বিইআরসি অবমাননার দায়ে ফেঁসে যাচ্ছেন এমএ মাজেদ!



সেরাজুল ইসলাম সিরাজ, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এমএ মাজেদ

কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এমএ মাজেদ

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনকে (বিইআরসি) অবমাননার দায়ে ফেঁসে যেতে পারেন কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (কেজিডিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক এমএ মাজেদ। দুই দফায় দেওয়া চিঠির আদেশ বাস্তবায়ন না করায় সশরীরে হাজির হতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

জবাব সন্তোষজনক না হলে আর্থিক জরিমানা এমনকি ৩ মাসের জেল দেওয়ার এখতিয়ার রয়েছে বিইআরসির। আগামী ১১ অক্টোবর সশরীরে কমিশনে হাজির হতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ঘটনার সূত্রপাত চট্টগ্রামের আনন্দ সোপ অ্যান্ড কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজের গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা নিয়ে। শিল্প ক্যাটাগরির গ্রাহক আনন্দ সোপ, সে অনুযায়ী নিয়মিত বিল প্রদান করে আসছে। কিন্তু হঠাৎ করেই কোম্পানিটির কাছে বাণিজ্যিক ক্যাটাগরিতে দর অনুযায়ী বেশি হারে বিল দিতে বলা হয়। এমনকি বিগত ৬ বছরের একটি এরিয়ার বিল ধরিয়ে দেওয়া হয়।

কর্ণফুলী গ্যাসের পক্ষ থেকে গত ২৯ ‍জুন আনন্দ সোপকে একটি চিঠি দেওয়া হয় । জোন ৪ এর ব্যবস্থাপক স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে বলা হয়, আপনার প্রতিষ্ঠানটি অযান্ত্রিক হওয়ায় কোম্পানি (কেজিডিসিএল) কর্তৃক গঠিত কমিটির সুপারিশক্রমে ২০১৬ সাল ‍জুন মাসে শিল্প গ্রাহক থেকে রূপান্তরিত করে বাণিজ্যিক শ্রেণিতে ভুক্ত হওয়ার বিষয়টি অনুমোদন করেছে কর্তৃপক্ষ। ২০১৬ সালের জুন মাসে রূপান্তরের তারিখ থেকে বাণিজ্যিক শ্রেণিতে বিল আদায়যোগ্য। শিল্প শ্রেণিতে পরিশোধিত অর্থ সমন্বয়ের পর (বাণিজ্যিক ট্যারিফের বর্ধিত টাকা জুন-২০১৬- এপ্রিল ২০২২) গ্যাস বিল বাবদ আরও ৫৫ লাখ ৩৩ হাজার ৯৬৪ টাকা পরিশোধ করতে বলা যাচ্ছে।

এরপর ১০ আগস্ট তাগাদা পত্র ইস্যু করা হয় আনন্দ সোপের নামে। এবার চিঠিতে ১৪ দিনের মধ্যে ৫৫ লাখ ৩৩ হাজার ৯৬৪ টাকা পরিশোধ করতে বলা হয়। বর্ধিত বিল পরিশোধ না করায় ২৯ আগস্ট গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। আনন্দ সোপ বিইআারসিতে বিরোধ নিষ্পত্তির আবেদন করা হয়।

বিইআরসি শুনানি শেষে ১ সেপ্টেম্বর একটি অন্তবর্তী আদেশ প্রদান করেন। এতে বলা হয়, গ্রাহকের শ্রেণির বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় অথবা যথাযোগ্য আদালতের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা গ্রহণ করবেন। প্রতিষ্ঠানের কাঁচামাল ও শ্রমিকদের জীবিকার বিষয়টি বিবেচনায় ১০ লাখ টাকা জমাদান সাপেক্ষে ওই দিনেই পুনঃসংযোগ প্রদান করবেন।

বিইআরসির ওই আদেশের পর ১০ লাখ টাকার পে-অর্ডার নিয়ে কর্ণফুলী গ্যাসে জমা দিতে যায় আনন্দ সোপ। সেই পে-অর্ডার গ্রহণে অস্বীকৃতি জানায় কর্ণফুলী গ্যাস কর্তৃপক্ষ। ১২ দিনে ধর্না দিয়েও পে-অর্ডার জাম দিতে ব্যর্থ হয়ে কেজিডিসিএল ব্যবস্থাপনা পরিচালক এমএ মাজেদ বরাবরে লিখিত আবেদন করে আনন্দ সোপ। তারপরও কোন সুরাহা হয়নি, এমনকি কোন জবাবও দেওয়া হয়নি কেজিডিসিএল এর পক্ষ থেকে।

