জালিয়াতির নিয়োগে বিপিসিতে এটিএম সেলিম ও মণি লাল



সেরাজুল ইসলাম সিরাজ, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
জালিয়াতির নিয়োগে বিপিসিতে এটিএম সেলিম ও মণি লাল

জালিয়াতির নিয়োগে বিপিসিতে এটিএম সেলিম ও মণি লাল

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) মহাব্যবস্থাপক (হিসাব) এটিএম সেলিম ও মহাব্যবস্থাপক (অর্থ) মণি লাল দাশের নিয়োগ জালিয়াতির প্রশ্নে নিরব কর্তারা। অনেক দিন ধরেই বিষয়টি আলোচিত হলেও ব্যবস্থা না নেওয়ায় বিপিসির চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টদের সততা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন কর্মকর্তারা।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিপিসির একাধিক কর্মকর্তা বলেছেন, যেহেতু বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে এর সঠিক তদন্ত হওয়া উচিত। পত্রিকায় নিউজ হওয়ার পর জালিয়াতির তথ্য মুছে ফেলতে ফাইলগুলোই সম্ভবত গায়েব করে ফেলা হয়েছে। এখন আর এগুলোর হদিস মিলছে না। সংশ্লিষ্ট বিভাগের লোকজনও এমন শঙ্কার কথা জানিয়েছেন।

জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে পরীক্ষা ছাড়াই বিপিসিতে চাকরি পান এটিএম সেলিম ও মণি লাল দাশ। বিপিসি সূত্র জানিয়েছে, ৪টি পদের বিপরীতে ১৯৯৬ সালে ….দৈনিক জনকণ্ঠ পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। নিয়োগ বোর্ড সব আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে হিসাব বিভাগে কাজী শহীদুর রহমান, বাণিজ্য বিভাগে আবুল কালাম আজাদ, এমআইএস বিভাগে মোঃ সোয়েব আহমেদ ও পরিকল্পনা বিভাগে মোঃ মনিরুল ইসলাম নিয়োগ দেয়। নিয়োগ পাওয়ার ৩ মাসের মাথায় সোয়েব আহমেদ চাকরি ছেড়ে পূর্বের কর্মস্থল সিলেট গ্যাস ফিল্ডে ফিরে যান। এতে একটি সহকারী ব্যবস্থাপক পদ শূন্য হয়ে পড়ে।  অন্যদিকে মোঃ মনিরুল ইসলাম বিসিএস (পুলিশ) এ নিয়োগ পেলে বিপিসি ছেড়ে গেলে দু’টি পদ শূন্য হয়ে পড়ে।

আর সেই শূন্যপদে এটিএম সেলিম ও মণি লাল দাশকে নিয়োগ দেওয়া হয়। নিয়োগ প্রক্রিয়ায় মহাজালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে। নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ কিংবা কোন পরীক্ষার আয়োজনের কোন তথ্য পাওয়া যায় নি। আবার পুর্বের নিয়োগের সময়ও কোন প্যানেল ছিল না। তাহলে কি করে এই নিয়োগ দেওয়া হলো সেই নিয়ে রয়েছে ধুম্রজাল।

বিপিসি সূত্র জানিয়েছেন, এটিএম সেলিমের চাচা কামাল উদ্দিন ছিলেন বিপিসির প্রভাবশালী কর্মকর্তা। যাকে স্থানীয়রা ডিসি কামাল বলেই জানেন। কামাল উদ্দিন প্রথমে বিপিসি সচিব ও পরে পরিচালক পদেও দায়িত্ব পালন করেন। তার আর্শীবাদে পরীক্ষা ছাড়াই নিয়োগ পেয়ে যান এটিএম সেলিম। সোয়েব আহমেদ যোগদান করেছিলেন ১৯৯৯ সালের ১ আগস্টে আর এটিএম সেলিম বিপিসিতে যোগদান করেন ৪ নভেম্বরে। অর্থাৎ পুরোপুরি ৩ মাসের ব্যবধান রয়েছে।

