেন, ওরা আমাদের লোকজনকে লাইসেন্স পাওয়ার মিথ্যা তথ্য দিয়ে পুনঃসংযোগ নিয়েছিল। খবরটি জানার পরেই আবার বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে। আমার নির্দেশনা রয়েছে, কোন প্রতিষ্ঠান লাইসেন্স দেখাতে পারলে তাকে সংযোগ দিয়ে দিতে।

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, তিতাস গ্যাসের সহকারি ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মমতাজ উদ্দিন ওই অপকর্মের মূল হোতা। দুবাই সিএনজির মালিকপক্ষের সঙ্গে আতাত করে কাগজপত্র ছাড়াই পুনঃসংযোগ দিয়েছে। মমতাজ উদ্দিন ওই অঞ্চলে দীর্ঘ ৮ বছর ধরে কর্মরত। এরমাধ্যমে একটি সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছেন।

দুবাই সিএনজি রিফুয়েলিং স্টেশনের ম্যানেজার ইকবাল হোসেন বার্তা২৪.কমকে বলেন, আমরা এখনও লাইসেন্স পাইনি। কিভাবে সংযোগের ব্যবস্থা হয়েছে আমার জানার বাইরে। আমাদের হেড অফিস তিতাস গ্যাসের সঙ্গে যোগাযোগ করে পুনঃসংযোগের ব্যবস্থা করেছিলেন। মালিক আলহাজ্ব আব্দুর রহিম মিয়ার সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায় নি।

তিতাস গ্যাসের সাভার জোনের সহকারি ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মমতাজ উদ্দিন ফোন দিলে রিসিভ করেন। তবে প্রশ্ন জানার পর লাইন কেটে দেন।

বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) সূত্র জানিয়েছে, বার্তা২৪.কম এর নিউজটি নজরে এলে, কমিশন বিষয়টি আমলে নিয়েছে। এ বিষয়ে ব্যাখ্যা চেয়ে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক বরাবরে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

অন্যদিকে জালিয়াতি করার দুবাই ও নবীনগর সিএনজির লাইসেন্সির আবেদনের ইস্যুটি স্থগিত করা হয়েছে। আজ (২৮ সেপ্টেম্বর) নতুন লাইসেন্স প্রদান শুরু হলেও ওই দুইটি এখনই না দেওয়া সিদ্ধান্ত রয়েছে।

গত ১৯ সেপ্টেম্বর বিইআরসির কমিশনের বৈঠকে ৪৭টি লাইসেন্সের আবেদন উপস্থাপন করে। এরমধ্যে ৪০টি আবেদনে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র থাকায় লাইসেন্স ইস্যুর সিদ্ধান্ত নেয় কমিশন।

বিইআরসি আইন ২০০৩ ও গ্যাস আইন ২০১০ অনুযায়ী বিইআরসির লাইসেন্স ছাড়া সিএনজি স্টেশন পরিচালনা করার কোন ‍সুযোগ নেই। লাইসেন্স ছাড়াই ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে শতাধিক ফিলিং স্টেশন। ওইসব সিএনজি রি-ফুয়েলিং স্টেশনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ২০১৪ সালে প্রথম চিঠি দেয় বিইআরসি। এরপরও মোট ৮ দফায় দফায় চিঠি দেওয়া হলেও তিতাসের সাড়া দিচ্ছিল না। ওই বিষয়েও ৬ সেপ্টেম্বর বার্তা২৪.কমে রিপোর্ট প্রকাশিত হয়। নিউজের পর কিছুটা ক্ষুব্ধ হয়ে গণহারে সংযোগ বিচ্ছিন্নে নামেন। বিইআরসির নির্দেশনা ছিল যারা এখন পর্যন্ত লাইসেন্স নেননি,তাদের বিষয়ে কঠোর পদক্ষেপ নিতে।

কিন্তু তিতাস সম্প্রতি গত ১০ ও ১১ সেপ্টেম্বর বেশকিছু ফিলিং স্টেশনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। এর মধ্যে নবায়নের মেয়াদ শেষ হয়েছে এমন সংযোগও বিচ্ছিন্ন করা হয়। এতে সিএনজি ফিলিং স্টেশন মালিকদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সঞ্চার করে। একসঙ্গে অনেক লাইসেন্সের আবেদন জমা পড়ায় সামলাতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে বিইআরসিকে।

