বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির যৌক্তিকতা প্রমাণের দায়িত্ব আবেদনকারীর
বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির আবেদনের যৌক্তিকতা ও ন্যায্যতা প্রমাণের দায়িত্ব আবেদনকারীর। বিইআরসি জনস্বার্থ ও ভোক্তা স্বার্থ বিবেচনা করে আদেশ দেবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল।
রোববার (৮ জানুয়ারি ) রাজধানীর বিয়াম অডিটরিয়ামে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির গণশুনানির উদ্বোধনী পর্বে তিনি মন্তব্য করেন। শুনানিতে অংশ নিয়ে বিইআরসির সদস্য মোহাম্মদ আবু ফারুক, মকবুল ই ইলাহী চৌধুরী, বজলুর রহমান ও কামরুজ্জামান।
চেয়ারম্যান আরও বলেন, আমরা একটি খারাপ সময় অতিক্রম করছি। করোনা এবং ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সারাবিশ্ব সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশও এর ব্যতিক্রম না। কিছুটা রক্ষণাত্মক ভূমিকা পালন করতে হচ্ছে। এ জন্য কমিশনকে দূরদর্শিতার সঙ্গে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। কমিশন এ বিষয়ে সব সময় আন্তরিকতা সঙ্গে সচেষ্ট থেকেছে। তবে আমাদের ব্যর্থতা নেই এটা দাবি করবো না।
তিনি বলেন, কমিশন অত্যন্ত দৃঢ়তার সঙ্গে বিরোধ নিষ্পত্তি করে থাকে। কারো কোন অভিযোগ থাকলে ৫৪ ধারায় আবেদন করতে পারেন। গণশুনানিতে কোন ব্যক্তিগত অভিযোগ না উত্থাপনের অনুরোধ করছি।
গত ২১ নভেম্বর বিদ্যুতের পাইকারি দাম ১৯.৯২ শতাংশ বাড়িয়ে প্রতি ইউনিট ৫.১৭ টাকা বাড়িয়ে ৬.২০ টাকা নির্ধারণ করে বিইআরসি। বিপিডিবি ইউনিট প্রতি বর্তমান দর ৫.১৭ টাকা থেকে ৬৬ শতাংশ বাড়িয়ে ৮.৫৮ টাকা করার আবেদন করেছিল। সেই প্রস্তাবের উপর গণশুনানি নেওয়া হয় গত মে মাসের ১৮ তারিখে। আর ১৩ অক্টোবর বিপিডিবি দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব নাকচ করে দেন বিইআরসি। রিভিউ আবেদন জমা দিলে দাম বাড়িয়ে দেয় বিইআরসি।
পাইকারি দাম বৃদ্ধির পর বিতরণ কোম্পানিগুলো গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির আবেদন নিয়ে এসেছে। তার উপর গণশুনানি নেওয়া হচ্ছে। একই দিনে সব বিতরণ কোম্পানির আবেদনের উপর শুনানি নেওয়া হবে। একদিনে শেষ না হলে দ্বিতীয় দিনে গড়াবে শুনানি।বিইআরসি টেকনিক্যাল কমিটি গ্রাহক পর্যায়ে ১৫.৪৩ শতাংশ দাম বৃদ্ধির সুপারিশ দিয়েছে। অন্যদিকে পিজিসিবি সঞ্চালন চার্জ ১৯০ শতাংশ বৃদ্ধির প্রস্তাবের বিপরীতে টেকনিক্যাল কমিটি ১৩.৯৯ শতাংশ বৃদ্ধির সুপারিশ করেছে।