বিপিসির একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করা শর্তে বলেন, দেখেন নিয়োগপত্র ইস্যু করা হয় নির্দিষ্ট একটি তারিখ দিয়ে। ৪ মাস সময় দিয়ে নিয়োগপত্র ইস্যু করার নজীর খুঁজে পাওয়া যাবে না। কখনও কি দেখেছেন কয়েকমাস লম্বা সময় দিয়ে নিয়োগপত্র ইস্যু করতে। এতেই তো প্রমাণ হয়ে যায় এটিএম সেলিমের নিয়োগে জালিয়াতির ইস্যুটি।

নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি

এ বিষয়ে মহাব্যবস্থাপক এটিএম সেলিম বার্তা২৪.কমকে বলেন, আমার নিয়োগে কোন জালিয়াতির ঘটনা ঘটেনি। সঠিক প্রক্রিয়ায় নিয়োগ পেয়েছি। অন্যরা যখন যোগদান করেন, তখন কেনো যোগদান করলেন না, এ বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে বলেন বিষয়টি বিপিসির কাছে জানতে চান। আমি কিছু বলতে পারবো না।

তার কাছে প্রশ্ন ছিল আপনি নিয়োগ পেয়েছেন, বিপিসির কাছে যেতে বলার কারণ কি! নিয়োগপত্রের যোগদানের সময় কি কয়েকমাস রাখা হয়েছিল? এটিএম সেলিম এবারও বলেন, এ বিষয়ে আমার কোন বক্তব্য নেই, বিপিসি ভালো বলতে পারবে।

জনকণ্ঠ পত্রিকার ওই বিজ্ঞপ্তির পর নতুন কোন বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছিল কিনা। তিনি কোন সময় আবেদন করেছিলেন। এসব প্রশ্নের কোন উত্তর দিতে রাজি হননি এটিএম সেলিম।

অন্যদিকে মণি লাল দাশের নিয়োগ নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।১৯৯৬ সালের ২৪ অক্টোবর দৈনিক জনকণ্ঠ পত্রিকায় প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে সহকারি ম্যানেজার পদের জন্য অভিজ্ঞতাসহ ন্যুনতম দ্বিতীয় শ্রেণিতে স্নাতক পাশ চাওয়া হয়। কিন্তু মণি লাল দাশের স্নাতকের রেজাল্ট তৃতীয় শ্রেণি। এ কারণে বিপিসির ওই বিজ্ঞপ্তি অনুসারে তার আবেদন করার যোগ্যতাই ছিল না। সেই মণি লাল নিয়োগ পেয়েছেন, আবার সময়ে অসময়ে প্রমোশন পেয়ে মহাব্যবস্থাপক (অর্থ) পদে ছড়ি ঘোরাচ্ছেন। তার বিরুদ্ধে ভারতে টাকা পাচারের অভিযোগ রয়েছে। তিনি এমন কোন বছর নেই ভারত সফর করেন নি। কখনও একাধিক দফায় সফরের রেকর্ড রয়েছে। তদন্ত করা হলের পিকে হালদারের মতো থলের বিড়াল বেরিয়ে আসতে পারে।

পরিকল্পনা বিভাগে নিয়োগ পাওয়া মোঃ মনিরুল ইসলাম চাকরি ছেড়ে দিলে কপাল খুলে যায় মণি লালের। অভিযোগ উঠেছে তিনিও এটিএম সেলিমের মতো পেছনের দরজা দিয়ে আসীন হয়েছেন বিপিসিতে।

এ বিষয়ে একাধিক দফায় ফোন দিলেও রিসিভ করেন নি মণি লাল দাশ। এমনকি এসএমএস দিলেও সাড়া দেন নি।

