সর্বোচ্চ ক্রেতাসুবিধা দিয়ে দেশের শীর্ষ সেলস নেটওয়ার্ক হওয়ার প্রত্যয় ওয়ালটন প্লাজার



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ওয়ালটন প্লাজার ‘চ্যালেঞ্জারস সামিট-২০২৩’ অনুষ্ঠানের অতিথিদের সঙ্গে পুরস্কৃত কর্মকর্তাদের একাংশ।

ওয়ালটন প্লাজার ‘চ্যালেঞ্জারস সামিট-২০২৩’ অনুষ্ঠানের অতিথিদের সঙ্গে পুরস্কৃত কর্মকর্তাদের একাংশ।

  • Font increase
  • Font Decrease

ক্রেতাই ওয়ালটন প্লাজার শক্তি। তাদের আস্থায়ই ওয়ালটন আজ দেশের সর্বাধিক জনপ্রিয় ও বিশ্বস্ত ব্র্যান্ড। ওয়ালটন প্লাজা সবসময় সর্বোচ্চ ক্রেতাসুবিধা নিশ্চিত করে আসছে। যার ফলে ২০২২ সালে ওয়ালটন প্লাজার মুনাফা ৯৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রবৃদ্ধির এই ধারা বজায় রেখে অচিরেই দেশের শীর্ষ সেলস নেটওয়ার্ক হবে ওয়ালটন প্লাজা। সেজন্য প্রতিষ্ঠানটি ওয়ানস্টপ সলিউশন চালু এবং কিস্তি ক্রেতা সুরক্ষা সহায়তা নীতিসহ নানান অভিনব উদ্যোগ নিয়েছে।

ওয়ালটন প্লাজা আয়োজিত ‘চ্যালেঞ্জারস সামিট-২০২৩’ অনুষ্ঠানে এমন প্রত্যয় ব্যক্ত করা হয়। বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি, ২০২৩) গাজীপুরের চন্দ্রায় ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি.’র হেডকোয়ার্টার্সে দিনব্যাপী এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ‘আমরা সেরা ছিলাম, আমরা সেরা আছি, আমরা সেরা থাকবো’ স্লোগানে সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন দেড় সহ¯্রাধিক প্লাজা ম্যানেজার ও সহকারী ম্যানেজারসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ। সম্মেলনে ইলেকট্রনিক্স ও প্রযুক্তিপণ্য ব্যবসায় সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়। সেলস এক্সিকিউটিভদের প্রয়োজনীয় দিক-নির্দেশনা দেন ওয়ালটন কর্তৃপক্ষ।

ওয়ালটন প্লাজার ম্যানেজিং পার্টনার এস এম মাহবুবুল আলমের সভাপতিত্বে ‘চ্যালেঞ্জার’স সামিট ২০২৩’ এর প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি.’র চেয়ারম্যান এস এম নূরুল আলম রেজভী, বিশেষ অতিথি ছিলেন ভাইস-চেয়ারম্যান এস এম শামছুল আলম, পরিচালক এস এম মঞ্জুরুল আলম, জাকিয়া সুলতানা ও নিশাত তাসনিম শুচি, ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও সিইও গোলাম মুর্শেদ এবং ওয়ালটন প্লাজার চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার (সিইও) মোহাম্মদ রায়হান।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন আর.বি. গ্রুপের সিইও শোয়েব হোসেন নোবেল, ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর প্রকৌশলী মো. লিয়াকত আলী, ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর নজরুল ইসলাম সরকার, ইভা রিজওয়ানা নিলু, মো. হুমায়ুন কবীর ও মো. আলমগীর আলম সরকার, ওয়ালটনের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর কর্নেল (অব.) এস এম শাহাদাত আলম, মো. ইউসুফ আলী, মো. ফিরোজ আলম, সোহেল রানা, মো. ইয়াসির আল-ইমরান, এস এম জাহিদ হাসান, এফ এম ইকবাল বিন আনোয়ার, ড. মো. সাখাওয়াৎ হোসেন, আরিফুল আম্বিয়া, মো. তোফায়েল আহমেদ, এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর স্বনামধন্য অভিনেতা আজিজুল হাকিম, জিনাত হাকিম, মফিজুর রহমান জাকির, মোহাম্মদ শাহজাদা সেলিম, ইয়াসিন আলী, মোহসিন মোল্লাসহ ঊর্ধতন কর্মকর্তাগণ।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা ও পরিচালনা করেন ওয়ালটনের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর চিত্রনায়ক আমিন খান।