বিইআরসির সদস্য মোহাম্মদ আবু ফারুক বার্তা২৪.কমকে বলেছেন, আমাদের লোকবলের সংকট রয়েছে। আমরা চেষ্টা করেছি দ্রুততার সঙ্গে লাইসেন্স ইস্যু করতে। গভীর রাত পর‌্যন্ত কাজ করেছে সংশ্লিষ্ট বিভাগ। এমনকি দ্রুত সেবা প্রদানের জন্য বন্ধের দিনেও কাজ করা হয়েছে। একজন সহকারি পরিচালক আড়াই হাজার লাইসেন্স ডিল করে। তাহলে বুঝতে পারছেন তাকে কি পরিমাণ লোড নিতে হয়। আমরা একটি লোকবল বাড়ানোর জন্য অর্গানোগ্রাম রেডি করেছি। চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে, লোকবল পেলে সেবার মান আরও বৃদ্ধি পাবে।

ইদানিং কমিশনের কিছু কর্মকর্তার ঘুষ দুর্নীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়ার অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। কমিশনের মিটিংয়ে অনুমোদন হয়নি তার আগেই পেট্রোলিয়ামের একটি লাইসেন্স ইস্যুর ঘটনা সামনে এসেছে। বিষয়টি কমিশনের চেয়ারম্যানের নজরে এলে ৫জনকে শোকজ করা হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা মনে করে অংকুরেই দুর্নীতির শেকড় উপড়ে ফেলতে না পারলে বিইআরসি তার ভাবমূর্তি ধরে রাখতে ব্যর্থ হবে।

বিইআরসির চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল বার্তা২৪.কমকে বলেছেন, আপনি সঠিক জেনেছেন, একজনের বিষয়ে অ্যাকশনে যাওয়া হয়েছে। অপরাধ প্রমাণ হলে কাউকে চুল পরিমাণ ছাড় দেওয়া হবে না। নবীনগর ও দুবাই সিএনজি বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কমিশনের সদস্য (গ্যাস) মকবুল ই ইলাহীকে বলা হয়েছে।

কমিশনের সদস্য (গ্যাস) মকবুল ই ইলাহী চৌধুরী বার্তা২৪.কমকে বলেছেন, আমরা ব্যাখা চেয়ে চিঠি দিচ্ছি। ব্যাখ্যা পেলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ বিষয়ে কথা বলার জন্য ফোন দিলেও রিসিভ করেন নি তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক হারুনুর রশীদ মোল্লাহ।

   

শিশুখাদ্য সেরেলাক ও নিডোতে উচ্চমাত্রায় চিনি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নেসলের শিশুখাদ্য সেরেলাক ও নিডোতে উচ্চমাত্রার চিনির উপস্থিতি পাওয়া গেছে। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বেসরকারি সংস্থা পাবলিক আই ও ইন্টারন্যাশনাল বেবি ফুড অ্যাকশন নেটওয়ার্কের করা গবেষণায় এ তথ্য মিলেছে। শিশুদের খাবারে যাতে চিনি যুক্ত করা না হয় এ বিষয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) সুপারিশ রয়েছে।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মানদণ্ড পরীক্ষায় কোনো ধরনের ক্ষতিকারক বিষয় সামনে আসলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তাছাড়া বিএসটিআই’র পক্ষ থেকেও একই কথা বলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য জানা গেছে।

গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বের বৃহত্তম ভোগ্যপণ্য কোম্পানি নেসলে বেশ কয়েকটি দেশে শিশুদের জন্য তৈরি করা দুধ ও সিরিয়াল পণ্যগুলোতে বাড়তি চিনি ও মধু যুক্ত করে, যা স্থূলতা এবং দীর্ঘস্থায়ী রোগ প্রতিরোধের আন্তর্জাতিক নীতিমালার লঙ্ঘন। নেসলের শিশুখাদ্যে বাড়তি চিনি যুক্ত করার আইন লঙ্ঘনের এই ঘটনা কেবল এশিয়ান, আফ্রিকান এবং লাতিন আমেরিকার দেশগুলোতে পাওয়া গেছে। বাংলাদেশে নেসলের শিশুখাদ্য সেরেলাক থেকে একজন শিশুকে একবার যে পরিমাণ খাবার পরিবেশন করা হয়, তাতে প্রায় ৩ দশমিক ৩ গ্রাম বাড়তি চিনি উপস্থিতি আছে।