এটিএম সেলিম যোগদানের পর থেকে বেপরোয়া দুর্নীতি করে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন। দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) অভিযোগের সূত্র ধরে এটিএম সেলিমের বেপরোয়া  দুর্নীতির তথ্য সামনে আসতে শুরু করেছে। দুদকে দেওয়া অভিযোগে বলা হয়েছে, সংস্থার হিসাব ও স্বার্থ রক্ষার কথা থাকলেও বরাবরই ব্যক্তিগত হিসেবটাই এটিএম সেলিমের কাছে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পেয়েছে।

চান্দগাঁও থানার খালাসী লেকের বিপরীত দিতে ৪ ইউনিটের ৬ তলা বিশিষ্ট বিশাল একটি ভবনের মালিক। নগরীর চকবাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় রয়েছে নামে বেনামে একাধিক দোকান। শুধু চট্টগ্রাম নয় দুর্নীতির টাকায় এটি এম সেলিমের সম্পদের সম্রাজ্য গড়ে উঠেছে রাজধানী ঢাকাতেও।

বিপিসির রন্ধে রন্ধে থাকা দুর্নীতি বন্ধে অটোমেশনের উদ্যোগ নেওয়া হয়। কিন্তু সেই প্রক্রিয়া থামিয়ে রেখেছে এটিএম সেলিম চক্র। অটোমেশন হলে দুনীর্তি লুটপাট অনেকাংশে বন্ধ হয়ে যেতো। বিশেষ করে তেল বিক্রি ও মজুদ এক ক্লিকেই দেখা যেতো। তাতে করে অধীনস্থ কম্পানিগুলো (পদ্মা, মেঘনা, যমুনা) ব্যাংকে টাকা ফেলে রেখে ব্যক্তিগত সুবিধা নিতে পারত না। যেভাবে বিপিসি খ্যাত, অখ্যাত (ক্রেডিট রেটিংয়ের নিচে থাকা) ব্যাংকে কয়েক হাজার কোটি টাকা জামানত রেখে কমিশন পেয়ে আসছে। প্রতিষ্ঠানের সদরদপ্তর চট্টগ্রামে আর তহবিল রাখা হয়েছে একটি ব্যাংকের উত্তরা শাখায়, কেনো কিসের জন্য সে প্রশ্নের উত্তর সবার জানা।

সরকার যখন জ্বালানি সাশ্রয়ের কথা বলছে, তখনও বেপরোয়া এটিএম সেলিম। অফিসের গাড়িটি সারাদিন পারিবারিক কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে। সকালে তাকে অফিসে নামিয়ে দিয়ে চলে যায় ছেলে- মেয়েকে স্কুলে আনা নেওয়ার জন্য। দশম শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়েটি কখনও চট্টগ্রাম ক্লাবে, কখনও র‌্যাডিসন হোটেলে সাঁতার কাটতে যায়। বিগত কয়েকমাস মাস ধরে চলছে সেই রুটিন। মেয়ের সাতার শেখার ফাঁকে স্ত্রীকে দোকানে আনা নেওয়া করে এ গাড়ি। গাড়ির মাইল মিটার এবং অফিসের সিসি ক্যামেরার রেকর্ড যাচাই করলেই এসব ধরা পড়বে।