চ্যালেঞ্জারস সামিটে ওয়ালটন প্লাজার ম্যানেজিং পার্টনার এস এম মাহবুবুল আলম বলেন, যারা প্রতিকূল প্রতিস্থিতি মোকাবেলা করে নতুন কিছু সৃষ্টি করেন, তারাই হলেন চ্যালেঞ্জার। ওয়ালটন প্লাজার প্রতিটি সদস্য এক একজন চ্যালেঞ্জার। আর চ্যালেঞ্জারদের শক্তি দেশের অগণিত ক্রেতারা। ক্রেতাদের কারণে ওয়ালটন আজ দেশ ছাড়িয়ে পুরো বিশ্বে অন্যতম শীর্ষ ব্র্যান্ড হওয়ার পথে এগিয়ে যাচ্ছে। তাই তাদের জন্য সর্বোচ্চ সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে।

সে সময় তিনি ওয়ালটন প্লাজাকে ‘ক্রেতা তুমি আপনজন, ঘোর বিপদেও আমরা সাথী সারাক্ষণ’ শীর্ষক নতুন একটি স্লোগান দেন।

এস এম মঞ্জুরুল আলম বলেন, ইলেকট্রনিক্স ও প্রযুক্তিপণ্যের বাজার পরিবর্তনশীল। মার্কেট কি ধরনের পরিবর্তন চায়, আমাদের সেলস এক্সিউিটিভরা হলেন তার বার্তাবাহক। তারা যদি সঠিক মেসেজ দেন, তবে আমরা সময়োপযোগী সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়ে এগিয়ে যেতে পারবো।

গোলাম মুর্শেদ বলেন, দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ইলেকট্রনিক্স ও প্রযুক্তি খাতে আমাদের অনেক সংগ্রাম করতে হয়েছে। কিন্তু ওয়ালটন প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর বাংলাদেশের চিত্র পাল্টে গেছে। এখন প্রায় প্রত্যেক পরিবারেই ফ্রিজ-টিভির মতো ইলেকট্রনিক্স ও প্রযুক্তিপণ্য আছে। ক্রেতারা সবসময় আমাদের পাশে ছিলেন। এর সঙ্গে আমাদের চৌকষ সেলস টিমসহ সকল বিভাগের সদস্যদের নিরলস শ্রমে ওয়ালটন আজ শীর্ষ ব্র্যান্ডে পরিণত হয়েছে। এখন আমাদের লক্ষ্য বিশ্বজয়ের। সে লক্ষ্য বাস্তবায়নে চ্যালেঞ্জটা অনেক বড়, যা আমাদের মোকাবেলা করতে হবে।

মোহাম্মদ রায়হান বলেন, ওয়ালটন প্লাজার সেলস ফাইটারগণ হচ্ছে বিশে^র সেরা। ওয়ালটন পণ্য বিশ্বের শ্রেষ্ঠ পণ্য। এমন শক্তিশালী সেলস বাহিনী এবং শ্রেষ্ঠ পণ্য থাকতে বিদেশি কোনো ব্র্যান্ড কিংবা পণ্য বাংলাদেশের বাজারে কখনোই সুবিধা করতে পারবে না। দেশের বাজারে সবসময় আমরাই শীর্ষে থাকবো।

তিনি আরো বলেন, বিশ্বে একমাত্র ওয়ালটন প্লাজাই কিস্তি ক্রেতা সুরক্ষা সহায়তা সুবিধা চালু করেছে। আমরা প্রতিটি ঘরে ওয়ানস্টপ সার্ভিস পৌঁছে দিচ্ছি। ২০২২ সালে ১২ লাখ ৫০ হাজার ক্রেতা আমাদের কাস্টোমার ব্যাংকে যুক্ত হয়েছেন। চলতি বছর আরো ১৮ লাখ কাস্টমার আমাদের ব্যাংকে যুক্ত হবে। ২০২৫ সালের মধ্যে প্রতিটি বাড়ি ওয়ালটন প্লাজার কাস্টোমার ব্যাংকের আওতায় আসবে। ওয়ালটন প্লাজা হবে দেশের শীর্ষ সেলস নেটওয়ার্ক।