পাবলিক আই বলছে, নেসলে সুইজারল্যান্ডে বাজারজাত করা তাদের পণ্য সেরেলাকে বাড়তি কোনও চিনি ব্যবহার করে না। কিন্তু বাংলাদেশ, ভারত, থাইল্যান্ডসহ এশিয়ার উন্নয়নশীল ও দরিদ্র দেশগুলোতে সেরেলাকে বাড়তি চিনি যুক্ত করে তারা।

এই গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার পর ভারতে ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়েছে। নেসলের শিশুখাদ্য পণ্যের বিষয়ে ওঠা অভিযোগের তদন্ত করছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, গবেষণায় পাওয়া ফল একটি বৈজ্ঞানিক প্যানেলের সামনে উপস্থাপন করা হবে।

এদিকে প্রতিবেদন প্রকাশের পর বাংলাদেশেও পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের কথা বলা হয়েছে। জানতে চাইলে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান জাকারিয়া যুগান্তরকে বলেন, খাদ্যে ভেজাল কিংবা দূষণের কারণে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ সব সময় ব্যবস্থা নিয়ে আসছে। এক গবেষণায় নেসলের দুটি পণ্য সেরেলাক ও নিডোতে উচ্চমাত্রার চিনির উপস্থিতির কথা বলা হচ্ছে। এটা আমরা পরীক্ষাগারে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখব। বিএসটিআই’র মানদণ্ডে পরিমাপ করব। সেক্ষেত্রে কোনো ধরনের সমস্যা সামনে এলে বা অভিযোগ প্রমাণিত হলে পণ্য দুটি বাজার থেকে তুলে নেওয়ার সুপারিশ করব। এছাড়া মামলা করারও সুযোগ আছে।

এ বিষয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি নেসলে ইন্ডিয়ার একজন মুখপাত্রর সঙ্গে কথা বলেছে। ওই মুখপাত্র বলেছেন, তারা গত পাঁচ বছরে নেসলের শিশুখাদ্যে যোগ করা চিনির পরিমাণ প্রায় ৩০ শতাংশ কমিয়েছে। এছাড়া আরও কমিয়ে আনার বিষয়ে তারা পণ্যগুলো নিয়ে পর্যালোচনা করছেন।

গবেষণায় দেখা যায়, ভারতে নেসলের ১৫টি সেরেলাক শিশুখাদ্য থেকে একটি শিশুকে একবার যে পরিমাণ খাবার দেওয়া হয় তাতে গড়ে প্রায় ৩ গ্রাম চিনি থাকে। একই পণ্য জার্মানি এবং যুক্তরাজ্যে বিক্রি করা হচ্ছে বাড়তি চিনি ছাড়াই। অন্যদিকে ইথিওপিয়া ও থাইল্যান্ডে এই চিনির পরিমাণ প্রায় ৬ গ্রাম।

বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের পণ্যের মান প্রণয়ন ও নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা বিএসটিআই সূত্র জানায়, এটি অন্য দেশের তৈরিকৃত পণ্য। তবে এগুলো আমাদের দেশের মানদণ্ড অনুযায়ী এক নাও হতে পারে। সেরেলাক ও নিডো যদি দেশের স্ট্যান্ডার্ড অনুযায়ী মান ঠিক রেখে পণ্য তৈরি করে তাহলে ঠিক আছে। কিন্তু যেহেতু একটি প্রতিবেদনে ক্ষতির বিষয়টি এসেছে, তাই এই বিষয়ে সংস্থার পক্ষ থেকে দেখা হবে। যদি কোনো ক্ষতিকারক কিছু থাকে, তাহলে পদক্ষেপ নেব।

;

সরবরাহ স্বাভাবিক তবুও বাজার চড়া



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
সরবরাহ স্বাভাবিক তবুও বাজার চড়া

সরবরাহ স্বাভাবিক তবুও বাজার চড়া

  • Font increase
  • Font Decrease

 

ঈদ পরবর্তীত বাজারে পণ্যের সরবরাহ স্বাভাবিক থাকলেও নিত্য পণ্যের দাম চড়া। ক্রেতাদের আনাগোনা কম থাকলেও ঊর্ধ্বমুখী শাক সবজি ও মাছের দাম। বিশেষ করে ৫০ টাকার নিচে কোন সবজি নেই বাজারে।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর কাওরান কাওরান বাজার ঘুরে দেখা যায় এমন চিত্র।

