সৌরশক্তির কাঙ্ক্ষিত বিকাশে প্রয়োজন প্রযুক্তি বিনিময়: বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী

  • স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ

বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, বাংলাদেশে কাঙ্ক্ষিত হারে সৌরশক্তির বিকাশে প্রয়োজন প্রযুক্তি হস্তান্তর ও ব্যাপক বিনিয়োগ। ২০৪১ সালের সৌর শক্তির লক্ষ্য বাস্তবায়নে ৩০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ প্রয়োজন।

সোমবার (২৪ জুলাই) আবুধাবিতে ইন্টারন্যাশনাল সোলার অ্যালায়েন্সের (আইএসএ) সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সভায় এমন মন্তব্য করেন প্রতিমন্ত্রী।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, কম জমি ব্যবহার করে বা কম বিকিরণ থেকে বেশি সৌর বিদ্যুৎ পাওয়ার প্রযুক্তির অবাধ বিচরণ নিশ্চিত করা আবশ্যক। বাংলাদেশ নবায়নযোগ্য জ্বালানির প্রসারকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে। ৮ গিগাওয়াট বিদ্যুৎ নবায়নযোগ্য উৎস হতে উৎপাদনের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। নেট মিটার, রুপটপ সোলার, সোলার ইরিগেশন পাম্প, ভাসমান সোলার, সৌর এগ্রোভোলটাইক্স ইত্যাদি প্রকল্প নিয়ে কাজ করছে। ৪ লাখ ৫০ হাজার ডিজেল পাম্প কে সোলার ইরিগেশন পাম্পে রূপান্তর করার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। এতে অতিরিক্ত ১০০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার সৌর বিদ্যুৎ সংযুক্ত করবে।

৪৪ জন কর্মকর্তাকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার ইন্টারন্যাশনাল সোলার অ্যালায়েন্সকে (আইএসএ) ধন্যবাদ দিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, উপযুক্ত নীতি, নিয়ন্ত্রক কাঠামো, সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার জন্য বিজনেস মডেল তৈরি করতে আমরা একসাথে কাজ করতে পাই। সোলার রোড ম্যাপ দ্রুত প্রনয়ন করা জরুরি।

বিজ্ঞাপন

ইন্টারন্যাশনাল সোলার অ্যালায়েন্সের (আইএসএ) মহাপরিচালক ড. অজয় মাথুর বলেন, সম্মিলিত উদ্যোগের মাধ্যমে এগুতে পারলে সৌরশক্তির দ্রুত বিস্তার ঘটবে। পাইলট প্রকল্পে অর্থায়নে ইন্টারন্যাশনাল সোলার অ্যালায়েন্স (আইএসএ)-এর সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।

আলোচনায় ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান, বিদ্যুৎ বিভাগের যুগ্ম সচিব নীরদ চন্দ্র মন্ডল, আইএসএ -এর গভার্নেন্স ও পার্টনারশীপ ইউনিটের প্রধান শিশির সেট, আইএসএ এর অর্থ বিশেষজ্ঞ প্রাজ্ঞ
উপস্থিত ছিলেন।