ভোলা নর্থ- ২ কূপে দৈনিক ২০ মিলিয়ন গ্যাস পাওয়া যাবে
ভোলা নর্থ- ২ উন্নয়ন কূপে গ্যাসের সন্ধান পাওয়া গেছে। কূপটিতে দৈনিক ২০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উৎপাদনের বিষয়ে আশাবাদী বাপেক্স।
গত ডিসেম্বরে কুপটির খনন কার্যক্রম শুরু হয়। ৩ হাজার ৪শ' ২৮ মিটার গভীরতায় খনন করা হয়। এরপর সফলভাবে ডিএসটি সম্পন্ন করা হয়েছে। ডিএসটি সম্পন্নের সময়ে ২০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পাওয়ার বিষয়ে ধারণা করছে বাপেক্স।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান বাপেক্সকে ধন্যবাদ দিয়ে বলেন, গ্যাস অনুসন্ধান কার্যক্রম পরিকল্পনা অনুসারে চালাতে হবে। ২০২২-২৫ সময়কালের মধ্যে পেট্রোবাংলা ৪৬টি অনুসন্ধান, উন্নয়ন ও ওয়ার্কওভার কূপ খননের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।
অফসোর ও অনসোরে গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলন কার্যক্রম আরও বাড়ানোর নির্দেশ দিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করছে। দেশীয় জ্বালানির উৎস অনুসন্ধান কার্যক্রম বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে কাতার, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ব্রুনাইসহ গ্যাস ও তেল উৎপাদনকারী দেশসমূহের সাথে দীর্ঘমেয়াদি ও স্বল্প মেয়াদি চুক্তির প্রচেষ্টাও অব্যাহত রয়েছে।
এখন পর্যন্ত সিলেট অঞ্চলে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ গ্যাসের রিজার্ভ পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে সিলেট অঞ্চলের পরে ভোলায় বড় গ্যাসের রিজার্ভ রয়েছে। যেখানে কূপ খনন করা হচ্ছে তাতেই গ্যাসের সন্ধান মিলছে। ধারণা করা হচ্ছে এই গ্যাসের স্তর সাগর এবং বিচ্ছিন্ন দ্বীপ পর্যন্ত প্রায় ২ হাজার বর্গকিলোমিটার এলাকাজুড়ে বিস্তৃত। সেখানে উদ্বৃত গ্যাস পড়ে থাকলেও পাইপ লাইনের অভাবে মূল ভূখণ্ডে আনা যাচ্ছে না। সেখান থেকে সিএনজি আকারে গ্যাস আনার বিষয়ে চেষ্টা চলছে
বাংলাদেশের তেল-গ্যাস অনুসন্ধান এখনও তিমিরেই রয়ে গেছে মনে করে সংশ্লিষ্টরা। ১০টি কূপ খনন করে একটি গ্যাসক্ষেত্র আবিস্কারকে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড বিবেচনা করা হয়। সেখানে বাংলাদেশে তিনটি কূপ খনন করে ১টি গ্যাস ফিল্ড আবিষ্কার করতে সক্ষম হয়েছে। বাংলাদেশ সীমানায় প্রথম কূপ খনন করা হয় ১৯১০ সালে । বর্তমান সময় পর্যন্ত (১১০ বছরে) ৯৫টি কূপ খননের মাধ্যমে ২৮টি গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কার হয়েছে। স্বাধীনতার ৫০ বছরে ৪২টি কূপের মধ্যে বর্তমান সরকারের ১৩ বছরে ২১টি কূপ খনন কাজ সম্পন্ন হয়েছে। অনুসন্ধ্যান কার্যক্রমের ধারাবাহিকতা রক্ষা হলে আজকে এই অবস্থার মুখোমুখি পড়তে হতো না।