নিজের পকেট ভারি করতে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান বিপিসিকে ঠেলে দিয়েছেন লোকসানের দিকে। ব্যাংকে কয়েক হাজার কোটি টাকা আমানত থাকা অবস্থায় (এসএনডি ও এফডিআর) প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছেন ব্যাংক ঋণ নিয়ে। এতে দেখা গেছে, আমানতের বিপরীতে প্রাপ্ত সুদের চেয়ে ঋণের বিপরীতে পরিশোধিত সুদের পরিমাণ ২৭৮ কোটি টাকা বেশি। অর্থাৎ ঋণ না নিয়ে নিজেদের আমানত থেকে বিপিসির একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করলে ২৭৮ কোটি টাকা সাশ্রয় হতো। সবকিছু জেনেও শুধু নিজের মুনাফার ধান্দায় সেই কাজটি করে বিপিসিকে ডুবিয়েছেন এটি এম সেলিম।  এই দুর্নীতির বিষয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেছে জাতীয় সংসদের সরকারি প্রতিষ্ঠান সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটি। ২৩আগস্ট বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি আসম ফিরোজ সাংবাদিকদের বলেন, বিপিসিতে অনেক ঘাটতি রয়েছে। স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি কম। তাদের অনিয়মের চিত্র দেখে কমিটি ‘শকড’ (স্তম্ভিত)। বিভিন্ন কেনাকাটা ও নিরীক্ষায় যেসব আপত্তি এসেছে, তাদের সেগুলো সমন্বয় করতে বলা হয়েছিল। কিন্তু তারা কিছুই করেনি।

এ বিষয়ে কথা বলার জন্য বিপিসি চেয়ারম্যানকে ফোন দিলেও রিসিভ করেন নি।

   

ইসলামী ব্যাংকের বরিশাল জোনের কর্মকর্তা সম্মেলন অনুষ্ঠিত



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির বরিশাল জোনের কর্মকর্তাদের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার ( ১০ মে) বরিশালের জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

ব্যাংকের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন। ব্যাংকের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মোঃ মাকসুদুর রহমানের সভাপতিত্বে

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডাইরেক্টর জে কিউ এম হাবিবুল্লাহ, এফসিএস এবং সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মোঃ রফিকুল ইসলাম।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বরিশাল জোনপ্রধান মোঃ আব্দুস সোবহান। সম্মেলনে ব্যাংকের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান ও মোঃ নুরুজ্জামানসহ বরিশাল জোনের অধীন শাখাসমূহের প্রধান, উপশাখা ইনচার্জ ও সর্বস্তরের কর্মকর্তা- কর্মচারীগণ অংশগ্রহণ করেন।

;

রফতানি ও বাণিজ্যে ১৮৪ ব্যবসায়ী পেলেন সিআইপি সম্মাননা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রফতানি বাণিজ্যে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ১৮৪ ব্যক্তিকে রফতানি ও বাণিজ্যে সিআইপি- ২০২২ কার্ড প্রদান করেছে সরকার।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) বিকালে রেডিসন ব্লু ঢাকা ওয়াটার গার্ডেনে প্রধান অতিথি বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু ১৮৪ ব্যক্তিকে রফতানি ও বাণিজ্যে সিআইপি- ২০২২ কার্ড প্রদান করেন।

দেশের রফতানিকারক, শিল্পপতি ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে জাতীয় পর্যায়ে উৎসাহ, উদ্দীপনা ও পারস্পরিক সুষ্ঠু প্রতিযোগিতার আবহ সৃষ্টি করতে সিআইপি কার্ড প্রদান করা হয়। নীতিমালা অনুযায়ী ২০২২ সালের জন্য ২২টি খাতের মধ্যে ১৮টি পণ্য ও সেবা খাত এবং ইপিজেডভুক্ত "সি” ক্যাটাগরিতে মোট ১৪০ জনকে সিআইপি (রফতানি) এবং ৪৪ জন ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দকে সিআইপি (ট্রেড) সম্মানে ভূষিত করা হয়।

এ বছর পণ্য ও সেবা সংশ্লিষ্ট ২০টি খাতে মোট ৩২৮টি আবেদন পাওয়া যায়। মেলামাইন ও জাহাজ নির্মাণ শিল্প খাতে কোন আবেদন পাওয়া যায়নি। ন্যূনতম আয়ের নিচে রফতানি আয় হওয়ায় চা খাতের ১টি আবেদন অযোগ্য হিসেবে বিবেচিত হয়।

