‘জ্বালানি খাতের ডলার সংকট কেটে গেছে’



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জ্বালানির উৎস হোক কিংবা মিশ্রণ বহুমুখী ব্যবহার নিশ্চিত করা জরুরি। একদিকে অভিঘাত এলে আমরা যাতে অন্যদিকে যেতে পারি বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক ই-ইলাহী চৌধুরী।

বুধবার (৯ আগস্ট) জাতীয় জ্বালানি নিরাপত্তা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক ভার্চুয়াল সেমিনারে তিনি এ মন্তব্য করেন।

১৯৭৫ সালের ৯ আগস্ট তিতাস (ব্রাহ্মণবাড়িয়া), বাখরাবাদ (কুমিল্লা), হবিগঞ্জ, রশিদপুর ও কৈলাশটিলা (হবিগঞ্জ) গ্যাসফিল্ড কিনে নিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধুর। ওই ৫টি গ্যাস ফিল্ড থেকে এখনও ২৯ শতাংশ গ্যাসের সরবরাহ পাওয়া যাচ্ছে। বঙ্গবন্ধুর সেই অসামান্য অবদানকে স্মরণ করতে ২০০৯ সাল থেকে ৯ আগস্টকে জাতীয় জ্বালানি নিরাপত্তা দিবস হিসেবে পালন করে আসছে সরকার।

তিনি আরও বলেন, আমরা যে পরিকল্পনা নেবো, সেজন্য বিকল্প সময় রাখতে হবে। জ্বালানি ব্যবহারে দায়িত্বশীলতা থাকা আবশ্যক, আমাদের আচরণগত পরিবর্তন দরকার, পকেটে টাকা থাকলেই অপচয় করা যাবে না। কৃষিতে যখন পানি ব্যবহার করছেন, পানির ব্যবহার যদি কম করেন, তাহলে বিদ্যুতের খরচ কম ও জ্বালানি সাশ্রয় হবে। ভবিষ্যতের জন্য পানির রিজার্ভ নিশ্চিত হবে।

তিনি বলেন, বর্তমানে জ্বালানির যে সংকট সেখানে বাংলাদেশের কোন হাত ছিল না। জ্বালানি ও খাদ্য ভূ-রাজনৈতিক ইস্যু জড়িত থাকে। ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে জ্বালানি, সারসহ সকল পণ্যের দাম বেড়ে যায়। ৮ বিলিয়ন ডলার, নিয়ে গেছে এটা অনেকটা ডাকাতির মতো। নতুন করে সাজাতে হয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেই কাজটি করছেন। আমরা সভ্য উন্নত মানবিক দেশ গড়বো।

সেমিনারে একজনের বক্তব্যের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, আমি ভূতত্ত্ব বিষয়ে তেমন বুঝি না। তবে কূপ খনন করে গ্যাস না পাওয়া পর্যন্ত কিছুই বলা যাবে না। যারা ২-৩ টিসিএফ পাওয়া যাবে বলে মন্তব্য করেছেন, এটা ক্লাস রুমের জন্য ঠিক আছে, কিন্তু সাধারণ মানুষ বিভ্রান্ত হবে, তারা মনে করবে কূপ খনন করলেই গ্যাস পাওয়া যাবে।

বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ওয়াসিকা আয়শা খান এমপি বলেন, বঙ্গবন্ধু যে ৫টি গ্যাসক্ষেত্র কিনে নিয়েছেন তার অর্থনৈতিক মূল্য অনেক বেশি। বাংলাদেশের জ্বালানির নিরাপত্তা নিশ্চিত করে গেছেন বঙ্গবন্ধু। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জ্বালানি নিরাপত্তায় আঞ্চলিক সহযোগিতার উপর জোর দিয়েছেন।

বিদ্যুৎ বিভাগের সিনিয়র সচিব হাবিবুর রহমান বলেন, যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশে সঙ্গতভাবেই খাদ্য নিরাপত্তাকে জোর দেওয়ার কথা। বঙ্গবন্ধু সংবিধানে বিদ্যুৎকে মৌলিক অধিকারে অন্তর্ভুক্ত করেন। পৃথিবীর কম দেশেই বিদ্যুৎকে মৌলিক অধিকারে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, সমন্বিত মাস্টারপ্ল্যানের ড্রাফট রেডি হয়েছে। এতে তিনটি বিশেষ বিষয়কে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে, প্রথম হচ্ছে প্রাথমিক জ্বালানির বহুমুখীকরণ, যতো বেশি উৎসে যেতে পারবো তত বেশি নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে। পরিচ্ছন্ন জ্বালানির ব্যবহার বাড়ানোর উপর জোর দেওয়া হয়েছে। কৃষি জমিকে বাঁচিয়ে যতটা সম্ভব সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। ফসিল ফুয়েল নির্ভর জ্বালানির ব্যবহার কমানো এবং জ্বালানির সাশ্রয়ী ব্যবহার নিশ্চিতে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