কাওরান বাজারের খুচরা বাজারে গিয়ে দেখা যায়, আজকে আলু বিক্রি হচ্ছে ৫০টাকা কেজি, পেঁয়াজ ৬০-৬৫ টাকা কেজি, রসুন ২০০-২২০ টাকা কেজি, আদা ২০০ টাকা কেজি, কাঁচা মরিচ ৮০-১২০ টাকা কেজি, ধনেপাতা কেজি ১০০টাকা আর আটি বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা করে। লেবুর হালি ৩০-৪০ টাকা।

এছাড়া শবজির বাজারে ক্রেতাদের আনাগোনা কম থাকলেও দাম আগের মতোই চড়া ৫০ টাকার নিচে কোন সবজি নাই। মিষ্টি কুমড়া ৪০, মুলা ৫০-৬০, পটল ৭০ _১২০, বেগুন ৬০ টাকা,বরবটি ৮০,  জালি প্রতি পিছ ৬০ টাকা, ভেন্ডি ৬০ টাকা কেজি, টমেটো ৫০ শশা ৫০, লাউ প্রতি পিস ৭০-৮০ করলা ১২০ টাকা, করলা ৬০-৭০, বাধাকপি ৫০ টাকা, ফুলকপি ৫০ টাকা, গাজর ৬০, ক্যাপসিকাম ৪৫০ টাকা।

তবে মাছ মাংসের বাজারে দাম এখনো অপরিবর্তিত রয়েছে বলে জানায় ব্যবসায়ীরা। কিন্তু ক্রেতারা বলছে মাছের গায়ে হাত দেয়া যায় না। বাজারে আজকে দেশি রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৪৫০ টাকা কেজি, মলা মাছ ৭০০ টাকা কেজি, নদীর চিংড়ি বিক্রি হচ্ছে ১৮০০ টাকা কেজি, এবং চাষের চিংড়ি ৭০০টাকা কেজি, আইর মাছ ৮০০টাকা কেজি,কাতল ৭০০ টাকা, দেশি বড় বোয়াল ১২০০ টাকা, কোরাল মাছ ১০০০ টাকা। আর ৫০০গ্রাম ওজনের ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ১৩০০ টাকা কেজি।মুরগী ২১০ টাকা, গরু ৭৫০-৭৮০ টাকা,

কল্যাণপুর থেকে কাওরান বাজারে সপ্তাহের বাজার করতে এসেছেন সুফিয়া বেগম। তিনি জানান ৫ হাজার টাকা নিয়ে এসেছি বাজারে। মাত্র ৫ জনের সংসারের বাজার করতে ইতিমধ্যে বাজারের প্রায় অর্ধেক টাকা শেষ হয়েছে শুধু মাছ কিনতে। এখনো সবজি ও ঘরের অন্যান্য বাজার করা বাকি। আগে যেখানে মাত্র ৩ হাজার টাকায় সপ্তাহের পুরো বাজার শেষ হয়ে যেতো সেখানে এখন ৫ হাজার টাকা দিয়ে কোনমতে টেনেটুনে সংসার চালাতে হচ্ছে তাকে। কাওরান বাজারে কিছুটা কম দামে কিনতে আসলে দামের পার্থক্য এলাকার বাজারের চাইতে খুব একটা কম না। তবে টাটকা পণ্য পাওয়ায় কিছুটা স্বস্তি পাওয়া যায় বলে তিনি জানান। বাজারের  ভয়াবহ বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, দুইজনে মিলে কামাই করেও এখন অনেকটা হিমশিম খেতে হচ্ছে সংসারের চাহিদা মেটাতে।

কাওরান বাজারের মাছ ব্যবসায়ী লতিফ বার্তা২৪.কম’কে জানান, বাজারে সরবরাহ আছে কিন্তু চাহিদার তুলনায় কম। তাই বেড়েছে সকল মাছের দাম। দেশি মাছের চাহিদা বেশি থাকায় তার দাম একটু বেশি। তবে চাষের মাছের দাম আগের মতোই আছে।

;

ফের বাড়ল স্বর্ণের দাম



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ফের বাড়ল স্বর্ণের দাম

ফের বাড়ল স্বর্ণের দাম

  • Font increase
  • Font Decrease

ভরিতে ২ হাজার ৬৫ টাকা বাড়িয়ে একভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ১৯ হাজার ৬৩৮ টাকা। যা দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) এক বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) জানিয়েছে, শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) থেকে নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

;

শসা চাষিদের পাশে ‘স্বপ্ন’