রফতানিতে কাঁচাপাট শিল্পে ২ জন, পাটজাত পণ্যে ৪ জন, স্পেশালাইজড/হোমটেক্সটাইল পণ্য ৪ জন, তৈরী পোশাক (নিটওয়্যার) ৩৪ জন, চামড়াজাত দ্রব্য ৬ জন, সিরামিক পণ্য ১ জন, হিমায়িত খাদ্য ৪ জন, প্লাষ্টিকজাত পণ্য ৪ জন, তৈরী পোশাক (ওভেন) ১৮ জন, টেক্সটাইল (ফেব্রিক্স) ৭ জন, কৃষিজাত দ্রব্য ৫ জন, কম্পিউটার সফ্টওয়্যার ২ জন, এগ্রোপ্রসেসিং ৫ জন, আসবাবপত্র ১ জন, হালকা প্রকৌশলী পণ্য ৪ জন, ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্য ৩ জন, বিবিধ পণ্য ২৭ জন, হস্তশিল্পজাত পণ্য ৪ জন ও ইপিজেডভুক্ত সি ক্যাটাগরিতে ৫ জন। এছাড়া ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ (ট্রেড ক্যাটাগরি) তে ৪৪ জনকে সিআইপি কার্ড প্রদান করা হয়েছে।

সিআইপি (রফতানি)-২০২২ নির্বাচনের ক্ষেত্রে সিআইপি (রফতানি) নীতিমালা-২০১৩ অনুসরণ করা হয়। রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর মহাপরিচালকের নেতৃত্বে প্রাথমিক বাছাই কমিটি এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (রফতানি) এর নেতৃত্বে চূড়ান্ত বাছাই/নির্বাচন কমিটির মাধ্যমে প্রতিটি আবেদনপত্র মূল্যায়ন করা হয়।

আবেদনপত্র মূল্যায়নের ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানের রফতানি আয় এবং নতুন বাজারে প্রবেশ ইত্যাদি বিষয় বিবেচনা করা হয়। এছাড়া রফতানিকারকের বাণিজ্য বিরোধের সংশ্লিষ্টতা, আয়কর, ভ্যাট, শুল্ক এবং ঋণ গ্রহণ/পরিশোধ ইত্যাদি সম্পর্কিত বিষয়াদিও যাচাই করা হয়। খেলাপি ঘোষিত আবেদনকারীদের আবেদন চূড়ান্ত মূল্যায়নে বিবেচনা করা হয় না।

সিআইপি (রফতানি) হিসেবে নির্বাচিত ব্যবসায়ীবৃন্দ বাংলাদেশ সচিবালয়ে প্রবেশের জন্য প্রবেশ পাশ ও গাড়ির স্টিকার প্রাপ্তি, জাতীয় অনুষ্ঠান ও মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের নাগরিক সম্বর্ধনায় আমন্ত্রণ প্রাপ্তি, ব্যবসা সংক্রান্ত ভ্রমণে বিমান, রেলপথ, সড়ক ও জলপথে সরকারি যানবাহনে আসন সংরক্ষণে অগ্রাধিকার, ব্যবসায়িক কাজে বিদেশ ভ্রমণের ক্ষেত্রে Letter of Introduction প্রাপ্তি, নির্বাচিত সিআইপি তার স্ত্রী, পুত্র, কন্যা ও নিজের চিকিৎসার জন্য সরকারি হাসপাতালে কেবিন প্রাপ্তির অগ্রাধিকার এবং বিমান বন্দরে ভিআইপি লাউঞ্জ-২ ব্যবহার সুবিধা পেয়ে থাকেন।

সরকারিভাবে প্রদত্ত সিআইপি কার্ডধারী ব্যক্তি বিদেশী ক্রেতার কাছে আস্থা ও সুনামের সাথে তার ব্যক্তিগত ও প্রাতিষ্ঠানিক গ্রহণযোগ্যতা তুলে ধরতে পারেন যা তার ব্যবসায়িক সম্পর্ককে সুদৃঢ় করার পাশাপাশি দেশের সার্বিক রফতানি প্রসারে ইতিবাচক ভূমিকা রাখে।