সভাপতির বক্তব্যে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব ড. খায়েরুজ্জামান মজুমদার বলেন, মিডিয়ায় অনেক সময় খবর আসছে ডলার সংকটের। জ্বালানি খাতের ডলার সংকট কেটে গেছে। প্রতি সপ্তাহে ৮০ থেকে ৯০ মিলিয়ন ডলার ছাড় করা হচ্ছে। যে বকেয়া ছিল এক দুই সপ্তাহের মধ্যে পরিশোধ হয়ে যাবে।

বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) চেয়ারম্যান এবিএম আজাদ বলেন, বিপিসি তার কাজগুলোকে বৈজ্ঞানিক উপায়ে করতে পারলে কিছুটা সাশ্রয় হবে। এখন ১৩ লাখ টনের মতো মজুদ সক্ষমতা রয়েছে, আরও ৩ লাখ মজুদ সক্ষমতা বাড়ানোর কাজ চলমান রয়েছে। এগুলো হলে ৬০ দিনের মজুদ নিশ্চিত হবে। যাকে নিরাপদ মজুদ বিবেচনা করা হয়।

পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার বলেন, তেল-গ্যাস অনুসন্ধানের জন্য বঙ্গবন্ধু পিএসসি ধারণা প্রবর্তন করেন। তার ধারাবাহিকতায় বিবিয়ানাসহ অনেকগুলো সাফল্য পেয়েছি। মানবসম্পদ উন্নয়ন, তেল-গ্যাস অনুসন্ধান ও উন্নয়নে বঙ্গবন্ধুর দেখানো পথে চলছি। দেশব্যপী নিরবিচ্ছিন্ন জ্বালানি তেল সরবরাহের নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে সরকার। অর্থনীতির মূল চালিকা শক্তি জ্বালানি সরবরাহ বৃদ্ধির ফলে দেশ আজ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা লাভ করেছে। বাংলাদেশকে ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তরের লক্ষ্য সামনে রেখে ২০৪১ সালের মধ্যে চাহিদা ও সরবরাহের রূপরেখা প্রস্তুত করে দেশীয় গ্যাস উৎপাদনের পাশাপাশি এলএনজি আমদানির সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।

এনার্জি এন্ড পাওয়ারের এডিটর মোল্লাহ আমজাদ হোসেন বলেন, অনুসন্ধান ব্যাপক ভিত্তিতে করতে হবে এর কোন বিকল্প নেই। বঙ্গবন্ধু স্বপ্ন দেখেছিলেন দারিদ্র দূরকরে সোনারবাংলা গঠনের। তার জন্য উপজীব্য করেছেন দেশীয় সম্পকের সর্বোচ্চ ব্যবহার। বিশ্বে এখন কয়লার ব্যবহার বেড়ে যাচ্ছে, বাংলাদেশের বিশাল কয়লার মজুদ রয়েছে। এই কয়লা বিদ্যুৎ উৎপাদনে পরিকল্পনা নেওয়া উচিত। উন্নয়নের ক্ষেত্রে জ্বালানি ও বিদ্যুতের সমন্বয়ে ঘাটতি লক্ষ্যণীয় হয় নি। এই সংকট দূর করা প্রয়োজন। বাংলাদেশের নীতি খুব ভালো, কিন্তু বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে অনেক ঘাটতি দেখা যায়।

অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন ভূঁইয়া বলেন, ২০০৯ সাল থেকে বর্তমানে ২৪টি অনুসন্ধান কূপ খনন করা হয়েছে, এরমধ্যে ৯টি গ্যাস ক্ষেত্র আবিস্কার হয়েছে। এসব ক্ষেত্রে মজুদ গ্যাসের পরিমাণ ২.৩ টিসিএফ। চিত্রটি অনেক ভালো, তবে আরও ভালো হতে পারতো। সাইচমিক সার্ভের মাধ্যমে ১৭৬টি লিডি প্রসপেক্ট আবিষ্কার করেছি। কূপ খনন করলে গ্যাস পাওয়া যাবে।

   

