বিদ্যুৎ বিপর্যয় নিয়ে বিএনপির বক্তব্য নাশকতার উদ্বেগ তৈরি করেছে: প্রতিমন্ত্রী

  • স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ

বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ

বিএনপি বলেছেন, আরও এমন ঘটনা ঘটতে পারে। এই কথার সূত্র ধরে একটি প্রশ্ন সামনে এসেছে নাশকতার সংশ্লিষ্টতা রয়েছে কিনা। তদন্ত কমিটি সেটিও খতিয়ে দেখবে বলে মন্তব্য করেছেন বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।

বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) বিদ্যুৎ বিভাগের সভাকক্ষে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও বলেন, তারা কি করে জানলেন আবারও এ রকম ঘটনা ঘটবে। এতে তাদের কোন সংশ্লিষ্টতা রয়েছে কিনা। মির্জা ফখরুল ইসলাম ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু যেভাবে কথা বলছেন, তাদের আয়নায় নিজের চেহারা দেখা উচিত। তারা যদি এতোই বুদ্ধি রাখেন তাহলে কেনো ১৬-১৭ ঘণ্টা লোডশেডিং করেছে। এক মেগাওয়াট বিদ্যুৎও বাড়াতে পারেনি। তাদের মুখে এসব বক্তব্য মানায় না।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রাথমিক অনুসন্ধানে দেখা যায় চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম হওয়ায় গ্রিড বিপর্যয় হয়। এতে করে কোন ড্যামেজ পরিলক্ষিত হয় নি। প্রকৃত কারণ অনুসন্ধানে কিছুটা সময় লাগছে। এ রকম টেকনিক্যাল ফল্ট হতেই পারে। আমরা অনেক কাজ করছি, করোনার কারনে কিছুটা পিছিয়ে গেছি। তবে অটোমেশনের কাজ যতদ্রুত করা সম্ভব হবে তত ঝূঁকি কমে আসবে। পিজিসিবি সেভাবে অগ্রগতি করতে পারেনি। করোনার কারণে কিছুটা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। পিজিসিবিকে আরও আধুনিক হতে হবে।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ঘটনার ৩২মিনিটের মধ্যে সিরাজগঞ্জ গ্রিড চালু করা হয়। বিকাল ৫.৪০ টায় অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বঙ্গভবন ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়। রাত ৯টার মধ্যে সব এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু করা হয়। প্রকৃত কারণ উদঘাটনে পিজিসিবির নেতৃত্বে ৭ সদস্যের কমিটি কাজ করছে। বিদ্যুৎ বিভাগের নেতৃত্বে আরেকটি কমিটি কাজ করছে। আরও এক সপ্তাহ সময় লাগবে।

মঙ্গলবার (৪ অক্টোবর) দুপুর ২ টার জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ বিপর্যয় দেখা দেয়। এতে দেশের অধিকাংশ এলাকা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। বিকেলে নাগাদ আংশিক এলাকায় চালু করতে সক্ষম হয়।

পিজিসিবির প্রধান প্রকৌশলী মোরশেদ আলম খান (সঞ্চালন-১) সেদিন বলেছিলেন, আমাদের ঢাকা- সিলেট ও চট্টগ্রামে গ্রিড বিপর্যয় হয়েছে। প্রাথমিকভাবে আমরা এখনও এর কারণ খুঁজে পাইনি। তবে ঘেড়াশাল বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে চেকিং শুরু হয়েছে।