রফতানি খাতে অবদানের জন্য ১ বছর মেয়াদে সিআইপি (রফতানি) নির্বাচন করা হয়ে থাকে। তবে বর্তমানে নির্বাচিত সিআইপিবৃন্দ পরবর্তী বছরের সিআইপি (রফতানি) ঘোষণার পূর্ব পর্যন্ত সিআইপি (রফতানি) মর্যাদায় ভূষিত থাকবেন।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষের সভাপতিত্ব অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআই-এর সভাপতি মাহবুবুল আলম। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস-চেয়ারম্যান এএইচএম আহসান।

;

২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণা ৬ জুন



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণা ৬ জুন

২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণা ৬ জুন

  • Font increase
  • Font Decrease

 

আগামী ৬ জুন ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাব সংসদে পেশ করা হবে। অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী জাতীয় সংসগে এ বাজেট উত্থাপন করবেন। 

বৃহস্পতিবার (৯ মে) অর্থ মন্ত্রণালয়ের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, ‘আগামী ৬ জুন, জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট উত্থাপনের দিন নির্ধারণ করা হয়েছে। বাজেট পেশের দিনক্ষণ ঠিক করে ইতোমধ্যে কর্মকর্তাদের দায়িত্ব বন্টন করে দেওয়া হয়েছে।’

অর্থ বিভাগ সূত্র জানায়, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট হবে প্রায় ৮ লাখ কোটি টাকার, যা হবে বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ আকারের বাজেট।

এবারের বাজেটে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য বা মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পাচ্ছে বলে ওই কর্মকর্তা জানান।

সূত্র: বাসস

;

বাজেট ২০২৪-২০২৫

২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকার এডিপি প্রস্তাব পরিকল্পনা কমিশনের



জাহিদুল ইসলাম, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকার এডিপি প্রস্তাব পরিকল্পনা কমিশনের

২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকার এডিপি প্রস্তাব পরিকল্পনা কমিশনের

  • Font increase
  • Font Decrease

পরিবহন, বিদ্যুৎ ও শিক্ষাখাতকে সর্বোচ্চ প্রাধান্য দিয়ে আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকার বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) চূড়ান্ত করেছে পরিকল্পনা কমিশন। এর মধ্যে সরকার নিজস্ব তহবিল থেকে ১ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকা এবং বাকি ১ লাখ কোটি টাকা ঋণ ও অনুদান হিসেবে বিদেশি উৎস থেকে আসবে বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনা কমিশনের কর্মকর্তারা।

মঙ্গলবার (৭ মে) পরিকল্পনামন্ত্রী আবদুস সালামের সভাপতিত্বে পরিকল্পনা কমিশনের বর্ধিত সভায় প্রস্তাবিত এডিপি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদে (এনইসি) উপস্থাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে পরিকল্পনা কমিশনের সিনিয়র সচিব সত্যজিৎ কর্মকার বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এনইসি সভায় প্রস্তাবিত এডিপির সামান্য পরিবর্তন হতে পারে।

সূত্র জানায়, চলতি অর্থবছরের (২০২৩-২০২৪) জন্য ২ লাখ ৬৩ হাজার কোটি টাকার এডিপি অনুমোদন করা হয়েছিল। এর মধ্যে ১ লাখ ৬৯ হাজার কোটি টাকা সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে এবং বাকি ৯৪ হাজার কোটি টাকা আসবে বৈদেশিক উৎস থেকে। এ হিসাবে আগামী অর্থবছরে এডিপির আকার মাত্র ২ হাজার কোটি টাকা বা ০.৭৬% বাড়ছে।

পরিকল্পনা কমিশন চলতি অর্থবছরের তুলনায় আগামী অর্থবছরে সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে বরাদ্দ ৪ হাজার কোটি টাকা বা ২.৩৭% কমিয়ে আনছে। অন্যদিকে, বৈদেশিক উৎসের বরাদ্দ ৬ হাজার কোটি টাকা বা ৬.৩৮% বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে।