মহাপরিকল্পনায় জাইকার সহায়তা চান বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, বিদ্যুতের চাহিদা অনুসারে এলাকাভিত্তিক বিনিয়োগের মহাপরিকল্পনা করতে জাইকার সহযোগিতা প্রয়োজন। বাংলাদেশে অঞ্চলভিত্তিক শিল্পায়ন হচ্ছে, চাহিদার ধরণ ভিন্ন, যোগান প্রক্রিয়াও ভিন্নতর।

রোববার (১২ মে) সচিবালয়ে জাইকার আভ্যন্তরীণ উপদেষ্টা কমিটির সভাপতি প্রফেসর ড. তাৎসুফুমি ইয়ামাগাতার নেতৃত্বে ১২ সদস্যের কমিটির সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি এসব কথা বলেন।

বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, মাতারবাড়িতে ফেজ-২ না হওয়ার এ জায়গায় বিকল্প কোন জ্বালানির বিদ্যুৎকেন্দ্র করলে অধিক লাভজনক এবং বিদ্যুৎ উৎপাদন করলেও সম্ভাব্য গ্রাহক কারা হবে তা বিবেচনার সময় এসেছে। সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্র করার কিছু প্রস্তাব এসেছে। এলএনজি টার্মিনাল করার বিষয়ে আলোচনা অনেক এগিয়েছে।

তিনি বলেন, অব্যাহত উন্নয়নের জন্য জ্বালানি চাহিদা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই দ্রুত ল্যান্ড বেজড এলএনজি টার্মিনাল করা প্রয়োজন।

জাইকার আভ্যন্তরীণ উপদেষ্টা কমিটির সভাপতি বলেছেন, বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে উন্নয়ন হচ্ছে, যা সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য ভালো। চট্টগ্রামে কোরিয়ান ইপিজেড এবং মিডি এলাকায় বিদ্যুতের চাহিদা বাড়তে পারে।

উপদেষ্টা কমিটির সদস্য ও জাপান এক্সট্রানাল ট্রেড অর্গানাইজেশনের নির্বাহী ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইয়ুমি মুরায়ামা বলেন, ঢাকার উজ্জ্বল্য দেখে আমি মোহিত। এ সময় শিল্পায়নের বৈচিত্রময়তা ও বিনিয়োগের পরিবেশ, জ্বালানি হাব, মিডি এলাকার কার্বন নিঃসরণ কমানোর কৌশল ও মিডি এলাকায় শিল্পায়নের কৌশল নিয়ে আলোচনা করা হয়।

অন্যদের মধ্যে বিদ্যুৎ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব তানিয়া খান, পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসাইন, জাইকা সদর দফতরের অর্থনৈতিক উন্নয়ন বিভাগের উপ-মহাপরিচালক জন সাওতম, জাইকা বাংলাদেশ অফিসের প্রধান প্রতিনিধি তোমোহাইদ ইচিগুচি, টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়ের সদস্য ও সহকারী অধ্যাপক ড. ফুমিহিকো সেটা ও মিডি নীতি উপদেষ্টা কোজি তাকামাতসু উপস্থিত ছিলেন।

;

পাবলিক প্রকিউরমেন্টে সমান সুযোগের জন্য অন্যায্য ধারাগুলো অপসারণ উচিত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
পাবলিক প্রকিউরমেন্টে সমান সুযোগের জন্য অন্যায্য ধারাগুলো অপসারণ উচিত

পাবলিক প্রকিউরমেন্টে সমান সুযোগের জন্য অন্যায্য ধারাগুলো অপসারণ উচিত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ফোরাম অব বাংলাদেশ আয়োজিত ‘পাবলিক প্রকিউরমেন্ট অ্যাক্ট-চ্যালেঞ্জেস অ্যান্ড অপরচুনিটিজ’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রোববার (১২ মে) এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। 

সেমিনারে বক্তারা বলেন, সরকারকে পাবলিক প্রকিউরমেন্ট প্রক্রিয়ায় দেশি-বিদেশি সব প্রতিষ্ঠানের জন্য সমান খেলার ক্ষেত্র নিশ্চিত করতে স্থানীয় কোম্পানিগুলোর জন্য বৈষম্যমূলক কর কাঠামো অপসারণ করা উচিত।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী মোঃ শহীদুজ্জামান সরকার বলেন, বর্তমান সরকার প্রাথমিক পর্যায়ের ক্রয়ের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে ইলেকট্রনিক সরকারি ক্রয় চালু করেছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে উচ্চ নৈতিকতার মানুষ প্রয়োজন। তিনি স্টেকহোল্ডারদের কাছ থেকে সভায় আসা সুপারিশ, অভিযোগ এবং দাবিগুলি বিবেচনায় নেওয়ার জন্য সর্বাত্মক সহায়তা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।

