বিদ্যুতের দাম বাড়িয়ে গেজেট প্রকাশ



সেরাজুল ইসলাম সিরাজ, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাড়ল গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম। আবাসিকের লাইফলাইন গ্রাহকের (৫০ ইউনিট ব্যবহারকারি) ইউনিট প্রতি ১৯ পয়সা বাড়িয়ে ৩.৯৪ টাকা, প্রথমধাপে ৭৫ ইউনিট ব্যবহারকারীর ২১ পয়সা বাড়িয়ে ৪.৪০ টাকা করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) বিদ্যুৎ বিভাগ নির্বাহী আদেশে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর গেজেট প্রকাশ করেছে। নতুন ঘোষিত দর চলতি মাস জানুয়ারি থেকেই কার্যকর হবে।

নির্বাহী আদেশে, দ্বিতীয় ধাপে ৭৬-২০০ ইউনিট পর্যন্ত ২৯ পয়সা হারে বাড়িয়ে ৬.০১ পয়সা, ২০১-৩০০ ইউনিট পর্যন্ত ৩০ পয়সা বাড়িয়ে ৬.৩০ টাকা, ৩০১-৪০০ ইউনিট ব্যবহারকারীর বিল ৩২ পয়সা বাড়িয়ে ৬.৬৬ টাকা, ৪০১-৬০০ ইউনিট পর্যন্ত ৫০ পয়সা বাড়িয়ে ১০.৪৪ টাকা এবং সর্বশেষ ধাপ ৬০০ ইউনিটের ঊর্ধ্বে ব্যবহারকারীদের ১১.৪৬ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১২.০৩ টাকা করা হয়েছে। উল্লেখিত দর নিম্নচাপ শ্রেণির গ্রাহকদের জন্য প্রযোজ্য হবে। মধ্যম ও উচ্চচাপের গ্রাহকদের জন্য পৃথক দর নির্ধারণ করা হয়েছে। মধ্যমচাপে ৫০ কিলোওয়াট থেকে ৫ মেগাওয়াট পর্যন্ত গ্রাহকদের ফ্ল্যাট রেটে ৮.৮২ টাকা, অফ-পিকে ৭.৯৪ এবং পিকে ১১.০৩ টাকা ধরা হয়েছে।

কৃষি সেচের দর ২১ পয়সা বাড়িয়ে ৪.৩৭ টাকা। এই ধরণের গ্রাহকের মধ্যমচাপে (১১ কেভি) ফ্ল্যাট রেটে ৫.২৫ টাকা, অফ-পিকে ৪.৭৩ টাকা, পিকে ৬.৫৬ টাকা করা হয়েছে।

শিল্প গ্রাহকদের ফ্ল্যাট রেটে ৮.৫৩ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৮.৯৬ টাকা, অফ পিকে ৭.৭৬ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৮.০৬ টাকা, পিকে ১০.২৪ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১০.৭৫ টাকা করা হয়েছে। শিল্পে মধ্যমচাপে (১১ কেভি) ফ্ল্যাট রেটে ৮.৯৮ টাকা, অফ-পিকে ৮.০৯ টাকা এবং পিকে ১১.২২ টাকা দর নির্ধারণ করা হয়েছে। উচ্চচাপ (৩৩ কেভি) গ্রাহকদের ফ্ল্যাট রেটে ৮.৮৭ টাকা, অফ-পিকে ৭.৯৯ টাকা এবং পিকে ১১.০৯ টাকা দর নির্ধারণ করা হয়েছে।

শিক্ষা, ধর্মীয়, দাতব্য প্রতিষ্ঠান ও হাসপাতালে নিম্নচাপে ৩০ পয়সা বাড়িয়ে ৬.৩২ টাকা, রাস্তার বাতি ও পানির পাম্পে ৭.৭০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৮.০৯ করা হয়েছে। বাণিজ্যিক ও অফিসের বর্তমান দর ফ্ল্যাট রেটে ১০.৮২ টাকা, অফ-পিকে ৯,৭৩ টাকা, পিকে ১২.৯৮ টাকা করা হয়েছে।