সম্মেলনে বিভিন্ন অঞ্চলের ওয়ালটন প্লাজা শাখার সেরা ম্যানেজার ও এরিয়া ম্যানেজাদের পুরস্কৃত করা হয়। সবশেষে ছিলো মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

গঙ্গা-কপোতাক্ষ সেচ প্রকল্পের আধুনিকায়নে ২৫০০ কোটি টাকা ব্যয়ের প্রস্তাব



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
গঙ্গা-কপোতাক্ষ সেচ প্রকল্পের আধুনিকায়নে ২৫০০ কোটি টাকা ব্যয়ের প্রস্তাব

গঙ্গা-কপোতাক্ষ সেচ প্রকল্পের আধুনিকায়নে ২৫০০ কোটি টাকা ব্যয়ের প্রস্তাব

  • Font increase
  • Font Decrease

পাম্প অচল হয়ে যাওয়ার পাশাপাশি খালের ডাইক নষ্ট হয়ে যাওয়া ও পলি জমে পানি প্রবাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ১.৪২ লাখ হেক্টর জমি চাষের আওতায় আনার লক্ষ্যে বাস্তবায়ন করা গঙ্গা-কপোতাক্ষ সেচ প্রকল্পের আওতায় সেচযোগ্য জমির পরিমাণ নেমে এসেছে ৯৫.৬২ হাজার হেক্টরে।

ক্রমেই সক্ষমতা কমতে থাকা দেশে এক সময়ের সর্ববৃহৎ এই সেচ প্রকল্পের আওতায় ২০২০-২১ অর্থবছরে ৫১.৫৫ হাজার হেক্টর জমিতে চাষ দেওয়া হয়েছে, যা এর পরের দুই অর্থবছরে ছিল ৪০ হাজার হেক্টরের মতো।

চলমান সমস্যার সমাধান করে খুলনা জেলার সেচ ব্যবস্থাপনায় প্রাণ ফেরাতে প্রায় ২৫০০ কোটি টাকা ব্যয় ধরে পরিকল্পনা কমিশনে “গঙ্গা-কপোতাক্ষ সেচ প্রকল্পের পুনর্বাসন” শীর্ষক একটি প্রকল্পের প্রস্তাব পরিকল্পনা কমিশনে পাঠিয়েছে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়।

সম্প্রতি পরিকল্পনা কমিশনের কৃষি, পানিসম্পদ ও পল্লী প্রতিষ্ঠান বিভাগের আয়োজনে অনুষ্ঠিত প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভায় বেশ কিছু পরামর্শ দিয়ে প্রস্তাবটি পুনর্গঠন করার সুপারিশ করা হয়েছে।

সুপারিশের আলোকে পুনর্গঠন করা উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব (ডিপিপি) পরিকল্পনা কমিশনে আসলে চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য তা জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটিতে (একনেক) উপস্থাপন করা হবে। অনুমোদন পেলে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (বাপউবো)।

পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, খুলনা বিভাগের চার জেলা কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, মাগুরা ও ঝিনাইদহের ১৩টি উপজেলাকে সেচের আওতায় এনে কৃষি উৎপাদন বাড়ানোর লক্ষ্যে ১৯৫৪ সালে হাতে নেওয়া হয় জিকে সেচ প্রকল্প।

১৯৫৫-৫৬ সালে শুরু হয়ে জিকে প্রকল্পের প্রথম পর্যায় শেষ হয় ১৯৬৯-৭০ সালে। পরবর্তীতে দ্বিতীয় পর্যায়ে প্রকল্পটি সম্প্রসারণ করা হলে এর আওতায় আসে প্রধান তিনটি খাল, ৪৯টি শাখা খাল ও ৪৪৪টি উপশাখা খাল।

