‘এলএনজি আমদানির পাশাপাশি দেশীয় গ্যাসের উৎপাদন বাড়ানো হচ্ছে’
আমরা শুধু এলএনজি আমদানির ওপর নির্ভর করছি না। পাশাপাশি দেশীয় গ্যাস অনুসন্ধান ও পুরনো ফিল্ডে উৎপাদন বৃদ্ধিতে জোর দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক ই-ইলাহী চৌধুরী।
সোমবার (১৯ জুন ) ঢাকার সোনারগাঁও হোটেলে ওমান ট্রেডিং লিমিটেডের সঙ্গে এলএনজি সরবরাহ চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে তিনি একথা জানান।
অনুষ্ঠানে ওমান হতে জি-টু-জি ভিত্তিতে ১০ বছর মেয়াদি দশমিক ২৫ মিলিয়ন টন থেকে ১.৫ মিলিয়ন টন এলএনজি আমদানি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। বাংলাদেশের পক্ষে পেট্রোবাংলার সচিব রুচিরা ইসলাম এবং ওমানের পক্ষে ওমান ট্রেডিং লিমিটেডের (ওকিউটি) নির্বাহী পরিচালক সাইদ আল মাওয়ালী চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
তৌফিক ই-ইলাহী চৌধুরী এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, দামের বিষয়টি প্রকাশ করতে পারবো না, এটা আমাদের বিজনেস সিক্রেট। জ্বালানি আমদানির কারণে চাপ বাড়বে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে বলেন, আমরা যদি রফতানি বাড়াই তাহলেতো সমস্যা হবে না। নিরবিচ্ছিন্ন জ্বালানি নিশ্চিত হলে রফতানি বেড়ে যাবে। বন্ধ হয়ে যাওয়া গ্যাস ফিল্ডগুলো রিজার্ভার হিসেবে ব্যবহারের বিষয়ে ভাবা হচ্ছে। যদি হয় তাহলে যখন কম দাম থাকবে সে সময়ে আমদানি করে মজুদ করা হবে।
ওমানের সঙ্গে ২০১৮ সালে প্রথম জি টু জি ভিত্তিতে ১০ বছর মেয়াদি চুক্তি করা হয়। চুক্তির আওতায় ১ থেকে ১.৫ এমটিপিএ এলএনজি আমদানির সুযোগ রয়েছে । চুক্তির আলোকে বর্তমানে বছরে ১ মিলিয়ন টন (১৬ কার্গো) এলএনজি সরবরাহ করছে। নতুন চুক্তির আওতায় ২০২৬ সালে ৪ কার্গো এলএনজি, ২০২৭ হতে ২০২৮ সাল পর্যন্ত প্রতিবছর ১৬ কার্গো এলএনজি এবং ২০২৯ হতে ২০৩৫ সাল পর্যন্ত প্রতিবছর ২৪ কার্গো এলএনজি যা কম বেশি ১.৫ এমটিপিএ এলএনজি’র সমতুল্য) সরবরাহ করবে ওকিউটি।
বর্তমানে কাতার ও ওমানের সঙ্গে বিদ্যমান দু‘টি চুক্তির আওতায় সাড়ে ৩ থেকে ৪ মিলিয়ন টন এলএনজি আমদানি করা হচ্ছে। বিদ্যমান দু‘টি এফএসআরইউ দিয়ে ৬.৫ মিলিয়ন টন এলএনজি গ্রহণের সুযোগ রয়েছে। সে হিসেবে আরও প্রায় ৩ মিলিয়ন টন এলএনজি আমদানি করার সুযোগ রয়েছে। এছাড়া মহেশখালিতে ৩য় এফএসআরইউ এবং পায়রায় চতুর্থ এফএসআরইউ স্থাপনের নীতিগত অনুমোদন করা হয়েছে।
জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব ড. মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদার বলেন, অস্থির বাজারের কারণে এলএনজির দাম ৭০ ডলার পর্যন্ত উঠেছিল। দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি সেদিক থেকে অনেক নিরাপদ। দামের বিষয়টি গোপনীয়, তবে আমি বলতে পারি বাংলাদেশ অনেক সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে। আমরা অনেক লাভবান হবো।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মাঝে বাংলাদেশে নিযুক্ত ওমানের রাষ্ট্রদূত আব্দুল গাফ্ফার আলবুলুসি, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার, ওকিউটি এর নির্বাহী পরিচালক সাইদ আল মাওয়ালী বক্তব্য রাখেন।