অতি উচ্চচাপ (শিল্প) ২০ মেগাওয়াট থেকে ১৪০ মেগাওয়াট পর্যন্ত ফ্ল্যাট রেটে ৮.৭৮ টাকা, অফ-পিকে ৭.৯০ টাকা, পিকে ১০.৯৭ টাকা দর নির্ধারণ করেছে বিদ্যুৎ বিভাগ।

বিতরণ কোম্পানিগুলোর দাম বৃদ্ধির আবেদনের ওপর ৮ জানুয়ারি শুনানি নেয় বিইআরসি। দ্রুত সময়ের মধ্যে সিদ্ধান্ত দিতে চাপ দেওয়া হচ্ছিল মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে। শেষ পর্যন্ত তড়িঘড়ি করে নির্বাহী আদেশেই বাড়িয়ে দেওয়া হলো বিদ্যুতের দাম। ইতিমধ্যেই যে সব গ্রাহকের বিল ইস্যু করা হয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে আগামী মাসের বিলের সঙ্গে সম্পূরক বিল ইস্যু করা হবে।

বিইআরসি গত ২১ নভেম্বর বিদ্যুতের পাইকারি দাম ১৯.৯২ শতাংশ বাড়িয়ে প্রতি ইউনিট ৫.১৭ টাকা বাড়িয়ে ৬.২০ টাকা নির্ধারণ করেছে। তার পরেই বিতরণ কোম্পানিগুলো গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর আবেদন জমা দেয়। অতীতে কোম্পানি ভেদে দরের ক্ষেত্রে কিছুটা তারতম্য দেখা গেলেও নির্বাহী সব বিতরণ কোম্পানির অভিন্ন দর দেওয়া হয়েছে। এতে করে কিছু কোম্পানির আয় ফুলে ফেপে উঠবে। বিশেষ করে ডিপিডিসি ও ডেসকোর মধ্যে ধনিক শ্রেণির গ্রাহকদের কোম্পানিগুলো বিশেষ সুবিধা পাবেন।

স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের ইসি চেয়ারম্যান গুলজার আহমেদ



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের ইসি চেয়ারম্যান গুলজার আহমেদ

স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের ইসি চেয়ারম্যান গুলজার আহমেদ

  • Font increase
  • Font Decrease

বেসরকারিখাতের স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক লিমিটেডের নির্বাহী কমিটির (ইসি) চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন দেশের খ্যাতনামা প্রতিষ্ঠান আপন জুয়েলার্সের অন্যতম কর্ণধার গুলজার আহমেদ।

বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের ৩৭৩তম সভায় তাকে নির্বাচিত করা হয়।

তিনি দীর্ঘদিন ধরে ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদে রয়েছেন। গুলজার আহমেদ বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট।

;

ব্রয়লার মুরগি ও নিত্যপণ্যের সিন্ডিকেটকারীদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

যেসব অসাধু ব্যবসায়ী ব্রয়লার মুরগির বাজারে সিন্ডিকেট তৈরি করে হাজার কোটি টাকা লুন্ঠন করেছে তাদেরকে আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছে কনজুমারস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)। অন্যথায় সারাদেশে মানববন্ধন এবং প্রতিবাদ সভা করা হবে বলেও হুশিয়ারি দেওয়া হয়।

বৃহস্পতিবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ব্রয়লার মরগিরসহ নিত্য পণ্যের কারসাজিতে দায়িদের শাস্তির দাবিতে এক মানববন্ধনে সরকারের প্রতি এ দাবি জানান ভোক্তার অধিকার নিয়ে কাজ করা এই সংগঠনটির নেতৃবৃন্দ।