প্রস্তাবে বলা হয়েছে, প্রকল্পের আওতায় তিনটি প্রধান পাম্পের দুটিই বর্তমানে অচল অবস্থায় রয়েছে। নিয়মিত মেরামত কাজের মাধ্যমে অন্য একটি পাম্প সচল রাখা হয়েছে। তা ছাড়া সময়ের সঙ্গে এই সেচ প্রকল্পে বিভিন্ন ধরনের সীমাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে।

এতে আরও বলা হয়েছে, শুষ্ক মৌসুমে প্রধান খালগুলোর পানি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৪ মিটার নিচে চলে গেলে প্রধান পাম্প কাজ না করায় সাবসিডিয়ারি পাম্প ব্যবহার করা হয়।

তবে ২০০৪-০৫ সালে নষ্ট হয়ে যাওয়া সাবসিডিয়ারি পাম্পগুলো মেরামতের অযোগ্য হয়ে যাওয়ায় পানির স্তর নিচে গেলে সেচ কাজ বন্ধ হয়ে যায়।

নতুন প্রকল্পটির যৌক্তিকতা তুলে ধরতে বলা হয়েছে, সেচ প্রকল্পের ৪৯টি শাখা খালের মধ্যে ২০টির ডাইক সম্পূর্ণ নষ্ট হওয়ায় সেগুলো দিয়ে সেচ দেওয়া যাচ্ছে না। বাকি ২৯টির ডাইক আংশিক নষ্ট।

অন্যদিকে ৪৪৪টি উপশাখা খালের মধ্যে ২০৮টিই পলি মাটিতে ভরাট হয়ে গেছে। ফলে উপশাখা খালগুলো দিয়েও কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় সেচ দেওয়া যাচ্ছে না।

সব মিলিয়ে জিকে সেচ প্রকল্পের বর্তমান সেচযোগ্য এলাকা কমে দাঁড়িয়েছে ৯৫ হাজার ৬১৬ হেক্টরে।

প্রকল্পের প্রধান কাজের মধ্যে রয়েছে কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলার জিকে সাবসিডিয়ারি পাম্প হাউজ নির্মাণের পাশাপাশি পাম্প হাউজের উৎস মুখ থেকে প্রধান সংযোগ খাল পুনর্খনন।

ভেড়ামারা উপজেলার প্রধান সড়ক থেকে সাবসিডিয়ারি পাম্প হাউজ পর্যন্ত সংযোগ সড়ক নির্মাণের কাজও করা হবে প্রকল্পটির আওতায়।

জিকে সেচ প্রকল্পের প্রধান খালগুলোর পুনরাকৃতিকরণ, সেকেন্ডারি ও টারশিয়ারি সেচ খাল খনন এবং পানি নিস্কাশন খালও পুনর্খনন করা হবে।

সবগুলো খাল পুনর্খনন করা হলে সেচযোগ্য এলাকা আগের পরিমাণে ফিরিয়ে নেওয়া সম্ভব হবে বলে প্রকল্পের প্রস্তাবে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়েছে।।

সম্প্রতি অনুষ্ঠিত পিইসি সভায় সভাপতিত্ব করেন পরিকল্পনা কমিশনের কৃষি, পানি সম্পদ ও পল্লী প্রতিষ্ঠান বিভাগের সদস্য (সচিব) আবদুল বাকী। জানতে চাইলে তিনি বলেন, জিকে সেচ প্রকল্পটি ওই অঞ্চলের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হলেও খাল ভরাট হওয়া, পাম্প নষ্ট হওয়ার মতো বিভিন্ন কারণে প্রকল্পটি আগের মতো কার্যকর নেই। নতুন করে খাল খননসহ অন্যান্য কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা গেলে আবার জিকে সেচ প্রকল্পটি সবার কাজে লাগবে।

তিনি জানান, পিইসি সভায় বেশকিছু সুপারিশ দিয়ে প্রস্তাবটি ফেরত পাঠানো হয়েছে। এ সব সুপারিশ প্রতিপালনের মাধ্যমে প্রস্তাবটি পুনর্গঠন করে পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হলে একনেকে উপস্থাপনে করা হতে পারে বলেও তিনি জানিয়েছেন।

;

সাড়ে ২৫ হাজার কোটি টাকা ধার দিলো বাংলাদেশ ব্যাংক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম,ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

