রফতানি ও বাণিজ্যে ১৮৪ ব্যবসায়ী পেলেন সিআইপি সম্মাননা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রফতানি বাণিজ্যে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ১৮৪ ব্যক্তিকে রফতানি ও বাণিজ্যে সিআইপি- ২০২২ কার্ড প্রদান করেছে সরকার।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) বিকালে রেডিসন ব্লু ঢাকা ওয়াটার গার্ডেনে প্রধান অতিথি বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু ১৮৪ ব্যক্তিকে রফতানি ও বাণিজ্যে সিআইপি- ২০২২ কার্ড প্রদান করেন।

দেশের রফতানিকারক, শিল্পপতি ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে জাতীয় পর্যায়ে উৎসাহ, উদ্দীপনা ও পারস্পরিক সুষ্ঠু প্রতিযোগিতার আবহ সৃষ্টি করতে সিআইপি কার্ড প্রদান করা হয়। নীতিমালা অনুযায়ী ২০২২ সালের জন্য ২২টি খাতের মধ্যে ১৮টি পণ্য ও সেবা খাত এবং ইপিজেডভুক্ত "সি” ক্যাটাগরিতে মোট ১৪০ জনকে সিআইপি (রফতানি) এবং ৪৪ জন ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দকে সিআইপি (ট্রেড) সম্মানে ভূষিত করা হয়।

এ বছর পণ্য ও সেবা সংশ্লিষ্ট ২০টি খাতে মোট ৩২৮টি আবেদন পাওয়া যায়। মেলামাইন ও জাহাজ নির্মাণ শিল্প খাতে কোন আবেদন পাওয়া যায়নি। ন্যূনতম আয়ের নিচে রফতানি আয় হওয়ায় চা খাতের ১টি আবেদন অযোগ্য হিসেবে বিবেচিত হয়।

রফতানিতে কাঁচাপাট শিল্পে ২ জন, পাটজাত পণ্যে ৪ জন, স্পেশালাইজড/হোমটেক্সটাইল পণ্য ৪ জন, তৈরী পোশাক (নিটওয়্যার) ৩৪ জন, চামড়াজাত দ্রব্য ৬ জন, সিরামিক পণ্য ১ জন, হিমায়িত খাদ্য ৪ জন, প্লাষ্টিকজাত পণ্য ৪ জন, তৈরী পোশাক (ওভেন) ১৮ জন, টেক্সটাইল (ফেব্রিক্স) ৭ জন, কৃষিজাত দ্রব্য ৫ জন, কম্পিউটার সফ্টওয়্যার ২ জন, এগ্রোপ্রসেসিং ৫ জন, আসবাবপত্র ১ জন, হালকা প্রকৌশলী পণ্য ৪ জন, ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্য ৩ জন, বিবিধ পণ্য ২৭ জন, হস্তশিল্পজাত পণ্য ৪ জন ও ইপিজেডভুক্ত সি ক্যাটাগরিতে ৫ জন। এছাড়া ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ (ট্রেড ক্যাটাগরি) তে ৪৪ জনকে সিআইপি কার্ড প্রদান করা হয়েছে।

সিআইপি (রফতানি)-২০২২ নির্বাচনের ক্ষেত্রে সিআইপি (রফতানি) নীতিমালা-২০১৩ অনুসরণ করা হয়। রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর মহাপরিচালকের নেতৃত্বে প্রাথমিক বাছাই কমিটি এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (রফতানি) এর নেতৃত্বে চূড়ান্ত বাছাই/নির্বাচন কমিটির মাধ্যমে প্রতিটি আবেদনপত্র মূল্যায়ন করা হয়।

আবেদনপত্র মূল্যায়নের ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানের রফতানি আয় এবং নতুন বাজারে প্রবেশ ইত্যাদি বিষয় বিবেচনা করা হয়। এছাড়া রফতানিকারকের বাণিজ্য বিরোধের সংশ্লিষ্টতা, আয়কর, ভ্যাট, শুল্ক এবং ঋণ গ্রহণ/পরিশোধ ইত্যাদি সম্পর্কিত বিষয়াদিও যাচাই করা হয়। খেলাপি ঘোষিত আবেদনকারীদের আবেদন চূড়ান্ত মূল্যায়নে বিবেচনা করা হয় না।

