দাম বাড়ল এলপিজির
রান্নার কাজে বহুল ব্যবহৃত এলপি গ্যাসের ১২ কেজিরসিলিন্ডার প্রতি ১২৫১ টাকা। যা পূর্বের মাসের তুলনায় ৫১ টাকা বেশি। অক্টোবরে এই দর ছিল ১২০০ টাকা। অটোগ্যাস লিটার প্রতি ৫৮.২৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
বুধবার (২ নভেম্বর) ভার্চুয়াল সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন দরঘোষণা করে বিইআরসির চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল। অন্যদের মধ্যেঅংশ নেন কমিশনের সদস্য মোহাম্মদ আবু ফারুক, মোহাম্মদ বজলুর রহমান, কামরুজ্জামান, বিইআরসির সচিবখলিলুর রহমান খান। নতুন দর সন্ধ্যা ৬টা থেকে কার্যকর হবে বলেজানিয়েছেন বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)।
টানা কয়েকমাস উধমূখী থাকার পর মে মাসে থেকে কমতে থাকেএলপি গ্যাসের দাম। ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে বাড়ন্ত এলপি গ্যাসের দাম এপ্রিলে ( ১২ কেজি) গিয়ে দাঁড়ায় ১৪৩৯ টাকায়। সাম্প্রতিকবছরগুলোর এলপিজির সব রেকর্ড ছাড়িয়ে যায় এ বছর। এপ্রিল মাসে(সৌদি আরামকো) সর্বোচ্চ দর ওঠে প্রপেন ৯৪০ বিউটেন ৯৬০ডলার। ২০১৪ সালের পর আর কখনও এতো বেশি দরে বেচাকেনা হয়নি বাংলাদেশে রান্নার কাজে বহুল ব্যবহৃত জ্বালানি পন্যটি।
চলতি মাসে প্রোপেন ও বিউটেনের দাম ৬১০ ডলারে বেচাকেনা হচ্ছে। প্রোপেন বিউটেনের অনুপাত ৩৫ ও ৬৫ গড়েপ্রতি টনের দাম পড়ছে ৬১০ ডলার।
২০২১ সালের ১২ এপ্রিলের আগে পর্যন্ত এলপিজির দর ছিলকোম্পানিগুলোর ইচ্ছাধীন। ১২ এপ্রিল প্রথমবারের মতো দর ঘোষণাকরে বিইআরসি। তখন বলা হয়েছিল আমদানি নির্ভর এই জ্বালানিরসৌদি রাষ্ট্রীয় কোম্পানি আরামকো ঘোষিত দরকে ভিত্তি মূল্য ধরা হবে।সৌদির দর উঠানামা করলে ভিত্তিমূল্য উঠানামা করবে। অন্যান্যকমিশন অরপরিবর্তিত থাকবে। ঘোষণার পর থেকে প্রতিমাসেএলপিজির দর ঘোষণা করে আসছে বিইআরসি।
এলপিজি আমদানিকারকরা অপরেশনাল কমিশন বৃদ্ধির দাবীজানিয়ে আসছে। ১১টি কোম্পানি বিইআরসিতে লিখিত আবেদন দেয়। তাদের দাবী হচ্ছে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি হওয়ায় জাহাজভাড়া বেড়েছে, অভ্যন্তরীণ রুটেও ভাড়া বেড়েছে। সম্প্রতি কমিশনেরসঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেছে। সেখানে গণশুনানির বিষয়ে সিদ্ধান্তহয়েছে। কোম্পানিগুলো আবেদন জমা দিলেই গণশুনানি গ্রহণ করাহবে।