টানা পাঁচ দিন ব্যাংক বন্ধ, এটিএম বুথে টাকার স্বল্পতা ও ইন্টারনেট বন্ধ থাকার কারণে নগদ টাকার চাহিদা বেড়ে গেছে। ফলে বুধবার (২৪ জুলাই) ব্যাংক খোলার প্রথম দিনেই ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকা ধার দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এরমধ্যে শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকগুলো নিয়েছে প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা, বাকি টাকা নিয়েছে অন্য ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো।

বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

ব্যাংকের ট্রেজারি বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, ধার নেওয়া এই অর্থ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে থাকা হিসাবে ঘাটতি ও নগদ জমায় (সিআরআর) ঘাটতি হিসেবে ব্যবহার করে অনেক ব্যাংক। আবার অনেক ব্যাংক নগদ টাকা নিয়ে গ্রাহকের চাহিদা মেটায়। সাম্প্রতিক সময়ে নগদ টাকার চাহিদা বেশ বেড়ে গেছে। ব্যাংক শাখার পাশাপাশি এটিএমগুলোতেও নগদ টাকার চাহিদা বেড়েছে।

গত বৃহস্পতিবারের ব্যাংকিং কার্যক্রমের পর পাঁচ দিনের ছুটি শেষে গত বুধবার ব্যাংকগুলো খুলেছে। শুক্র-শনিবারের সাপ্তাহিক ছুটির পর রোববার থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত টানা তিন দিন সাধারণ ছুটি ছিল। কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে শুরু হওয়া বিক্ষোভ সহিংস হওয়ার পর সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছে, বুধবার (২৪ জুলাই) বাণিজ্যিক ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক রেপো, অ্যাসিউরড রেপো, অ্যাসিউরড লিকুইডিটি সাপোর্ট (এএলএস) ও শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকগুলোর জন্য ইসলামিক ব্যাংকস লিকুইডিটি ফ্যাসিলিটির (আইবিএলএফ) নিলাম অনুষ্ঠিত হয়। এই নিলামে ৭ দিন মেয়াদী রেপো সুবিধার আওতায় ১৪টি ব্যাংক ও দুইটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে ৫ হাজার ৭ কোটি টাকা, ১৪ দিন মেয়াদী রেপো সুবিধার আওতায় ৯টি ব্যাংককে ২ হাজার ৩৭০ কোটি টাকা, ২৮ দিন মেয়াদী রেপো সুবিধার আওতায় ১২টি ব্যাংক ও দুইটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে ৭ হাজার ১৯৭ কোটি টাকা দেয়া হয়।

এছাড়া, বুধবার ১৮০ দিন মেয়াদী অ্যাসিউরড রেপোর আওতায় তিনটি ব্যাংককে ৫ হাজার ৬৯১ কোটি টাকা এবং ১ দিন মেয়াদী অ্যাসিউরড লিকুইডিটি সাপোর্টের আওতায় ১১টি প্রাইমারি ডিলার ব্যাংককে ৩ হাজার ৭৭৪ কোটি টাকা দেয়া হয়। পাশাপাশি ১৪ দিন মেয়াদী ইসলামিক ব্যাংকস লিকুইডিটি ফ্যাসিলিটির আওতায় একটি ব্যাংককে ৪৯৭ কোটি টাকা ও ২৮ দিন মেয়াদে পাঁচটি ইসলামী ধারার ব্যাংককে ৯৮৪ কোটি টাকা দেয়া হয়। সব মিলিয়ে বুধবার ২৫ হাজার ৫২১ কোটি টাকা ধার দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, সাতদিন মেয়াদে টাকা ধারের সুদহার ৮ দশমিক ৬০ শতাংশ, ১৪ দিন মেয়াদে সুদহার ৮ দশমিক ৭০ শতাংশ ও ২৮ দিন মেয়াদী টাকা ধারের সুদহার ৮ দশমিক ৭৫ শতাংশ ধরা হয়েছে। এ ছাড়া, অ্যাসিউরড রেপো ও অ্যাসিউরড লিকুইডিটির সুদহার সাড়ে ৮ শতাংশ ধরা হয়েছে।

