জ্বালানি গবেষণায় অর্থ দেবে বিইআরসি, শিগগিরই বিজ্ঞপ্তি

  • স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ নিয়ে গবেষণায় অর্থায়ন করবে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। আগ্রহী গবেষক ও প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে খুব শিগগিরই প্রাথমিক প্রস্তাবনা আহ্বান করা হবে বলে জানিয়েছেন বিইআরসির সচিব ব্যারিস্টার মোঃ খলিলুর রহমান।

তিনি বার্তা২৪.কমকে বলেছেন, আগ্রহীদের প্রাথমিক ধারণাপত্র জমা দেওয়া জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে। প্রস্তাবনা পেলে যাচাই-বাছাই শেষে অর্থায়ন নিশ্চিত করা হবে। যাচাই-বাছাইয়ের জন্য বোর্ড রয়েছে তারা মনোনয়ন দেবেন। চুড়ান্ত করবে বিইআরসি।

বিজ্ঞাপন

অর্থায়নের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ অথবা সর্বনিম্ন কোন সীমা রয়েছে কিনা। এমন প্রশ্নের জবাবে ব্যারিস্টার মোঃ খলিলুর রহমান বলেন, অর্থের পরিমাণ সংক্রান্ত কোন সীমাবদ্ধতা নেই। এখানে প্রস্তাবনা এবং মূল্যায়ন কমিটির উপর নির্ভর করবে অর্থের পরিমাণ। আমরা চেষ্টা করবো কার্যকর কিছু করতে। সেখানে উপযুক্ততা বিবেচনা করে পরিমাণ নির্ধারণ করা হবে।

বিইআরসি গত বছর জুনের ৪ তারিখে গ্যাসের দাম বৃদ্ধির আদেশে ”বিইআরসি গবেষণা তহবিল” গঠন করে। দেশীয় গ্যাস অনুসন্ধান, উত্তোলন, উন্নয়ন ও সংস্কার কাজে অর্থ বিনিয়োগের জন্য ২০০৯ সালের ৩০ জুলাই গঠন করা হয় ‘গ্যাস উন্নয়ন তহবিল’। গ্রাহকের কাছ থেকে প্রতি ঘনমিটারে ৪৬ পয়সা করে করে কেটে নিয়ে এই তহবিলের অর্থ সংগ্রহ করা হয়। কম মূল্যে ভোক্তাদের কাছে গ্যাস সরবরাহ করাই ছিল এই তহবিলের মূল উদ্দেশ্য। গ্যাস উন্নয়ন তহবিল থেকে প্রতি ঘনমিটারে ৩ পয়সা হারে কেটে বিইআরসি গবেষণা তহবিল গঠন করা হয়েছে। গ্যাস উন্নয়ন তহবিল থেকে ৩ পয়সা হারে আদায় করলে বছরে প্রায় ৯২ কোটি টাকা জমা হবে।

গত ২৭ এপ্রিল বিইআরসি গবেষণা তহবিল সংক্রান্ত গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে। গেজেটে ১৬টি ক্ষেত্রে অর্থায়নের কথা বলা হয়েছে। ক) এনার্জি ব্যবহারকারী প্রতিষ্ঠানের দক্ষতা, উহার যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জামের মান নিরূপণ, এনার্জি অডিটের মাধ্যমে নিয়মিতভাবে জ্বালানি ব্যবহারের খরচের হিসাব যাচাই, পরীক্ষণ, বিশ্লেষণ, জ্বালানি ব্যবহারের দক্ষতার মান বৃদ্ধি ও সাশ্রয় নিশ্চিতকরণ। (খ) বিদ্যুৎ উৎপাদন এবং এনার্জি সঞ্চালন, বিপণন, সরবরাহ, মজুতকরণ, বিতরণ, দক্ষ ব্যবহার, সেবার মান, ট্যারিফ নির্ধারণ ও নিরাপত্তার উন্নয়ন॥ (গ) লাইসেন্স প্রদান, বাতিল, সংশোধন, লাইসেন্সের শর্ত নির্ধারণ। (ঘ) ভোক্তা স্বার্থ সংরক্ষণ এবং কাঙ্খিতমানের সেবা ভোক্তার নিকট পৌঁছানো নিশ্চিতকরণ। (ঙ) এনার্জির পরিসংখ্যান সংগ্রহ, সংরক্ষণ, পর্যালোচনা এবং প্রচার।

(চ) গুণগতমান নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় কোডস্ ও স্ট্যান্ডার্ডস্ প্রণয়ন করা ও উহার প্রয়োগ বাধ্যতামূলক করা। (ছ) সকল লাইসেন্সীর জন্য অভিন্ন হিসাব পদ্ধতি নির্ধারণ।(জ) লাইসেন্সীদের মধ্যে পারস্পরিক প্রতিযোগিতামূলক পরিস্থিতি সৃষ্টিতে উৎসাহ প্রদান। (ঝ) লাইসেন্সীদের মধ্যে এবং লাইসেন্সী ও ভোক্তাদের মধ্যে সৃষ্ট বিরোধ মীমাংসা। (ঞ) ভোক্তা বিরোধ, অসাধু ব্যবসা বা সীমাবদ্ধ ব্যবসা সম্পর্কিত বিরোধের উপযুক্ত প্রতিকার নিশ্চিতকরণ। (ট) জলবায়ুর পরিবর্তনজনিত অভিঘাত ও এনার্জির পরিবেশ সংক্রান্ত মান নিয়ন্ত্রণ এবং জ্বালানি অনুসন্ধান ও উৎপাদনে লাগসই প্রযুক্তি এবং পদ্ধতি নির্ণয়ে গবেষণা।(ঠ) প্রাথমিক জ্বালানি অনুসন্ধান ও উৎপাদন বিষয়ে কারিগরি স্টাডি/কেস স্টাডি। (ড) দেশের জ্বালানি ব্যবস্থার সংস্কার ও আধুনিকায়ন বিষয়ক সমীক্ষা/স্টাডি। (ঢ) কমিশনের সিদ্ধান্ত গ্রহণে ভোক্তাদের/গ্রাহকদের অধিকতর অংশগ্রহণ নিশ্চিতকরণে সমীক্ষা/স্টাডি। (ণ) রেগুলেটরি ইমপ্যাক্ট অ্যাসেসমেন্ট (আরআইএ) এবং (ত) বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরী কমিশন আইন, ২০০৩ এর আওতায় নতুন বিধি/ প্রবিধানমালা প্রণয়নের বিষয়ে সমীক্ষা/স্টাডি সম্পাদন।