অবশ্য বাস্তবায়নে ধীরগতি আর আর্থিক সংকটের কারণে চলতি অর্থবছরের এডিপির আকার ২ লাখ ৪৫ হাজার কোটি টাকায় নামিয়ে আনা হয়েছে। এ হিসাবে চলতি অর্থবছরের সংশোধিত এডিপির (আরএডিপি) তুলনায় আগামী বছরে বরাদ্দ বাড়ছে ২০ হাজার কোটি টাকা।

পরিকল্পনা কমিশনের বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) ধারাবাহিক তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২০০৮-২০০৯ অর্থবছরে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে নানামুখী সংকটের কারণে আগের বছরের তুলনায় অভ্যন্তরীণ উৎসের বরাদ্দ কিছুটা কমেছিল। স্বাধীনতা পরবর্তী অন্য কোনো বছরেই উন্নয়নখাতে অভ্যন্তরীণ উৎসের বরাদ্দ কমেনি।

এ বিষয়ে পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, চলমান আর্থিক সংকটের বিষয়টি বিবেচনায় নিলে উন্নয়নখাতে বরাদ্দ বাড়ানোর সুযোগ নেই বললেই চলে।

তিনি বলেন, রাজস্ব আহরণে সফলতা না থাকায় সরকারের অর্থ ব্যয়ের সুযোগ কমে এসেছে। মূল্যস্ফীতির কারণে অভ্যন্তরীণ চাহিদা কমে আসায় আমদানি শুল্ক আহরণও কমছে। তা ছাড়া তারল্য সংকটের কারণে ব্যাংক বা অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে ঋণ নেওয়ার সুযোগও কমে এসেছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

অর্থনীতিবিদ আরো বলেন, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সরকারি ব্যয় নিয়ন্ত্রণে রাখার প্রয়োজন রয়েছে। বাজারে নগদ টাকার প্রবাহ বাড়লে নিত্যপণ্যের দাম দ্রুতই বাড়বে বলে তিনি মনে করেন।

তবে এডিপির বরাদ্দ গণহারে না কমিয়ে শেষ হওয়ার অপেক্ষায় থাকা বা তাড়াতাড়ি শেষ করা যাবে, এমন প্রকল্পগুলোর প্রয়োজনীয় বরাদ্দ নিশ্চিত করার পরামর্শ দেন তিনি।

চাপের মুখে অভ্যন্তরীণ আর্থিক উৎস

সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সমন্বিত চাহিদার তুলনায় মোট ২০ হাজার ৩শ ৯১.১৯ কোটির টাকা কম বরাদ্দ প্রস্তাব করেছে পরিকল্পনা কমিশন। প্রস্তাবনা পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, বাস্তবায়নকারী সংস্থাগুলো এই তহবিল থেকে মোট ১ লাখ ৮৫ হাজার ৩৯১ কোটি টাকা চাইলেও এর ৮৯% বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে।

সব মিলিয়ে বিভিন্ন বাস্তবায়নকারী সংস্থা এডিপিতে ২ লাখ ৭৬ হাজার ৪ শ ২ কোটি টাকা বরাদ্দ চেয়েছিল। সে হিসাবে এডিপিতে বরাদ্দের ঘাটতি থাকছে, ১১ হাজার ৪ শ ২ কোটি টাকা।

অবশ্য বিদেশি উৎস থেকে চাহিদার চাইতে ৮ হাজার ৯শ ৮৯ কোটি টাকা বেশি বরাদ্দ নিতে প্রস্তাব করেছে পরিকল্পনা কমিশন। ৯১ হাজার ১১ কোটি টাকা চাহিদার বিপরীতে বিদেশি ঋণ বাবদ এক লাখ কোটি টাকা বরাদ্দ প্রস্তাব করা হয়েছে।

;