মানববন্ধনে বক্তব্য দেনক্যাব কেন্দ্রিয় কমিটির সহ সভাপতি  এস এম নাজের হোসাইন,  ক্যাবের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট হুমায়ুন কবির ভূঁইয়া, সিপিবির কেন্দ্রিয় সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, বাংলাদেশ সাধারণ নাগরিক সমাজের আহবায়ক মহিউদ্দিন আহমেদ, জাতীয় তরুন সংঘের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মো: ফজলুল হক ও ন্যাপের সংগঠনিক সম্পাদক মিতা রহমান প্রমুখ। এসময় ক্যাবের অন্যান্য সদস্য এবং সাধারণ ভোক্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ক্যাবের সহ-সভাপতি এস এম নাজের হোসাইন বলেন, ব্রয়লার মুরগির বাজারে সিন্ডিকেট তৈরি করে অসাধু ব্যবসায়ীরা ভোক্তাদের পকেট কেটে হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।  এসব অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে। শুনেছি প্রতিযোগিতা কমিশনে সিন্ডিকেট তৈরিকারী করপোরেট কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।  তবে মামলার মেরিট কোন দিকে যাচ্ছে, ভবিষ্যৎ কি হবে তা নিয়ে আমরা সন্দিহান আছি। আমার চাই বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের এ বিষয়ে পরিষ্কার করা দরকার।

তিনি আরও বলেন, ব্রয়লার মুরগির সিন্ডিকেট যারা করেছে তাদের নাম সরকারের কাছে পৌছেছে।  এখন সরকারের সদিচ্ছা যদি থাকে তবে এদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে পারবে।

নাজের হোসাইন বলেন,  আমাদের দাবি একটাই,  যারা ব্রয়লার মরগিরসহ নিত্য পণ্যের কারসাজিতে দায়ি তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। তাদেরকে শাস্তির আওতায় আনা হোক। প্রতিকী মামলা দিয়ে যেন পার পাইয়ে দেওয়া না হয়।

হুশিয়ার দিয়ে তিনি বলেন,  এই মানববন্ধনের পর যদি সরকার ব্যবস্থা না নেয় তবে ক্যাবের পক্ষ থেকে সারাদেশে প্রতিবাদ সমাবেশ,  মানববন্ধন করা হবে।

ক্যাবের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট হুমায়ুন কবির ভূঁইয়া বলেন, এই রমজান মাসে সংযম করার কথা, কিন্তু তারা তা না করে ভোক্তাদের পকেট কেটে হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।  আমরা ক্যাবের পক্ষ থেকে সরকারের কাছে দাবি জানাতে চাই,  যারা পণ্যের দাম বাড়িয়ে ভোক্তার কষ্টের টাকা লুন্ঠন করেছে তাদেরকে চিহ্নিত করে শাস্তির আওতায় আনতে হবে।

সিপিবি এর সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, ব্রয়লার মুরগি বাংলাদেশের বাজারে অনেক চেহারা উন্মোচন করে দিয়েছে। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর এর আগে প্রমাণ করে দিয়েছে একটি ব্রয়লার মুরগির উৎপাদন করতে কতো টাকা খরচ হয় এবং বাজারে কতো টাকা বিক্রি হয়। এই একটা ঘটনার মধ্যে দিয়ে কি পরিমাণ টাকা লুটপাট করেছে তা আমরা বুঝলাম। সরকারের সংস্থায়ই এটা প্রমাণ করেছে।

;

ইসলামী ব্যাংকের ৪০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ইসলামী ব্যাংকের ৪০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত

ইসলামী ব্যাংকের ৪০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড-এর ৪০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে ‘সর্বজনীন কল্যাণে ইসলামী ব্যাংকিং’ শীর্ষক আলোচনা ও ইফতার মাহফিল ৩০ মার্চ ২০২৩, বৃহস্পতিবার প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়। ব্যাংকের চেয়ারম্যান প্রফেসর মোঃ নাজমুল হাসান, পিএইচডি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। ব্যাংকের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর ও সিইও মুহাম্মদ মুনিরুল মওলার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের ভাইস চেয়ারম্যান ডা. তানভীর আহমেদ, রিস্ক ম্যানেজমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) ইঞ্জিনিয়ার আবদুল মতিন, ডাইরেক্টর মোঃ জয়নাল আবেদীন, প্রফেসর ড. কাজী শহীদুল আলম, সৈয়দ আবু আসাদ, প্রফেসর ড. মোহাম্মদ সালেহ জহুর এবং মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন, এফসিএমএ।