সিআইপি (রফতানি) হিসেবে নির্বাচিত ব্যবসায়ীবৃন্দ বাংলাদেশ সচিবালয়ে প্রবেশের জন্য প্রবেশ পাশ ও গাড়ির স্টিকার প্রাপ্তি, জাতীয় অনুষ্ঠান ও মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের নাগরিক সম্বর্ধনায় আমন্ত্রণ প্রাপ্তি, ব্যবসা সংক্রান্ত ভ্রমণে বিমান, রেলপথ, সড়ক ও জলপথে সরকারি যানবাহনে আসন সংরক্ষণে অগ্রাধিকার, ব্যবসায়িক কাজে বিদেশ ভ্রমণের ক্ষেত্রে Letter of Introduction প্রাপ্তি, নির্বাচিত সিআইপি তার স্ত্রী, পুত্র, কন্যা ও নিজের চিকিৎসার জন্য সরকারি হাসপাতালে কেবিন প্রাপ্তির অগ্রাধিকার এবং বিমান বন্দরে ভিআইপি লাউঞ্জ-২ ব্যবহার সুবিধা পেয়ে থাকেন।

সরকারিভাবে প্রদত্ত সিআইপি কার্ডধারী ব্যক্তি বিদেশী ক্রেতার কাছে আস্থা ও সুনামের সাথে তার ব্যক্তিগত ও প্রাতিষ্ঠানিক গ্রহণযোগ্যতা তুলে ধরতে পারেন যা তার ব্যবসায়িক সম্পর্ককে সুদৃঢ় করার পাশাপাশি দেশের সার্বিক রফতানি প্রসারে ইতিবাচক ভূমিকা রাখে।

রফতানি খাতে অবদানের জন্য ১ বছর মেয়াদে সিআইপি (রফতানি) নির্বাচন করা হয়ে থাকে। তবে বর্তমানে নির্বাচিত সিআইপিবৃন্দ পরবর্তী বছরের সিআইপি (রফতানি) ঘোষণার পূর্ব পর্যন্ত সিআইপি (রফতানি) মর্যাদায় ভূষিত থাকবেন।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষের সভাপতিত্ব অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআই-এর সভাপতি মাহবুবুল আলম। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস-চেয়ারম্যান এএইচএম আহসান।

   

অটোরিকশাচালকের দলকে নগদের জমি বুঝিয়ে দিলেন সাকিব



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস নগদের ঘোষণা করা দেশের ইতিহাসে সর্ববৃহৎ উপহার ক্যাম্পেইনে এবার জমি জিতে নিলেন ঢাকার সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালক আকিজুল ইসলাম ও তার দল। সম্প্রতি প্রবাসী পল্লী গ্রুপের প্রজেক্টে এই জমি হস্তান্তর করেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার এবং বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।

সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালক আকিজুলের এই বিজয়ী দলের অন্য দুই সদস্য হলেন আসলাম হোসেন ও মাসুম ইসলাম। নগদের ডেপুটি চিফ মার্কেটিং অফিসার মোহাম্মদ সোলায়মান বিজয়ী আকিজুলকে তাঁর সিএনজি করেই প্রবাসী পল্লীতে নিয়ে আসেন। আর পথে মাস্ক পরে কৌশলে সেই সিএনজিতে উঠে পড়েন সাকিব আল হাসান। জমিতে এসে সাকিবকে চিনতে পেরে আনন্দে আত্মহারা হয়ে পড়েন সিএনজিচালক আকিজুল। আর জমি জেতার খবরে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনিসহ অন্য বিজয়ীরা। এটি ছিল এই ক্যাম্পেইনের আওতায় চতুর্থ জমি হস্তান্তর।