মনোনীত আলোচক হিসেবে বক্তৃতাকালে বাংলাদেশ পাবলিক প্রকিউরমেন্ট অথরিটির (বিপিপিএ) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মদ শোহেলার রহমান চৌধুরী বলেন, তারা দেশে শতভাগ ক্রয় ব্যবস্থাকে ই-জিপি পদ্ধতিতে আনতে চান।

তিনি বলেন, বিপিপিএ ক্রয় সংক্রান্ত চ্যালেঞ্জগুলো চিহ্নিত করে ক্রমাগত সংশোধন করছে। প্রতিকার সহজতর করার জন্য বিদ্যমান তিন-পদক্ষেপের অভিযোগের সমাধানকে এক ধাপে নামিয়ে আনা হবে।

অনুষ্ঠানে বিশ্বব্যাংকের সাবেক লিড প্রকিউরমেন্ট স্পেশালিস্ট ড. জাফরুল ইসলাম ‘গভর্নেন্স অ্যান্ড কম্পিটিটিভনেস ইন পাবলিক প্রকিউরমেন্ট প্র্যাকটিস: বাংলাদেশ প্রেক্ষাপট’ শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে ক্রয় প্রক্রিয়াকরণের ক্ষেত্রে স্বার্থের সংঘাত একটি প্রধান উদ্বেগের বিষয়। "সিওআই সরকারী কর্মকর্তা এবং চুক্তি বা পরামর্শ শিল্পের মধ্যে সম্ভাব্য অনানুষ্ঠানিক বা অপ্রকাশিত সম্পর্কের থেকে উদ্ভূত হয়। সরকারী কর্মকর্তা বা তাদের পরিবারের সদস্যরা সংস্থায় একই ক্রয় প্রক্রিয়ায় অংশ নিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করেন এমন উদাহরণ রয়েছে। তিনি বিপিপিএকে কোনো আইন বা নিয়ম প্রণয়নের আগে স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে পরামর্শ করার আহ্বান জানান।

আইবিএফবির উপদেষ্টা ও এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান মুহাম্মাদ আবদুল মজিদ নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়নে সম্পদ ও সময়ের অপচয় কমাতে আর্থিক বছরে সংস্কার আনার সুপারিশ করেন। তিনি স্থানীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি বিদ্যমান বৈষম্যমূলক কর কাঠামোর পরিবর্তে দেশি-বিদেশি কোম্পানির ওপর সমান কর আরোপের ওপর জোর দেন।

আইবিএফবির ভাইস প্রেসিডেন্ট এম এস সিদ্দিকী সরকারকে পাবলিক আমদানিসহ সব পর্যায়ে অভিন্ন কর আরোপের আহ্বান জানান। তিনি ক্রয় প্রক্রিয়ায় দীর্ঘমেয়াদে টিকিয়ে রাখার জন্য প্রতিযোগিতামূলক হওয়ার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেন।

সেমিনারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক মুহাম্মদ শাহাদাত হোসেন সিদ্দিকী কাজের পুরস্কার প্রদান প্রক্রিয়ায় সমতা নিশ্চিত করতে কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কনস্ট্রাকশন ইন্ডাস্ট্রির (বিএসিআই) উপদেষ্টা প্রকৌশলী এসএম খোরশেদ আলম পাবলিক প্রকিউরমেন্ট প্রক্রিয়ায় সর্বনিম্ন দরদাতাকে পুরস্কার দেওয়ার ধারা বাতিল করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, বিডের পরিমাণের পরিবর্তে ক্রয়ের সম্ভাব্য পুরস্কারপ্রাপ্তের ক্ষমতা বিবেচনা করা উচিত।

এছাড়াও সেমিনারে ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন ফর ট্রান্সফরমার অ্যান্ড সুইচগিয়ারের (ম্যাটিএস) সাবেক সভাপতি প্রকৌশলী রবিউল আলম প্রকল্পের পুরস্কার প্রক্রিয়ায় স্থানীয় কোম্পানিগুলোর অসঙ্গতি দূর করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য রাখেন আইবিএফবি সভাপতি হুমায়ুন রশীদ।

;

সোনালীর সঙ্গে একীভূত হওয়ার চুক্তি করল বিডিবিএল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সোনালী ব্যাংক লিমিটেডের সঙ্গে স্বেচ্ছায় একীভূত হতে বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (বিডিবিএল) সমঝোতা চুক্তি করেছে।