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রমজানের মধ্যে শসার বাজার চড়া দাম থাকলেও বর্তমানে শসা চাষিরা শসার দাম নিয়ে বেশ বিপাকে পড়েছেন। তবে এমন দুঃসময়ে শসা চাষিদের পাশে দাঁড়িয়েছে দেশের সেরা রিটেইল চেইন সুপারশপ ‘স্বপ্ন’ ।

সম্প্রতি এক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ হয় যে, ন্যায্য দাম না পাওয়ায় হতাশ হয়ে পড়েছেন দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার শসা চাষিরা। পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি শসা বিক্রি হচ্ছে মাত্র ২ থেকে ৪ টাকায়। ন্যায্য দাম পাচ্ছেন না চাষিরা। এমন সময় সেই শসা চাষিদের সঙ্গে যোগাযোগ করে ন্যায্যমূল্যে শসা কিনেন ‘স্বপ্ন’ কর্তৃপক্ষ। সেই শসা এখন খোলা বাজারের চেয়ে কম দামে স্বপ্ন আউটলেটে পাওয়া যাচ্ছে ।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) খোলা বাজারে ৪০ টাকা কেজিতে শসা বিক্রি করতে দেখা গেলেও স্বপ্ন আউটলেটে তা ১২টাকা কেজিতে অর্থাৎ সাশ্রয়ী মূল্যে খোলা বাজারের চেয়ে কম দামে গ্রাহকরা কিনতে পারছেন ।

এরইমধ্যে দিনাজপুরের খানসামার ওই এলাকা থেকে ২ টন এবং ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট এলাকা থেকে ৬ টন শসা কিনেছে স্বপ্ন প্রতিনিধি।

বর্তমানে তাদের উৎপাদিত শসা পৌঁছে গেছে স্বপ্ন’র আউটলেটে, স্টক থাকা অবধি এই অফার গ্রাহকরা পাবেন। স্বপ্ন’র নির্বাহী পরিচালক সাব্বির হাসান নাসির জানান, আমরা শসা চাষিদের দুর্ভোগের কথা জানতে পেরেছি নিউজের মাধ্যমে। আমরা দিনাজপুর, ময়মনসিংহসহ বেশকিছু এলাকার কৃষকের দুর্ভোগের কথা জানার পর তাঁদের কাছ থেকে শসা কিনেছি ন্যায্যমূল্যে। অনান্য ব্যবসায়ীদেরও কৃষকদের জন্য এগিয়ে আসার আহ্বান থাকবে । মধ্যস্বত্বভোগীদের লাভবান না করে কৃষকদের সঙ্গে সরাসরি সেতুবন্ধনের চেষ্টা করে আসছে স্বপ্ন। এই চেষ্টা সবসময় অব্যাহত থাকবে।

এ প্রসঙ্গে স্বপ্ন’র হেড অফ পার্চেজ সাজ্জাদুল হক বলেন, বিভিন্ন গণমাধ্যমে শসা চাষিদের সংকটের খবর দেখার পর আমরা সিদ্ধান্ত নেই যে, এই কৃষকদের পাশে আমরা দাঁড়াবো। দিনাজপুর, ময়মনসিংহসহ বেশ কয়েকটি এলাকা থেকে এরইমধ্যে ৮ টন শসা আমরা কিনেছি। দুঃসময়ে কষ্টে থাকা অনেক কৃষকদের পাশে ‘স্বপ্ন’ এর আগেও দাঁড়িয়েছে। সামনেও পাশে থাকবে।

দিনাজপুরের খানসামা এলাকার কৃষক সাকিব হোসেন জানান, প্রায় এক বিঘা জমিতে শসা চাষ করেছিলাম এবার। শসার বীজ, সারসহ নানা কাজে লাখ টাকা খরচ হয় আমার। কিন্তু ১০ রমজান অবধি কিছু শসা বিক্রি করার পর বাজারে শসার দাম কমে যায় । প্রতি কেজি ১০ টাকা, এরপর পর ৫ টাকা এবং সবশেষে আরও কম দামে বিক্রি করতে বাধ্য হয়। অনেক শসা নষ্টও হয়ে যায়। অনেক লোকসান হচ্ছিল। আমার এলাকার এক সাংবাদিক নিউজ করার পর এসিআই কোম্পানীর ‘স্বপ্ন’ থেকে যোগাযোগ করে আমার অনেকগুলো শসা কিনে নিয়েছেন উনারা। এতে করে লোকসানের অনেক ঘাটতি পূরণ হয়েছে আমার । তাঁদেরকে অশেষ ধন্যবাদ ।

;