কমিশনের আদেশের পরও পুনঃসংযোগ না দেওয়ায় ২২ সেপ্টেম্বর দ্বিতীয় আদেশ দেয় বিইআরসি। এবার আদেশে পুনঃসংযোগ দেওয়ার পাশাপাশি কমিশনের আদেশে সত্ত্বেও পুনঃসংযোগ প্রদান না করার কারণ জানাতে পরবর্তী শুনানির তারিখে (গত ২৭ সেপ্টেম্বর) ব্যবস্থাপনা পরিচালক অথবা তার স্থলাভিষিক্ত হতে পারেন এমন কেউ অথবা সংশ্লিষ্ট জোনের মহাব্যবস্থাপককে উপস্থিত হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।

বিইআরসির দ্বিতীয় আদেশের পরও আনন্দ সোপের পুনঃসংযোগ প্রদান থেকে বিরত থাকে কেজিডিসিএল। আদেশ প্রতিপালন না করার কমিশন উষ্মা প্রকাশ করেন। পরবর্তী শুনানির দিনে কেজিডিসিএল ব্যবস্থাপনা পরিচালককে সশরীরে হাজির হয়ে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে।

সশরীরে উপস্থিত হয়ে সন্তোষজনক জবাব দিতে ব্যর্থ হলে কি হতে পারে। এমন প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের সদস্য (প্রশাসন ও অর্থ) মোহাম্মদ আবু ফারুক বার্তা২৪.কম-কে বলেছেন, কমিশন আইনের ৪৩ ধারায় জরিমানা বিধান রয়েছে। সে অনুযায়ী ব্যবস্থা হতে পারে।

বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন আইনের ৪৩ ধারায় (আদেশ লঙ্ঘনের জন্য জরিমানা ও শাস্তি) বলা হয়েছে, যদি কোন লাইসেন্সি বা অন্য কোন ব্যক্তি যুক্তিসংগত কারণ ব্যতীত এই আইনের অধীনে প্রদত্ত কমিশনের কোন আদেশ কিংবা নির্দেশ পালন করিতে অস্বীকার করেন বা ব্যর্থ হন তাহা হইলে- (ক) কমিশন উক্ত ব্যক্তির উপর প্রবিধান ধারা নির্ধারিত অর্থ প্রশাসনিক জরিমানা হিসেবে আরোপ করিতে পারিবে। এইরূপ জরিমানা সরকারি পাওনা হিসেবে আদায়যোগ্য হইবে। (খ) ইহা অপরাধ হিসেবে গণ্য হইবে, উক্ত অপরাধের জন্য উক্ত ব্যক্তি অনধিক ৩ মাসের কারাদণ্ড বা অন্যূন ২ হাজার টাকার অর্থদণ্ড বা উভয়দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন, অপরাধ অব্যাহত থাকার ক্ষেত্রে প্রতিদিনের জন্য ৫’শ টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।

বিইআরসি ট্রাইব্যুনালের সাবেক চেয়ারম্যান ড. সেলিম মাহমুদ বার্তা২৪.কম-কে বলেছেন, বিইআরসি নিজেই নিজের ক্ষমতা সম্পর্কে অবগত না, অথবা জানলেও ক্ষমতা প্রয়োগ করার সাহস রাখে না। আদালতের নির্দেশের সমান বিইআরসির আদেশ। কেউ না মানলে তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে পারবে। প্রথম দফায় চিঠির পর আদেশ প্রতিপালন না করায় শাস্তি দিতে পারতো। আমাদের সময়ে আদেশ প্রতিপালন না করার কোন নজির নেই।

   