পুরো ক্যাম্পেইন জুড়ে মোট আটটি জমি বিজয়ী গ্রাহকদের উপহার দেবে নগদ। ঈদ উৎসবকে সামনে রেখে দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো জমি জেতার অফার নিয়ে আসে নগদ। এই ক্যাম্পেইনে নগদের সাথে জমির জন্য ল্যান্ড পার্টনার হিসেবে যুক্ত হয়েছে পূর্বাচল প্রবাসী পল্লী লিমিটেড। এই ক্যাম্পেইনে মাত্র তিন ধাপে ঢাকায় জমি জেতার সুযোগ পাচ্ছে গ্রাহকেরা। এছাড়াও তালিকায় আছে শতাধিক মোটরবাইক, টেলিভিশন, ফ্রিজ, এসি, স্মার্টফোন, স্মার্ট ওয়াচসহ ২০ কোটি টাকার পুরস্কার।

এদিন আগেই দুই বিজয়ীকে নিয়ে আসা হয় প্রবাসী পল্লীতে। তবে তারা জানতেন না জমি জয়ের কথা। আর দলনেতা আকিজুলের সিএনজি ভাড়া করে প্রবাসী পল্লী রওনা দেন মোহাম্মদ সোলায়মান। পথিমধ্যে গাড়ি নষ্ট হওয়ার অজুহাতে মাস্ক পরে সিএনজিতে ওঠেন সাকিব আল হাসান। একেবারে বিজয়ীদের জমিতে এসে সিএনজি থেকে নামেন সাকিব।

প্রথমত সাকিবকে নিজের সিএনজিতে এনেছেন, এটাই জীবনের বড় প্রাপ্তি মনে করছিলেন আকিজুল। এরপর সাকিবের কাছ থেকে জমি পেয়ে আবেগ যেন আর বাঁধ মানছিল না। চোখ মুছতে মুছতে আকিজুল বললেন, ‘আল্লাহ আজকের দিনটা এইভাবে আমার নামে দিবে, আমি কখনো স্বপ্নও দেখি নাই। সাকিব আল হাসানের মতো বিখ্যাত মানুষকে সিএনজিতে তুলছি, এটাই তো বিশ্বাস করতে পারছি না। এখন জমিও জিতলাম। আমার নসিবে এসব ছিল, কোনোদিন ভাবতে পারিনি।’

সামান্য কিছু টাকা অ্যাড মানি করে দল গঠনের যোগ্য হন আকিজুল। এরপর তিনি আসলাম ও মাসুমকে নিয়ে দল গঠন করেন। আসলাম বলছিলেন, তারা এই ক্যাম্পেইনে বিশ্বাস করেননি। তিনিও আবেগী হয়ে বললেন, ‘আকিজুল ভাই বিজ্ঞাপন দেখে এই দল করছিল। তারপর আমাদের বলল, নগদ বেশি ব্যবহার করতে। নগদ আমরা সবসময় ব্যবহার করি, কিন্তু জমির ব্যাপারটা বিশ্বাস হয়নি। আজ সেই জমি হাতে পেয়ে গেলাম।’

এর আগে ক্যাম্পেইনের প্রথম জমি জিতেছিলেন রাসেল আহমেদ, মোহাম্মদ রুবেল ও মোহাম্মদ রাজীব। প্রথম জমিটি হস্তান্তর করেন সাবেক জাতীয় ক্রিকেট দল অধিনায়ক তামিম ইকবাল। পরের সপ্তাহে জমি জেতেন নড়াইলের দেবাশিষ ভৌমিক, পিন্টু ভৌমিক ও সোমা ভৌমিক। এই জমিটির কাগজপত্র বিজয়ীদের হাতে তুলে দেন আরেক সাবেক অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। এরপর তৃতীয় জমিটি জেতেন মোঃ হাবিবুর রহমান, তার স্ত্রী ও সন্তানের দল। এই জমিটি হস্তান্তর করেন অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ।