এছাড়া ইসলামী ধারার ব্যাংকের মুনাফার হার সাড়ে ৫ শতাংশ ধরা হয়েছে। ২৮ দিন মেয়াদী ইসলামী ধারার ব্যাংকের জন্য মুনাফার হার ৩ দশমিক ২৫ শতাংশ থেকে সাড়ে ৬ শতাংশ পর্যন্ত ধরা হয়েছে।

;

আন্দোলনের পর গ্যাস সংকটে ব্যাহত শিল্প উৎপাদন



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: গ্যাস কূপ

ছবি: গ্যাস কূপ

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানী ঢাকা ও পাশ্ববর্তী এলাকায় গ্যাস সংকট আবারও বেড়ে গেছে। যেখানে ১৫ পিএসআই (প্রতি বর্গ ইঞ্চি) চাপ পাওয়ার কথা সেখানে পাওয়া গেছে আড়াই থেকে ৪ পিএসআই।

জেনারেটর চালাতে গেলে কমপক্ষে ৬ পিএসআই চাপ প্রয়োজন। সেই চাপ না থাকায় অনেক বিড়ম্বনায় শিকার হন শিল্পো উদ্যোক্তারা। কোটা বিরোধী আন্দোলনের কারণে বন্ধ থাকা শিল্প কারখানা খুললেও স্বস্তি পাচ্ছেন না। অনেক এলাকায় গ্যাসের চরম সংকটের খবর পাওয়া গেছে। সিএনজি ফিলিং স্টেশনগুলোতে যানবাহনের দীর্ঘ সারি দেখা গেছে। তবে ঢাকার তুলনায় বন্দরনগরী চট্টগ্রামে গ্যাস সরবরাহ কিছুটা ভালো থাকার খবর পাওয়া গেছে।

নারায়ণগঞ্জ শিল্প এলাকায় অবস্থিত একটি শিল্প কারখানার জেনারেল ম্যানেজার নাম প্রকাশ না করাল শর্তে বার্তা২৪.কমকে বলেছেন, জেনারেটর চালাতে গেলে কমপক্ষে ৬ পিএসআই (প্রতি বর্গ ইঞ্চি) চাপ প্রয়োজন হয়। বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত সাড়ে ৩ থেকে ৪ পিএসআই চাপ পাওয়া গেছে। বিকেলের পর সর্বোচ্চ সাড়ে ৪ পিএসআই চাপ পাওয়া গেছে।

বাংলাদেশ সিএনজি ফিলিং স্টেশন এন্ড কনভার্সন ওয়ার্কশপ ওনার্স এসোসিয়েশনের মহাসচিব ফারহান নূর বার্তা২৪.কমকে বলেছেন, শিল্পাঞ্চল আশুলিয়া, গাজীপুর এলাকায় ৪ থেকে ৫ পিএসআই চাপ পাওয়া গেছে। রাজধানী ঢাকার সিএনজি ফিলিং স্টেশনগুলোতে ৩ থেকে ৪ পিএসআই চাপ পাওয়া গেছে। আমাদের সিএনজি ফিলিং স্টেশনগুলোতে ১৫ পিএসআই চাপ পাওয়ার কথা। চাপ কম থাকায় যানবাহনে গ্যাস দিতে সময় লাগছে বেশি এতে করে বিদ্যুৎ খরচ বেড়ে যাচ্ছে।

এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ৩ থেকে ৪ পিএসআই চাপ থাকলে সিলিন্ডারে এক-তৃতীয়াংশের বেশি লোড হওয়ার কথা না। তবে যদি একটু সময় নিয়ে সিএনজি দেওয়া হয় তাহলে কিছুটা বেশি পাওয়ার কথা।

একদিকে দেশীয় গ্যাস ফিল্ডগুলোর উৎপাদন কমে আসছে, অন্যদিকে আমদানিকৃত গ্যাসের পরিমাণ অর্ধেকে নেমে এসেছে। এক সময় দেশীয় গ্যাস ফিল্ডগুলো থেকে দৈনিক ২৮০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ পাওয়া যেতে। মজুদ কমে যাওয়ায় উৎপাদন কমে যাচ্ছে। উৎপাদন কমতে কমতে ২০০০ মিলিয়ন ঘনফুটে নেমে এসেছে। সংকট সামাল দিতে বিদেশ ১০০০ মিলিয়ন ঘনফুট (এলএনজি আকারে) গ্যাস আমদানি করা হচ্ছে।