অনুষ্ঠানে মূল আলোচনা উপস্থাপন করেন ব্যাংকের শরী‘আহ সুপারভাইজরি কমিটির চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন তালুকদার। স্বাগত বক্তব্য দেন অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মুহাম্মদ কায়সার আলী এবং দোয়া পরিচালনা করেন শরী‘আহ সুপারভাইজরি কমিটির সদস্য সচিব প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আব্দুস সামাদ। গ্রাহকদের পক্ষ থেকে অনুভূতি ব্যক্ত করেন মিনিস্টার মাই ওয়ান গ্রæপের চেয়ারম্যান এম এ রাজ্জাক খান রাজ ও আলিফ গ্রুপ অব কোম্পানিজ-এর ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মোঃ আজিজুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে ব্যাংকের অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডাইরেক্টর জে কিউ এম হাবিবুল্লাহ, এফসিএস ও মোঃ আলতাফ হুসাইন, ডেপুটি ম্যানেজিং ডাইরেক্টরবৃন্দসহ ঊর্ধতন নির্বাহীগণ, বিচারপতি, কূটনীতিক, আইনজীবী, শিল্পপতি, ব্যবসায়ী, ব্যাংকার, সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবী, শিক্ষাবিদ, উলামা ও সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

প্রধান অতিথির ভাষণে প্রফেসর মোঃ নাজমুল হাসান, পিএইচডি বলেন, কল্যাণমুখী ব্যাংকিংয়ের প্রতিশ্রæতি নিয়ে ১৯৮৩ সালের এই দিনে ইসলামী ব্যাংক যাত্রা শুরু করে। দেশের আমানত, বিনিয়োগ, আমদানি-রপ্তানি ও রেমিট্যান্স আহরণ, শিল্পায়ন, উদ্যোক্তা উন্নয়ন, নারীর ক্ষমতায়নসহ প্রায় সব ক্ষেত্রেই সর্বোচ্চ মার্কেট শেয়ার ধারণ করে ইসলামী ব্যাংক জাতীয় অর্থনীতির অন্যতম শক্তিতে পরিণত হয়েছে। গণমানুষের অপরিসীম আস্থা ও ভালোবাসায় এ অর্জন সম্ভব হয়েছে। আন্তরিক রেমিট্যান্স সেবার মাধ্যমে প্রবাসীদের অবিচল আস্থা অর্জন করেছে এই ব্যাংক। এই ব্যাংকের কল্যাণধর্মী সেবা দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে সমাদৃত। ক্যাশলেস সোসাইটি গড়ে তুলতে ইসলামী ব্যাংকের আধুনিক প্রযুক্তিসমৃদ্ধ সেবা, সেলফিন অ্যাপ ও ইন্টারনেট ব্যাংকিংসহ সব আর্থিক সেবা গ্রহণ করতে সবার প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

সভাপতির বক্তব্যে মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা বলেন, ইসলামী ব্যাংক আজ সাফল্য ও অগ্রগতির ৪০ বছর অতিক্রম করেছে। এ ব্যাংকের সাফল্যে অনুপ্রাণিত হয়ে এখন দেশে ১০টি ব্যাংক পূর্ণাঙ্গ ইসলামী ব্যাংকসহ প্রায় ৩৪ টি ব্যাংক শাখা ও উইনডোর মাধ্যমে ইসলামী ব্যাংকিং পরিচালনা করছে। দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে ইসলামী ব্যাংক কাজ করে যাচ্ছে। ইসলামী ব্যাংক সবচেয়ে বেশি পরিপালনকারী ব্যাংক এবং দেশের ব্যাংকিং খাতে এ ব্যাংকের দক্ষতা ও পরিচালন কৌশল শ্রেষ্ঠত্বের মানে উন্নীত। এ ব্যাংক জাতীয় উন্নয়নের গর্বিত অংশীদার। তিনি বলেন, প্রান্তিক মানুষের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করা ইসলামী ব্যাংকের পল্লী উন্নয়ন প্রকল্প বিশ্বের বৃহত্তম ইসলামিক মাইক্রোফাইন্যান্স প্রকল্প।

;

গিনিজ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস’র স্বীকৃতি পেলেন বাংলাদেশের বিশিষ্ট ব্যাংকার দিলিপ দাশগুপ্ত



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
গিনিজ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস’র স্বীকৃতি পেলেন বাংলাদেশের বিশিষ্ট ব্যাংকার দিলিপ দাশগুপ্ত