জমি জেতার এই ক্যাম্পেইনে অংশ নিতে তিনটি কাজ করতে হবে। প্রথমত নগদে কমপক্ষে ৫০০ টাকার লেনদেন অথবা কমপক্ষে ১০০ টাকার মোবাইল রিচার্জ বা ব্যাংক থেকে নগদে ১,০০০ টাকা অ্যাড মানি করতে হবে। এ ছাড়া বিদেশ থেকে পাঠানো ৫,০০০ টাকা বা তার বেশি (সরকারি প্রণোদনা ব্যতীত) রেমিট্যান্স নগদে গ্রহণ করেও এই ক্যাম্পেইনে অংশ নেওয়ার সুযোগ পাবেন। সাথে সাথে এই ব্যবহারকারী এই ক্যাম্পেইনে অংশ নেওয়ার উপযুক্ত হয়েছেন বলে একটি মেসেজ পাবেন। সে ক্ষেত্রে তাকে তিনজনের একটি দল গঠন করতে হবে। এদের সবার নগদ অ্যাকাউন্ট থাকতে হবে। এরপর দলের সবাই ক্যাম্পেইন জুড়ে নগদে নিয়মিত লেনদেন করলেই জমি জেতার সুযোগ পাবেন।

;

সিটি ব্যাংকের নতুন অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক আজিজুর রহমান



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সিটি ব্যাংক সম্প্রতি কাজী আজিজুর রহমানকে অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এএমডি) হিসেবে পদোন্নতি প্রদান করেছে। তিনি এর আগে একই ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) ও চিফ ইনফরমেশন অফিসার (সিআইও) হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

সোমবার (২০ মে) সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে ব্যাংকের জনসংযোগ প্রধান ইয়াহিয়া মির্জা এ তথ্য জানান।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০০৭ সালে কাজী আজিজুর রহমান এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে সিটি ব্যাংকে যোগদান করেন এবং ২০১৯ সাল পর্যন্ত ব্যাংকটির ডিএমডি ও সিআইও হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০২১ সালে তিনি কিছু সময় মেঘনা ব্যাংকে কাটিয়ে আবার সিটি ব্যাংকে ফিরে আসেন।

৩৪ বছরের কর্মজীবনে কাজী আজিজুর রহমান বহুজাতিক কর্পোরেশন, স্বাস্থ্যসেবা এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানসহ বিদেশে গ্রবোস্কি অ্যান্ড পুওরট বি.ভি. নেদারল্যান্ডস-এর মতো বৃহৎ কোম্পানিতে প্রযুক্তি উন্নয়ন বিভাগে কাজ করেছেন।

২০০৭ সালে একটি ‘প্রবলেম ব্যাংক’ থেকে সিটি ব্যাংকের যে রূপান্তর বা ট্রান্সফরমেশন প্রজেক্ট শুরু হয়, সেই ট্রান্সফরমেশন টিমের অন্যতম শীর্ষ সদস্য হিসেবে ব্যাংকটিতে যোগদান করে আজিজ রহমান এ ব্যাংকের বর্তমান উৎকর্ষে পৌঁছানোর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তিনি সিটি ব্যাংককে একটি পূর্ণাঙ্গ অনলাইন ব্যাংকে রূপান্তর করাসহ ২০১৩ সালে ‘সিটিটাচ’ ইন্টারনেট ব্যাংকিং চালু করার মাধ্যমে ব্যাংকটির ডিজিটাল মাধ্যমে যাত্রা শুরুর পেছনে প্রধান ভূমিকা রাখেন। সিটি ব্যাংকের ‘সিটিটাচ’ বর্তমানে দেশের সবচাইতে জনপ্রিয় ইন্টারনেট ও ডিজিটাল ব্যাংকিং অ্যাপ হিসেবে স্বীকৃত।

আজিজ রহমানের নেতৃত্বে সিটি ব্যাংকে এ মুহূর্তে একটি পূর্ণাঙ্গ ডিজিটাল ব্যাংক প্রতিষ্ঠার কাজ চলছে। তিনি ভারতের নিউপোর্ট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইলেকট্রনিকস ও কমিউনিকেশনসে মেজরসহ ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে স্নাতক এবং প্রযুক্তি বিষয়ে বিভিন্ন দেশ থেকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত।

;