দুটি ভাসমান এলএনজি টার্মিনালের মাধ্যমে দৈনিক ১০০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস আমদানি করা হয়। ঘুর্নিঝড় রিমালে সামিট গ্রুপের ভাসমান এলএনজি টার্মিনালের পাইপ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ওই ঘটনার পর থেকেই এফএসআরইউটি (ফ্লোটিং স্টোরেজ রিগ্যাসিফিকেশন ইউনিট) থেকে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। গ্যাস সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সারাদেশেই তার প্রভাব পড়েছে। ১৫ জুলাই নাগাদ চালু হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু মেরামত না হওয়ায় এখনও সার্ভিসের বাইরে রয়েছে ভাসমান এলএনজি টার্মিনালটি।

বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বার্তা২৪.কমকে বলেছেন, সামিটের ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল ৩০ জুলাইয়ের দিকে আসতে পারে। ভাসমান এলএনজি টার্মিনালে অনেক ঝুঁকি। সমাধান হচ্ছে ল্যান্ডবেজড এলএনজি টার্মিনাল। আমাদের সেদিকে যেতে হবে।

তিনি আরও বলেন, জ্বালানি আমদানির উপর নির্ভরশীল হতে চাই না, তবে সবপথ খোলা রাখতে চাই। এজন্য এলএনজি আমদানির পাশাপাশি দেশীয় তেল-গ্যাস অনুসন্ধানের জোর দেওয়া হচ্ছে। ৪৬টি কূপ খননের উদ্যোগ নিয়েছি এতে সাড়ে ৬শ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উৎপাদন বাড়বে, আবার একই সময়ে কিছু কূপের উৎপাদন কমে যাবে। আরও ১০০ কূপ খননের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আগে লক্ষ্য ছিল শতভাগ বিদ্যুতায়ন, আমরা সফল হয়েছি। এখন লক্ষ্য হচ্ছে সাশ্রয়ী মূল্যে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করা। এটা করতে হলে জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে।

মজুদ বিবেচনায় সবচেয়ে বড় গ্যাস ফিল্ড বিবিয়ানার উৎপাদন প্রতিনিয়ত কমে যাচ্ছে। ২০২০ সালে ১৫ নভেম্বর গ্যাস উত্তোলন করা হয় ১৩৩৪.৯ মিলিয়ন ঘনফুট। পরের বছর ২০২১ সালের ১৫ নভেম্বর উৎপাদন নেমে আসে ১২৪৬.৮ মিলিয়নে। আর বর্তমানে ১০০০ মিলিয়ন ঘনফুটের আশপাশে রয়েছে। দেশীয় গ্যাস ফিল্ডের উৎপাদন হ্রাসের জন্য অনুসন্ধানে স্থবিরতাকে দায়ী করে আসছেন জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা।

;

ইন্টারনেট বন্ধ থাকায়

বেনাপোলে ৬ দিনে ব্যবসায়ীদের ক্ষতি শত কোটি টাকা



সিনিয়র করেসপন্ডডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বেনাপোল (যশোর)
ছবি: বার্তা২৪, বেনাপোল বন্দরের কার্যক্রম৬ দিন বন্ধে ক্ষতি শত কোটি টাকা

ছবি: বার্তা২৪, বেনাপোল বন্দরের কার্যক্রম৬ দিন বন্ধে ক্ষতি শত কোটি টাকা

  • Font increase
  • Font Decrease

শিক্ষার্থীদের কোটা আন্দোলনের সময় দুর্বৃত্তদের নাশকতার কারণে বেনাপোল বন্দরের সঙ্গে ভারতের বাণিজ্য বন্ধ হয়ে যায়। এসময় পণ্যবাহী ট্রাক আটকে থেকে এবং শিল্প-কলকারখানায় উৎপাদন ব্যাহত হওয়ায় ব্যবসায়ীদের প্রায় শত কোটির টাকার মতো অর্থনৈতিক ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে।

এছাড়া পণ্য খালাস বন্ধ থাকায় সরকার ১শ ৫০ কোটি টাকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হয়েছে।