রোববার (১২ মে) বাংলাদেশ ব্যাংকে অনুষ্ঠিত এক সভায় এই চুক্তি সই হয়। এ সময় সোনালী ব্যাংক ও বিডিবিএলের প্রতিনিধিদের পাশাপাশি বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এই চুক্তির ফলে এখন ব্যাংক দুটির সম্পদ ও দায় পর্যালোচনা করা হবে। এরপরই নানা প্রক্রিয়া শেষে একীভূত হবে ব্যাংক দুটি।

বিডিবিএল সূত্র জানায়, মার্জারের বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা ছিল, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের পর্ষদ অনুমোদন দিয়েছে। গত বুধবার বিষয়টি অনুমোদন হয়েছে সোনালী ব্যাংকের পর্ষদ সভায়। দুটো সরকারি ব্যাংক একমত হওয়ায় মার্জ (একীভূত) হবে। ব্যাংক দুটির বোর্ডের সিদ্ধান্ত বাংলাদেশ ব্যাংককে অবহিত করার পরে আজ চুক্তি হলো। এরপর বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী মার্জার প্রক্রিয়ার পরবর্তী ধাপ শুরু হবে।

চুক্তি স্বাক্ষর শেষে সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আফজাল করিম বলেন, সোনালী ব্যাংকের সঙ্গে একীভূতকরণের ফলে বিডিবিএলের কর্মীদের শঙ্কার কোনো কারণ নেই। ব্যাংকটি আরও সবল হবে; অডিট ফার্ম নিয়োগ নিয়ে পরবর্তী কার্যক্রম শুরু করবে বাংলাদেশ ব্যাংক।

বিডিবিএলের চেয়ারম্যান শামিমা নার্গিস বলেন, বিডিবিএলের চার সূচকের মধ্যে শুধু খেলাপি ঋণ আদায়ে দুর্বলতা আছে, সময় পাওয়া গেলে এই সমস্যাও কাটিয়ে ওঠা যেত; তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের পরামর্শে একীভূত হতে হচ্ছে।

;

বেড়েছে রেমিট্যান্স প্রবাহ, ১০ দিনে এলো ৮১ কোটি ডলার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চলতি মে মাসের প্রথম ১০ দিনে ৮১ কোটি ৩৭ লাখ ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। এই হিসাবে প্রতিদিন গড়ে দেশে এসেছে ৮ কোটি ১৩ লাখ ডলার রেমিট্যান্স।

রোববার (১২ মে) বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ থেকে এ তথ্য জানা গেছে। 

এতে বলা হয়, মে মাসের প্রথম ১০ দিনে দেশে এসেছে ৮১ কোটি ৩৭ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। আর গত এপ্রিল, মার্চ, ফেব্রুয়ারি ও জানুয়ারির প্রথম ১০ দিনে দেশে রেমিট্যান্স এসেছিল যথাক্রমে ৭৩ কোটি ১০ লাখ, ৬৭ কোটি ৯০ লাখ, ৭১ কোটি ৮০ লাখ ও ৭৬ কোটি ৩০ লাখ মার্কিন ডলার। সে হিসাবে চলতি মাসে বেড়েছে রেমিট্যান্স প্রবাহ। 

এদিকে মে মাসের প্রথম ১০ দিনে রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৯ কোটি ৩৯ লাখ ৫০ হাজার ডলার। এছাড়া বিশেষায়িত ব্যাংকের মাধ্যমে ১৮ লাখ ৬০ হাজার ডলার, বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে ৭১ কোটি ৫১ লাখ ৩০ হাজার ডলার ও বিদেশি খাতের ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ২৮ লাখ ৪০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স।

বাংলাদেশ ব্যাংক আরও জানায়, ৪ থেকে ১০ মে প্রবাসীরা দেশে পাঠিয়েছেন ৬৬ কোটি ৬৬ লাখ ৬০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। আর মে মাসের ১ থেকে ৩ তারিখ দেশে এসেছে ১৪ কোটি ৭১ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স।

এদিকে গত এপ্রিল মাসে দেশে এসেছে ২০৪ কোটি ৩০ লাখ ৬০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। আর গত মার্চে দেশে এসেছিল ১৯৯ কোটি ৬৮ লাখ ৫০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স। এছাড়া ফেব্রুয়ারিতে চলতি অর্থবছরে সর্বোচ্চ ২১৬ কোটি ৬০ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা। আর গত জানুয়ারি মাসে দেশে রেমিট্যান্স এসেছিল ২১০ কোটি ৯ লাখ ৫০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স।

;