গিনিজ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস’র স্বীকৃতি পেলেন বাংলাদেশের বিশিষ্ট ব্যাংকার দিলিপ দাশগুপ্ত

  • Font increase
  • Font Decrease

ব্যাংক ক্রেডিট ব্যবস্থাপক হিসেবে দীর্ঘতম ক্যারিয়ার গড়ে গিনিজ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস’র স্বীকৃতি পেলেন বাংলাদেশের বিশিষ্ট ব্যাংকার দিলিপ দাশগুপ্ত। ব্যাংকিং পরিসেবায় অনন্য অবদানের জন্য ইতিপূর্বে তিনি ফ্রান্স সরকারের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান ‘নাইট অব দ্য ন্যাশনাল অর্ডার অব মেরিট’ এবং মানবিকতার জন্য পোপ ফ্রান্সিস কর্তৃক ‘লাভ ফর হিউমিনিট’সহ দেশে-বিদেশে অসংখ্য মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার ও সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন। 

সুদীর্ঘ সময় ব্যাংকিং পরিসেবায় যুক্ত থাকা দিলিপ দাশগুপ্ত বর্তমানে কমার্শিয়াল ব্যাংক অব সিলন, কলম্বোর ‘ক্রেডিট স্পেশিয়ালিস্ট’ হিসেবে কর্মরত।  বুধবার গিনিজ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস’র ওয়েবসাইটে ‘Longest career as a bank credit manager (male)’ শীর্ষক ঘোষণায় বাংলাদেশের ব্যাংকার দিলিপ দাশগুপ্তের ব্যাংক ক্রেডিট ব্যবস্থাপক হিসেবে দীর্ঘতম ক্যারিয়ারের এই স্বীকৃতি প্রদান করে। (https://www.guinnessworldrecords.com/world-records/722477-longest-career-as-a-bank-credit-manager-male)  ঘোষণায় গিনিজ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস জানায়, ৩ নভেম্বর ২০২২ থেকে যাচাইয়ের মাধ্যমে ৫৯ বছর ১৮৬ দিনের বর্ণাঢ্য কর্মজীবনের জন্য বিশ্বের দীর্ঘ সময়ের ব্যাংক ক্রেডিট ব্যবস্থাপকের স্বীকৃতি পেলেন দিলিপ দাশগুপ্ত।  সেই ঘোষণায় দিলিপ দাশগুপ্তের অন্যান্য আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির কথাও উল্লেখ করা হয়। 

১৯৪২ সালের ১ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার পাটনীকোঠা গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত উচ্চ মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্ম নেওয়া দিলিপ দাশগুপ্তের বাবা কৃষ্ণকুমার দাশগুপ্ত ও মা সুচারু প্রভা দাশগুপ্তা। আশৈশব ব্যাংকার হওয়ার স্বপ্ন দেখা দিলিপ ১৯৬২ সালে খাতুনগঞ্জের আমদানি প্রতিষ্ঠান প্যারামাউন্ট ইমপেক্স এ যোগ দিয়ে কর্মজীবন শুরু করেন। 

১৯৬৩ সালে ইউনাইটেড ব্যাংকে যোগ দিয়ে ব্যাংকিং ক্যারিয়ার শুরু করেন তিনি। সুদীর্ঘ ব্যাংকিং ক্যারিয়ারে দিলিপ দাশগুপ্ত স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক, রূপালী ব্যাংক, ব্যাংক অব ক্রেডিট অ্যান্ড কমার্স, ইন্দোসুযোজ ব্যাংক, ক্রেডিট এগ্রিকোল ইন্দোসুয়েজসহ আর্থিক সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ছিলেন।  

ব্যাংকিং পরিসেবার পাশাপাশি দিলিপ দাশগুপ্ত সামাজিক ও সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে একজন নিবেদিত পৃষ্ঠপোষক হিসেবে বৃহত্তর সমাজের প্রশংসা অর্জন করেন। প্রয়াত স্ত্রীর নামে প্রতিমা ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট প্রতিষ্ঠা করে শিক্ষা, সমাজসেবা ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে অব্যাহত পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে যাচ্ছেন তিনি।

;