সরবরাহ বাড়ায় কমেছে পেঁয়াজের দাম



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দামে যখন ঊর্ধ্বগতি তখন স্বস্তির বার্তা হয়ে এসেছে পেঁয়াজের দাম। গেলো কয়েক সপ্তাহে যেখানে পেঁয়াজের ঝাঁজে ক্রেতাদের নাজেহাল অবস্থা। সেই পেঁয়াজ এখন বাজারে পাওয়া যাচ্ছে সুলভ মূল্যে। মূলত দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়ায় এবং ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির ঘোষণার পর থেকে নেমে এসেছে পেঁয়াজের দাম।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) সকালে রাজধানীর হাতিরপুল বাজার ঘুরে দেখা গেছে গত সপ্তাহে যে পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছিল ৯০-১০০ টাকা তা মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধানে নেমে এসেছে অর্ধেকেরও কম দামে। বাজার ঘুরে দেখা যায় প্রকারভেদে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪০-৪৫ টাকা যা পাইকারি বাজারে ৩০-৩৫ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।

ক্রেতারা বলছেন গত কয়েক সপ্তাহে সবকিছুর দামে যে আগুন লেগেছিল তা মনে হয় কিছুটা কমতে শুরু করেছে। যদিও অসাধু ব্যবসায়ীরা যা ব্যবসা করার তা করে ফেলেছে। সবার বাসায় এখন পর্যাপ্ত পেঁয়াজ, আলু ও অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের পর্যাপ্ত মজুদ আছে। তাই ক্রেতাদের আনাগোনা বাজারে কমে যাওয়ায় কমেছে জিনিসপত্রের দাম।

শুক্রবার বাজারে প্রতি কেজি শশা বিক্রি হচ্ছে ৬০-৭০। ক্যাপসিকাম ২৫০-৩০০ টাকা। বেগুন প্রতি কেজি ৫০-৬০, লেবুর হালি প্রকারভেদে ২০-৫০ টাকা, কচুর লতি ৬০ টাকা, শিম ৪০ টাকা, মুলা ৩০ টাকা, লাউ ৮০ টাকা, চাল কুমড়া ৫০, করলা ৬০-৭০, টমেটো ৫০-৬০ কেজি, পটল ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া প্রতি পিছ ৪০টাকা, বাঁধাকপি ৪০, ফুলকপি ৫০ এবং কাঁচকলা বিক্রি হচ্ছে ৩০-৪০ টাকা দরে।

পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকায় আগের দামেই পাওয়া যাচ্ছে সকল মাছ

এছাড়া আলু ৪০ টাকা প্রতি কেজি, আদা ২২০, রসুন ২০০, কাঁচামরিচ ৪০ টাকা, পেয়াজ ৪০-৪৫ টাকা , ধনেপাতা ৬০ টাকা কেজি।

হাতিরপুল বাজারের বিক্রেতা নিরব জানান, গত সপ্তাহের চাইতে এই সপ্তাহে সবজির দাম কিছুটা কম। মূলত আমদানি বাড়ার কারণে দাম কমেছে পেঁয়াজ সহ সকল শাক সবজির দাম। আগে ৮০ টাকার নিচে সবজির গায়ে হাত দেয়া যেতো না। কিন্তু এখন তা ৩০ থেকে ৪০ টাকায় নেমে এসেছে।

আরেক ব্যবসায়ী আমান হোসেন জানান, বেগুন ব্যবসায়ীরা এবার ধরা খাইছে। রমজানের প্রথম দুই দিনে বেগুন নিয়ে যে সিন্ডিকেট হইছিলো তাতে পাবলিক ক্ষেপে গিয়ে বেগুন কেনা কমাইয়া দিছে তাই প্রথম দুই দিনে বেগুন ১২০ টাকা করে পাইকারি বিক্রি হলেও এখন তা প্রকারভেদে মাত্র ১০-৩০ টাকা পাইকারিতে পাওয়া যাচ্ছে। এছাড়া ঈদের আগে আর কোন জিনিসের দাম বাড়ার সম্ভাবনা নাই আশাকরি।

এদিকে মাছের বাজারেও দেখা গেছে একই চিত্র। বাজারে ক্রেতা কম থাকায় এবং মাছের পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকায় আগের দামেই পাওয়া যাচ্ছে সকল মাছ।