বুধবার (২৪ জুলাই) সকাল থেকে সীমিত পরিসরে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা ফের চালু হওয়ায় বেনাপোল বন্দরের সঙ্গে ভারতের আমদানি, রফতানি বাণিজ্য ও বন্দর থেকে পণ্য খালাস কার্যক্রম কিছুটা শুরু হয়। এরপর বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) থেকে বাণিজ্য কার্যক্রম অনেকটা স্বাভাবিক হয়েছে।

এর আগে কোটা সংস্কার নিয়ে ছাত্র আন্দোলনের সময় দুর্বৃত্তরা ডাটা সেন্টারে আগুন দেওয়ায় বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) থেকে সারাদেশে বিচ্ছিন্ন ছিল ইন্টারনেট পরিষেবা।

এদিকে, আমদানি-রফতানি বন্ধ থাকায় ভারত-বাংলাদেশের সীমান্তের দুইদিকে প্রায় ৩ হাজার ট্রাক পণ্য নিয়ে আটকা পড়েছিল। ইন্টারনেট সেবা চালু হওয়ায় এসব ট্রাক ঢুকতে শুরু করেছে বেনাপোল স্থলবন্দরে।

ভারত থেকে পণ্য নিয়ে আসা ট্রাকচালক অমিত জানান, ইন্টারনেট চালু হওয়াতে তারা বেনাপোল বন্দরে পণ্য নিয়ে প্রবেশ করতে পারছেন। গত ৬ দিন পেট্রাপোল বন্দরে আড়াই হাজারের বেশি ট্রাক প্রবেশের অপেক্ষায় দাঁড়িয়েছিল বলে জানান তিনি।

সিঅ্যান্ডএফ ব্যবসায়ী ইদ্রিস আলী জানান, সীমিত পরিসরে ইন্টারনেট সচল হওয়ায় আটকে থাকা পণ্য বন্দর থেকে খালাস শুরু হয়েছে। তবে কাজে খুব ধীরগতি। ইন্টারনেট স্বাভাবিক না হলে বাণিজ্য পুরোদমে চালানোর সুযোগ নেই।

আমদানিকারক সাহেব আলী জানান, গত চারদিনে ব্যবসায়ীরা বড় ধরনের অর্থনৈতিক ক্ষতির শিকার হয়েছেন। জরুরি কাঁচামাল সরবরাহ বন্ধ থাকায় শিল্প-কলকারখানায় উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে। বেকার হয়ে পড়েন শ্রমিকেরা। অনেকের ধারণা, এসবের ক্ষতি ১শ কোটি টাকার কাছাকাছি হবে।

বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক সুলতান মাহামুদ বিপুল জানান, প্রতিদিন বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে ৬শ ট্রাক বিভিন্ন ধরনের পণ্য আমদানি ও ২শ ট্রাক পণ্য ভারতে রফতানি হয়ে থাকে।

আমদানি পণ্য থেকে দিনে সরকারের রাজস্ব আসে ৩০ কোটি টাকার মতো। গত ৬ দিন আমদানি বন্ধে প্রায় ১শ ৫০ কোটি টাকা রাজস্ব আয় কমেছে। এছাড়া আমদানি বাধাগ্রস্ত হয়েছে, ৬০ হাজার মেট্রিক টনের মতো।

বড় ক্ষতির মুখে পড়ে রফতানি বাণিজ্যও। করোনার ক্ষতি না কাটতেই আবার বাণিজ্যে এই ক্ষতি আগামী বছর রাজস্ব আয় ও আমদানি বাণিজ্যে ঘাটতি দেখা দিতে পারে।

বেনাপোল বন্দর পরিচালক রেজাউল করিম জানিয়েছেন, ইন্টারনেট বন্ধ থাকায় সার্ভার বিকল ছিল চারদিন। এতে বন্দরের স্বাভাবিক বাণিজ্য স্থবির হয়ে পড়ে।

বুধবার (২৪ জুলাই) থেকে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট চালু হওয়ায় তারা কিছুটা বাণিজ্যিক কাজ সম্পাদন করতে পারছেন। ব্যবসায়ীরা যাতে দ্রুত পণ্য খালাস নিতে পারেন, সেজন্য সব ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে।

;