ফের বাড়ল সোনার দাম, প্রতি ভরি ১১৯৫৪৪ টাকা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে দেশের বাজারে ফের বেড়েছে সোনার দাম। এবার এক হাজার ৮৪ টাকা বাড়িয়ে ভালো মানের, অর্থাৎ হল-মার্ক করা ২২ ক্যারেট সোনার দাম দাঁড়িয়েছে প্রতি ভরি ১ লাখ ১৯ হাজার ৫৪৪ টাকা।

রোববার (১৯ মে) বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানিয়েছে। এতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে খাঁটি সোনার দাম বাড়ায়, সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। নতুন দর সোমবার (২০ মে) থেকে কার্যকর হবে।

নতুন দাম অনুযায়ী, হল-মার্ক করা প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেট সোনার দাম ১ লাখ ১৯ হাজার ৫৪৪ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ১০৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯৭ হাজার ৮০৩ টাকা ও সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনার দাম ৮০ হাজার ৮৬৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এর আগে, গত শনিবার (১৮ মে) ২২ ক্যারেটের সোনার দাম ১ লাখ ১৮ হাজার ৪৬০ টাকা নির্ধারণ করে বাজুস। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৩ হাজার ৮২ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯৬ হাজার ৯১৬ টাকা ও সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনার দাম ৮০ হাজার ১৩১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল।

এনিয়ে এ বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ২৪ বার সোনার দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ১৩ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ১১ বার। আর ২০২৩ সালে দাম সমন্বয় করা হয়েছিল ২৯ বার।

;

বেড়েছে রেমিট্যান্স প্রবাহ, ১৭ দিনে এলো ১৩৬ কোটি ডলার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
দেশে বেড়েছে রেমিট্যান্স প্রবাহ

দেশে বেড়েছে রেমিট্যান্স প্রবাহ

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশে আবার রেমিট্যান্স প্রবাহে ‍সুবাতাস বইতে শুরু করেছে। চলতি মে মাসের প্রথম ১৭ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ১৩৫ কোটি ৮৭ লাখ মার্কিন ডলার। এই হিসাবে প্রতিদিন গড়ে দেশে এসেছে ৭ কোটি ৯৯ লাখ ডলার।

রোববার (১৯ মে) বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, মে মাসের প্রথম ১৭ দিনে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ১৩৫ কোটি ৮৭ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার। আর গত এপ্রিল, মার্চ, ফেব্রুয়ারি ও জানুয়ারির প্রথম ১৭ দিনে দেশে রেমিট্যান্স এসেছিল যথাক্রমে ১১৪ কোটি ৫৮ লাখ, ১০৯ কোটি ৩১ লাখ , ১২১ কোটি ৭২ লাখ ও ১২২ কোটি ৬ লাখ মার্কিন ডলার। সে হিসেবে চলতি মাসে বেড়েছে রেমিট্যান্স প্রবাহ।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, চলতি মাসে ২০০ কোটি ডলার ছুঁতে পারে দেশের প্রবাসী আয়। মূলত আসন্ন কোরবানিকে ঘিরে বাড়ছে রেমিট্যান্স পাঠানোর প্রবণতা।

এদিকে মে মাসের প্রথম ১৭ দিনে রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১৪ কোটি ৮৮ লাখ ১০ হাজার মার্কিন ডলার। এছাড়া বিশেষায়িত ব্যাংকের মাধ্যমে ৪২ লাখ ৮০ হাজার ডলার, বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে ১২০ কোটি ৮ লাখ ১০ হাজার ডলার ও বিদেশি খাতের ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৪৮ লাখ ২০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স।

এদিকে গত এপ্রিল মাসে দেশে এসেছে ২০৪ কোটি ৩০ লাখ ৬০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। আর গত মার্চে দেশে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৯৯ কোটি ৬৮ লাখ ৫০ হাজার ডলার। এছাড়া ফেব্রুয়ারিতে চলতি অর্থবছরে সর্বোচ্চ ২১৬ কোটি ৬০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা। আর গত জানুয়ারি মাসে দেশে রেমিট্যান্স এসেছিল ২১০ কোটি ৯ লাখ ৫০ হাজার ডলার।

;