বাজারে প্রতি কেজি কাচকি পাওয়া যাচ্ছে ৪০০-৬০০ টাকা কেজি। এছাড়া বেলে মাছ ৫০০, ফলি ৫০০, কোরাল ৭০০, পাবদা ৪৫০, লইট্টা ৩০০, বোয়াল ৬০০, আইর ৮০০, রুই ৩৫০, চিতল ৮০০, পাঙ্গাশ ২০০ তেলাপিয়া ২২০, বড় চিংড়ি ১০০০, রুপচাঁদা ১৩৫০, এবং ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ১২০০ টাকা কেজি দরে।

;

রিজার্ভের পরিমাণ জানাল কেন্দ্রীয় ব্যাংক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
রিজার্ভের পরিমাণ জানাল কেন্দ্রীয় ব্যাংক

রিজার্ভের পরিমাণ জানাল কেন্দ্রীয় ব্যাংক

  • Font increase
  • Font Decrease

দীর্ঘদিন ধরে দেশে ডলার সংকটের প্রভাবে বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চয় বা রিজার্ভ ধারাবাহিকভাবে কমছে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সর্বেশষ গণনায় দেশের রিজার্ভ ১৯ দশমিক ৪৫ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। অন্যদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসেবে তা ২৪ দশমিক ৮১ বিলিয়ন ডলার।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সাপ্তাহিক হালনাগাদ প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। 

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত এক সপ্তাহে গ্রস রিজার্ভ কমেছে ৫৩ কোটি ডলার। বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে গত ২১ মার্চ সঞ্চিত বিদেশি অর্থের পরিমাণ ছিল ২৫ দশমিক ২৪ বিলিয়ন ডলার। আর আইএমএফের গণনা পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী তা ছিল ১৯ দশমিক ৯৮ বিলিয়ন ডলার।

এ ছাড়া কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিট রিজার্ভের আরেকটি হিসাব রয়েছে। যা শুধু প্রকাশ করা হয় না, শুধুমাত্র আইএমএফকে দেওয়া হয়। জানা গেছে, ওই হিসাবে বর্তমানে দেশের প্রকৃত রিজার্ভ এখন প্রায় সাড়ে ১৭ বিলিয়ন ডলার। যা দিয়ে ৩ মাসের আমদানি ব্যয় মিটবে।

অর্থাৎ, পণ্য কেনা বাবদ মাসিক প্রায় ৬ বিলিয়ন ডলার করে দায় পরিশোধ করা হয়। নিয়ম অনুযায়ী যেকোনো দেশের ন্যূনতম ৩ মাসের আমদানি খরচের সমান রিজার্ভ থাকতে হয়। বাংলাদেশেরও সেই পরিমাণ রিজার্ভ রয়েছে।

;

ইসলামী ব্যাংকে বঙ্গবন্ধুর জীবনাদর্শের উপর আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির উদ্যোগে এবং বঙ্গবন্ধু পরিষদ ইসলামী ব্যাংক ইউনিটের সহযোগিতায় “বঙ্গবন্ধুর জীবনাদর্শ ও বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবন” শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী এবং স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন। ব্যাংকের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর ও সিইও মুহাম্মদ মুনিরুল মওলার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আ.ব.ম ফারুক, ইসলামী ব্যাংকের পরিচালক, মুক্তিযোদ্ধা মো. জয়নাল আবেদীন, বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্টের সচিব অধ্যক্ষ মো. শাহজাহান আলম সাজু, বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক একেএম আফজালুর রহমান বাবু, বঙ্গবন্ধু পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডাঃ শেখ আব্দুল্লাহ আল মামুন। স্বাগত বক্তব্য দেন বঙ্গবন্ধু পরিষদ ইসলামী ব্যাংক ইউনিটের সভাপতি মো. মোজাহারুল ইসলাম মেহেদী। অনুষ্ঠানে প্রধান কার্যালয়ের নির্বাহী ও কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

;

চীনের সঙ্গে এফটিএ করতে সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রতিবেদন বিনিময়



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
চীনের সঙ্গে এফটিএ করতে সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রতিবেদন বিনিময়

চীনের সঙ্গে এফটিএ করতে সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রতিবেদন বিনিময়

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে বাণিজ্য এবং বিনিয়োগ বাড়ানোর লক্ষ্যে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) সই করার বিষয়ে যৌথভাবে খসড়া সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রতিবেদন বিনিময় করেছে দুই দেশ।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এ সমীক্ষা প্রতিবেদন বিনিময় করে বাংলাদেশ ও চীন।

এসময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ, বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

তপন কান্তি ঘোষ বলেন, বাংলাদেশের স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ বর্তমান সরকারের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রার উল্লেখযোগ্য অর্জন। এ অর্জন বিশ্বে বাংলাদেশের ইতিবাচক ভাবমূর্তি সৃষ্টি এবং বিনিয়োগ ও বাণিজ্যে নতুন সম্ভাবনা তৈরির পাশাপাশি বেশ কিছু চ্যালেঞ্জও তৈরি করবে।

তিনি আরও বলেন, যার মধ্যে স্বল্পোন্নত দেশ হিসাবে উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশে পণ্য রপ্তানির সময় শুল্কমুক্ত কোটামুক্ত প্রবেশাধিকার সুবিধা ২০২৬ সালের পরে হারানো এবং মূল্য সংযোজনের হার অন্যতম। এর ফলে বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যকে ওই সব দেশের বাজারে প্রবেশের সময় সাধারণভাবে আরোপিত শুল্কের সম্মুখীন হতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ফলে ওই সকল দেশে বাংলাদেশের রপ্তানি বাজার সংকোচনের সম্ভাবনা রয়েছে।

কবে নাগাদ এফটিএ সই হতে পারে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, এখনো চুক্তি হয়নি। এখন আলোচনা শুরু হবে। আগামী তিন বছরের মধ্যে চুক্তি সম্পন্ন করতে পারলে ভালো। যদি না হয় আমাদের আলোচনা চালিয়ে যেতে হবে। আলোচনা শেষ না হলে ততোদিন যেন আমাদের এলডিসি হিসাবে এই সুবিধাগুলো তাঁরা দেয় এর জন্য বলবো।

চুক্তির ফলে বাংলাদেশ কি ধরনের সুবিধা পাবে এ বিষয়ে তপন কান্তি ঘোষ বলেন, আমাদের প্রধান রপ্তানি পণ্য গার্মেন্টের বাইরে আরও কিছু পণ্য আছে। রাষ্ট্রদূততের সঙ্গে আলাপকালে তিনি জানিয়েছেন আম ও পাটজাত পণ্যের অনেক সম্ভাবনা আছে। তারপর হস্তশিল্পের বিষয় আছে।

তিনি বলেন, এছাড়া আরও পণ্য আছে। আমরা ইতোমধ্যে চামড়া রপ্তানি করছি। আমরা মানসম্মত চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি করতে পারি। চীনে ১৪০ কোটি মানুষ। সেখানে যদি আমরা বৈচিত্র্য পণ্য নিয়ে যেতে পারি, বড় বাজার। চুক্তি হয়ে গেলে বিনিয়োগ বাড়ারও সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান তিনি।

তপন কান্তি ঘোষ বলেন, আমরা প্রধানত তৈরি পোশাক রপ্তানি করি। ২০২২-২৩ অর্থবছরে আমরা চীনে ৬৭৭ মিলিয় মার্কিন ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছি। বিপরীতে চীন থেকে ২২ দশমিক ৯০ বিলিয়ন ডলার আমদানি করা হয়েছে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেন, বাংলাদেশে চীনের বড় বিনিয়োগ রয়েছে। এখন চীন বাংলাদেশে দ্বিতীয় বৃহৎ বিনিয়োগকারী দেশ। এফটিএ সই হওয়ার পর বিনিয়োগ আরও বাড়বে। বাংলাদেশ চীনে আম, কাঠাল, আলু, পাটপণ্য, চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি করতে পারে।

তিনি আরও বলেন, বর্তমান বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এবং টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য এফটিএ করা প্রয়োজন।

অনুষ্ঠানে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এলডিসি উত্তরণ পরবর্তী সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকারের অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা অনুসারে বাংলাদেশের রপ্তানি বাজার সংরক্ষণ এবং সম্প্রসারণে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে বাণিজ্যিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন দেশ ও ট্রেড ব্লকের সাথে আঞ্চলিক বাণিজ্য চুক্তি সম্পাদনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।

;